নিশ্চিত বিজয় হাতছাড়া হয়ে গেল।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ৩১ মে, ২০১৩, ০৩:৫৪:১৪ রাত
সেই ১৯৯৫ সাল থেকে কামরান পৌর চ্যায়ারম্যান। সিলেটের প্রথম সিটি মেয়র কামরান। গত নির্বাচনে বদর উদ্দিন
কামরান একা যত ভোট পেয়েছেন বাকি সবাই মিলে তার অর্ধেকও পায় নি অথচ তিনি ছিলেন কারাগারে বন্ধী।যেকোন প্রয়োজনে কামরানের কাছে খুব সহজে যাওয়া যায়। আপনার বিয়ে, ভৌভাত কিংবা পাড়া মহল্লার কোন অনুষ্ঠানে কামরানকে দাওয়াত দেওয়ার পর তিনি যদি কথা দেন তবে ঠিকই হাজির হবেন।এমন কি পাড়ার চায়ের দোকান উদ্ভোধনের জন্য বদর উদ্দিন কামরানকে পাওয়া যায়। আমার কয়েকটা বন্ধু বনভোজনে যাবে কিন্তু তাদের ১৫০০ টাকার মত টান পরেছে। তারা আলুরতল যুবসংঘ নাম দিয়ে একটা পেড বানিয়ে মেয়র কামরানকে ২০০০ টাকার জন্য আবেদন করেছে কামরান সাথে সাথে ১৫০০ টাকা মঞ্জুর করেছেন, বিভিন্ন সময় ট্যাক্স মওকুফ করে দেয়া, মানুষের বিপদে অনুদান করা। সেই বদর উদ্দিন কামরান নিজের গুনে নিজের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। কিন্তু সিসিক নির্বাচনে ব্যক্তি কামরান নয়, মেইন কথা তিনি আওয়ামেলীগের প্রার্থী। আর আওয়ামেলীগকে একটা শিক্ষা দেওয়ার জন্য কামরানের পরাজয় সময়ের দাবী।
ক্লিন ইমেজের এডভোকেট জোবায়ের ভাই সবার আশার আলো হিসাবে দেখা দিয়েছিলেন । তরুনদের শতভাগ সমর্থন ছিল তার প্রতি। বোতল কামরান গুডবাই মেয়র হবে জোবায়ের ভাই এই স্লোগান সবার মুখে মুখে ছিল। মনে হচ্ছিল জোবায়ের ভাই যদি ১০০ ভোটের মধ্য ৯০ ভোট পান তবে আরিফ কামরান মিলে পাবেন ১০ ভোট।
কিন্তু জনগণের প্রত্যাশার বিপরীতি বিএনপির কুখ্যাত সন্ত্রাসী আরিফকে সমর্থন দিয়ে জামাত জোবায়ের ভাইকে বসিয়ে দেয় সাথে সাথে ভোটের হিসাব নিকাশ বদলে যায়। সেখানে জেবায়ের কামরান অবস্তা ছিল ৯০/১০ এখন আরিফ কামরান ৪৫/৫৫, তারমানে কামরান আবার মেয়র হচ্ছেন। অনেকে বলতে পারেন সারাদেশে আওয়ামেলীগ বিরোধী অবস্তা তাই আরিফ জিতবে । আরিফকে মেয়র বানিয়ে আমরা সংশোধন করে ফেলব।কিন্তু বাস্তবতা ভীন্ন বিএনপি জামাত জোবায়ের ভাইকে তোলে নিয়ে জনগণকে কামরানকে ভোট দেয়ার জন্য বাধ্য করেছে। ( সমালোকচকরা বলে কামরানের সাথে জামাতের নাকি গোপন লেনদেন হয়েছে।)
এবার শুনুন কেন আরিফকে জনগণ ভয়পায়। গত জোট সরকারের সময় আরিফ জোর জবরদস্তি করে ভোটকারচুপির মাধ্যমে খেলাফত মজলিসের প্রার্থীকে পরাজিত করে কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন। কমিশনার আরিফের ক্ষমতা ছিল মেয়র থেকে অনেক বেশী। ঢাকার মুসাদ্দেক হোসেন ফালুর খামার বাড়ি দেখে উনারও খামার বাড়ী বানানোর শখ জাগে তাই তিনি খাদিম নগরে দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে ফেলেন। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মনিপুর রাজবাড়ীর দিকে উনার কু নজর পরে তাও তিনি দখল করে ফেলেন। খাদিম নগরের খামার বাড়ি সাজাতে তিনি সিলেট সার্কিট হাউজের আসবাব পত্র ব্যবহার করেন। কমিশনার আরিফ কত শত মানুষকে যে পথে বসিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানে আর্শ্বিবাদে নিজের ইচ্ছামত সন্ত্রাস চাদাবাজী করেছেন। ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পিচনে অনেকে আরিফের হাত আছে বলে মনে করেন। মোট কথা বিএনপি জামাতের ৫ বছরে তিনি নিজেকে সিলেটবাসীর আতংক হিসাবে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছেন ।
বোতল কামরানের ব্যক্তিগত চরিত্রে সমস্যা।কিন্তু তিনি সন্ত্রাস লালন করেন না। মানুষ খুব সহজে তার কাছে যেতে পারে। অমায়িক ব্যবহারের কামরানের বিপরীতে বদরাগী আরিফ সব সময় থাকেন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পরিবেষ্টিত ।জনগণ তো দূরের কথা তার নিজের দলের লোকও তার ধারে কাছে যেতে পারে না্ । সাধারন জনগণতো দূরের কথা তার দলের লোকজনও তার ধারে কাছে যেতে পারে না। সাধারন মানুষের ভোট পাওয়ার আগে তিনি ইলিয়াস গ্রুপের ভোট পাবেন কিনা সন্দেহ আছে।
আরিফকে সমর্থন দেওয়ার পর জামাত শিবিরের লোকজন দেখলেই মানুষ
সত্ লোকের শাসন চাই বলে তিত্কারী করে।তাই জামাত শিবিরের লোকজন এখন আর লজ্জায় আরিফের পক্ষে মাঠে নামতেছেন না।
১ সাপ্তাহ আগে কামরানের ভরাডুবী ছিল নিশ্চিত। জোবায়ের ভাইকে বসিয়ে দিয়ে আরিফকে সমর্থন দিয়ে বোতল কামরানকে আবার ৫ বছরের জন্য জামাত সিলেটবাসীর ঘারে চাপিয়ে দিচ্ছে। পত্রপত্রিকার বিশ্লেষন, জনমত জরিপ সবকিচু এমনই ইংগিত দিচ্ছে। অথচ জোবায়ের ভাই যতক্ষণ ভোটে মাঠে ছিলেন কামরানকে খুজেই পাওয়া যায় নি। অনেকটা খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাড়িয়েছেন বোতল কামরান জামাত শিবিরের বদৌলতে।
বিষয়: বিবিধ
১৩১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন