সরে দাড়াও জামাত শিবির !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ২৫ জুলাই, ২০১৬, ০২:৫২:৩৬ দুপুর



আওয়ামেলীগ বিএনপির সাথে ঐক্য করার একমাত্র বাধা স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির। শিবির সরে গেলে বিএনপি ধোয়া তুলসী পাতা হয়ে যাবে। আর বিএনপি যদি জাতির কাছে ক্ষমা চায় তখন আওয়ামেলীগ করবে ঐক্য।(যদিও ৯১-৯৬) সালে বিএনপি বিরোধী আন্দোলনে জামাত কে লীগ সাথে নিয়েছিল। কিন্তু কেন আওয়ামী লীগ বিএনপি জামাত থেকে দূরে সরাতে চায়? এই উত্তর পেতে হলে আমাদেরকে সাংগঠনিক শক্তি বিচার করতে হবে।

১. আওয়ামেলীগ: এরা নিজেদের দলের প্রতি এত ভক্ত, দল যা বলবে তা। এরা ন্যয় অন্যায় , গণতন্ত্র স্বাধীনতা কিচুই বুঝে না। শুধু বুঝে দল যা বলবে তা ঠিক। ওরা ওদের মুজিবকে আল্লাহ খোদা নবী রাসূল থেকে বেশী ভক্তি করে। ওদের মুজিবের জন্য ওরা আল্লাহর উপর থেকে আস্থা সরি নেয়। রাসূলকে গালি দিলে ওদের কিচু হয় না। কিন্তু মুজিবকে গালি দিলে ৭ বছর জেল।তার মানে আওয়ামেলীগ তাদের কাছে ধর্মের থেকেও বেশী।

২. বিএনপি: বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বলে কিচু নেই। ওরা সামান্য একটা বালুর ট্রাককে ট্রেংকের থেকে ভয় পায়। ক্ষমতায় গেলে ওদের ছাত্র সংগঠন র‍্যাব পুলিশের পাহারায় ভয়ংকর সন্ত্রাসী হয়ে উঠে।চাদাবাজি চিনতাই রাহাজানী করে জাতিকে অস্থির করে তুলে। আবার ক্ষমতা চলে গেলে। ওরা হারিয়ে যায়। দল পল্টি ভাজ মওদুদ ওদের কান্ডারী।ক্ষমতায় থাকলে ওরা ভয়ংকর । আর ক্ষমতা হারালে ইদুর। কিন্তু ওরা ক্ষমতায় যায় কি ভাবে? কারন জিয়াউর রহমার কিচু ভাল কাজ করে গেছেন। তাই উনার জনপ্রিয়তার কারনে বিএনপি ভোট পায়। জিয়াউর রহমানের প্রতি মানুষে ভালবাসার কারনে বিএনপি ঠিকে আছে তা না হলে তাদের কোন সাংগঠনিক ভিত্তি নাই।

জামাত: জামাত শিবির সাংগঠনিক ভাবে অত্যন্ত শক্তি শালী। তারা আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করে না। দীনের জন্য দেশের জন্য ওরা হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দেয়। দেশ বিক্রি করতে প্রধান বাধা জামাত শিবির।২৮ অক্টোবর বিএনপির আতুর ঘর বগুড়ায় পর্যন্ত বাল তান্ডব চালায়। ছাত্রদল তখন পালিয়ে যায়। আর জামাত শিবির ই জীবন দিয়ে বিএনপিকে রক্ষা করে।

৭১ এর জন্যই কি আওয়ামেলীগ জামাত শিবিরকে ধংস করতে চায়?

উত্তর এক বাক্যে না। কারন ৭১ এ আমাদের বড় শত্রু ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব। মুজিব ইহাইয়ার কথা বাদই দিলাম। কিন্তু পাকিস্তানী সাদিক খানকে মেয়র বানানোর জন্য কি না করেছে দুইশ বছর গোলামী করানো ব্রিটিশ পুত্রবধু, মুজিবের নাতনী টিউলীপ।পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব ব্যবসা বানিজ্য কূতনীতি সব আছে কিন্তু জামাত শিবির শত্রু। সমস্যা ভারতের হাতে দেশ তুলে দিতে প্রধান বাধা জামাত শিবির। তাই এদের কোন মানবাধীকার নেই।

২০০০ সালের আগপর্যন্ত মোটামোটি ভালই ছিল বিএনপি। কিন্তু ক্ষমতার লোভ আজকে তাদের পতনের দাড়প্রান্তে নিয়ে এসেছে।

যে পল্লীবন্ধু চারদলীয় ঐক্যজোট গঠণ করলে। নিজেদের এমপি কমে যাবে বলে তার দলকে ভেঙ্গে দিল বিএনপি। আইওজে মন্ত্রীত্ব দিতে হবে বলে ইসলামী ঐক্যজোটকে ষড়যন্ত্র করে ভেঙ্গে ফেলে বিএনপি। তারপর খাম্বা দূর্নীতি। কানসাত গণহত্যা, বিচার পতির বয়স বৃদ্ধি, বাংলার রবিন হুডকে সন্ত্রাসের পথে থেলে দেওয়া।দুর্নীতিতে জাতিকে হ্যাট্রিক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান বানানো এসব করে নিজেরা নিজেদের জনপ্রিয়তা নষ্ট করে। বিএনপি জামাত সরকারের শেষ বছরে পুরোদেশ বিদ্যুতের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। কিন্তু ক্ষমতার মুহে অন্ধ বিএনপি ১ টাকাও বিদ্যতের জন্য বরাদ্ধ করে নি।পল্লীবন্ধুকে ইয়েস উদ্দীনকে দিয়ে গ্রেফতার করে ১/১১ নিয়ে আসে।

বর্তমান সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে বিচারিক হত্যাকান্ড শুরু করে বিএনপির উচিত ছিল। এর বিরুদ্ধে অবস্তান নেয়া

১ম বিশ্বযুদ্ধ ২য় বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপিয়ানদের মধ্যে শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজ তারা ঐক্যবদ্ধ।তাছাড়া ১৯৬ জন যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে কো সিভিলিয়ান ছিল না। তাই পহসনের বিচারের বিরুদ্ধে অবস্তান না নিয়ে বিএনপি সব থেকে বড় ভুল করেছে।

তখন জামাতের শক্তি ছিল, মুফতি আমিনী ছিলেন। সবাই একা বাকশালীদের রুখতে গিয়ে ধংস প্রায়। এবার বিএনপির পালা। সাকা চৌ: কে ফাসি দেয়া হয়ে গেছে। ওসমান ফারুক পলাতক, তারেক নির্বাচনের অযোগ্য। তারপরও আওয়ামেলীগ ভয় পাচ্ছে যদি বিএনপি জামাত এক সাথে মরন কামড় বসিয়ে দেয়। তাই জামত কে বিএনপির পাশ থেকে সরে দাড়াতে হবে।তখন বিএনপিকে ইচ্ছেমত সাইজ করা।

কিচু বুদ্ধি পতিবন্ধী বিএনপিকে সরকারের সাথে আপষ করার জন্য জামাত সারতে বলতেছে জাতীয় এক্যের জন্য।

কাদের সাথে জাতীয় এক্য ? বালের সাথে

ওরাতো দেশের শত্রু। বিনাবিচারে মেরে ফেলতেছে জাতির মেধাবী তরুনদের। ফাসি দিচ্ছে জাতীয় নেতাদের। ছাত্রনেতাদের হত্যা করতেছে পঙ্গু করে দিতেছে। ট্রানজিত, সীমান্ত হত্যা, রামপালের মাধ্যমে ধংস করতেছে দেশ।ওরা হত্যার করেছে পীলখানায় জাতির মেধাবী সন্তানদের । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধেও এত সেনা অফিসার মরে নি।

ঐক্য কি করতে হবে তাদের সাথে যারা কেড়ে নিয়েছে ভোটের অধিকার। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলধারীদের

বিএনপির উচিত ছিল ক্ষমতার বাইরে থাকা হিন্দু বুদ্ধ খ্রীস্টান মুসলীম নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে।দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সরকারের জঙ্গী নাটক বন্ধ করার জন্য বাকশালীদের রুখে দাড়ানো। তা না করে টাকা পয়সার লোভে কিচু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বলতেছে সরে দাড়াও জামাত শিবির আমাকে ফেসবুকে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন।

বিষয়: বিবিধ

৩৮৪২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375236
২৫ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:১৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : বুদ্ধি পতিবন্ধীরা বিএনপিকে সরকারের সাথে আপোষ করার জন্য জামায়াত থেকে আলাদা হতে বলছে জাতীয় এক্যের জন্য। বুদ্ধি পতিবন্ধীরা এই নসিহতের জন্য কি পরিমান নিয়েছে তা জানা দরকার। ভালো লাগলো লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৫ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:২৩
311159
তায়িফ লিখেছেন : এদের মুখোস এক সময় খুলে যাবে ।
৩১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:৩৮
311420
কুয়েত থেকে লিখেছেন : مرحبا بكم بارك الله فيك وجزاك الله خيرا وشكرا Good Luck
৩১ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:২২
311452
তায়িফ লিখেছেন : ويلكوم
৩১ জুলাই ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৮
311454
কুয়েত থেকে লিখেছেন : প্রায় বেশীর ভাগই ইতি মধ্যই খুলে গেছে
375257
২৫ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:২১
আবু জারীর লিখেছেন : শেষ পর্যন্ত ওরা আম ছালা দোনটাই খোয়াবে।
ধন্যবাদ
২৫ জুলাই ২০১৬ রাত ১০:৫৯
311178
তায়িফ লিখেছেন : বিএনপি ইতিহাসে হারিয়ে যাবে।
375259
২৫ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:২৫
শেখের পোলা লিখেছেন : বিশ্লেষণ সঠিক হয়েছে। ধন্যবাদ।
২৫ জুলাই ২০১৬ রাত ১০:৫৯
311179
তায়িফ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
375304
২৬ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:১০
হতভাগা লিখেছেন : ঘাঢ় থেকে এতদিন ধরে জেঁকে বসা জামায়াতের ভূত নামিয়ে ফেলছে বিএনপি । গত ১৫ বছরে বিএনপির এখনও পর্যন্ত পজিটিভ থিংকিং ।

বিএনপির ঘাঢ়ে বসে এতদিন মজা চেখে আসা জামায়াতের ঘুম তাই হারাম হয়ে গেছে ।

বিএনপি জামায়াতকে ছেড়ে দিলেই জামায়াতের উচিত হবে তাদের বহু পুরনো মিত্র আওয়ামী লীগের সাথে চলে যাওয়া । নচেৎ তারা শাহরিয়ার কবিরদের খাঁচায় অনায়াসে ঢুকে যাবে বা ইমরান-লাকিদের বিরিয়ানীর প্যাকেটে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File