হেফাজতের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেওয়ার জন্যই মেরে ফেলা হল হতভাগ্যদের।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ২৬ এপ্রিল, ২০১৩, ০২:১৬:৩৩ রাত
সাভার এনাম মেডিক্যাল হাসপাতালের গেইটে হতাশ চোখে তাকিয়ে ছিলেন বৃদ্ধ স্কুল শিক্ষক আবদুল মতিন। তার সাথে কথা বলতে চাইলে বললেন, দুই ভাতিজী চাপা পড়েছে ধ্বংসস্তূপে। আগামীকালের নারী মহাসমাবেশে যোগদানের বিষয়ে মিটিং চলছিল এই ভবনে। ২৭ তারিখ হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিরোধী নারী মহাসমাবেশে যোগদিতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে তাদের আনা হবে বলে শুনেছিল তার ভাতিজীরা। চাচাকে বলেছিল, আমরা ইসলামের শত্রু হতে চাই না। আল্লাহ রাসূলের (সা.) বিপক্ষে যেতে চাই না। আমরা পর্দার সাথে, মান সম্ভ্রম নিয়ে কাজ করে খেতে চাই। হেফাজতে ইসলামের কথা শুনেছি, তারা নারীদের চাকুরি করতে দিবে না বলে আমাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু আমরা পেপারে পড়ে বুঝেছি, তারা আমাদের চাকুরি বা শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। তারা চায়, ধর্ষণ, ব্যভিচার ও চরিত্রহীন অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে। এটা তো খারাপ না। তাছাড়া, এ দেশের স্কুল কলেজ কোচিং সেন্টারে ছাত্রীদেরকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। গার্মেন্টসগুলোতে মালিক, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ঊর্ধ্বতন পুরুষ সহকর্মীদের হাতে নারী কর্মীদের নানামুখী নির্যাতন তো চলছেই। এ জন্য নারীসমাজ বরং হেফাজতের আশ্রয় নিতে পারে। আমরা নাস্তিক মুরতাদদের পক্ষ নিয়ে ইসলামী বিধানের নিন্দা করতে পারি না। এতসব কথা জানা ও বোঝা আমার ভাতিজীরা কি এভাবেই মারা পড়বে?
ঢাকা-মানিকগঞ্জ মহাসড়কের পাশে শশা বিক্রেতা রবিউল বলেন, এটা আল্লাহর গজব। আলেমদের বিরুদ্ধে গার্মেন্টসের মহিলাদের রাজপথে নামানোর মিটিং হয়েছিল বলেই আল্লাহর গজব নামছে। এই মালিকেরই আরেকটি ভবন রানা টাওয়ারেও আজ ফাটল দেখা দিয়েছে। বাটার শো-রুম খালি করছে বাটা কোম্পানি। ভাড়াটিয়ারা মালপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। এটা আল্লাহর গজব না তো কী? একই সাথে একজন লোকের দু’টি বিল্ডিং ধ্বংস হয় না কি? তাছাড়া, একটা থেকে আরেকটার দূরত্বও তো ২০০গজের কম নয়। রবিউলের সাথে তাল মেলালেন তার দোকানের আশপাশের আরো ২০/২২ জন নারী-পুরুষ।Click this link
বিষয়: বিবিধ
২০১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন