জান্নাতের টুকরায় জীবনের এক কঠিন বিকেল
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ৩০ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:২৪:৩৩ রাত
একবার মসজিদে নবওয়ীর জান্নাতের টুকরায় বসে কুরআন মুখস্ত করতে ছিলাম। পাশে বসা বিশাল পাগড়ি ধারী ও সুন্দর লিবাসের একজন ব্যক্তিত্বশীল শায়খ। আমাকে বললেন, তুমি কুরআন টা মনে মনে পড়। আমি বললামঃ শায়খ আপনি তো জোরে গান করছেন বলে আমাকে জোরে কুরআন পড়তে হচ্ছে। "কী, বেয়াদবের মত কথা বলছো। এটা কি গান"!! বললামঃ ওটা কি? "ক্বাসীদাতুল বুরদাহ! তিনি প্রায় চিৎকার করে বললেন, "মাওলায়া সাল্লি ও সাল্লিম দায়িমান আবাদান........." ।
আমি খুব তাজ্জব হলাম। বললামঃ শায়খ, ওটা কি কুরআনের চেয়েও দামী হলো?
এবার শায়খ রীতিমত ক্ষেপে গেলেন। বললেনঃ ওহ, সালাফী হয়ে গেছো। তাই বেয়াদবের মত কথা বলছো। এই ওহাবীরা ক্ষমতায় না আসলে এখানে তোমাদের মত ছোট লোকেরা আসতে আমাদের অনুমতি নিতে হত।
আমি ম্রীয়মান হয়ে গেলাম। বললাম, শায়খ আপনি কোন দেশের, আপনার পরিচয় টা বলবেন? খুব আদব কায়দা দিয়ে বললাম বলে তিনি এবার গম্ভীর হলেন। বললেনঃ ইয়েমেন, আমরা আল রাসূল (স), মানে রাসূলের বংশধর। হুথীদের সম্পর্কে জানো?
আমি মাথা কাত করলাম। বললাম, অহ, বুঝেছি.........
বিষয়: বিবিধ
১৯৫১ বার পঠিত, ৩০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/63428#.VUGqxEirQhU
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/63124#.VUGriEirQhU
এখন তাদের পবিত্র মসজিদ গুলিতে প্রবেশ করার অধিকার আছে। কিন্ত তারা যদি ক্ষমতায় যান তবে সেটা বন্ধ করে দিবেন অন্যদের জন্য!
যথার্থ বলেছেন, সহমত, জাযাকাল্লাহ
ধন্যবাদ।
জান্নাতুল বাক্বীতে উন্মাদ এর মত আচরন করে অনেকে।
জাজাকাল্লাহ স্যার পোষ্ট এর জন্য।
প্রথম পর্যায় শিশুসুলভ অথচ আশ্চর্যের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, বড় বড় বিশ্ববিখ্যাত ডিগ্রিধারী নাস্তিকরা সে পর্যায়ে পড়ে যায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আপনার লেখায় উল্লেখিত বহু মুসলিম পরিচয় দানকারীরাও নির্ভুল জ্ঞানের অভাবে ধারনা-অনুমানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর তাই কুরআনের চেয়েও ক্কাসীদাতুল বুরদাহ্ বড় হয়ে দেখা দিয়েছে তার নিকট। তদ্রূপ রয়েছে পীর-মুরিদীসহ পৃথিবীর সকল মুশরিকরা।
তৃতীয় পর্যায় হলো সঠিক পন্থা। যার মাধ্যমে স্বয়ং স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টি ও সেসবের গুণাগুণ, মানুষের সাথে সম্পর্ক ইত্যাদির জ্ঞান নবী-রাসূল গণের মাধ্যমে আমাদের জন্য পাঠিয়েছেন। যেখানে ইন্দ্রিয়ও এক ধরনের 'কর্মচারী', ধারণা-অনুমানের ভিত্তি নেই; ওহীর জ্ঞানই চূড়ান্ত ও নির্ভুল মানদণ্ড।
মন্তব্য করতে লগইন করুন