যেখানে সূর্যাস্ত নেই সেখানে নামায রোযা
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৮ জুলাই, ২০১৪, ০৪:৪০:২০ বিকাল
আমরা দিনে ৫ ওয়াক্ত নামায পরি কিন্তু এমন দেশ আছে যেখানে ২ ওয়াক্ত কখনও ৩ কখনও চার ওয়াক্ত নামায পড়তে হয়। নরওয়ের হামারফেস্ট ও গ্রোনলেন বা গ্রীনল্যান্ড কানাডার নুনাভাট, দক্ষিণ মেরুতে কখনও ৩ মাস সূর্য ডুবে না কখনও ৩ মাস সূর্য উঠে না ।60,000 জনসংখ্য অধ্যুষিত গ্রীনল্যান্ড এ আগে কোন ধর্ম ছিল না।ডেনমার্কে কার্টুন প্রকাশের পর সে দেশে গণহারে ইসলাম কবুল করার যে প্রবণতা শুরু হয় তার ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে নাগমা জেনসেন ইসলাম কবুল করার পর এখন গ্রীনল্যান্ডের ১ ভাগ লোক মুসলিম।(ভিডিওতে যাকে দেখতেছেন তিনি সে দেশের প্রথম মুসলিম।) তাই যেখানে নামায পড়ার ব্যপারটা সামনে চলে আসে কারন আমরা জানি সেখানে ৩ মাস শুধুই রাত ৩ মাস শুধুই দিন।কখনও রাত ১ঘন্টা কখনও দিন ১ ঘন্টা।
যেহেতু সূর্য ডুবে না তাই এ ব্যপারে ছোট বেলা থেকে আমার আগ্রহ ছিল যে সেখানে নামায কিভাবে হবে। আমার আব্বা কোন আলেম দেখলেই জানতে চাইতেন। এ ব্যপারে যদি বাংলাভাষী কোন বিশেজ্ঞের কাছে সঠিক উত্তর পাওয়া যায় না। এক এক জন এক এক কথা বলেন বেশীর ভাগ উক্ত হাদীস বর্ণনা করেন। হযরত নাওয়াস ইবনে সামআন(রা.) হতে বর্ণিত:
আমরা আরজ করলাম: ইয়া রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! সে [দাজ্জাল] কতদিন থাকবে? তিনি বললেন: সে চল্লিশ দিন থাকবে, কিন্তু প্রথম দিন এক বছরের সমান হবে। দ্বিতীয় দিন এক মাসের এবং তৃতীয় দিন এক সপ্তাহের সমান হবে। অবশিষ্ট দিনগুলো সাধারণ দিনের মতই হবে। আমরা আরজ করলাম, ইয়া রাসূলু্ল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে, আমরা কি তাতে শুধু এক দিনের (পাঁচ ওয়াক্ত) নামাযই পড়ব? তিনি বললেন: না, বরং সময়ের অনুমান করে পূর্ণ এক বছরের নামায পড়তে হবে।
[তাফসিরে মা’আরেফুল কুর’আন] কিন্তু মেরু এলাকায় হঠাৎ করে দিন রাত্রির বদল হয় নি। তাই সহীহ বুখারী শরীফের ৪৯৭ নাম্বার হাদীস অনুসরন করা হয়।
ইসলামিক সিটি ডট কম ও অন্যান্ন নামাযের ওয়েব সাইটে এসব অঞ্চলে শুধু নামাযের সূচী দেওয়া আছে কিন্তু কেন দুই রাকাত বা তিন রাকাত পড়তে হবে বলা হয় নি। কিন্তু পবিত্র কোরআনে সুন্দর করে এ ব্যপারে বলা হয়েছে এই আয়াত দেখার পর কারও সন্দেহ থাকা উচিত নয়
فَإِذَا قَضَي�’تُمُ الصَ�‘لاَةَ فَاذ�’كُرُوا�’ الل�‘هَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِكُم�’ فَإِذَا اط�’مَأ�’نَنتُم�’ فَأَقِيمُوا�’ الصَ�‘لاَةَ إِنَ�‘ الصَ�‘لاَةَ كَانَت�’ عَلَى ال�’مُؤ�’مِنِينَ كِتَابًا مَ�‘و�’قُوتًا 103
অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। [সূরা নিসা, আয়াত ১০৩]
এই আয়াত হতে উলামায়ে কেরাম মেরু অঞ্চলে নামায নির্ধারন করেছেন। আমরা জানি সূর্য্যের অবস্তানের উপর নির্ভর নামাযের সময় নির্ধারন করা হয়।যেমন সূর্য ডুবলে মাগরীবের নামায পড়তে হবে। কিন্তু সেখানে তো ৩ মাস সূর্য ডুবেই না। তাই যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পরে তখন আসর আর উপরে উঠলে যোহর হয়। সেহেতু অন্যান্ন ওয়াক্ত হয় না তাই নামাযের প্রশ্নও আসে না। দেখুন জুন মাসে গ্রীনল্যান্ডে নামাযের ক্যালেন্ডার । তখন শুধু আসর আর যোহরের নাময
* চিহ্নিত সময় কোন নামায পড়তে হয় না।
June 2011
তারিখ/দিন/ফরজ যোহর/আসর/মাগরিব/এসা
1 Wed * * 12:23 7:16 * *
2 Thu * * 12:23 7:15 * *
3 Fri * * 12:23 7:15 * *
4 Sat * * 12:23 7:14 * *
5 Sun * * 12:24 7:14 * *
6 Mon * * 12:24 7:13 * *
7 Tue * * 12:24 7:13 * *
8 Wed * * 12:24 7:12 * *
9 Thu * * 12:24 7:12 * *
10 Fri * * 12:25 7:11 * *
11 Sat * * 12:25 7:11 * *
12 Sun * * 12:25 7:11 * *
13 Mon * * 12:25 7:11 * *
14 Tue * * 12:25 7:11 * *
15 Wed * * 12:26 7:10 * *
16 Thu * * 12:26 7:10 * *
17 Fri * * 12:26 7:10 * *
18 Sat * * 12:26 7:10 * *
19 Sun * * 12:27 7:11 * *
20 Mon * * 12:27 7:11 * *
21 Tue * * 12:27 7:11 * *
22 Wed * * 12:27 7:11 * *
23 Thu * * 12:27 7:11 * *
24 Fri * * 12:28 7:12 * *
25 Sat * * 12:28 7:12 * *
26 Sun * * 12:28 7:12 * *
27 Mon * * 12:28 7:13 * *
28 Tue * * 12:28 7:13 * *
29 Wed * * 12:29 7:14 * *
30 Thu * * 12:29 7:14 * *
আবার ডিসেম্বর মাসে সূর্য উঠে না তাই সারাদিনে ২ ওয়াক্ত নামায পড়তে হয়।
আবার রোযা রাখার ব্যপারে ওলামায়ে কেরাম সূরা আল বাক্বারাহ, আয়াত ১৮৫ অনুসরণ করেন
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন।
هُدًى لِ�‘لنَ�‘اسِ وَبَيِ�‘نَاتٍ مِ�‘نَ ال�’هُدَى وَال�’فُر�’قَانِ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَ�‘ه�’رَ فَل�’يَصُم�’هُ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَو�’ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَ�‘ةٌ مِ�‘ن�’ أَيَ�‘امٍ أُخَرَ يُرِيدُ الل�‘هُ بِكُمُ ال�’يُس�’رَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ ال�’عُس�’رَ وَلِتُك�’مِلُوا�’ ال�’عِدَ�‘ةَ وَلِتُكَبِ�‘رُوا�’ الل�‘هَ عَلَى مَا هَدَاكُم�’ وَلَعَلَ�‘كُم�’ تَش�’كُرُونَ
185
রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।[সূরা আল বাক্বারাহ, আয়াত ১৮৫]
অতএব পবিত্র কোরআনের উক্ত আয়াত দুটি দ্বারা বুঝা যায় যদি ক্রমাগত দিন বা ক্রমাগত রাত থাকে তবে মেরু এলাকার লোকদের রোজা রাখা লাগবে না। কারন এখানে সর্ত হচ্ছে রমজান মাস পেতে হবে আর না পেলে রোজা মাফ। ঠিক তেমনি নামাযের কথা বলা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নামায ফরজ। এখন তাদের যদি দুই ওয়াকত নামাযের সময় আসে তবে উক্ত নামায দুই ওয়াকত সময়ের মধ্যে পড়বে তিন ওয়াকত আসলে তিন ওয়াকত। আর দিবা রাত্রির রমজান মাস পেলে রোজা রাখবে, না পেলে রাখবে না। কিন্তু যারা ওই এলাকা সফর করবে তারা যখন নিজ দেশে ফেরত আসবে তখন কাযা করতে হবে।রোযা মাফ করা হয়েছে শুধু ওই এলাকার লোকজনের জন্য।
বিষয়: বিবিধ
৩১৩৪ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহই বিষয়টি ভালো জানেন।
ধন্যবাদ।
নামাজ এবং রোজা ইসলামের মৌলিক বিষয়। তাই এ ব্যাপারে বিশ্লেষণ করে মত প্রকাশ করা উচিত। ধন্যবাদ।
এই সাইট থেকে গ্রীনল্যান্ড সহ যে কোন দেশের সালাতের সময় পাওয়া যাবে।
৫ ওয়াক্ত নামাজ, ১ মাস রোজা। এটা ফরজ। আপনার কথা মত সূর্যের সাথে নামাজের কানেকশান এর ভিত্তি অপেক্ষা, দিনে ৫বার নামাজের কানেকশান ও ভিত্তি অনেক অনেক বেশী স্ট্রং এবং সে সংশ্লিষ্ট হাদীস ও কোরআনে নামাজের তিন টি স্পেসিফিক ম্যানশান প্রমান করে ২ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কোন অবকাশ নেই।
আপনার কথা মানলে কোন ঝড়ো আবহাওয়ায় সূর্য না দেখা গেলে তো বাংলাদেশের মানুষের ও সে দিন নামাজ না পড়ার সুযোগ পায়। একই ভাবে রোজার যুক্তি ও গ্রাহ্য।
আমি যতটুকু জানি যেখানে ২৪ ঘন্টা দিন কিংবা ২৪ ঘন্টা রাত সেখানে মক্কার সময়কে বিবেচনায় নিয়ে নামাজ/রোজা পড়া/রাখা উচিত। বিকল্প নিকটবর্তী যে কোন এলাকার সময়ের আলোকে নামাজ ও রোজা ফলো করা উচিত।
ধরা যাক মক্কার ফজর ৫ টায়, জোহর ২ টায়, আসর ৫ টায়, মাগরিব ৭ টায় আর এশা ৯ টায়। গ্রীনল্যান্ডের ঐ বাসিন্দা তার ঘড়িটে ৫ এ এম এর সময় ফজর পড়বে, ২ পি এম এ জোহর আর ৫ পি এম এ আসর, ৭ পি এম এ মাগরিব এবং ৯ পি এম এ এশা।
ধন্যবাদ, শেয়ার করার জন্য।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : কিন্তু পৃথিবীর কোথায় কখন সূর্যাস্ত যায় সে বিষয়ে নবীর জ্ঞান নেই কেন?নবী কি জ্ঞান রাখবেন কিংবা রাখবেন না, কি জ্ঞান মানুষের সাথে শেয়ার করবেন কি করবেন না - তা স্রষ্টার এক্তিয়ার।
আপনার মত তুলনায় লিটারেলী 'চুনোপুটি'র সে এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার - ঠিক তেমন ই - যেমন আপনার লিখিত প্রশ্নটি আপনার কাছে উত্তর দাবী করছে - কেন আপনি আমাকে সঠিক প্রশ্নটি করতে পারেন নি?
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : না ভাই, আপনার এসব হালকা কথা কোন গুরুত্ব বহন করে না।এত জ্ঞানী আল্লাহ/নবী তার সব বান্দার/উম্মতের উপর কলমের এক খোচায় নামাজ রোজা বাধ্যতা মুলক করে দিলেন। শুধু তাই না, দিন ক্ষন সময় ঘন্টা মেপে ফরমান জারি করলেন। কিন্তু বেচেরা বান্দা/উম্মত রা গ্লোবের কে কোথায় কি অবস্থায় আছে সে ব্যাপারে কর্তার জ্ঞান ক্লাশ টু'র লেভেলে থাকলে উতরে যেতেন। হাহা, আমাদের এত বড় গ্লোব যে শুধু মক্কা মদিনা সিরিয়া বাগদাদ এ সীমিত না সে বিষটি মহাজ্ঞানী কর্তাকে কে বুঝাবে?
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : কারন? আপনার প্রশ্ন জানার জন্য নয় - চ্যালেন্জ করার জন্য। অথচ একজন বিশ্বাসী আপনাকে চ্যালেন্জ করার জন্য উপযুক্ত মনে করেন না - কারন আপনি তার মতই আর ডিফেন্ডেন্ট - স্রষ্টার দয়ায় বেঁচে আছেন, তার মত খাওয়া দাওয়া করেন, হাটে বাজারে যান।দেখুন, আমি জেনেশুনেই চ্যালেঞ্জ করেছি। কিন্তু আজকের সভ্যতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মাল মেটেরিয়াল আপনাদের কোরাণ-হাদীসে নেই, দুঃভাগ্য আপনাদের। আর সয়ংসম্পুর্ণ মানুষ কারো দয়া নির্ভর হয়ে চলে না, তারা নিজেরাই নিজেদের টেককেয়ার করতে জানে। তবে এটা ঠিক আপনরা আল্লার দয়ায় বেঁচে আছেন। যে কারনে জাপান, ওর্য়াল্ডব্যাংক, আমেরিকার দানক্ষয়রাত ছাড়া আপনাদের একদিনও চলে না।
'আমি আমার নিদর্শনসমূহ হতে তাদেরকে ফিরিয়ে রাখি, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে গর্ব করে। যদি তারা সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে, তবুও তা বিশ্বাস করবে না। আর যদি হেদায়েতের পথ দেখে, তবে সে পথ গ্রহন করবে না, অথচ গোমরাহীর পথ দেখলে তাই গ্রহন করে নেয়। এর কারন তারা আমার নির্দেশসমূহকে মিথ্যা মনে করেছে এবং তা থেকে বেখবর রয়ে গেছে।' সুরা আ'রাফ ৭:১৪৬
এসব কথা মুর্খ লোকের মহলে বিক্রি হতেও পারে। কিন্তু জ্ঞানী লোক ২টাকা দিয়েও তা কিনবে না। তো, আল্লাহর কোরান-হাদীসে এমন কি নিদর্শনা আছে যা থেকে আপনার মত আমিনী, সফীহুজুর, তালেবান, বোকোহারামই শুধু সিগন্যাল খুজে পায়? নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবীদ, কবি, সাহিত্যিক, চিন্তাবীদ কখনো কোরান-হাদীসের সিগন্যাল পেয়ে দেওয়ানা হয়েছে বলে শোনা যায় না।
আশা করি এতক্ষনে আপনার চৈতন্য উদয় হয়েছে। ধন্যবাদ।
**************************
জাপান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ইত্যাদি যা বললেন - ওসব স্যেকুলার, আধা স্যেকুলার জাফর ইকবাল, শাহরিয়ার, হাসিনা, সুলতানাদের মত দ্বান্ধাবাজ, প্রতারক ও মিথ্যাবাদীদের দরকার হয় - মুসলমানের দরকার হয়নি, হয়না এবং হবে ও না - ওসব ওরা হারাম জ্ঞান করে। পতিতা পল্লী আর ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মধ্যে কোন পার্থক্য করেনা।
********************************
কোরআন হাদীস হতে মুসলিমরা এই পৃথিবীতে বসবাসকালীন সময়ে কিভাবে অতি সাধারনভাবে জীবন যাপন করতে পারবে তার সিগনাল পায়। আরো যে সব সিগনাল পায় তা হল প্রানী জগত ও পরিবেশ এর প্রতি কিভাবে পুরোপুরি সৎ থেকে অল্প রিসোর্চ ও জ্বালানী ব্যায়ে জীবন যাপন করতে পারবে। সিগনাল পায় কখন, কিভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে, জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে সুখকর করতে পারবে।
আর অসংখ্য জ্ঞানী বিজ্ঞানী মানুষই কোরআন হতে সিগনাল পায়, পাচ্ছে এবং পাবে।
ওরা ছাড়া, যারা ঠান্ডা মাথার খুনী, রেপিস্ট, বর্বর, প্রতারক, অন্যের সম্পদ লুন্ঠনকারী, জাত অপরাধী, শয়তান পূজারী, মানুষিক বন্ধ্যাত্ব জনীত রোগে আক্রান্ত, এ্যরোগেন্ট এমন জ্ঞানী বিজ্ঞানীরা সিগনাল পায়না, পাবেনা - এটা আল্লাহর ওয়াদা আর ওদের জন্য আছে গ্যারান্টেড জাহান্নাম।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : ১। এত অক্সিকেনের বড়াই করেন! কিন্তু আপনার মত শফীহুজুরদের হাগুমুতু বন্ধ হয়ে হসপিটালের বিছানায় কুকুরের মত হপর টানে তখন আল্লার অক্সিজেনে কুলায় না, ইহুদী নাসারা ল্যাবরেটরীর অক্সিজেন নাকের ডগায় ঝুলাতে হয়। সয়ংসম্পুর্নের সংজ্ঞ্যা বুঝতে পেরেছেন?২। ওর্য়াল্ডব্যাংকের হারাম দানক্ষয়রাত ছাড়া আল্লার ঘর মসজিদে বাতি জ্বলে না, ব্রীজের অভাবে পদ্মাপারের মুমিনরা লোটা-কম্বল নিয়ে সাঁতরে নদী পাড় হয়। তবে আল্লাপূজারীদের ভাগ্য ভাল, ওর্য়াল্ডব্যাংকের অসীম করুনায় তাদের কপালে অন্ততঃ যমুনাব্রীজ জুটেছে।
৩। সিগন্যাল- হুমম, জান্নতের ৭২ পতিতার গ্রীন-সিগন্যাল পেয়ে গেলে মাগীবাজ মুমিনদের আর লাগে কি? ধুমসে নামাজ পর, রোজা রাখ, কাফের কতল কর।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের টাকায় পৃথিবীর কোথাও কোন দিন আল্লাহর ঘর বানানো যাবেনা। মুনাফিক ও স্যেকুলারের ভোট বানিজ্য কেন্দ্র বানানো যেতে পারে। আল্লাহর ঘরের সার্টিফিকেট দিবে আল্লাহ আর তারপর মুমিন ও মুসলিম। শয়তান নাইট ক্লাবকে মসজিদ বলুক আর সিনাগগ বলুক - ওটা শয়তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
৭২ কেন? সিম্পলী দোজখের আগুন হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য একজন মুসলিম আল্লাহর যে কোন অর্ডার পালন করতে প্রস্তুত। কিন্তু একজন কাফের/অবিশ্বাসীর তো এই পৃথিবীও নেই আর পরকাল ও নেই। দেখুন না আপনার বন্ধু রাজীব ব্যাট্যার এই পৃথিবী কি আছে আর? পরকাল ও গেছে। আফসুস আপনার জন্য।
এ্যানিওয়ে পড়ালিখা করে বেটার আর্গুমেন্ট দিতে না পারলে - আপনার এই তৃতীয় শ্রেনীর বাদানুবাদ এ আর মজা পাচ্চি না। এসব আর্গুমেন্ট সেই ইউনিভার্সিটির জমানায় আমরা দিতাম - কারন তখন কুয়ার ব্যাং ছিলাম। সাগরে নামলে বুঝা যায় - কুয়ার ব্যাং এর অস্তিত্ব আসলে সাগরে নেই। সো সাগরে আসার জন্য আরো পড়ালিখা করুন। কপি পেষ্ট টাইপ কাজ বাদ দিয়ে মৌলিক চিন্তা চেতনা আবিষ্কার করুন - তা সে এন্টি হোক আর পক্ষের হোক।
নয়তো আপনার লিখাকে পাঠকের কাছে ডাস্টবিন সুলভ মনে হবে।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : হুমম, আপনি আপনাকে জিজ্ঞাস করলাম নাম কি? এর ছোট্ট উত্তরটি না দিয়ে আপনি চৌদ্দ পুরুষের নামের তাফসীর শুরু করলেন। গলায় কাঁটা ঢুকে গেলে কথার চেয়ে খকখক বেশি করে। ভালই।দেখুন একজন মুসলিমকে আল্লাহ আপনার মত মানুষ সম্পর্কে এভাবে জানিয়েছে যে,
'আমি আমার নিদর্শনসমূহ হতে তাদেরকে ফিরিয়ে রাখি, যারা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে গর্ব করে। যদি তারা সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করে, তবুও তা বিশ্বাস করবে না। আর যদি হেদায়েতের পথ দেখে, তবে সে পথ গ্রহন করবে না, অথচ গোমরাহীর পথ দেখলে তাই গ্রহন করে নেয়। এর কারন তারা আমার নির্দেশসমূহকে মিথ্যা মনে করেছে এবং তা থেকে বেখবর রয়ে গেছে।' সুরা আ'রাফ ৭:১৪৬
সুতরাং আপনি বিশ্বাসী মাত্রকেই দেখবেন আপনার এ জাতীয় প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যেতে, বিরক্ত হতে - কারন আপনার ম্যানুফাকচারার আপনার সম্পর্কে অমন সার্টিফিকেট দিয়েছে বলে বিশ্বাসী জানে ও বুঝে।
সো আপনি যতটা সময় স্যেকুলার কোন সাবজেক্ট এর পেছনে ব্যয় করে পন্ডিত্য অর্জন করেছেন - পারলে অতটা সময় স্প্রীচুয়াল সাবজেক্ট এর পেছনে ব্যয় করে তারপর আলোচনা করুন - নিশ্চয়ই তাতে মানুষ উপকৃত হবে।
আদারওয়াইজ আপনার প্রশ্ন সমূহকে অতি বাচ্চা ছেলের প্রশ্নের মত মনে হয় - যা নিয়ে আলোচনায় কেউ উৎসাহ বোধ করবেনা।
এ্যানীওয়ে ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। আশা করি আপনার বিচার বিবেচনাবোধ কাজ করছে।
না, আমি নাস্তিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দিই নি। নাস্তিকরা নিজেরাই নিজেদের অস্ত্রে নিজেদের মাথায় পয়েন্ট ব্লান্কে শুট করে।
একজন কাউন্সেলর বড় জোর তাকে রিল্যাক্স করার চেষ্টা করতে পারে, তার স্বাভাবিক বোধ ফিরিয়ে আনতে চাইতে পারে, কিন্তু বাথরুমে ডুকে আত্মহত্যা করতে চাইলে কাউন্সেলর এর কিছু করার থাকে না।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন