অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এর থেকে আর বড় ইস্যু কি হতে পারে?
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ১১ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:০৫:৩৫ রাত
এমন নির্বিক আন্দোনই পারে সরকারের পতন ঘটাতে।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট কতিপয় বীর মুক্তিযুদ্ধা বঙ্গবন্ধু সরকারকে উত্খাত করে। এরই পরিপেক্ষিতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা শাসক তিনি। ১৯৯১ সালে জামাতের সমর্থনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। (জামাত ইচ্ছা করলে পুরুষ প্রধানমন্ত্রীর শর্ত দিতে পারত।)২০০০ সালে ফতোয়া বিরুধী রায়ের কারনে বাল বিরোধী জনসমর্থন গড়ে উঠে। ইসলাম বাচানোর আওয়াজ তোলে ইসলামী ঐক্যজোট সরকার বিরোধী ব্যপক জনসমর্থন গড়ে তোলে। মূলত আইওজের উপর ভর করে ২০০০ সালে ৪ দলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় আসে। নির্বাচনের ঠিক আগে বেশী আসন পাওয়া আশায় পল্লীবন্ধুর জাতীয় পাটিকে দুটুকরো করে ৪দলের রূপকার পল্লীবন্ধুকে জোট থেকে বের করে দেয়। আর ক্ষমতায় গিয়ে বিএনপি বেঈমানী করে আইওজের সাথে। চারদলের চুক্তিতে ক্ষমতা ভাগাভাগি করার কথা বলা হলেও ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দুদল। আর আইওজেকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে ফেলে। আইওজের এক অংশ মাওলানা মিসবাহুর রহমান চৌধূরীর নেতৃত্বে মহাজোটে ঢুকে যায়। শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হকের নেতৃত্বে একটা অংশ প্রতিশ্রুত কওমী সনদের স্বীকৃতির দাবীতে অবস্তান ধর্মঘট শুরু করে। খালেদা শায়খুল হাদীসের দাবী মেনে নেন। অবস্তান ধর্মঘট প্রত্যাহারের সাথে সাথে চির বেঈমান বিএনপি আবার বেঈমানী করে। যেমন বিএনপি জামাত বেঈমানী করেছে বেতার টিভির স্বায়ত্ত শাসন নিয়ে। শায়খুল হাদীসের খেলাফত মজলিসের সাথে ৫ দফা চুক্তি করে মহাজোট আর মজলিস যোগ দেয় মহাজোটে।সাথে সাথে বালের ইসলাম বিরোধে অপবাদ মুছে যায়। কিন্ত বিএনপি জামাত মজলিসের সাথে বালের চুক্তির গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়।( বাংলাদেশের রাজনীতিতে কওমীবৃত্তিক দল কোন শক্তি নয় কিন্তু প্রভাবক।) ক্ষমতায় এসে মহাজোট মজলিসের সাথে চুক্তি বাতিল করে।
সংবিধান থেকে যখন আল্লাহর নাম তুলে দেওয়া হয় তখন বিএনপি সরকারবিরোধী চুরান্ত আন্দোলন করে সরকার ফেলতে পারত কিন্তু আরামপ্রিয় বিএনপি তত্তাবধায়ক সরকারের স্বপ্নে বিমোর। একে একে পিলখানা হত্যাকান্ড জামাতনেতাদের গ্রেফতার, তত্তাবধায়ক ব্যবস্তা বাতিল, ইলিয়াস আলীগুম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ৫ ই এপ্রিল, অনেক কিচু ঘটে গেল বিএনপির ঘুম ভাংগে নি। কসাই কাদেরের দোষে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নেওয়া কাদের মোল্লাকে শহীদ করে ফেলে সরকার। কিন্ত ভীরু কাপুরুষ বিএনপি একটা বিবৃতি দেয়নি।
সর্বশেষ মার্চ ফর ডেমক্রেসিতে কাজের মেয়ে মরজিনা আর খালেদা ছাড়া কেও মাঠে নামে নি।
৫ ই জানুয়ারীর নির্বাচনের পর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল কিন্তু অসহযোগ আন্দোলন না করে বিএনপি কূটনৈতিকদের পিচনে দৌড়ানো শুরু করে। জামাতের সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়। বিএনপির উচিত ছিল একদিকে আন্দোলন অন্য দিকে কূটনীতি।
সারা রমজান বিএনপি ঈদের পর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু এতদিন চলে গেল আন্দোলনের কোন নামগন্ধ নেই। জামাত শিবির মাঠে নামবে না তাই বিএনপি নাকি ইস্যূ খুজতেছে । এখন মানুষ এরশাদের কোন কথা বিশ্বাস করে না। ভবিষ্যতে বিএনপির কোন কথা বিশ্বাস করবে না। এখন সরকার না ফেলতে পারলে ২০১৯ সালেও পারবে না।
এখনই চূড়ান্ত অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার ফেলে দিতে হবে। নতুবা পতন ঘটবে বিএনপির । ভবিষ্যতে জামাত আর আওয়ামেলীগ হবে প্রধান রাজনৈতিক দল । আর হারিয়ে যাবে বিএনপি, জাতীয় পাটি।
অবৈধ সরকার ক্ষমতায় এর থেকে আর বড় ইস্যু কি হতে পারে? সরকার বিরোধী আন্দোল শুরু করেন। জামাত, হেফাজত সবাই আপনাদের সাথে যোগ দিবে। কূটনৈতিকরাও সরকারকে চাপ দেবে। আর যদি আন্দোলন না করেন তবে নিজেদের পতনের জন্য প্রস্তুত হন। জনগণ আর আপনাদের বিশ্বাস করবে না। সরকার ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে না। সরকার রাজপথে ঠিকতে দেবে না। তারপরও আন্দোলন করতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। চাই চূড়ান্ত অসহযোগ আন্দোলন।
বিষয়: বিবিধ
১২১৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার ধারণা বি.এন.পি-র নেতাকর্মীরা সব কর্মজীবি আর শান্তিপ্রিয়, তাই ওরা দূরে আছে।
জামাতের নেতাকর্মীরা আল্লাহ-রাসূল এর নাম নেয়া হয়, তাই হয়তো পথে নামে।
আর আওয়ামিলীগ এর নেতাকর্মীরা মনে হয় সারা দেশে ৮/১০ লাখ পোলাপান গাঞ্জা/ডাইল/মদ/বেশ্যা খাওয়াই পালে – এ তে করে রাস্তায় নামানোর দরকার পড়লেই খোরাকী বন্ধ কইরা অর্ডার দেয় – নাম রাস্তায় কর এইডা নইলে সাপ্লাই বন্ধ, ওমনেই সব ঝাপাইয়া পড়ে – ঘোরে!
সরকার যেভাবে দাবড়ানীর উপ্রে রাখছে তাতে ৫ বছরেও কিছু করতে পারবে না তারা । রোজার সময় খুব ভাব নিছিলো , হেন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা ..... আর এখন
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2014/08/12/252635
মন্তব্য করতে লগইন করুন