সেনাবাহিনী কি এরকম অভিযান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চালাতে পারে না?

লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:১২:০১ রাত



এক রক্তাক্ত অভিযানের মধ্যদিয়ে গুলশান নাটকের যবনিকা ঘটে। কিন্তু তারপরও কেন এই নাটকের সাথে হাসিনার অবৈধ সরকার জড়িত বলে মনে হয়।তার কারন গুলশান হচ্ছে বাংলাদেশের সবথেকে সুরক্ষিত এলাকার একটি।আমার প্রশ্ন হচ্ছে

১. কিচুদিন আগে ওই এলাকায় ইটালিয়ান নাগরিক নিহত হন। তারপরও কেন অবৈধ সরকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নি?

২. অবৈধ সরকারের সহযোগিতা ছাড়া এত অস্ত্র ঢাকায় নিয়ে আসা সম্ভব কি?

এতগুলো বিদেশী নাগরিক না মেরে সরকার চাইলে এর শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে পারত। কিন্তু বিদেশীদের মেরে ফেলার কারন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন এর মাধ্যমে বিদেশীদের সহানুভূতি আদায়।

আমরা দেখেছি কাম্মিরী কিচু সন্ত্রাসীরা ভারতীয় বিমান ছিনতাই করে আফগানিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল।ভারতীয় সরকার তাদের দাবী অনুযায়ী তাদের নেতাকে ছেড়ে দিয়ে বিমান যাত্রীদের জীবিত নিয়ে এসেছিল। অবৈধ হাসিনা চাইলে জেএমবি নেতাকে ছেড়ে দিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করতে পারত। কিন্তু তা না করে তারা সব জিম্মিকে মৃত্যুর মুখে ছেড়ে দিল। অবৈধ সরকারের অবৈধ কর্মকান্ডের বৈধতা দেবার জন্য বলা হচ্ছে রাতেই নাকি সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে।কিন্তু কেউ তা বিশ্বাস করে না। তারা যেহেতু আমাদের ভোটে নির্বাচিত না। তাই আমাদের জানমালের কোন দায়িত্ব তাদের আছে বলে তারা মনে করে না। তথাকিত ক্রসফায়ার দিয়ে মানুষ মারতেছে, জঙ্গীদিয়ে মানুষ মারতেছে, বিদেশী মারতেছে, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জাতীয় নেতাদের মারতেছে। দেশপ্রেমিক হিন্দু বোদ্ধ ক্রিস্টান ধর্মীয় নেতাদের মেরে ফেলতেছে। গুলসান অভিযানে ভারতী স্পেশাল ফোর্স আসতে ছেয়েছিল। হয়ত আরেকদিন সত্যি সত্যি চলে আসবে। সাথে সাথে ইন্ডয়ান আর্মি আসবে,একসময় বলবে বাংলাদেশ আর্মি দিয়ে কিচু হবে না। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিলুপ্ত হে পুলিশ, বিজবি ও সেনাবাহিনীর স্বার্থপর জওয়ান ও অফিসার বৃদ্ধ চোখের সামনে তোমাদের প্রথম ও ২য় সারির অনেক অফিসারকে এই অবৈধ সরকার খুন করে ফেলল। আজকে তোমরা লোভে পরে জনগন দেশের বিরুদ্ধে ভারত ও তার তাবেদার অবৈধ সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে তোমরা কি বুঝ না স্বার্থ শেষ হলে তোমাদের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে তোমাদেরকে কুকুর বিড়ালের মত জীবন যাপনে বাধ্য করবে। তোমরা কি পার না এই অবৈধ সরকারের বিরোদ্ধে অভিযান চালিয়ে জনগণের নির্বাচিন কোন সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে। জনগণের নির্বাচিত সরকার জনগণকে সাথে নিয়ে জঙ্গী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে। আর অবৈধ সরকারের পদলেহন করে জনগণের বুকে গুলি চালাতে থাকলে হঙ্গী সমর্থন বাড়বে বৈ কমবে না। গুলসান থানার অসি অনেক নিরপরাধ লোককে তথাকথিত ক্রসফায়ারে হত্যার মাধ্যমে অবৈধ সরকারকে রক্ষা করতে চেয়েছে কিন্তু তাকে জীবন দিতে হল। গুলসান থানার অসির জীবন দান থেকে শিক্ষা নিয়ে তোমরা অবৈধ সরকারের কাতার থেকে জনপক্ষে চলে আস।দেশ বাচলে তোমরা বাচবে। অবৈধ সরকারের কাচে তোমরা শুধু টিস্যু পেপার। প্রয়োজন ফুরালে ছুড়ে ফেলে দিবে। তোমরা গুলসানে অভিযান চালিয়ে বিদেশীদের হত্যা করে বগল দাবাচ্ছ। সেনাবাহিনী কি এরকম অভিযান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে চালাতে পারে না?

ফেসবুকে আমাকে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন

বিষয়: বিবিধ

১৫৪৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373791
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:৫৪
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম।
ঐ টা সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সেনাবাহিনীর কাজ সরকারের আদেশ পালন।

আমার মনে হয় আপনি তথাকথিত 'গনতন্ত্র' ধর্মে বিশ্বাসী 'সকল ক্ষমতার উৎস' যে বাংলাদেশী জনগন - তাদেরকে রিকোয়েস্ট করে দেখতে পারেন - যদি তারা তাদের বৈধ কিংবা অবৈধ সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
ধন্যবাদ।
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:১১
310182
তায়িফ লিখেছেন : জনগনের হাতে অস্ত্র নেই। তাই এই অবৈধ সরকারকে মোকাবেলার ক্ষমতাও তাদের নেই। জনগণের টাকায় সেনাবাহিনী চলে। অবৈধ সরকারের টাকায় নয়। আর জনগণ মাঠে নামলে কিভাবে গণহত্যা করে ৫ এপ্রিল তার প্রমান । অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবৈধ সরকারের সামনে নিরস্ত্র জনগনকে জীবন দিতে আমি উত্সাহিত করতে পারি না।
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:৫৪
310256
সাদাচোখে লিখেছেন : ঠিক বলেছেন।
তার মানে দাঁড়ালো জনগন সকল ক্ষমতার উৎস নয়। জনগন সরকার গঠন করার মত কোন লেভেল এ নেই। র‍্যাদার তারা চেয়ার টেবিলের মত গনতন্ত্র নামক হঠকারী ধর্মের সরকার গঠনের কাজে ব্যবহৃত হয়।

স্যেকুলার শিক্ষা আমাদেরকে আপনার মত করেই আমাদেরকে শেখায়, 'অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অবৈধ সরকারের সামনে নিরস্ত্র জনগনকে জীবন দিতে আমি উত্সাহিত করতে পারি না'। কিন্তু অবাক করার মত, আল্লাহ ঠিক তার উল্টোটা করতে বলে মুসলিমদের। উনি কপর্দকশূন্য বনী ইসরাইলকে বলে জেরুজালেমের মাইটি নেশান এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। উনি তালুতকে আদেশ দেন পাওয়ারফুল জালুত (গোলিয়াত) এর বিরুদ্ধে ফাইট করতে। উনি মোহাম্মদ সঃ কে আদেশ করে ৩ গুন বেশী পাওয়ারপুল কোরাইশের সাথে ফাইট করতে। গুটিকয়েক ব্যাকডেটেড আরবকে আবু বকর ও ওমর রাঃ আদেশ দেন পৃথিবীর মাইটিয়েস্ট দুটি এ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে ফাইট করতে। সালাহউদ্দীন রঃ তার উইক বাহিনীকে বলে জেরুজালেম দখল করতে বিরাটাকার ক্রুসেডার দের কাছ হতে। ভাবতে হবে কে এবং কারা কোন জ্ঞানের আলোকে মুসলমানকে ফাইট শেখা ও করা কে হারাম করেছে যেখানে আল্লাহ হালাল করেছিল। কে এবং কারা কোন জ্ঞানের আলোকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে হক এর পথে জীবন দেওয়াকে তুচ্ছ মনে করছে আর দ্বীন ও ধর্ম বিকিয়ে শেয়াল কুকুরের মত বেঁচে থাকাকে অর্থবহ মনে করছে।

এ্যানীওয়ে এর মানে এই নয় যে সিআইএ র বোকো হারাম, আল কায়েদা, আল শাবাব কিংবা আই এস হতে যাওয়া।
ধন্যবাদ।
373794
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:০১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমাদের নিকঠ এবং বিশ্ববাসির নিকঠ এই সরকার অবৈধ কিন্তু সেনাবাহিনীর কাছেতো অবৈধ নয়।এই সরকারতো ভারতের ইশারায় সবটুকু করছে অমান্য করলে গদি থাকবেনা।একসময় বলবে বাংলাদেশ আর্মি দিয়েও কিচু হবে না। তাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করতে হবে। ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:১২
310183
তায়িফ লিখেছেন : অবৈধ সরকার বিদায় হয়ে বৈধ সরকার যত তারাতারি আসবে ততই দেশের মঙ্গল।
373816
০৩ জুলাই ২০১৬ সকাল ১০:৩১
হতভাগা লিখেছেন : জাতির এরকম ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়া হাসিনা সবাই একসূরে কথা বলছে , সেনা - বিমান - নৌ বাহিনী - র‍্যাব -পুলিশ - বিজিবি সবাই কাঁধে কাঁঢ মিলিয়ে কাজ করছে , আর আপনি সেনাবাহিনীকে বলছেন হাসুবুর সরকারকে ফেলে দিতে ? সেনাবাহিনী এরকম কাজে আর আসবে না বলে বেশ কেয়ক বছর আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে । সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক কে ? প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের দ্বায়িত্ব কার উপর ?
০৩ জুলাই ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৮
310222
তায়িফ লিখেছেন : এই মূহুত্যে বৈধ সরকার দরকার। বৈধ সরকারের অধীনে সবাই পরস্থিতি মূখাবেলা করবে ।
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:২৪
310227
হতভাগা লিখেছেন : ব্রুট মেজরিটি (>৮৭%) পাওয়া দলকে সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা দেয় আমদের সংবিধান । আর কি কিছু বলা আছে ?

মানেন আর না মানেন - এই সরকার বৈধ , আমাদের সংবিধান মোতাবেক ।
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ০৮:৪০
310229
তায়িফ লিখেছেন : ৩০০ আসনের মধ্যে মিনিমাম ১৫১ জন সদস্য লাগে। কিন্তু এই সরকারের ১৫৪ জন ই অনির্বাচিত। সিএইচ এম আর বালুর ট্রাক দিয়ে এ সরকার যতই গলাবাজি করুক না কনে ৫ ই জানুয়ারী ২০১৪ এর পর এরা অবৈধ
০৪ জুলাই ২০১৬ সকাল ০৯:৫৪
310284
হতভাগা লিখেছেন : এই ৮৭% এর সবাই ক্লাস ফাইভ পর্যন্তও পড়ে নি আর বাকি ১৩% এর সবাই পোস্ট ডক্টরাল । ভোটের বাজারে শিক্ষাগত যোগ্যতা বা জ্ঞানবুদ্ধির চেয়ে সংখ্যাটাই আসল । এই ৮৭% এর অধীনেই চলতে হবে সুপার এডুকেটেড ১৩% দের ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File