আজ ঐতিহাসিক ১/১১, বিএনপি জামাতের ভুলের মাসুল জাতি আজও দিচ্ছে ।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ১১ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:১৩:২৬ রাত
১৯৯১ সালে জামাতের সমর্থনে বিএনপি ক্ষমতায় আরোহন করে সৈরাচার হয়ে যায়। বাল জামাত, জাপার অসহযোগ আন্দোলনের মূখে বিএনপি সরকারের পতন হয়।২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে বাল ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ সহ সন্ত্রাস দুর্নীতির জন্য জাতি যখন বালের উপর বিরক্ত তখন ইনকিলাব সম্পাদক বাহার উদ্দিন সংসদে প্রতিনিধিত্ব কারী বাল বিরোধী দলকে এক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানান। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উদ্যোগে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয় । এর জন্য এরশাদ মিজান মন্জু সহ অনেক বড় মাপের নেতাকে হারাতে হয়। শেখ হাসিনার ঐক্যমত্যের সরকার থেকে এরশাদ বের হয়ে যান।
২০০০ সালে যখন নির্বাচনী হাওয়া চারদলের পালে লাগতে শুরু করে তখন বাল জোটের শরীক জাপাকে চেপে ধরে,জাপা নেতা পল্লীবন্ধু হুসেই মুহাম্মদ এরশাদকে জেলে ভরে। পাটির অস্তিত্ব তখন হুমকির মুখে, লাঙ্গল প্রতিক হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম । এমন অবস্তায় জাপা সংসদে যেতে বাধ্য হয় ।( যেমনি করে বর্তমান সরকারের নিপীড়ন নির্যাতন সহ্য করে সংসদ সদস্যপদ ও বেতন ভ্রাতা রক্ষার জন্য নির্লজ্জের মত বিএনপি জামাত সংসদে যায়। ) আর এই সুযোগে দু:সময়ের বন্ধু, চারদলীয় ঐক্যজোটের রুপকার এরশাদ ও তার দলকে বিএনপি জামাত বের করে দেয় যেন নিজেরা বেশী করে আসন পেতে পারে।
২৮ অক্টোবর ২০০১ সালে চার দলীয় সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। চারদলীয় জোটের চুক্তি পত্রে স্পষ্ট ভাবে লেখা চিল চার দল মিলে ক্ষমতা ভাগাভাগি করবে। কিন্তু জাতিকে হতাশ করে বিএনপি জামাত নিজেদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নেয় শরীকদেরকে বঞ্চিত করে। শুধু তাই নয় নির্বাচনী ওয়াদা সতন্ত্র আরবী বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কওমি মাদ্রাসার সীকৃতি থেকে সরে আসে। বিদ্যুত সংকতের সমাধান না করে খাম্বার মাধ্যমে বিএনপি জামাত নিজেদের পকেট ভারী করতে থাকে। বিএনপি জামাত তিন তিনবার জাতিকে দূর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে। খালেদার সুযোগ্য সন্তান হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন। বানিজ্য মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী বিস্ মিল্লাহ লিখে মদের লাইসেন্স দান করেন। এসব কারনে প্রসাশনে, জনগনে, পুলিশের কাছে তাদের জনপ্রিয়তা একদম কমে যায়। কিন্তু বিএনপি জামাত জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সেই এরশাদের কাছে আবার ধর্ণা দেয় । বিএনপি জামাতের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল, দলীয় বিচারপতি কেএম হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা বানানোর জন্য বিচার পতির বয়স বৃদ্ধি করা।
২৮ অক্টোবর ২০০৬ ক্ষমতার মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ করে বিএনপি জামাতের দুদলীয় সরকার । তাদের উচিত ছিল চুপিসারে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেয়া। তা না করে তারা ২৮ অক্টোবর পালন করার জন্য পল্টনে যান।তাদের জনবিচ্ছিন্ন কর্মকান্ডের কারনে পুলিশ প্রশাসন তাদের উপর ক্ষেপা। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নির্দেশে হাজার হাজার বাকশালী লগি বৈঠা সজ্জিত। এরই মধ্যে অল্পকিচু শিবির কর্মী সমাবেশ করতে যায়। আর নিরস্ত্র শিবির কর্মীদের উপর হায়নার মত বাকশালীরা ঝাপিয়ে পরে। শিবির কর্মীরা পুলিশের কাছে সাহায্য চান কিন্তু পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। আর এই সুযোগে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করা হয় নিরিহ মানব সন্তানদের। যা পাকিস্থানী, ব্রিটিশ বর্বরতাকেও হার মানায় । সভ্য সমাজে কোন বন্য প্রাণীকেও মানুষ এমন করে হত্যা করে না। তারপরও বিবিসি, ডেইলিস্টার মিথ্যা বানোয়াত খবর পরিবেশন করে বলতে থাকে শিবির নাকি আগ্নেআস্ত্র নিয়ে আওয়ামীদের হামলা করেছে।কিন্তু নিহতের তালিকায় কোন আওয়ামী নেই
বর্তমানে আওয়ামেলীগ সরকার যেমন ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেয়। তেমনি ক্ষমতা ধরে রাখতে বিএনপি জামাত কেএম হাসান কে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে চেয়েছিল যার মূল্য শিবির কর্মীরা জীবন দিয়ে দিয়েছেন আর ৬ বছর ধরে জনগন দিতেছে এক দু:র্বিষহ জীবন যাপন করে।
বিএনপি লোভলালসা দেখিয়ে তাদের ডুবন্ত তরীতে এরশাদকে তুলতে চেয়েছিল, এরশাদও রাজি ছিলনে চার দলে যোগ দিতে কিন্তু দলের একটা অংশ বিএনপি জামাতের ব্যর্থতার দায়ভার কাধে নিতে চায় নি।তাই তারা শেষ মুহুর্তে বালের সাথে যোগ দেয়।
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুর কোন সমাধান না করে বিএনপি জামাত জাতিকে অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়। কেএম হাসান দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়েস উদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেন।[m] বালের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ইয়েস উদ্দিনের অধিনে নির্বাচনে রাজি হয়[/m] নির্বাচনের তারিখ ঘোষনার পা জাতি হাফ ছেড়ে বাচে। শুরু হয় নির্বাচনী প্রচারনা।
কিন্ত জাপাসহ ১৬ টি ইসলামী দল মহাজোটে যোগ দিলে বিএনপি জামাত নিজেদের করুন পরাজয়ের বিষয়টি আগে বাগে আচ করে ফেলে। তারেক রহমান এরশাদকে হুমকি দেন জেলে ভরে লাশ বানিয়ে পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হবে[m]।
[m]দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে ৫ ঘন্টা বৈঠক করেন।[/m] খালেদার নির্দেশে ইয়েস উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আটক করে পল্লীবন্ধুকে। এরশাদকে আটকের প্রতিবাদে জাপা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ায়। আর জাপার সাথে সাথে বালের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচন বর্জন করে। এরশাদকে জেলে না ভরলে ইয়েস উদ্দিনের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হত। দেশকে ১/১১ এর মত কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হত না। [/m]
২০০৮ এ যেখানে কোপেন হেগেনের দ্রব্যমূল্য ছিল বাংলাদেশের চারগুন এখন বাংলাদেশে কোপেনহেগেনের চারগুন।প্রতিদিন রাস্তাঘাতে লাশের মিশিল যা কোন যুদ্ধ বিধ্ধস্ত দেশেও পাওয়া যায় না। ভাতের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। বিএনপি জামাতের সামান্য ভুলের কারনে আওয়ামীরা ক্ষমতায় চেপে দেশে নারকীয় কর্মকান্ড চালাচ্ছে। দেশ এখন আর বসবাসের উপযোগী না।
বিএনপি জামাতের লোভ লালসার কারনে ইসলাম বিরোধী অত্যাচারী সরকার আজ ক্ষমতায়। বিএনপি জামাত তাদের পরিণতি থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্ষমতার লোভ লালসা ত্যাগ করে দেশ পরবর্তীতে সুন্দর ভাবে পরিচালনা করবে। বিএনপি জামাত যদি তাদের ভুলত্রুটি থেকে শিক্ষা নিতে পারে তবেই শহীদের ত্যাগ স্বার্থকতা পাবে। শহীদের রক্ত যেন বৃথা না যায়। ১/১১ এর জন্য বিএনপি জামাত ই বেশী দায়ী। তারা যদি এরশাদকে জেলে না ভরত তবে ১/১১ এর প্রয়োজন হত না। ১ বছর আগেই ৫ বছর পূর্ণ করে বাল ক্ষমতা থেকে বিদায় নিত।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন