বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ কেন আইএসআই সমর্থন করে?
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৬ জুলাই, ২০১৬, ০৬:৪২:০৯ সন্ধ্যা
ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠী আইএসআই গুলসানে হামলা চালিয়ে, পুলিশ, বিদেশী ও ৩ বাঙ্গালী হত্যা করেছে। ফেসবুকে বেশীর ভাগ লোক নিন্দা জানাচ্ছে।কিন্তু ব্যক্তিগত আলাপচাড়িতায় সবাই পুলিশ মারাকে ২০০ ভাগ সমর্থন দিচ্ছে। সাধারন জনগণ নিরস্ত্র মানুষ হত্যার জন্য ব্যথিত।
ক্রস ফায়ার
এ থেকে বুঝা যায় জঙ্গীরা যদি বিদেশী, হিন্দু খ্রীস্টান, বুদ্ধসহ নিরস্ত্র মানুষ হত্যা না করে। অবৈধ সরকারের অস্ত্রধারী গুন্ডাদের হত্যা করে তবে সাধারন মানুষ বরং খুশী হবে।
অবৈধ সরকারের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সালুগংরা শুধু হাত করা পরিহীত লোকদের হত্যা করে বিরত্ব দেখাতে পারে। কিন্তু জঙ্গী হামলা প্রতিরোধ করার মত ক্ষমতা এদের নেই।আওয়ামেলীগ পুলিশ বিজিবি একদিকে একদিকে জঙ্গী । এখন জঙ্গীরা নিরস্ত্র মানুষ মারতেছে আবার আওয়ামেলীগ পুলিশ বিজিবিও নিরস্ত্র মানুষ মারতেছে। মানুষ গণতন্ত্র চায় আওয়ামী দু:শাষন থেকে মুক্তি চায়। তাই জঙ্গীরা যদি নিরীহ বিদেশী, ভীন্নধর্মের লোক মারা বাদদিয়ে শুধু ক্রসফায়ারবাজদের টার্গেট করে তখন জঙ্গীরা হয়ে উঠতে পারে সাধারন মানুষের ত্রানকর্তা। জনগন জঙ্গী প্রতিরোধ না করে বরং তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিবে। অস্ত্রধারী অবৈধ সরকারের নব্য রক্ষী বাহিনীর বিরোদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তারা হয়ে উঠতে পারে এ যুগের ইনু-বাদলদের গণবাহিনী।
এখন অনেকে অনেক কথা বলতেছেন। কিন্তু জঙ্গী প্রতিরোধে চাই গণতন্ত্র।দেশে যেহেতু সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ নাই তাই জঙ্গীবাদ ই তাদের রাজনীতি।
আওয়ামীলীগের যেসব পদক্ষেপের কারনে ইয়ং জেনারেশন জঙ্গীবাদে ঝুকে পরেছে।
১. কোথাও কোন হামলা না করে হিজবুত তাহরির নিশিদ্ধ হয়ে যাওয়া। তাদের একমাত্র অপরাধ প্রথম আলোর কার্টুনের বিরোধীতা করা। অথচ ইউরোপ আমেরিকায় এরা নিষিদ্ধ জঙ্গী না।
২. স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ তৈরী করে জাতীয় নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। তাদের অনুসারীদের গুম খুন করে, জেলে ভরে, বন্ধী করে মন ভেঙ্গে দিয়ে তাদের রাজনৈতিক ময়দান থেকে বিদায় করে দিয়েছে।
৩. বিএনপির সাথে জরিত লোকজন একটা কিচু নিয়ে মেতে থাকত । পোলাপাইন ছাত্রদল করে সময় পার করতে। এলাকায় ভাব দেখাতে পারত।কিন্তু এখন বিএনপি শুধু লন্ডর আর গুলশানে বন্ধী।
৪. পল্লী বন্ধূ মনোনয়ন নির্বাচন বয়কট করার পরও জোর করে তাকে বিশেষ দূত এমপি বানিয়ে, কিচু নেতাকে কিনে তার দলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় অবৈধ সরকার।
৫. আমিনীকে হত্যার মাধ্যমে আইওজেকে ধংস করা হয়।
৬. সাধান মানুষ কেউ কিচু বললেই গুম হয়ে যায়। আদালত, প্রশাসন , সেনা, পুলিশ , সব অবৈধ সরকারের কুকুর। আর যেসব সেনা অফিসার এর প্রতিবাদ করতে পারতেন তাদের পিলখানায় হত্যা করা হয়।
আই এসকে প্রতিরোধ করতে হলে সবার আগে বিদায় নিতে হবে এই সরকারকে । নতুন সরকার এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। পুলাপাইন রাজনীতি করার সুযোগ পাবে। বাকশালমুক্ত দেশে জনগণ স্বাভাবিক জীবন পাবে।তখন আইএস টাইএস কোন ভেইল পাবে না। আর যদি অবৈধ হাসিনা উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে এই অবস্থা বজায় রাখে । তবে জঙ্গী প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কারও নেই। কারন জনমত থাকবে আইএস এর পক্ষে । জনমতের বিপক্ষে কেউ কিচু করতে পারে না। হাসিনার পা চাটা ক্রসফায়ারবাজরা তোরা যদি জনগণকে হত্যা করতেই থাকছ তবে সালুর মত তোদেরও মরতে হবে। তাই জনগণের পক্ষে এসে বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সকলে এগিয়ে আসুন। জনগণ যখন মাঠে নামবে তখন জঙ্গীরা পাত্তা পাবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৭২৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Homeless Muslim Experient in NY.
অনেক ভিডিও ছিল। যা দেওয়া হলো না,
সাইটি সরকার বন্ধ করে দিবে। তাই এটাই
দিলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন