বিএনপি কি বিক্রি হয়ে গেছে।

লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ২৩ আগস্ট, ২০১৪, ০৩:২২:৩৫ দুপুর



২৫ ডিসেম্বর সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসেছিল। মার্চ ফর ডেমোক্রেসিতে কাজের বেটি মর্জিনা ছাড়া কোন বিএনপি নেতা কর্মী সারা দেয় নি তা কি বিশ্বাসযোগ্য?



৫/১ এর নির্বাচনের পর সারা দেশে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার পর দেশবাসী অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের আশা করেছিল। ভারত ছাড়া কেউ সরকারকে সমর্থন করে নি। এমন সুবিধাজন অবস্থায় থাকার পরও খালেদা আন্দোলন স্থগিত করে দেন। (পলাশীর অম্রকাননে বাঙ্গালীরা যখন জিতে যাচ্ছিল মীর জাফর তখন যুদ্ধ বন্ধ করে খালেদার মত বিশ্রামে যান।) অথচ খালেদার অজানা নয় আন্দোলন যত তীব্র হবে দেশ তত অচল হবে,সরকারে ভীত তত দূর্বল হবে। বিভীন্ন দেশের ব্যবসা বানিজ্য বাংলাদেশের সাথে তাই তারা সরকারকে সংলাপে বসার জন্য চাপ দিবে আর সরকার বিরোধীদলকে আলোচনার জন্য আহ্বান করবে। বিরোধীদল সরকার পতনের দাবী জানাবে। কিন্তু বিএনপি আন্দোলন বাদ দিয়ে সরকারকে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছে। কি আদ্ভুত তাই না ! ২+২ ৪ হবে কিন্তু ২+২ ৫ হলেই বুঝতে হবে ডাল মে কুছ কালা হে। পৃথিবীর ইতিহাসে বিএনপিই একমাত্র দল যার বিরোধী দল হয়ে সরকারকে আলোচনার আহ্বান করে। তা্ই বিএনপি আওয়ামেলী গোপন লেনদেন হয়েছে তা নিসন্দেহে বলা যায়। বিএনপির প্রতি সরকারের সব নির্যাতন থেমেগেছে। পাশাপাশি জামাত-আওয়ামেলীগ সমজোতার গুজব ছড়ানো হয়। বিএনপির সব নেতা কারামুক্ত কিন্তু জামাতের বিরুদ্ধে নির্যাতন অব্যাহত। মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নেওয়া কাদের মোল্লাকে হত্যার পরও একটা বিবৃতি পর্যন্ত বিএনপি দেয় নি। ঈদের পর তীব্র আন্দোলনের মুলা দেখিয়ে এখন বিএনপি মেতে আছে বক্তিতা শিল্প নিয়ে। মঙ্গল গ্রহ লাল কেন এর প্রতিবাদের তারা কালো পতাকা মিশিল করে। সরকারের বিরোদ্ধে কোন ক্ষোভ নাই। বিএনপির হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাল যেন ক্ষমতায় তাকে তার ব্যবস্থা করা। আর সরকার বিরোধী সব দলকে আন্দোলন থেকে বিরত রাখা। মোট কথা সর্ষের মধ্যে ভোত। ২০ দলের নেতৃত্বের নামে বিএনপি সরকারের পদযাত্রা নিরাপদ করতে যাচ্ছে। এখন জামাতের উচিত সকল ইসলামী দলকে এক করা। ৪/৫ বছর আগেও ইসলামী দলের মধ্যে যে বিভাজন ছিল তা আর নেই। কাদের সিদ্দিকির কৃশজ পাটি, চরমুনাইর পীরের ইআ সহ সকল বিরোধীদলকে নিয়ে তীব্র সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে সরকারের পতন ঘটানো। আর বিএনপি ছেড়ে দেওয়া যেন তারা বালের সাথে সংলাপ করার জন্য কান্নাকাটি করার অভিনয় করতে পারে। বিএনপি বিক্রি হয়ে গেছে। জাতীয়পাটি , বিএনপি এখন অতীত। জামাতকে সামনে আসতে হবে সবাইকে সাথে নিয়ে।

বিষয়: বিবিধ

১৩০৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

257402
২৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:২৮
আবু নাইম লিখেছেন : একদম ঠিক কথা কইছেন.........আপনে এতদিন কই ভাই....এরকম একটা লিখাই চাইছিলাম.........আর এক সাঝিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে লেখা দিন.........
২৩ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
201104
তায়িফ লিখেছেন : এটাই সত্য। বিএনপি কেন আলোচনার আহ্বান জানাবে?
257425
২৩ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৭
আবু সাইফ লিখেছেন : বিএনপি আত্মবিসর্জনের পথে-

কিন্তু আমাদের চেষ্টা করা উচিত তাকে বাঁচিয়ে রাখার-

প্রত্যেক পরিবারেই যেমন আবর্জনা ফেলার একটা পাত্র থাকে,
বাংলাদেশের "চা-বিড়িতে বিক্রি হওয়া ভোটার" নামের আবর্জনা ফেলার জন্য বিএনপিও তেমন!

আর বিএনপিতে যারা নেতাগোছের তাদের সাথে আওয়ামী লীগের আজীবন সখ্যতা- দিনে আলাদা, রাতে এক, অনেকটা "রক্ষিতার" মত [এমন শব্দ প্রয়োগের জন্য দুঃখিত], স্ত্রীর অধিকার বা স্বীকৃতি ওরা পায়না- চায়-ও না, কিন্তু যা পায় তা স্ত্রীর চেয়ে বেশী, আবার কোন দায়দায়িত্বও নেই! বাহ, কী মজা!!

সুতরাং কেন ইজ্জত(যদিথাকে) ও জান-মালেরঝুঁকি নিতে যাবে???
২৩ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:১৬
201130
তায়িফ লিখেছেন : বীর মুক্তিযুদ্ধারা আমাদেরকে মহান নাজাত দিয়েছিলেন কিন্তু বিএনপি খাল কেটে হাসিনা নিয়ে জাতির ঘারে চাপিয়ে দিয়েছে।
257427
২৩ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৮
আবু জারীর লিখেছেন : জাতীয়পাটি , বিএনপি এখন অতীত। জামাতকে সামনে আসতে হবে সবাইকে সাথে নিয়ে।

মৃত্যু মুসলিম লীগের গর্বে বিএনপির জন্ম। মৃত্যু মায়ের সন্তান কতদিন জীবন পায় কারো জানা থাকলে জানান।

ধন্যবাদ।
২৩ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
201131
তায়িফ লিখেছেন : ২০ দলের নেতৃত্ব দেওয়া যোগ্যতা বিএনপির নেই।
257443
২৩ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৫:৩৫
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বিএনপি আস্তা ও আত্মবিশ্বাস দুটোই হারিয়েছে। বিএনপির এই দুরবস্থা আসবে, সেই কথাটি পই পই করে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কমকরে না হলেও শতবার লিখেছেন। বিএনপি একদা জামায়াতে ইসলামীর জানাযা পড়ার জন্য ওজু করে সরকারী ভূমিকার জন্য মুখিয়ে থাকতেন। এখন তাদের চল্লিশা খাবার জন্যও নেতা কর্মী পাচ্ছেনা। দলে সুবিধাভোগী ও চাটুকার বেড়ে গেলে এমনই হয়। দল যখন অন্যায় করে, তখন ভীত দূর্বল হয়ে পড়ে ও কর্মীরা হতোদ্যম হয়ে পড়ে। বর্তমান সরকারী দলেরও তাই হবে। কোন কারণে একবার পতন হলে, সুবিধাভোগী দলীয় মানুষেরাই জাতীয় সংগীতের মত দল ও দলের নেতাদের নিন্দা করতে থাকবে। এটাই বাস্তবতা।
257462
২৩ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৪
মামুন লিখেছেন : কথা কিন্তু খারাপ বলেন নাই। আসলে আন্দোলন সহিংসতা এগুলো কেউই চায় না। তবে, আমাদের এই দেশের ট্রাডিশন হল, হরতাল-সহিংসতা ছাড়া সরকারী দল নরম হতে চায় না। কিন্তু এই নরম হতে হতে দেশের সাধারণ জনগণের যে নাভিশ্বাস উঠে যায়, সেদিকে 'জনগনদরদী নেতাদের' খেয়াল থাকে না। একটা শান্তির সুবাতাস বয়ে যাক আমাদের দেশের রাজনীতির অঙ্গনে- সেই প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে। Rose Rose Rose
257485
২৩ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
শেখের পোলা লিখেছেন : কিন্তু জামাত কোন আপোষ মানবে বলে মনে হয়না৷ অন্যায় আপোষ মানাও অন্যায়৷

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File