জাকির নায়েক ও অলিপুরী কে কোন পথে?
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ১২ জুলাই, ২০১৬, ১১:১৪:৪০ রাত
ছোট বেলা ওলিপুরির অনেক বড় ভক্তছিলাম।যখন দাদামনির সাথে অলিপুরির ওয়াজ শুনতে যাই তখন আনন্দের সীমা ছিল না।অলিপুরীর ক্যাসেট শুনতে অনেক ভাল লাগত। হঠাত্ করে শুনলাম প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান খেলাফত মজলিসের বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ানের জন্য সিলেটে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন তখন খুব খারাপ লেগেছিল।যদিও তখন ছাত্রমসলিসের সাথে সখ্যতা ছিল।
তারপর জাকির নায়েকের লেকচার ভাল লাগতে শুরু করে। আমার শিক্ষক ডক্টর বিলাল ফিলিপ্স, জাকির নায়েক, তারিক জামিল, আব্দুল ওয়াহিদ পিটারসেনের লেকচার ভাল লাগতে শুরু করে ।
জাকির নায়েক প্রথম দিকে বিভীন্ন ফতোয়া দিতেন। আর উনার ফতোয়া থেকে উনার বিরোধীতা শুরু হয়। অনেকে উনাকে কাফের ফতোয়া দেয়া শুরু করেন।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে দেওবন্দ মাদ্রাসা ফতোয়া জারি করে। ফতোয়া দেখে দেওবন্দ মাদ্রাসার আলেম মাওলানা জুবায়ের সরাসরি জাকির নায়েকের সাথে যোগাযোগ করে উনাকে বোঝান। আপনি একজন দ্বায়ি আর আপনার কাজ ইসলাম প্রচার করা। ফতোয়া দেয়া মুফতিদের কাজ, আপনি ইসলাম প্রচার করতে থাকেন আর আমরা ফতোয়ার কাজ করব। জাকির নায়েক দেওবন্দি আলেম মাওলানা জুবায়েরের অনুরোধ মেনে কথা দেন উনি আর ফতোয়া দেবেন না। ফলশ্রুতিতে দেওবন্দ মাদ্রাসা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ফতোয়া তুলে নেয়।
কিন্তু অলিপুরির যেহেতু উর্দু বা ইংরেজী জ্ঞান কম। তাই দেওবন্ধ মাদ্রাসার ফতোয়া তুলে নেওয়ার অনেক পরে
উনি জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে লাগেন।
অফসুস উনার কোন ভক্ত উনাকে দেওবন্দ মাদ্রাসার সাথে জাকির নায়েকের বা তাবলীগী মুরব্বীদের সাথে জাকির নায়েকের নতুন সম্পর্কের কথা বলে নি।
আজকে হাজার হাজার মানুষের অভিশাপ প্রাপ্ত হচ্ছেন অলিপুরি শুধু মাত্র অজ্ঞতার কারনে। উনি জাকির নায়েকের পুরানো লেকচার শুনে গীবত করতেছেন। অথচ দেওবন্দ মাদ্রাসার সংশোধনী প্রস্তাব মেনে নিয়ে জাকির নায়েক কত বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন তা কি অলিপুরী উপলব্দী করতে পারেন না।
জাকির নায়েক নিজেকে সংশোধন করার পরও অলিপুরী জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে গীবত করতেছেন তাহলে আপনারাই বলেন কে কোন পথে আছেন।
আমাকে ফেসবুকে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন।
বিষয়: বিবিধ
২২৫৫ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এটাই মূল কথা, ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন