অবৈধ সরকারের পতনই দিতে পারে সকল সমস্যার সমাধান।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৭ জুন, ২০১৬, ০৪:৩৩:৪৯ বিকাল
গত দুদিনে তথাকথিত জঙ্গী হামলায় মারা গেছেন ৪ জন। আবার অবৈধ আওয়ামী সরকারের পুলিশ বাহিনীর তথাকথিত ক্রসফারে মারা গেছে আরো ৪ চারজন। আমরা নিন্দা জানাই জঙ্গী হামলার আরার ধৃক্কার জানাই অবৈধ সরকারের বিচার বহিরহির্ভুত সকল হত্যাকান্ডের।
আইএসআই যখন তখন যাকে খুশি মেরে ফেলছে। আবার এসব হত্যাকান্ড জনসমর্থন পাচ্ছে। অন্যদিকে অবৈধ সরকার যখন তখন তথাকথিত ক্রসফায়ার করতেছে। গুম খুন হত্যা তো আছেই। আবার দুপক্ষ জনমর্থন চাচ্ছে। কিন্তু জঙ্গী গোষ্ঠীকে আমি সমর্থন দিতে পারি না। ওরা যা করতেছে তা ধর্ম ও মানবতা বিরোধী
কি সরকারকে সমর্থন দিব? কিন্তু এসরকার তো অবৈধ। এরা হাজার হাজার মানুষ খুন করে গুম করে মানুষের রক্তের উপর দিয়ে অবৈধ ভাবে ক্ষমতায়।
এ সরকারকে সমর্থন মানে গুম খুনকে সমর্থন, পিলখানার চৌকস সেনা অফিসার হত্যা সমর্থন। অবৈধ ভাবে ফাসির কাস্টে ঝুলানো জাতীয় মেধাবী নেতৃত্ব হত্যাকে সমর্থন।
আমিনীকে তিলে তিলে হত্যা, ৫ ই মে শাপলা চত্বর গণহত্যা, জামাত শিবির গণ হত্যা, বিএনপি জামাতের নেতা কর্মীদের হয়ত জেলে ভরে রেখেছে, নয়ত তথাকথিত ক্রসফায়ার করেছে, নতুবা পঙ্গু করে দিয়েছে, অথবা মামলা হামলায় পর্যুদস্ত করে রেখেছে। এখন বিরোধী রাজনৈতিক দল বলতে কিচু নেই। আর পল্লীবন্ধু কিচু বললে সামরিক হাসপাতাল তার জন্য রেডি।বিরোধী দলবিহীন একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় জনগণ অবৈধ সরকারের মুকাবেলা করতে চায়। শিবিরের যে সাথী বা চাত্রদলের যে নেতাকে আপনারা চোখ তুলে ফেলেছেন বা গুলিতে বুক ঝাঝরা করে দিয়েছেন। তার বন্ধু কিংবা ভাইবোন বা আতৃয় স্বজন অনুসারী তো প্রতিশোধ নিতে চাইবে। যেহেতু কোন বিরোধীদল নাই এবং বেলট এর মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়ার কোন সুযোগ নাই।তাই তারা নিশ্চয় বুলেটের মাধ্যমে প্রতিশোধ নিতে চাইবে। আর বুলেট আছে আইএসের কাছে । স্বাভাবিক ভাবে আইএস জনসমর্থন পাবে। জনগন আইএসকে না ধরিয়ে দিয়ে তাদের নিরাপধ আশ্রয় লাভে সাহায্য করবে। যেমনি সমকামী হত্যার পর হাজার হাজার মানুষের সামন দিয়ে খুনীরা চলে গেল কেউ এগিয়ে এল না।পুলিশ আক্রান্ত হলে জনগণ খুশি হয়। কারন আপনারা জনগণের বন্ধু নয়। আপনারা অবৈধ সরকারের বন্ধু।
আজকে আপনারা চারজনকে আদালতে হস্তান্তর না করে মেরেফেলেছেন। আপনারা বলতেছেন তারা জঙ্গী কিন্তু আইনের আশ্রয় নেয়া মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। আর বেচে থাকা মানুষের জন্মগত অধিকার।অবৈধ সরকারকে রক্ষা করতে আর কতো মানুষ মারবেন।
হে সেনা, নৌ, পুলিশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী আপনারা কি বুঝতে পারতেছেন জনগণ আপনাদের বন্ধু ভাবে না। জনগণ মনে করে বিভীন্ন সুযোগ সুবিধার লোভে আপনারা অবৈধ সরকারের বন্ধু।
অথচ ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিল রাজারবাগের পুলিশ বাহিনী। ৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট জাতিকে নাজাত দিয়েছিল সেনাবাহিনী। ৯০ এর স্বৈরাচার পতন , ৯৬ এর ১৫ ই ফেব্রুয়ারীর অবৈধ সরকারের পতন। এসবে আপনাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ১/১১ যদি আপনারা ভূমিকা না রাখতেন। আমরা আবার অবৈধ সরকার পেতাম।তবে এখন কেন আপনারা জনমতের বিপক্ষে গিয়ে অবৈধ সরকারকে রক্ষা করতেছেন। আজকে আপনাদের পরিবারের উপর আঘাত এসেছে তাই আপনারা ভেঙ্গে পরেছেন। কিন্ত অবৈধ সরকারের অত্যাচার ১৬ কোটি জনগণ সহ্য করতেছে কিভাবে?
অবৈধ সরকার কে লাট্টি মেরে সরিয়ে দিতে সাহায্য করেন। জনগণের নির্বাচিত সরকার আসবে । তারা শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করবে। অবৈধ সরকারের পতনই দিতে পারে সকল সমস্যার সমাধান।
বিষয়: বিবিধ
৯৮২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই লেখাটার সাথে দীঘির ছবিটা এড করার মানেটা ঠিক বুঝলাম না
মন্তব্য করতে লগইন করুন