নিউটনের ভন্ডামি
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৪ জুন, ২০১৬, ০৪:১১:২৪ রাত
গতির তিনটি সুত্র এবং মুসলিম
বিজ্ঞানীদের অবদান। আমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে বিজ্ঞানী নিউটন কে চিনি না।
আমরা সকলেই তাকে চিনি নামকরা বিক্ষ্যাত একজন বিজ্ঞানী হিসেবে।
আমরা সকলেই তাকে একজন ভাল মানুষ হিসেবেই চিনি।
কিন্তু তিনি কি আসলেই একজন যোগ্য
বিজ্ঞানী ছিলেন?
এই পোষ্ট টির মাধ্যমে আপনারা নিউটনের ভন্ডামির কিছু অজানা তথ্য
জানতে পারবেন। আমরা জানি নিউটন(১৬৪৩-১৭২৭) গতি সংক্রান্ত
তিনটি সুত্র আবিষ্কার করেছিলেন।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি তিনি গতির তিনটি সুত্র আবিষ্কার করেছিলেন?
উত্তর টি জানার জন্য দেখি ইতিহাস
কী বলে ————-
নিউটনের লিখিত Philosophiea Natural Principia Mathematica বইটিতে গতির তিনটি সুত্র পাওয়া যায়;
কিন্তু মুসলিম বিজ্ঞানী ইবনে সিনা(৯৮০-১০৩৭)
যিনি নিউটনের জন্মের ৬০৬ বছর পূর্বেই মারা গেছেন, তিনি গতির ১ম সুত্রটি তার রচিত “আল ইসহাবাত ওয়াল আনবিহাত”(Remarks and Admonitions) কিতাবে বর্ণনা করেন। সেই কিতাবে তিনি লিখেছেন “যদি বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করা হয়, তবে বস্তু স্থির বা সমবেগে সরলরেখা বরাবর গতিশীল থাকবে”।
এতক্ষণে নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন গতির প্রথম সুত্রের আবিষ্কারক নিউটন নয় ইবনে সিনা। এবার আসি গতির ২য় সুত্রে——
নিউটন গতির ২য় সুত্রে বলেছে, “কোন বস্তুর ভর
বেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক, এবং বল যেই দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেই দিকে ঘটে”। এখন আসি বাগদাদের একজনের মুসলিম বিজ্ঞানীর কথায়। তার নাম হিতাতুল্লাহ আবুল বারাকাত আল বাগদাদী(১০৮০-১১৬৫)।
যিনি নিউটনের জন্মের ৪৭৮ বছর পূর্বেই মারা গেছেন। তিনি তার লিখিত কিতাব “আল মুকতাবার ফিল হিকমা ”(The Considered in Wisdom) এর মধ্যে বলেছেন
“শক্তিশালী বল প্রয়োগে বস্তু দ্রুত চলে এবং সল্প
সময় নেয়। যদি বল কমানো না হয় তাহলে গতিও কমবে না”। এ থেকে স্পষ্টত প্রমান হয় গতির ২য়
সুত্রের আবিষ্কারক নিউটন বরং মুসলিম
বিজ্ঞানী হিতাতুল্লাহ আবুল বারাকাত আল বাগদাদী।
প্রথম ও দ্বিতীয় এর পর এবার ৩য় সুত্র————
গতির তৃতীয় সুত্রে নিউটন বলেছেন প্রত্তেক ক্রিয়ার
সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এবার আসি মুসলিম বিজ্ঞানী “ইবনে হাইছাম”(৯৫৬-১০৪০) এর
কথায়। যিনি ৯৫৬ সালে জন্ম গ্রহন করেছেন অর্থাৎ
নিউটনের জন্মের ৬৮৭ বছর পূর্বে। তিনি তার রচিত গ্রন্থ “আল মানযার”(The Scenes) এ বর্ণনা করেন “যদি চলমান বস্তু কোন
প্রতিবন্ধকতা দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হয় এবং বলের অস্তিত্ব থাকে তাহলে প্রতিবন্ধক বলের
অনুপাতে চলমান বস্তুটি সমবেগে বিপরীত
দিকে ফিরে আসে”।
এতক্ষণে আপনারা নিশ্চই এটা জানতে পেরেছেন
যে নিউটনের দাবীকৃত গতির তিনটি সুত্রের একটিও তার নিজস্ব নয়।
তিনটি সুত্রই মুসলিম বিজ্ঞানী ইবনে সিনা, হিতাতুল্লাহ আবুল বারাকাত এবং আল হাইছাম এর অবদান।
ras
বিষয়: বিবিধ
১৩৯০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রমাদানের প্রস্তুতি নিয়ে চলছে ব্লগ আয়োজন। ২ জুন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬ পর্বের ব্লগ আয়োজনের ১ম পর্ব। অংশ নিতে পারেন আপনিও। নিজে জানুন, অন্যকে জানান। বিস্তারিত জানতে-
Click this link
এতে বাঙ্গালী জগদীশ বাবু কনি খেয়ে যান মার্কনির হাতে
আমেরিকা আবিষ্কার করেন কলম্বাস , কিন্তু তার অনেক আগেই রেড ইন্ডিয়ানরা সেখানে বসবাস করে (ওরা কিন্তু আবিষ্কর্তা নন !)। ভেসপুচি সাহেব কলম্বাসের বোকামি ধরে ফেললেও আবিষ্কারক হিসেবে তার নাম আসে নি , তবে মহাদেশটা তার নামেই হয়েছে - চালাকে চালাকে দোস্তি আর কি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন