কবর ভেঙ্গে রাম মন্দির অযোদ্ধা নয় এই বাংলাদেশে
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:৩৪:২০ দুপুর
চুনারুঘাটের নালুয়া গণকবর ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বাগানের একদল শ্রমিক মন্দির নির্মাণের নাম করে ২২ জন শহীদ চা শ্রমিকের গণকবর ভেঙ্গে মাঠির সাথে মিশিয়ে দেয়। স্বাধীনতার এ স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলার দুঃসাহস কা‘রা দেখিয়েছে- কোন মহল থেকে এরও কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও রহস্যজনক কারণে নিরবতা পালন করছেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও চা শ্রমিকরা জানান, স্বাধীনতা যোদ্ধের সময় পাক সেনারা নালুয়া চা বাগানের গপিয়া খাড়িয়া,এতোয়া খাড়িয়া, নিবারন উড়াং, ধরনী রুদ্রপাল,চন্ডে ঝড়া, ডেম্বু ঝড়া, টুইলু ঝড়া, সমরা ঝড়া, বনু ঝড়া, ফাল্গু বাড়াইক, আনন্দ মুন্ডা, ভদ্র মুন্ডা, সুকরা খাড়িয়া, বিপিন মুন্ডা , আলিয়া জার মুন্ডা, জঙ্গলু গড়, অজিত উড়াং, সুকরাম মুন্ডা, বৈকন্ঠ রুদ্রপাল,নীলকন্ঠ রুদ্রপাল, হাগরু ঝড়া ও বধুয়া খাড়িয়া নামের ২২ জন শ্রমিককে হত্যা করে নালুয়া চা বাগানের পশ্চিমটিলার একটি বড় কুয়ায় পুঁতে রাখে। পরবর্তীতে ওই কুয়াকে নালুয়া গণকবর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন তখন থেকে গণকবরটিকে সংরক্ষণ করার দাবী জানান। সরকারিভাবে গণকবরটি সংরক্ষিত না হলেও মানুষজন ওই গণকবরে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পন অব্যাহত রাখেন। গত ৩ মাস আগে অধুনা প্রতিষ্টিত চা জনগোষ্টি নামের একটি সংগঠনের হস্তক্ষেপে গণকবরটি ভেঙ্গে দিয়ে এখানে নির্মান করা হয় রাম মন্দির। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে‘হবিগঞ্জে বধ্যভুমি গণকবর ধ্বংশ করে দিয়েছে এক রাজাকার পুত্র‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। গত জানুয়ারিতে আহমদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নালুয়া গণকবরের পাশে শহীদ ২২ শ্রমিকের নাম পাথরে খোদাই করে ওই কুয়ার পাশে এঁটে দিয়ে ঐতিহাসিক নালুয়া গণগকবরটিকে সংরক্ষন করার চেষ্টা চালায়। অপরদিকে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান নালুয়া চা বাগানে অবস্থিত গণকবর পরিদর্শন শেষে আহমদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানকে নিশ্চিহ্ন গণকবরের কুয়াটি পুনরায় নির্মাণের নির্দেশ দেন।manobjomin
বিষয়: বিবিধ
১৭১৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন