রেশমাকে কি মেরে ফেলা হবে?
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ১১ মে, ২০১৩, ১২:৪৭:৩০ দুপুর
আওয়ামী হায়নারা পারে না এমন কোন খারাপ কাজ নেই। ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী রেশমাকে রানা প্লাজায় নিয়ে এসে উদ্ধার অভিযান চালনো হল।
আওয়ামেলীগের চরিত্র হল একটা ইস্যু আড়াল করতে আরেকটা ইস্যু তৈরী করা
কালো বিড়াল বাচাতে ইলিয়াস গুণ, শেয়ার কেলেংকারী ঢাকতে হলমার্ক এরকম হাজার উদাহরন
মতিজিলের শাপলা চত্তরে ৩০০০০ নিরীহ বাঙ্গালী হত্যার পর সেই ঘটনা আড়াল করতে পুলিশের ডিআইজিকে মেরে ফেলা হল কিন্তু মানুষের মন মতিঝিল থেকে সরে নি। ১৭ বছরের শিশু কামরুজ্জামানের বিচার শিশু আদালতে না করে কেঙ্গারু আদালতের মাধ্যমে ফাসি দেওয়া হল কিন্তু তাদেও কাজ হয় নি। মানুষ মতিঝিল নিয়ে পরে আসে। সর্বশেষ ইডেন কন্যা রেশমী কাহিনী, তাতে সরকার কিচুটা সফল হতে যাচ্ছে , আর সকল মিডিয়া রংচং মাখিয়ে তাতে ঘি ঢালার চেষ্টা করতেছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি দুষ্ঠ ব্লগার আসল কাহিনী ধরে ফেলেছে।
ভবিষ্যতে যেন সরকারকে বিপদে পরতে না হয় এ জন্য হয়ত উদ্ধার কর্মী বাবুর মত ইডেনের ছাত্রলীগ কর্মী রেশমাকে মেরে ফেলা হতে পারে।
1. মুন্নিসাহা যে আর্মিকে প্রশ্ন করছিল সেই আর্মি বলেছে রেশমা টোস বিস্কুট ও শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে ছিল কিন্তু রেশমা বলেছে সে পানি ছাড়া কিছুই খায় নি ।
2. ঐ আর্মি বলেছে রেশমা ভেতরে ঘোরাফেরা করেছ রেশমা বলেছে সে এক জায়গায় স্থির ছিল ।
3. ঐ আর্মি দাবি করেছে সে-ই সর্বপ্রথম নিজে রেশমাকে দেখেছে কিন্তু channel24 এ বলা হয়েছে ১৫বছরের মোনায়েম নামের
একজন তাকে সর্বপ্রথম দেখেছে ।
4. রেশমার ঠোট ,চোখ ,চামড়া ও চেহারায় এতটুকুও পরিবর্তন ছিল না ।
5. তার পোশাকে কোন ময়লা ছিল না এবং ওড়না ছিল লাল টকটকে ।১৭দিন পর ওড়নার রং টকটকে লাল থাকা অসম্ভব ।
6. রেশমা বলেছে ৫দিন আগে তার পাশে থেকে ৫টা লাশ সরানো হয়েছে । তাহলে তাকে কেন সরানো হল না ?
7. রেশমা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছে ।একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে কেমন করে এটা সম্ভব ?
8. যেখানে ৭দিন পর প্রধানমন্ত্রী পর্যবেক্ষণ করতে যায় সেখানে কীভাবে খবর পাওয়া মাত্রই চলে গেল ?
9. রেশমা নাকি ভেতরে থাকা অবস্থায় গরমের জন্য নিজেই নিজের চুল কেটেছে ।তাহলে তার চুল এত সোজা হয় কীভাবে ?
10. মেডিকেল সাইন্স বলে কেউ যদি ৭২ঘন্টা অন্ধকারে থাকার পর আলোতে আসে তবে সে সাথে সাথে অন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু রেশমাকে তো আমরা ভালভাবেই এদিক ওদিক তাকাতে দেখলাম ।
11. ঐ আর্মি বলেছে তার আত্নীয় স্বজন ধ্বংশস্তুপের আশেপাশেই ছিল কিন্তু রেশমা সময় টিভির কাছে বলেছে সে হাসপাতালে তার মামির কাছে ফোন করেছে ।এতবড় ঘটনা আর তার আত্নীয়রা সাভারে থেকেও খোজ পেল না ?
12. আশ্চর্যের বিষয় হল যে দেশে তাকবীর দিলে পুলিশ ধরে সে দেশে সেনাবাহিনীরা রেশমাকে উদ্ধার করার সময় তাকবীর দিচ্ছিল ।
13. এছাড়া মুন্নি সাহার কথা শুনেই তো বুঝা যায় রেশমার অবস্থা ১৭দিন পরও কেমন ছিল । এখান থেকে বলা যায় রেশমা ১৭দিন
আটকে ছিল না ।তাকে ধ্বংশ স্তুপের মধ্যে গতকাল রাতে বা আজ সকালে ঢুকে দেওয়া হয়েছিল ।
মুন্নির প্রশ্নগুলো ছিল -
১/ উনি এতদিন পর কিভাবে বেচে আছেন?
২/ উনাকে এত ফ্রেশ লাগছে কেন?
৩/ ১৭ দিন কোন খাবার ছাড়া কিভাবে বেচে থাকতে পারেন?
৪/ যখন সেনাবাহিনীর একজন বলল তার কাছে কিছু শুকনো খাবার ছিল উনার কাছে খাবার কোত্থেকে আসল?
৫/ উনার জামা কাপড় গুলো এরকম নতুন মনে হচ্ছে কোন ময়লা নেই কেন? সূত্র আবু আশরাফের ব্লগ
বিষয়: বিবিধ
৪৩৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন