সাহাবীগণকে কাফির মনে করেও ক্ষান্ত হয়নি শিয়ারা, ভেংগেছে আমাদের বিশ্বাসের মিনার
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ২০ নভেম্বর, ২০১৬, ০৭:১০:০৯ সকাল
আমার বাসায় কিছু উচ্চ শিক্ষিত এবং জ্ঞানী ভাইদের একবার দাওয়াত দেই। সেখানে একজন ছিলেন ইসলাম সম্পর্কে খুব অধ্যায়ন করা প্রাজ্ঞ মানুষ। খাওয়ার পর আড্ডাতে বাঁধে এক গন্ডগোল। ইসলাম সম্পর্কে অধ্যায়নকারী প্রাজ্ঞ ভাই টি উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা সিদ্দীকা ও আবূ হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমা নিয়ে মারাত্মক কটূক্তি শুরু করলেন। তিনি সাহাবীগণের বেশ কিছু ব্যক্তিত্বকে ইসলাম বিরোধী সাব্যস্ত করতে নানা গাল গল্পের অবতারণা করতে লাগলেন। এবং তাদের ব্যক্তিগত বিষয়াদি নিয়ে এমন ভাবে কথা বলা শুরু করলেন যে, আমি আমার সহ্যের বাঁধটাকে বালু দিয়ে বানায়ে রাগের বন্যায় নিমেষেই ভেংগে দিলাম। আর কোন যুক্তি ও গাল গল্পের তোয়াক্কা না করে ওখানেই আলোচনার দরোযা ধুড়ুম করে বন্ধ করে দিলাম।
এখান থেকে শুরু হয় আমার শিয়াদের নিয়ে গভীর অধ্যায়ন। মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় থাকতে শিয়াদের মৌলিক আক্বীদা-বিশ্বাস ও তাদের দর্শনের মূলভিত্তি নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা আমরা পড়েছি। কিন্তু ইসলামী সমাজে তাদের এই বিস্ফোরণ নিয়ে আমি কিছুই জানতাম না। এই প্রাজ্ঞ ভাইএর পদস্খলন আমাকে সেই জানার দরোযায় প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
মূলতঃ শিয়ারা সায়্যিদুনা আলী (রা) এর অনুসারী হলেও রাজনৈতিক মঞ্চে এদের অধিষ্ঠান হয় মূলতঃ মেইন স্টীম মুসলিমের বিপরীতে। উমাইয়া বংশের পতন ঘটিয়ে আব্বাসীয়দের ক্ষমতায় আনার পথ রচনা করতে ইসলামী যে সব শ্লোগান তাদের আমদানী করতে হয় তা ছিলোঃ আহলে বায়তের প্রাধান্য দেয়া। ইসলামি দুনিয়া জুলুম ও ইসলাম বিরোধিতায় ছেয়ে গেছে, একে আবার ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসা। ফিৎনার যে ভয়াবহতা তাতে ইমাম মাহদীর আগমন অবস্যম্ভাবী হয়ে গেছে বলে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তোলা। ফলে তার আগমনে স্বাগত বাহিনীর ক্ষেত্র প্রস্তুত করা।
এই শ্লোগান গুলো সবটাই ছিলো তদকালিন ইসলামী স্ম্রাজ্যের শাসকদের বিরোধিতার মূলমন্ত্র। সত্যি বলতে কি এই শ্লোগান গুলোই মুসলিম সাম্রাজ্যের পদমূলে আঘাত করে এবং আবু মুসলিম খোরাসানীর মত লোকদের সহযোগিতায়, আহলে বায়তগণের চেষ্টায় ও বানী আব্বাসীদের নেতৃত্বে উমাইয়্যাহ শাসন শেষ হয়।
আব্বাসীয়রা ভালোভাবেই বুঝতেন ইসলামের সর্বনাশ কোন সব দর্শনে সাধিত হতে পারে। ফলে তারা আবূ মুসলিমদের যেমন শেষ করে দেন, আহলে বায়তদের কেও সামনে আসতে বাঁধা দেন, এবং শিয়া চিন্তার বীজমন্ত্র ‘মাহদীবাদ’কে অংকুরেই শেষ করার চেষ্টা করেন, অথবা শেষ করে দেন পারস্য দর্শনএর তল্পীবাহক বারমাকীদের। কিন্তু ৩৫০ হিজরীর পরে মিশরে ফাতেমীদের সাথে তারা কুলিয়ে উঠতে পারিনি। ফলে শিয়া চিন্তা হয়ে ওঠে এক অনপনীয় কালিমা যা ইসলামের ললাটে আজ জ্বলজ্বল করে জলছে, এবং উম্মাতের বিভেদের এক মারাত্মক হেমিলিয়নী বাঁশি বেজেই চলছে।
শিয়ারা ইসলামী সমাজ ও সভ্যতায় বেশ কিছু ভয়াবহ চিন্তার বিষ ছড়িয়ে গেছে, যা আজো অনেকের মুখেও তার প্রতিধ্বনি শুনি, আর কেঁপে কেঁপে উঠি। তারা বলেছে এবং বিশ্বাস করিয়ে নিয়েছে যে প্রথম জেনারেশানের সাহাবীগণ আহলে বায়তের উপর জুলুম করেছে, তাদের সম্পত্তি ও শক্তি জবর দখলে নিয়েছে সাহাবাগণের অধিকাংশ। তারা আবূবকর উমার, উসমান সহ বড় বড় সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের শধু ইসলামের বিরোধী বলেই শেষ করেনি, তাদের কাফির দের চেয়েও মারাত্মক বলে অভিহিত করেছে এবং করে যাচ্ছে।
চিন্তার জগতে আয়েশা সিদ্দীক্বা, আবু হুরায়রা এর মত যে সব সাহাবী (রা) বড় বড় ভূমিকা পালন করেছেন তাদের কে শুধু বিতর্কিত করেই তারা ক্ষান্ত হয়না, এদের ব্যক্তিগত জীবনে জঘন্য ও ঘৃণিত হিসেবে তুলে ধরে। শিয়া গ্রন্থে আম্মা আয়েশা সিদ্দীকা (রা)কে যা দেখানো হয়েছে, সালমান রুশদী তার ছিটেফোটাও আলোচনা করেনি। আবূ হুরায়রাকে একজন অজ্ঞাত কূলশীল বলেই তারা শেষ করেনি, একজন চোর বাটপার বলেও তাঁকে চিত্রিত করেছে ওরা। আপনি এই সব সাহাবার (রা) হাদীস গুলো বাদ দিলে কুরআনের ব্যাখ্যা করার সময় আর কাওকে পাবেন না।
তারা মনে করে আহলে বায়তের অধীনে ইমামাতে উযমা বা রাস্ট্র ব্যবস্থা কায়িম করা সবচেয়ে বড় ফরদ্ব। এখান থেকেই এসেছে মুসলিম দেশেও মন মত ভালো লোকদের ক্ষমতায় আনতে ইসলামী দল গঠনের প্রক্রিয়া। এদেরই হাতে গড়ে ওঠে ইসলামী রাস্ট্রকাঠামোর ভেতরে আরেকটা রাস্ট্র কাঠামো। স্টেইট উইথিন দা স্টেইটের ধারণা। যা আসলে ইসলামী সাম্রাজ্য বা মুসলিম দেশকে খুব দূর্বল করে দেয়। দেশ চলবে দেশের আইনে, আর ওদের দলীয় লোকেরা চলবে ওদের আমীর বা দলনেতাদের হাতে বাইয়াত করে। ইসলামি দেশে এটা ছিলো ইসলামী বাইয়াতের সম্পূর্ণ বিরোধী চেতনার। খাওয়ারেজরা রাস্ট্রোদ্রোহী হয়ে ইসলামী রাস্ট্র ব্যবস্থা যেমন দুর্বল হয়েছে, এই ঘাপটি মারা তাককিয়্যার অনুসারীরাও শেষ করেছে ভেতরে থেকেই।
‘উলিল আমর’ বা শাসন ও সমাজনেতৃত্ব তৈরীতে ইসলাম সব সময় জ্ঞান, তাক্বওয়া, ইজতিহাদ ও ইহসানের মানদন্ডে উত্তীর্ণ যে কাওকে মেনে নিতে বলে। নাক কান কাটা হাবশী, কোন বড় লোকের কেনা গোলাম, কারো বাড়ীর কর্মচারী এখানে সমান মর্যদা পায়। এখানে ইবনে মাসঊদ, বেলাল, সালেম, সুহায়ব দাস হলেও উলুল আমর হিসেবে নবীর (সা) যুগ থেকেও স্বীকৃত হয়ে এসেছেন। কিন্তু শিয়ারাই হলো প্রথম দল, যারা নবীর (স) বংশধর কেই কেবল ইসলামের ব্যখ্যাতা বা ইসলামের শাসন ক্ষমতার উপযুক্ত বলে মনে করেছে। ফলে খেলাফত থেকে শুরু করে এরা আহলে বায়তের বাইরে কাওকে দেখতে চায়না, কারো কথা শুনতে চায়না। ইসলামের এই রক্তীয় ধারার সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়েছে এখানে বিশাল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে শুধু নগন্য মনে করেই বসে থাকেনি ওরা, বরং সবকিছুতে এই আহলে বায়তের সীল নিয়ে ইসলামকে মারাত্মক খাদে ফেলে দিয়েছে।
প্রতিটি সুফী রাস্তাতে আহলে বায়তের সিলসিলা লাগিয়ে ঐ পথের বাইরে হক নেই বলে মনে করা হয়েছে। এই জন্য দেখবেন যত সূফী তারীকা আছে তার প্রতিটিতে আলী (রা) পর্যন্ত নিতেই হবে। ওখানে আবু বকর উমার উসমান (রা) দের কোন স্থান নেই। সমাজ জীবনেও ব্রাম্মণ্যবাদের মত মুসলমানদের শ্রেনী বিভাজন করে আহলে বায়তকে কাজে লাগানো হয়েছে। সৈয়দ বংশ ও তাদের পাশের বংশরাই হত মুসলিম সমাজের কান্ডারী।
আহলেবায়ত দের চিন্তা দর্শনকে তারা এতটাই প্রাধান্য দিয়েছে যে কুরআন ও তাদের দৃষ্টিতে আহলে বায়তের হাতেরটাই আসল। তারা মনে করে বাকী গুলোর মৌলিকতা যাচাই করতে হবে আহলে বায়তের নিজস্ব ব্যাখ্যায়। এইজন্য যে সব সহীহ হাদীস কুরআন এর ব্যাখ্যা করে, তা সবই তাদের মতে দূর্বল। আর তাদের সনদে যেহেতু আহলে বায়তের কেও না কেও আছে, কাজেই তা কুরআনের মতই অকাট্য। আর দুঃখের কথা হলো ঐ সব তথা কথিত হাদীস গুলো হলো ইসলামের জন্য এখন বিপদ।
ইতিহাস, সংগীত, বিজ্ঞান চর্চা ও দর্শন ইত্যাদিতে আহলে বায়তের লোকেরা পারদর্শিতা নিয়ে আসেন, এবং শিয়ারা এতে এগিয়ে থাকতে শুরু করে তৃতীয় ও চতুর্থ হিজরী শতকে। ফলে ইসলামের বেশ কিছু ব্যাখ্যা ও জ্ঞান বিজ্ঞানের বেশ কিছু শাখা তারা এমন ভাবে বিষময় করে দেয় যে, আজো এগুলো মুসলিম সভ্যতার ‘গার্বেজ’ হিসেবে পরিগনিত হয়। ইস্ফাহানীর আগানী বা ‘সংগীত সমূহ’, শিয়া উলামাদের হাদীস গ্রন্থ সমূহ, দার্শনিক দের গ্রন্থরাজি তা সে ‘ রাসাইল ইখওয়ানুস সাফা’ হলেও ইসলামের মারাত্মক ক্ষতি করে। শিয়ারা খুব সন্তর্পনে তাদের দর্শন গুলো এখানে ঢুকায়ে গেছে। আমি সায়্যিদুনা উসমান ও সায়্যিদুনা মুয়াওয়িয়া (রা) সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে ইমাম তাবারীর কিছু তথ্য দেখে তাজ্জব হয়ে গেছি। হিসেব করে মিলাতে পারতাম না। পরে গবেষণা করতে যেয়ে দেখতে পাই ইমাম তাবারীর রেফারেন্সে বেশ কিছু শিয়া বর্ণনাকারী আছেন। আহলুস সুন্নার এত বড় একজন ইমামের গ্রন্থেও ঐসব বিষ কিভাবে ঢুকেছে তা বিস্ময়ের উদ্রেক করে বৈকি!!
প্রতিটি শিরক, বিদআত ও খুরাফাত তথা ইসলামের নামে চলা গাল গল্পের মূল হয়ে গেছে এই গোষ্ঠিই। ইসলামি অবতারবাদ, সর্বেশ্বরবাদ বা অধুনা কালের আহ্লুল কুরআন গোষ্ঠির মূল চালিকা শক্তিই হলো এই দলের মারাত্মক কাজ। আহলুল কুরআন নামে যে মারাত্মক বিভ্রান্ত দল এখন সারা মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের উৎস হলো এই শিয়ারা। আমি এই লেখার প্রথমে যে প্রাজ্ঞভাই এর উদাহরণ দিয়েছি তিনি মূলত আহলুল কুরআন। আমি তার সকল চিন্তা শিয়াদের সাথেই ১০০% মিল পেয়েছি।
বিষয়: বিবিধ
২১৪২ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মডারেট ইসলামিক মুভমেন্ট বা গণতান্ত্রিক ইসলামী দল কনসেপ্টটাও এর দ্বারা প্রভাবিত মতবাদ। আবার অনেকে ইসলামিক নানান অনুষঙ্গ শিয়া মতবাদ এর মাঝে পাওয়ায় বিভ্রান্ত হয়ে ইসলামের মূল বিশ্বাসের উপরেও আঁঘাত করে ফেলেছেন, যেমন আল্লামা ইকবাল ইমাম মাহদি (আঃ) এর প্রত্যাবর্তনকে অস্বীকার করে বসেছেন, ঈসা (আঃ), দাজ্জাল ইত্যাদির ব্যাপারে এমন কিছু কথা বলে ফেলেছেন যা ইসলামি বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। ইবনে খালদুনও ইমাম মাহদি (আঃ) কে শিয়াদের বানানো মতবাদ ভাবতেন। আল্লাহ তাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন। সুন্দর লেখা জাঝাক আল্লাহ
হৃদ্ধয় ছুঁয়ে যাওয়া লেখা।
আমি ওদের শিয়া বিপ্লব দেখার জন্য ইরানের
বিভিন্ন সিটি ও কোমে গিয়েছিলাম, যেখান থেকে আয়াতুল্লা মোল্লা তৈরী হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে। শিয়ারা সবাই শির্ক ও কুফরীর সাথে জড়িত।
বিজ্ঞ বড় ভাইয়ের কাছে আরও নিরেপক্ষতা আশা করি। মধ্যপ্রাচ্যের পশ্চিমা ও যায়ন দালাল রাজাদের ভঙ্গিতে বক্তব্য নয়, আপনার কাছে উম্মাহর একতা ও ঐক্যের বক্তব্য আশা করি।
***চির দুখী বলদ জাত***
হাসান বিন নজরুল
তুমি বিভেদ করে চলো
শিয়া সুন্নি কুর্দি,
ওরা চালায় কমন রোলার
ঢেকে যায়ন উর্দি।
গর্ব করে মুখে আনো
শত কোটি মুসলমান,
বাস্তবে সব হরেক রকম;
ঐক্য ভেঙ্গে খান খান।
সবার মাঝে কমন খাবার
তাজা গরুর গোস্ত,
কিন্তু সবাই বায়াস করে
গালি দিয়ে মস্ত।
তুই শিয়া কাফের হ্যায়-
সুন্নি এতে ঢোল বাজায়;
তুই সুন্নি আকিদা-হীন;
এতেই শিয়া বাজায় বীণ।
মরা মারাই রোজকে রোজ
তোমার আমার রুটিন,
তাইতো সুখে মোদের মারে
ওবামা-পুতিন।
ওরা খুবই এলার্ট থাকে
দ্বীনের গন্ধ পেলে,
তুমি আমি গৃহ যুদ্ধে
নিত্য মরি জ্বলে।
চিরকালই বলদ রইবে?
বলদ খাওয়া মুসলমান!
এমনি ধারায় কেমনে পাবে?
সোনালী ওই মান ও শান!
তোরা নিত্য লুটিয়ে চলিস-
একে আরের ধর;
তাইতো আজরাইল খুবই বিজি
মররে তোরা মর।
এই মরণে লাভ কিরে ভাই?
রহিম মারে রহমান!
এভাবে কি চলবে সবাই?
দুঃখ তবে থাক বহমান।
২৭.০৬.১৪
আপনারা তো লাথি উষ্ঠা খাওয়াদের দলে, যারা প্রতিরোধ করার সাহস, শক্তি ও সামর্থ রাখে তাদের ব্যাপারে জেলাসি থাকবেই। সাইকট-পিকট চুক্তির উত্তরাধীকারী এজিদের গুনগান গাওয়া তেল বেচা ধনী রাজাদের পক্ষে বলতেই থাকুন আপনাদের তথাকথিত ঈমান শক্ত হবে।
উম্মাহর এ টু জেড যখন অলমোস্ট ১০০% বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন আংগিকের, জেনে শুনে কিংবা বুঝে না বুঝে শির্ক এ ডুবে হাবুডুবু খাচ্ছে, ঘরে বাহিরে সর্বত্র নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে, চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে, হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে দিকভ্রান্ত পথহারা মানুষের ন্যায় যার তার হয়ে এই সেই নামের আবরনে কাজ করছে, স্যানিটি শূন্য হয়ে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তার উপর যখন এই উম্মাহর রক্ত ও মাংস দিয়ে হাজার হাজার মুশরিক ও আল্লাহর শত্রুরা হায়েনা ও শুকনের ন্যায় সকাল বিকাল সন্ধ্যায় উদর ভরছে - তখন উম্মাহর এ সব বিভক্তি সামনে এনে গনমানুষকে এমন পাবলিক পোর্টালে তোপ দাগাবার জন্য রসদ যোগালে - কিভাবে ইসলামের কিংবা মুসলমানের খেদমত করা হবে - আমার মাথায় সত্যিই আসছেনা।
আমি সত্যিই দুঃখিত।
ইসলামের শুরু থেকে মুসলমানদের যত ক্ষতি শিয়ারা করেছে, এত ক্ষতি কোন ইহুদি খৃষ্টান দ্বারা হয়নি।
Click this link
এই লিংকের ভিডিও থেকে শিয়াদের সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।
সোবহানাল্লাহ্। আবু জান্নাত ভাই দয়া করে অমন একটা তুলনামূলক স্ট্যাটিস্টিক্স দিন।
এত বড় একটা কথা বললেন, এতটা এ্যাম্পাসিস দিয়ে - আমার মনে হলো যদি অমন বিশ্বাস আমি কিংবা আমার মত অর্ডিনারী মানুষরা পোষন করি - তবে না কেয়ামতের দিন - শিয়াদের প্রতি অনায্যভাবে ইনজাস্টিস করেছি বলে প্রশ্নবিদ্ধ হই।
আমি বুঝছি না কেন আমাদের মত গণ-মানুষকে, আপনাদের মত জ্ঞানী গুনি ঈমানদার মানুষরা - যে মানুষটি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ বলে, যে মানুষকে গত ১৪০০ বছর হজ্জ করতে বাধাঁ দেয়নি কেউ, যে মানুষকে কোন ইজমার আওতায় কাফের ঘোষনা করা হয়নি, যাকে তথাকথিত ও আই সি'র সদস্য বলেন তাকে শত্রুজ্ঞান করতে বলছেন? আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না।
সমস্ত শিয়া কাফের।।
আপনারা তো লাথি উষ্ঠা খাওয়াদের দলে, যারা প্রতিরোধ করার সাহস, শক্তি ও সামর্থ রাখে তাদের ব্যাপারে জেলাসি থাকবেই। সাইকট-পিকট চুক্তির উত্তরাধীকারী এজিদের গুনগান গাওয়া তেল বেচা ধনী রাজাদের পক্ষে বলতেই থাকুন আপনাদের তথাকথিত ঈমান শক্ত হবে।
কে কি বললো কিংবা কি ভাবলো সেটা বড় নয় - বড় হল কোরান ও হাদীস আমাদেরকে শিয়াদের কে নিয়ে কি বলতে বলছে, কি বলতে না করছে - সেটা প্রফাগেট করা - যদি তার খুব প্রয়োজন আপনি দেখেন আজকের এই সময়ে।
You are Shia, I believed.
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : সমস্ত শিয়া কাফের।
আর আল্লাহ বলেছেন, ''O you who believe, when you go out in the way of Allah, be careful, and do not say to the one who offers you the Salam (salutation), “You are not a believer” to seek stuff of the worldly life.--- (4:94)
আর আমাদের রাসুল সঃ বলেছেন,
In the hadith Ibn Umar related that the Holy Prophet said: If a Muslim calls another kafir, then if he is a kafir let it be so; otherwise, he [the caller] is himself a kafir.'' (Abu Dawud, Book of Sunna, edition published by Quran Mahal, Karachi, vol. iii, p. 484)
Abu Zarr রাঃ reported that the Holy Prophet said: No man accuses another man of being a sinner, or of being a kafir, but it reflects back on him if the other is not as he called him.'' (Bukhari, Book of Ethics; Book 78, ch. 44)
একজন মুসলিম ভাই হিসাবে আমি চাই আপনি আসতাগফির করুন এবং আপনার ধারনাটি ফিরিয়ে নিন। এ ব্যাপারে আল্লাহ ই সিদ্ধান্ত নিবেন। আমার ও আপনার সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন নেই।
আসসালামুআলাইকুম।
You did not know their cultures.
if you live in London, Please asked Dr Firoz Mahabbub Kamal.
He was in Iran
মন্তব্য করতে লগইন করুন