হায়রে গ্রীণকার্ড ডট ডিকে (নিষ্টুরতার আরেক নাম গ্রীণ কার্ড অ্যাসসিয়েশন।)

লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ৩১ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৪৯:২১ দুপুর



সুইডেন থেকে যখন গ্রীণকার্ডধারীরা ডেনমার্কে আসেন। তারা কিন্তু মূলধারার বাঙ্গালীদের কাছে কোন সাহায্য পায় নি। ডেনিস স্টুডেন্টরা তাদেরকে বাসা, কাজ সব ম্যানেজ করে দিয়েছে। গ্রীণকার্ডধারীকে রাখতে গিয়ে অনেকে ইয়ামলোস হয়েছে। তারপরও গ্রীণকার্ডধারীদের সাহায্য করেছে।

অনেকে নিজে কাজ কমিয়ে দিয়ে গ্রীণকার্ডধারীদের কাজ দিয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে গ্রীণকার্ডধারী দিয়েছে বাশ। গ্রীণকার্ডধারীকে কাজ দেওয়ার পর সেই গ্রীণকার্ডধারী আরেকজন গ্রীণকার্ডধারী নিয়ে এসেছে। আস্তে আস্তে কাজ দাতা ডেনিস স্টুডেন্ট কাজ হারিয়ে হয়েছে ডেনমার্ক ছাড়া। আপনারা জানেন একটা স্টুডেন্ট কে বছরে ১০লক্ষ টাকা টিউশন ফি দিতে হয়। তাছাড়া বাসা ভাড়া বাসকার্ড মিলিয়ে আরো ৮০ হাজার টাকার মত খরচ। গ্রীণকার্ডধারী ফুলটাইম কাজ করতে পারে । কিন্তু স্টুডেন্টরা ৬০ ঘন্টার বেশী কাজ করতে পারে না। তাই তাদের ওর্ড জব করতে হয়। কিন্তু গ্রীণ কার্ড অ্যাসসিয়েসন তাদের আশ্রয় দাতা স্টুডেন্টকে কাজ থেকে বের করে আরেকজন গ্রীণকার্ডধারীকে কাজে ঢুকায়। কোন স্টুডেন্ট বা অন্যান্ন দেশ থেকে আসা বাঙ্গালীদের ওরা ভুলেও সাহায্য করে না। তাদের আচরনে মনে হয় তারা ভীন্ন এক জাতি আর সমগ্র বাংলাদেশী আরেক জাতি। তাদের অনেকের নামের সাথে গ্রীণকার্ড শব্দ ব্যবহার করেন। একারনে অনেক স্টুডেন্ট গ্রীণ কার্ড অ্যাসসিয়েসনের অত্যাচারে কোর্স সমাপ্ত না করে ডেনমার্ক ছাড়া হয়েছে অনেকে এজাইল মারতে বধ্য হয়েছে। তাই অনেক স্টুডেন্টকে বলতে শোনা যায় বন্ধু হয়ে যারে নিয়েছিলাম কোলে , পঙ্ক কাটি মোরে ভাসাইল জলে।

এরকম একজন গ্রীণকার্ডধারী ট্রেনে করে যাচ্ছেন। গ্রীণকার্ডধারীকে এক ডেনিস ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করল? তোমার দেশ কোথায়? গ্রীণকার্ডধারী উত্তর দিলেন আই এম ফ্রম গ্রীণকার্ড। সাথে সাথে আমরা যারা আশেপাশে ছিলাম অট্রহাসিতে ফেটে পরলাম।

গ্রীণকার্ডধারীদের আরো মজার মজার গল্প শুনতে সাথেই থাকুন

চলবে...............

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

260049
৩১ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : ডেনমার্কে Job Opportunity, Living Cost কি রকম? একটু বিস্তারিত জানাবেন কি?
260060
৩১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
কাহাফ লিখেছেন : পিলাচ পিলাচ পিলাচ
260063
৩১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:০৮
আফরা লিখেছেন : গ্রীণকার্ড কেউ এমনি এমনি পায় না এর জন্য কিছু যোগ্যতা লাগে এটা ফুলফিল করেই গ্রীণকার্ড পায় আপনি পাননি বলেই কি আপনার তাদের উপর আপনি এত জেলাস !
৩১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
203913
তায়িফ লিখেছেন : উনাদের প্রতি ডেনমার্কে বসবাসকারী সবাই ক্ষেপা। উনারা যেন উনাদের ভুল বুঝতে পারেন তাই আমার এ ক্ষুদ্র চেষ্টা।
৩১ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৫
203914
তায়িফ লিখেছেন : উনাদের প্রতি ডেনমার্কে বসবাসকারী সবাই ক্ষেপা। উনারা যেন উনাদের ভুল বুঝতে পারেন তাই আমার এ ক্ষুদ্র চেষ্টা।
260095
৩১ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৫
নানা ভাই লিখেছেন : ধন্যবাদ।
সুইডেন থেকে যখন গ্রীণকার্ডধারীরা ডেনমার্কে আসেন। তারা কিন্তু মূলধারার বাঙ্গালীদের কাছে কোন সাহায্য পায় নি। ডেনিস স্টুডেন্টরা তাদেরকে বাসা, কাজ সব ম্যানেজ করে দিয়েছে।

এটা ঠিক না!
সুইডেনে যারা পড়তে আসেন,অল্প কথায় স্হানীয় বাংলাদেশীদের অশিক্ষিত,অকর্মন্য মনে করেন। এদের(পড়তে আসা)চিন্তাধারা হয় হাইথটের,এরা মনে করেন স্হানীয়রা বোকা; আমি যদি এতদিন সুইডেনে থাকতাম, তাহলে হেন করে ফেলতাম-ত্যান করে ফেলতাম! স্হানীয়দের কাছে চাকুরীর সাহায্য কামনা করেন। এমনিতেই বেকার সমস্যা প্রবল। স্হানীয়রা তাদেরকে তেমন সাহায্য করতে পারেন না। এরপর স্হানীয় কিছু বাংলাদেশী রক্তচোষা রেষ্টুরেন্টের মালিকের হাতে পড়েন, যারা নাকি কাজ দেবার নাম করে ১/২ সপ্তাহ বিনা পয়সায় কাজ করিয়ে বিদায় করে দেন। একারনেই পড়তে আসা বাংলাদেশী এবং স্হানীয় বাংলাদেশীদের সাথে বিরাট একটা গ্যাপ।
260164
৩১ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
লোকমান বিন ইউসুপ লিখেছেন : বাঙ্গালী চিড়িয়াদের লাইনে রাখার উপায় কি আল্লাহ মালুম...

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File