রাজাকার আর মুক্তিযুদ্ধা দন্দ্ব চিরতরে হোক বন্ধ।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০২ মার্চ, ২০১৩, ০৪:০৫:৩৬ বিকাল
আজ থেকে দুই বছর আগে আমার প্রতিবেশী ঘানার এক নাগরিকের সাথে কথা হচ্ছিল। সে উপমহাদেশের ইতিহাসের ছাত্র।
আমার বাংলাদেশী পরিচয় পেয়ে সে বলল তোমরা তো আগে পাকিস্তানের অংশ ছিলে। আর বাংলাদেশ পাকিস্তান ভারত তো একই দেশ ছিল। তোমাদের মধ্যে এত মারামারি কেন?
আমি তাকে বুঝিয়ে বললাম দেখ,১৯৭১ সালে পাকিস্তান ৩০০০০০০ এর অধিক বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে, ২০০০০০ মা-বোনকে ধর্ষন করেছে, আর ভারত সীমান্তে হত্যাকান্ড চালাচ্ছে তাদের সাথে আমাদের কিভাবে আপোষ হয়।
সে বলল তোমাদের ধর্ম ভীন্ন কিন্ত কালচার এক, ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়া আর কোথাও এমন নজির নাই। ১ম বিশ্বযুদ্ধ, ২য় বিশ্বযুদ্ধ ইউরোপিয়ানদের মধ্যে সংঘঠিত হয়েছিল। হিটলার শুধু ৬০০০০০০ ইহুদীই হত্যা করেছে। এত হানাহানী মারামারির পরও আজ ইউরোপ এক, তাদের কোন সার্বভৌমত্ব নেই। একদেশ থেকে আরেক দেশে যেতে নেই কোন বাধা, কোটি কোটি লোক নিহট হওয়ার পরও তারা যদি এক হতে পারে, বার্লিন দেয়ার যদি ভেঙ্গে ফেলা যায়, দুই ইয়েমেন যদি এক হয় , দুই কোরিয়া যদি এক হয় তবে পাক-ভারত, বাংলাদেশ এক হতে সমস্যা কোথায়।
তার কথা শোনার পর আমি ভেবেছিলাম পাক-ভারত এক করার এক উদ্যোগ কিভাবে নেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে যা শুরু হয়েছে পাক-ভারত তো দূরের কথা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাতিকে এক করার জন্য যে বিষয় মিমাংসা করে গেছেন সেই মিমাংসিত বিষয়কে সামনে নিয়ে এসে বাঙ্গালী পুলিশ বাঙ্গালী গণহত্যায় মেঠে উঠেছে।
পাকিস্তানিদের সাথে চুক্তি করে ১৯৫ চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে শান্তির জন্য, দালাল আইনে গ্রেফতারদের মুক্তি দেয়া হয় শান্তির জন্য কিন্তু ৪২ পর মীমাংসীত বিষয় নিয়ে আবার অশান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
রাজাকার আর মুক্তিযুদ্ধার মধ্যে শান্তি চুক্তিই একমাত্র সমাধান। আমরা চাই রাজাকারদের নিয়োগ কর্তা রাজাকার কামান্ডার মখা আলমগীর ও মুক্তিযুদ্ধা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী দুজন দুই পক্ষের নেতৃত্ব দিয়ে রাজাকার আর মুক্তিযুদ্ধা
দন্দ্ব চিরতরে করে দিবেন বন্ধ।
দেশকে বিভক্ত নয় সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন