আমাদের আল্লাহ এভাবেই দীন হেফাজত করেন।
লিখেছেন লিখেছেন তায়িফ ২৫ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:২৪:৩৫ দুপুর
সরকারের পরিকল্পনা ছিল পোশাক কারখানার নারী শ্রমিকদের দিয়ে আল্লাহ ও তার দীনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করাবে। এজন্য বিজিএমই এর সাথে তাদের কথাবার্তা ফাইনাল ছিল। কিন্তু বিধি বাম।সাভারে তাদের একজন দলীয় নেতা নিরিহ হাজার হাজার শ্রমিকদের ডেকে এনে মেরে ফেললেন। মখা অলরেডি বলেছেন এটা বিরোধী দলের কাজ। আর শ্রীঘ্রই হয়ত অন্য কোন মন্ত্রী বলবেন এটা যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করার জন্য জামাত শিবির করেছে। উক্ত দালানের সকল ব্যংক বীমা, দোকান পাট বন্ধ করে দেয়া হল কিন্তু পোশাক কারখানা খোলা রেখে লাঠি দেখিয়ে জোর করে প্রোশাক শ্রমিকদের ঢুকিয়ে মেরে ফেলেছে সরকারী লোকজন। তারা ভেবেছে প্রোশাকশ্রমিকদের জীবন বাংলালিংক দামের।এদেরকে মারলে এরা কিচুই করতে পারবে না। আর আপাত সরাকার বিরোধী আন্দোলন থেকে মানুষে মনযোগ ফিরিয়ে আনা যাবে। সরকার অনেকটা সফল, বিরোধীদল প্রথমে সাভার পরে ঢাকা, পরে সারাদেশ থেকে হরতাল প্রত্যাহার করেছে। সাভার ও ঢাকার হরতাল প্রত্যাহারের জন্য বিরোধীদলকে সাধুবাদ জানাই।কিন্তু সারাদেশে প্রত্যাহার না করে চট্রগ্রাম ফ্লাইওভার, তানজিন গার্মেন্টসসহ সকল হত্যাকারী অপরাধীর ফাসির দাবিতে লাগাতার হরতাল ঘোষনা করা উচিত ছিল। বিরোধীদল না করলেও পোশাক শ্রমিকরা ঠিকই রাস্তায় নেমে অবরোধ সৃষ্টি করেছে।অথচ এদেরকে সরকার ইসলামের বিরোদ্ধে লেলিয়ে দিতে চেয়েছিল ।কিন্তু আল্লাহ তাদেরকে দিয়ে সরকারের বিরোদ্ধে আন্দোলন করাচ্ছেন।
এর আগে নাস্তিকরা ব্লগে ফেবুতে আল্লাহ, রাসূল ও ইসলামের বিরোদ্ধে জগন্য আক্রমনাত্বক লিখা লিখেছে। কেউ জানত না এরা কোথায় থাকে কোথায় লগিন করে , তাদের আসল নাম কি । শুধু নাস্তিক জানা, অসিফ. মজুমদার. পিয়ালসহ চারপাচটাকে লোকজন চিনত। কিন্তু আল্লাহ সবকটাকে শাহবাগে একসাথে করে আমাদেরকে দেখিয়ে দিলেন এরাই ইসলামের শ্রত্রু। আর আল্লাহর খলিফা হিসাবে আমাদের দায়িত্ব এদের ফাসি দেয়া।
আওয়ামেলীগ নাস্তিকদের বিচার করবে না।বরং এভাবে একের পর এক গণহত্যা চালিয়ে দেশটাকে শেষ করে দেবে। ভাবছেন বিএনপি এসে দেশকে স্বর্ণযোগে নিয়ে যাবে! না আপনাদের ভাবনা একদম ঠিক না। ৭ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে তাদের অনেক ক্ষুধা ভেটে। আপনারা কি ২০০১ . ১৯৯১ সালের কথা ভুলে গেছেন! ১৯৯১ সালে জামাতের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেই জামাত নেতা ভাষা সৈনিক গোলাম আজমকে কারাগারে নিক্ষেপ করে। তখন আদালন আজকের মত পরাধীন ছিল না বলেই অনেক চেষ্টা করেও ভাষা সৈনিকে বিএনপি ফাসি দিতে পারে নি।বেটার টিভির স্বায়ত্ব শাসন নিয়ে বেঈমানী করেছে
২০০১ ক্ষমতায় এসেছিল দূর্নীতি বন্ধ করতে কিন্তু জাতিকে তিনবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। বন্যাত্বদের টিন পর্যন্ত খেয়ে ফেলেছে।
জামাত, আইওজে, ইশা, মজলিস, জাপা সহ সকল ইসলামী ও সমমনা দল অনুরোধ করলে হয়ত আহমেদ শফি দা. বা. রাজনীতি আসতে পারেন। সবাই মিলে তার নেতৃত্বে দেশটাকে কি আওয়ামেলীগ বিএনপি কবল থেকে উদ্ধার করতে পারি না। সুখী সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারি না?
বিষয়: বিবিধ
১৭০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন