সময় থাকতে জামাতকে উদ্যোগ নিতে হবে।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ২১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:২৩:৪৮ দুপুর
পরিস্থিতি যে দিকে মোর নিচ্ছে আগামী জুন জুলাইয়ের দিকে আরেকটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বিএনপি জামাতকে ছেড়ে দিবে আর জামাতকে ছাড়লেও জামাত নিজেদের প্রার্থীদের ভোট না দিয়ে বাল থেকানোর জন্য বিএনপিকে ভোট দিবে। মনে রাখতে হবে ১৯৯১ সালে বিএনপি জামাতের সমর্থনে ক্ষমতায় এসে ভাষা সৈনিক গোলাম আজমকে ফাসি দিতে ছেয়েছিল। কিন্তু নির্বিক বিচারপতি হাবিবুর রহমানের জন্য পারে নি।
এখন যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তবে জামাত নেতাদের ফাসি দিযে দিবে। কারন কাদের মোল্লার ফাসির পর সারা বিশ্ব নিন্দা জানালেও বিএনপি জানায় নি। বরং বিশ্ববাসি নিন্দা জানানোর জন্য খালেদা মর্মাহত।
শুধু জামাত নয় গতকালকের সমাবেশে কর্নেল অলি বক্তব্য রাখলেও কোন ইসলামী দলের নেতাকে বক্তব্য রাখতে দেয় নি।
তারমানে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে চুরি ডাকাতিতে বালের জায়গায় বিএনপির নাম যুক্ত হবে আর ইসলাম বিরোধী কাজ আগের মত চলতে থাকবে। মদজোয়ার লাইসেন্স, নতুন কুড়ি, পতিতা বৃত্তি সহ অসংখ্য ইসলাম বিরোধী কাজ বিএনপি করেছে। তসলিমার জন্য গুলি করে আরমানকে শহীদ করেছিল। হান্নান শাহ ইসলামী জনতার উপর গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিল।
জামাতকে এখন সকল ইসলামী ও সমমনা দলকে নিয়ে বিকল্প জোট করতে হবে। আর বিএনপির সাথে সমযোতা হলে ১৫০/১৫০ অনুপাতে জামাত জোট ও বিএনপি জোটকে আসন ভাগাভাগি করতে হবে। অথবা ৭৫ আসনে জামাত জোট কোন প্রার্থী দেবে না। অন্য দিকে বিএনপি জোট ৭৫ আসনে কোন প্রার্থী দেবে না। বাকি আসন উন্মোক্ত থাকবে। যেমন কর্ণেল অলী এবং শাহজাহানের মধ্যে নির্বাচন হয়েছিল।
জামাতের সাথে অন্যান্ন ইসলামী দলের বিরোধ মূলত আবুল আলা মওদুদী র. বিভীন্ন পুস্তক। তাই জামাতকে আপাতত সকল মওদুদী গ্রন্থ স্থগিত করতে হবে। যেহেতু জামাত আল্লাহর আইন চাই কথাটি বাদ দিয়েছে নিবন্ধুন লাভের জন্য তাই দেশের স্বার্থে দীনের স্বার্থে জামাতকে মওদুদী গ্রন্থ স্থগিত করলে খুব বড় ক্ষতি হবে না। সময় থাকতে জামাতকে উদ্যোগ নিতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যা বলার কইয়া দিলুম। বুঝলে বুঝেন, না বুঝলে মাথার গিলুটিন পদার্থের মাত্রা কমিয়ে দেন। গ্যাঞ্জাম একদম চলে যাবে।
দিতে হবে!!!! বাকী মোল্লারা ইসলাম বুঝে।
বাংলাদেশে যে সমস্ত মোল্লা আছেন, তারা
হারাম কে হালাল করে। পরের কান্দে খাওয়া
এক ধরনের পরজিবী মানুষ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন