২০০৯ সালের ষড়যন্ত্র শাহবাগের আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেবে।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৫:২৩:৫৮ সকাল
খোমেনী ইহসান
খোমেনী ইহসান এর একটা ব্লগ পড়েছিলাম। ওই ব্লগে তিনি লিখেছিলেন অনলাইন ব্লগার এক্টিভিস্টের কিচু সদস্য উনার কাছে এসেছিল আরব বসন্তের মত বাংলা বসন্তের ডাক দিতে। তখন তিনি বলেছিলেন যে, তোমাদের সাথে কি আর্মির সমর্থন আছে? তখন তারা না উত্তর দিলে তিনি তাদেরকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ফেরত দেন। আজকে আমার বর্ণমালা থেকে খোমেনী ইহসান এর ব্লগ গায়েব।
উনার একটি ব্লগও নাই সব মুছে ফেলা হয়েছে।
উক্ত ব্লগে তিনি লিখেছিলেন ব্লগার এক্টিভিস্টের সদস্যদের তিনি বলেছিলেন রাষ্ট্রের মালিক যেহেতু আর্মি তাই আর্মির সাথে সমঝোতা না করে তাহরির স্কয়ারের মত কোন আন্দোলনই কাজে আসবে না। কারন পুলিশ বিডিয়ার ব্যর্থ হলে আর্মি নামবে।
২০০৯ সালের পর থেকে অনেক চেষ্টা হয়ত নাস্তিক বামদের সংগঠন ব্লগার এক্টিভিস্ট এই রকম কোন সমঝোতা করে ২০১৩ সালে মাঠে নেমেছে। কাদের মোল্লাকে সামনে নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে কিন্তু তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটিয়ে মার্শাল ল কায়েম করা। তার কিচু লক্ষণ কিন্তু ফুটে উঠেছে।
ইতিমধ্যে হানিফ, সাহারা খাতুন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরীকে লাঞ্চিত করা হয়েছে
৪২ বছর আগের মীমাংসিত বিষয় যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে সরকার এত অন্ধ যে, নিজেই নিজের পতনের রাস্তা তৈরী করতেছে ।
হাসানুল হক ইনুদের জাসদের কারনেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সিরাজ সিকদারের মত কূখ্যাত খুনীসহ ৩০ হাজার বাম নাস্তিকদের হত্যা করার পরও বন্ধু জাসদকে নিয়ন্ত্রন করতে পারেন নি।
ইতিমধ্য দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্ত্রীগ্রুপ গুলো শাহবাগে মিলিত হওয়া শুরু করে দিয়েছে।তারা কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ভাষন দিতে দিচ্ছে না। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সম্ভবত সরকারের নিয়ন্ত্রনে নেই। আর তোষামোদকারী পরিবেষ্টিত আওয়ামী নেতৃবৃদ্ধ নিজেদের পতন উপলব্দি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।
রুম যখন পুড়ছিল নিরু তখন বাশি বাজাচ্ছিল। আমরা আরেকটি ১৫ ই আগষ্ট চাই না।অনেক হয়েছে আগুন নিয়ে খেলা এখনই বন্ধ করুন।আগুন কাউকে ক্ষমা করে না। আমরা জাতির জনককে হারিয়েছি জাতির বুবুকে হারাতে চাই না।
বিষয়: বিবিধ
১১৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন