বাংলাদেশী, তোরা জাগবি কবে বল
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৬:০৬:৩৬ সকাল
আসছে ৭ জানুয়ারী স্টপ বর্ডার কিলিং ড, এ দিবসকে সামনে রেখে মখার অনুমতি নিয়ে বিএসএফ মেতেছে হত্যার উত্সবে। ফুলানী দিবসকে সামনে রেখে আমাদেরও জাগতে হবে। ভারতের অন্যান্ন প্রতিবেশীদের যেমন তারা সম্মান করে, আমাদেরও করতে হবে। পাকি, নেপালী, ভূটানী, চীন, বার্মীজ কেউ মরে না ওদের হাতে। শুধু আমরা কেন মরব ?
মাত্র একটা তরুণীকে হত্যার জন্য সারা ভারতবাসীর সাথে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিবাদ করতেছে
[m]আর হাজার বাঙ্গালী হত্যার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যস্ত আনন্দ ফুর্তিতে । তারা বাংলা আর ইংরেজী নব বর্ষকে বরণ করার জন্য রাস্তায় নামে। আর সীমান্ত থেকে বিসএসএফের উপহার পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নামধারী হিজরাদের আনন্দ ফুর্তি আরো বেড়ে যায়।[/m]
ঢাবির এই ছাত্ররা কি আনন্দফুর্তি না করে সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারত না?
বাংলা বর্ষবরণের জন্য এত মানুষ রাস্তায় কিন্তু তাদেরই ভাই বা বোন কে কুকুরের মত গুলি করে মারে, কিন্তু তাদের কোন বোধ উদয় নেই। হায়রে নির্জিব বাংলাদেশী
সারাদেশে একজনও কি নেই যে সৈয়দ আশরাফকে হাড্ডি মাংস গুড়া করে বিএসএফের হাতে তুলে দেবে।
হিন্দুরা মঙ্গলের জন্য দেবীকে বিসর্জন দেয়, আমরা কি সীমান্ত হত্যা বন্ধের জন্য মখা আলমগীর, সৈয়দ আশরাফদের বিসর্জন দিতে পারি না? ওদের কে কি বিএসএফের হাতে তুলে দিতে পারি না ? যেন বিএসএফ আত্নরক্ষার জন্য মখা , আশরাফের লাশ কাটা তারে ঝুলিয়ে দিতে পারে আর এদের লাশ দেখে জাতির বুবু বলবেন এসব অতীতেও হয়েছে ভবিষ্যতে হবে। বিএসএফের হাতে দুচারটা বালের লাশ না পরলে বাংলাদেশীদের জীবনের মূল্য বাল কখনও বুঝবে না।
ওদের একটা জীবন বাচানোর জন্য রাষ্ট্রীভাবে এয়ার এম্বোলেন্স ভাড়া করে বিদেশ পাঠায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে। নিরস্ত্র বাংলাদেশীদেরকে পাখির মত গুলি করে মারবে কেউ কিচু বলবে না? রোহিঙ্গা হত্যার বিরুদ্ধে তুর্কিরা কথা বলে, ফিলিস্তিদের ইরান মিশাইল দান করে। আমাদের কি কেউ নেই? আমরা নিজরা যদি না জাগি কেউ আমাদের সাহায্য করবে না। দরকার একটা আন্দোলন দেখবেন সীমান্ত হত্যা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন