২৬শে ডিসেম্বর, ২০১১ কুমিল্লায় কিভাবে আরেকটি পিলখানা জন্ম নেয়।মেজর জিয়া সম্পর্কে সত্য জানুন।

লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০২ আগস্ট, ২০১৬, ০৮:১১:৪৯ রাত



আজকে অবৈধ সরকার ২০ লক্ষ্ টাকা ঘোষনা করেছে মেজর জিয়ার জন্য। তারা ব্যর্থ অভ্যুত্থানের মিথ্য তত্ত্ব প্রচার করতে চায়। শুনুন ২৬/১২/২০১১ সালে কি হয়েছিল।

সেদিন ভোর ৮ টায় ফজরের নামাজ পড়ে লেপটপ খোলে মেইল চেক করে। অজানা একটা ইমেইল থেকে মেইল পেয়েছিলাম। মেইল দাতা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন 'ভাই বিডিআর হত্যাকান্ডের পর যেসব আর্মি অফিসার হাসিনার বিরোধীতা করেছেন ।(অডিও তে আমরা শুনেছি অনেক অফিসার হাসিনাকে সেইম সেইম বলে চিত্কার করেছেন) তাদের সবাই কে কুমিল্লা সেনানিবাসে হত্যা করা হয়েছে । মেজর জিয়া পালিয়ে এসে আমাকে সব কিচু জানিয়েছেন। তখন আমি সোনা ব্লগে ইমেইলটি পোস্ট করার সাথে সাথে সোনা ব্লগ আমাকে ব্লক করে আর বলে মিথ্যা পোস্ট করার জন্য আমাকে ব্লক করেছে। কিন্তু দুচারজন আমার ব্লগ ইতিমধ্যে সেয়ার করে ফেলে । টুডে ব্লগের পাঠক ও ব্লগারদের জন্য হুবহু ইমেইটি তুলে ধারলাম।

'

একটি দুঃসংবাদ

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

পাকবাহিনীর গণহত্যা নাকি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা – কোনটার জন্য জানিনা, ছোটবেলা থেকে আমি সামরিকবাহিনীর মানুষজনকে বেশী পছন্দ করতামনা। কিন্তু যেই মানুষটাকে দেখার পরে তাদের সম্পর্কে পাইকারী খারাপ মনোভাবটা বদলে যায় তিনি হলেন জিয়া ভাই। চাপদাড়ির সহাস্য এই মানুষটিকে দেখে বোঝার উপায় নেই তিনি আর্মির মেজর। তার স্ত্রীর জানাজার সময়ে তিনি তার চেয়ে কয়েক স্তর উপরের অফিসারদের মুখের উপরে বলে দিয়েছিলেন যে আজকের জানাজার নামায রসুলের সুন্নাত অনুসারে হবে, আমরা সবাই ইমামকে অনুসরণ করে সলাত পড়ব, এবং এর পরে কোন বিদ’আতি দু’আ হবেনা। আল্লাহ তাকে ইসলাম বোঝার এবং বোঝানোর এমনই ক্ষমতা দিয়েছিলেন যে তিনি গ্রামের সুর করে গল্প বলার মাহফিলে দাঁড়িয়ে ইসলামের সত্য বাণীর কথা বলে বেড়াতেন। শাস্তিমূলক বদলী হিসেবে তাকে পাহাড়ে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাও তার সত্য বলা থামেনি। জুম’আর দিনে তিনি মসজিদে খুতবা দিয়ে মানুষকে ইসলামের পথে ডাকার অপরাধে (!) তাকে খুতবা দিতে নিষেধ করা হয়েছে।

আজ তার একটি ই-মেইল পেয়ে আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম। ২৩শে ডিসেম্বর রাতে তাকে ডিজিএফআই (Directorate General of Forces Intelligence) অপহরণ করেছিল! তাকে প্রথমে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনলজি (MIST) থেকে জরুরীভিত্তিতে ঢাকা সেনানিবাসের লগ এরিয়ায় বদলীর আদেশ দেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পথে সাভার বাস স্ট্যান্ড থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। এরপরে তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সবচেয়ে আতঙ্কজনক ব্যাপার হচ্ছে প্রশ্নকারীদের তালিকায় যতজন বাংলাদেশী ছিল তার চেয়ে বেশী ছিল ভারতীয় অফিসার। এমনকি দোভাষীর মাধ্যমে র’এর কিছু এজেন্ট তার কাছে এমন কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে যা একটা স্বাধীন দেশের নিরাপত্তার অত্যন্ত সংবেদনশীল।

দু’দিন-দু’রাত পরে তিনি তথ্যভরা পেন-ড্রাইভে খোঁজার অজুহাতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন, আলহামদুলিল্লাহ। দায়িত্বরত অবস্থায় এভাবে একজন আর্মির মেজরকে গুম করার ঘটনা অনেক পদস্থ অফিসার জেনেও না জানার ভান করতে থাকে। এই ভনিতা এবং বন্দীদশায় ভেসে আসা টুকরো যেসব কথা তিনি শুনেছেন তা এদেশের জন্য চরম অশনি এক সংকেত। কথাগুলো যদি জিয়া ভাই না বলতেন তাহলে আমি নিজে মনে করতাম থ্রিলার মুভির কাল্পনিক কন্সপিরেসি থিওরি। কিন্তু র’এর এজেন্টরা যখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশে বসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে জেরা করতে পারে তখন নিশ্চিত বোঝা যায় ডিজিএফআই এখন চালাচ্ছে ভারতীয় সরকার। জিয়া ভাইয়ের ভাষ্যে এরা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কেন্দ্রীয় এবং ৬৪টি জেলাভিত্তিক ফিল্ড অফিসের মেধাবী অফিসারদের ব্যবহার করে এক-এগারর মত আরেকটি অবস্থা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। র’এর সাথে হাত মিলিয়েছে কিছু উচ্চাভিলাষী জেনারেল। এরা বর্তমান শাসক দলকে মদদ দেয়ার ভান করছে কিন্তু যখন এদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে তখন খোদ সরকারী দলের অনেক বড় নেতাদের নির্মূল করা হবে। প্রসঙ্গত, ডিজিএফআই এর ডিজি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট করে। প্রধানমন্ত্রী যাদের হাতের পুতুল ভাবছেন তারা সেটা নয় এবং তারা যেটা চাচ্ছে সেটা সত্যি হলে সেটা খোদ প্রধানমন্ত্রীরও জীবনের অবসান ঘটাতে পারে। সাধারণ অফিসারদের ভুলিয়ে রাখার জন্য সম্প্রতি আর্মি অফিসার হাউসিং সোসাইটির (AOHS) এর জমির দলীল বিতরণের লোভ দেখান হয়েছে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে অনেক দেশপ্রেমিক অফিসারদের গণহারে গুম ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এর মধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জায়েদি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এহসান ইউসুফের মত অফিসারদের প্রকাশ্যেই গ্রেপ্তার দেখান হয়েছে। এই গুমগ্রেপ্তার আরেকটা পিলখানার পূর্বপ্রস্তুতি মাত্র।

জিয়া ভাইয়ের মেইলটার সত্যতা প্রমাণের জন্য তিনি সাংবাদিকদের তিনভাবে সরেজমিনে তদন্ত করার অনুরোধ করেছেন –

১. তার নিজের বাসায় গিয়ে – : D-13/1, পলাশ (১৪ তলা বিল্ডিং) মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।

২. MIST কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলে।

৩. পুরাতন আর্মি সদরদপ্তর মেসে যেখানে কিছু গ্রেপ্তারকৃত অফিসারদের রাখা হয়েছে।

জিয়া ভাই মেইলের শেষ অংশে তিনি বলেছেন যে তিনি নিরাপদ কোথাও পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছেন। তিনি এখন কোথায় আছেন কেমন আছেন – এক আল্লাহই জানেন। তিনি এই তথ্যগুলো দেশের সব মানুষ, সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন। তার করা মেইলের ফলশ্রুতিতে তার এবং তার পরিবারের উপরে ভয়াবহ বিপদ নেমে আসতে পারে। আল্লাহু আকবার, কতটা সাহসী না হলে তিনি নিজের ও পরিবারের জীবন বিপন্ন করে এতবড় একটা ঝুঁকি নিলেন সেটা ভাবতেই আমার মাথা শ্রদ্ধায় নিঁচু হয়ে যাচ্ছে। আর একটা অন্ধ ক্রোধে কপালের রগগুলো দপদপ করছে, জিয়া ভাই, ভাবী আর ছোট্ট বাচ্চাটার জন্য বুকের ভিতরে কেমন যেন একটা শূণ্যতা তৈরী হচ্ছে।

আমি শরীফ আবু হায়াত অপু, আল্লাহর কসম করে বলছি – মেজর জিয়া ভাইকে আমি পাঁচ বছর ধরে চিনি, তাকে আমি ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে মিথ্যা কথা বলতে দেখিনি কোনদিনও। তিনি জাতীয় স্বার্থ নিয়ে মিথ্যা বলবেন এটা আমি বিশ্বাস করিনা। দেশের এমন একটা পরিস্থিতিতে কিছু করতে না পারার অসহায়ত্বে অস্থির লাগছে, কিন্তু দেশে নিশ্চয় এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এ ব্যাপারে কিছু করতে পারেন। যদি কিছু না পারেন তাহলে যত বেশি সম্ভব মানুষকে জানান। যারা আল্লাহকে ভয় করেনা তারা অন্তত জনগণকে ভয় করে। এই দুরভিসন্ধির কথা প্রকাশ করে হয়ত আমরা পরবর্তী ট্রাজেডিটা থামাতে পারি। যেসব মুসলিম ভাই এই লেখাটা পড়লেন তারা যেন আসন্ন দুর্যোগটা ঠেকানোর জন্য মন থেকে আল্লাহর কাছে দু’আ করেন। আল্লাহ যেন জিয়া ভাই এবং তার মত অন্যান্য সত্যিকারের দেশত্যাগী মানুষগুলোকে নিরাপদে রাখেন। আল্লাহ যেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাত করে দেন। আমিন।

২৬শে ডিসেম্বর, ২০১১

২রা সফর, ১৪৩৩ হিজরি

ফোর্ট ওয়েইন, যুক্তরাষ্ট্র। '

আমাকে ফেসবুকে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন।

বিষয়: বিবিধ

৬০৫৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375781
০২ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:৩২
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

বর্ণনা সত্য ছিল কি না সেটা এখন দেশবাসী টের পাচ্ছে!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ,
০২ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:৪৮
311565
তায়িফ লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। মোহায়েম আমাকে সোনা থেকে ব্লগ করেছিল এই পোস্টের জন্য।
০২ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:৪৪
311567
আবু সাইফ লিখেছেন : আপনার ঐ পোস্ট তাতক্ষণিকভাবে কপি করে আমিও ইমেইল করেছিলাম অনেকের কাছে্! তখনই আমার কাছে সেটা অসত্য মনে হয়নি! আর এখন তো জ্বলন্ত সত্য!!
375783
০২ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:০০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কাহিনী সত্য তা পুরো দেশবাসী জানে
০২ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৯:১৫
311566
তায়িফ লিখেছেন : কিন্তু সেদিন যদি দেশবাসী রুখে দাড়াত।
375793
০৩ আগস্ট ২০১৬ রাত ০২:১৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : দেশে নিশ্চয় এমন কিছু মানুষ আছেন যারা এ ব্যাপারে কিছু করতে পারেন। ধন্যবাদ
375819
০৩ আগস্ট ২০১৬ বিকাল ০৪:৩৯
হতভাগা লিখেছেন : উনাকে ধরিয়ে দিয়ে ২০ লাখ টাকা জিতে নিন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File