ইসলামপন্থীদের ঐক্য হতেই হবে, বাঁধা হলো দেওবন্দী, সালাফি ও জামআতি এটিচিউড

লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ৩১ মার্চ, ২০১৫, ০৯:২৩:৩৫ রাত

বাংলাদেশের ইসলাম ও স্বাধীনতার জন্য এখন দেখা যাচ্ছে ইসলামপন্থীরাই একমাত্র শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হতে যাচ্ছে।

কিন্তু এই শক্তির অনৈক্যের জন্য কয়েকটি মোর্চা আজ দ্রুততার সাথে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। সবচেয়ে মারাত্মক মোর্চাটা হলো ফার লেফট, তথা নাস্তিক বাম। জড়ো হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব বিরোধী ভারতপন্থী মোর্চা। সংঘবদ্ধ হয়েছে ইসলাম বিরোধী কিছু অন্য ধর্মাবলম্বি কিংবা ইসলামপন্থীদের কিছু ভ্রান্ত দল।

যারা আজ মেইন স্টীম ইসলামপন্থী তাদের মধ্যে একদল হলো দেওবন্দের মুখপাত্র বা তাদের অনুসারী। এরা জনগনের খুব কাছা কাছি, এবং সার্বিক ভাবে ইসলামের ব্যাপারে তারাই বড় বড় সিদ্ধান্ত গ্রহনে ভূমিকা রাখে। সত্যি বলতে কি, সরকার ও এদের কেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এদের অনেক কিছু সুন্দর, কিন্তু নিজদের কে ইসলামের এমন সোল এজেন্ট মনে করেন তারা, যে তাদের বা আকাবিরের মতের বাইরে কোন মত কে ইসলাম সম্মত মনে করেনা। অন্যদের আলিম তো মনে করেই না, তাদের থেকে ইসলাম সম্পর্কে কোন কিছু এলেই তার বিরোধিতা যেন শরিয়াতের একমাত্র কাজ মনে করা হয়।

দেওবন্দী মাসলাকের সম্পূর্ণ বিপরীতে সালাফি চিন্তা ধারা। শিরক ও বিদআত মুক্ত ইসলাম মেনে চলতে তাদের মত আর কোন মুসলিম দলকে আমি প্যারালাল হিসেবে চিন্তা করতে পারিনা। কিন্তু তাদের এটিচিউড হলো তাদের বাইরে যারাই মাযহাব মেনে চলে, কিংবা দেওবন্দের আক্বীদায় বিশ্বাস করে, অথবা তাসাউফ মেনে চলে, অথবা ইসলামি আন্দোলন করে তারা যেন সবাই ইসলামের গন্ডির বাইরে। আতিশুদ্ধ আমল তাদের কে এমন ভাবে গর্বিত বানিয়ে দিয়েছে যে, অন্য মুসলমানদের কোন আমল ই আর যেন ইসলামে নেই। ফলে অন্যদের সাথে মিশতে পারার যোগ্যতাই এরা যেন হারিয়ে ফেলেছে।

জামাআতে ইসলামি হাল জামানার ইসলামের রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের গর্বিত অংশিদার। এর আগে মুসলিম লীগ, নেযামে ইসলাম ইত্যাদী দল ইসলামী রাজনীতিতে সফলকাম হলেও এরা মনে করে ইসলামের সামগ্রিকতা কে তারা সার্থকতার সাথে দেশের কাছে পরিচিত করতে পেরেছে। ইসলামি ব্যংক এবং বিশাল ইসলামি সাহিত্যের ভান্ডার এদের হাতে বিকশিত হয়েছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের কে সার্থক ভাবেই দ্বীনি চেতনায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। আলিম সমাজ কে ইসলামি রাজনীতিতে শামিল করতে পেরেছে। মসজিদে মাদ্রাসায়, ঘরের দহলিজে এমনকি কোন একটা ফাঁকা যায়গা পেলেই এরা বসে যায় দ্বীন শেখার অভীপ্সা নিয়ে। দ্বীনী ইলম কে মানুষের দোরগড়ায় এমন ভাবে এনে দিয়েছে দল টি, যে আজ বাংলাদেশের সচেতন প্রতিটি নাগরিক তাদের কে ইসলামের রক্ষাকারি বড় শক্তি হিসাবে মেনে নিয়েছে। ইসলামের শত্রুরা তো এই দলকেই একমাত্র ইসলাম রক্ষাকারী দল হিসেবে মেনে নিয়ে তাকেই তাদের শত্রুতার টার্গেট বানিয়ে নিয়েছে। এমন কি ইসলাম বিরোধিদের বিরুদ্ধে যে কেও হুঙ্কার দিক, মানুষ তাকে জামাআতী বা জামাআতের এজেন্ট মনে করে। এদলটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ডেল্যুশান। তারা মনে করে এই দলটিই একমাত্র ইসলামি আন্দোলন, আর যারা আছে তারা সব ইসলামের দৃষ্টিতে অপূর্ণাংগ। এই ধারণাকে সবচেয়ে যিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি হলেন বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির নামকরা সিপাহসালার অধ্যাপক গোলাম আযম (র)। তিনি জামাআতের কাজ কে একমাত্র ইকামাতে দ্বীনের কাজ মনে করে অন্য সবার কাজ গুলো কে খিদমাতে দ্বীনের পর্যায় গন্য করেছেন। তার ইক্বমাতে দ্বীন বইটা যতদিন জামাআতের পাঠ্য সূচিতে থাকবে ততদিন জামাআত অন্যদের কে সমকাতারে ভাবতে পারবেই না।

উল্লিখিত তিনটি দলের এটিচিউডই আমাদের ইসলামি শক্তির ঐক্যের অন্তরায়।

দেওবন্দীরা তাদের মসজিদ মাদ্রাসা কিংবা দাওয়াতের ময়দানে সবাইকে এক করতে পেরেছিলো একসময়। সহীহ আক্বীদার একমাত্র ধারক হয়েও ইবনে তাইমিয়্যাহ ফাসিক নেতার আন্ডারে থেকে জিহাদ ও করতেন প্রতিনিয়ত। মাওদূদী সাহেব তো বলেই দিয়েছেন তাদের জামাআত 'আলজামাআত' নয়। পাকিস্থানের কাযী হুসাইন আহমাদ বলেছেন, তুমি যদি নামাজি হও, ইসলাম এর সঠিক জ্ঞান রাখো, এবং ইসলাম কে বিজয়ী শক্তি হিসাবে দেখতে চাও ও তার জন্য কাজ করতে চাও, তাহলে তুমি একজন জামাআতের রুকন। রুকন হতে আর কিছুই করা লাগবেনা।

এখন এই দেশের ইসলাম পন্থীদের এক হতেই হবে। এবং তার জন্য এই ইগো গুলো বাদ দিতে হবে। আর এই এটিচিউড গুলো ঠিক করে ফেলতেই হবে। যারাই এই কাজে এগিয়ে আসেবন, আল্লাহর বন্ধুত্বে তারাই সবার আগে।

বিষয়: বিবিধ

৩৩৩১ বার পঠিত, ৫৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

312105
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৩৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:০০
253112
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
312107
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৪৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
জাযাকাল্লাহ...

আপনাদের মত মানুষেরা এসব ব্যাপারে উচ্চকন্ঠ হলে আমাদের আশার প্রদীপটা যেন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে!

প্রত্যাশিত ঐক্যের জন্য বৃত্তের বাইরে থেকে মাঠেও কাজ দরকার-
কিন্তু সেটি যে কার/কাদের দ্বারা হবে আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!!
আমরা দূরে থেকে কলম চালাই, দোয়া করি
Praying Praying Praying Praying Praying
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২৬
253134
সালাম আজাদী লিখেছেন : ঠিক বলেছেন,সাইফের আব্বু। আমার কাছে মনে হয় কলমের ও বড় শক্তি আছে। আমি এই তিন শক্তির ব্যাপারে কথা বলেছি কারণ আমি দেওবন্দিদের সন্তান, সালাফীদের ঘরাণার, এবং জামাআতের পাশে থাকা মানুষ।
এই তিনের ঐক্য বাংলাদেশকে দিতে পারে কুরআনী সমাজের রূপালি রাত্রী, যার স্বপ্ন দেখে দেখে কৈশর, যৌবন ও প্রৌড়ত্বের সুন্দর সময় কাটিয়ে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি।
জাযাকাল্লাহু খায়রান
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:১৬
253219
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

সম্ভবতঃ ৯০এর দশকের কোন এক সংখ্যার ইনকিলাব উপসম্পাদকীয়তে জনাব মোবায়দুর রহমান লিখেছিলেন (সারাংশ)-
ইসলামপন্থীরা একমঞ্চে উঠে যদি কোন ঘোষণা দিতে পারে, জনগণ তাদের সকল শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে পাশে থাকবে এবং কোন অপশক্তিই আর বাংলাদেশে দাঁড়াতে পারবেনা!

পরিচিত মহলকে আপনার পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত পত্র লিখে কাজটিকে গতিশীল করার চেষ্টা করতে অনুরোধ রইল!
আল্লাহতায়ালা আপনাকে সুস্থ্যতার সাথে হায়াত দীর্ঘ করে দিন এবং আমাদের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা কবুল করুন, সাহায্য করুন! আমীন

312108
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৫১
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। খুব সুন্দর লিখেছেন। ভাল লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ। কয়েক দিন যাবৎ ভাবতেছিলাম ঠিক এ বিষয়েই লিখব। কিন্তু এই তিন চরমপন্থীদের রিয়েকশানের কথা ভেবে আর লেখা হয়নি। মনে হচ্ছে আমার মনের কথাগুলোই পেয়েগেলাম। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
বাস্তবে এই তিন শ্রেণীর মাঝে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব এতটাই বেশী যে মনে হয় কিয়ামতের পূর্বে একমত হওয়া সম্ভব নয়।
কুল্লু হিজবিম বিমা লাদাইহিম ফারিহুন।
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:১৮
253114
সালাম আজাদী লিখেছেন : আযহারী সাহেব, অনেক ধন্যবাদ। রিয়েকশানে আমরা পড়েগেছি। দেওবন্দিদের সন্তান হলেও আমাদের মনে করা হয় আমাদের আক্বীদা শেষ, সালাফিরা মনে করে আমরা শংকর। আর জামাআতের পক্ষ থেকে আমাদের মনে করা হচ্ছে আঁতেল। যে যাই ভাবুক আমরা সবার, সবাই আমার, আমরা এক হলেই আমার দেহটা এক থাকে। মন গুলোও হয়ে যায় এক।
আর কতদিন। দেশ বাঁচাতে সেক্যুলার রাও আমাদের বন্ধু হতে পারে, একসাথে আমরা বসতে পারি। তা হলে এক আল্লাহ, এক রাসূলে (স), এক কিতাব, এক কিবলাহ ও এক মিল্লাত বা উম্মাতের মানুষেরা আর কতদিন বিভক্ত হয়ে থাকবো।
আমাদের শিক্ষক আল্লামা ড: গিয়াস উদ্দীন রহহহিমাহুল্লাহ বলতেন, "আগে আমরা পড়তাম উমাইয়া, আব্বাসীয়, মুঘল বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম কারণ ছিলো অন্তর্দ্বন্দ ও আন্তকলোহ। সেই একই রোগ আজকের মুসলমানদের। তাদের সময় সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে। এখন পতন হচ্ছে উম্মাতের, খাদে পড়ে যাচ্ছে মুসলিম মিল্লাত।
০১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:০৫
253153
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : "কিন্তু এই তিন চরমপন্থীদের রিয়েকশানের কথা ভেবে আর লেখা হয়নি"।

তিনে চরম পন্থী!!!! আপনি কোন পন্থী??????? নরম পন্থী? চরম শব্দ উল্লেখ করে আপ্নিও কি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন না? @ মাসুম আযহারী
০১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:২০
253179
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : চরমপন্থা বলেতে যা বুঝাতে চেয়েছি তা হলো- আমি যা জানি বা বুঝি এটাই একমাত্র, কেবল মাত্র, শুধুমাত্র হক বা সত্য। আমার চিন্তা, আমার আদর্শই একমাত্র সঠিক। গোটা দুনিয়ার বাকীদেরগুলো ভ্রান্ত। সুতরাং সবাইকে আমার মত করে বুঝতে হবে, আমার দলেই থাকতে হবে- চরমপন্থা বলতে এমন মানসিকতাকেই বুঝিয়েছি।
অথচ ইমাম শাফেয়ীর মত জ্ঞানী ব্যক্তি বলতেন-
আমার মত সঠিক তবে ভুলও হতে পারে। অন্যের মত ভুল তবে সঠিক হতে পারে।
@গাজী সালাউদ্দিন ভাই
০১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:৪৬
253180
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমার প্রশ্নের জবা আপনি দেন নি! আপনি কোন পন্থি?

দ্বিতীয় আপনি তিনটি দল কে নির্দিষ্ট করে চরম পন্থী শব্দটি উল্লেখ করেছেন, অতএব তারা যদি আপনার ভাষ্যমতে চরম পন্থীই হয়ে থাকে, তাহলে কেমন করে ঐক্যের আশা আপনি করেন, যদি চরম পন্থী বলে তাদের ঐক্যের পথে আনার পরিবর্তে অনেক দূরে ঠেলে দেন।

অন্য দুইটার কথা আমি ভাল জানি না, কিন্তু জামাত কখন কার উপর নিজেদের আদর্শম কে চাপিয়ে দিয়েছে অথবা মানতে বাধ্য করেছে, একটু বলবেন?

জামাত যখন তাদের আদর্শকে সেরা বলতে চায়, তখন তারা সর্বাঙ্গীন ইসলামের কথা, যা আল্লাহ্‌র রাসূল, তাঁর সাহাবীগণ করে গেছেন, সেদিকে দৃষ্টিপাত করে, এবং বলে মিলিয়ে দেখুন, যদি আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সাহাবীদের ইসলাম পালনের সাথে আমাদের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে আপনি অপরাপর ইসলামী দল এবং জামাতি ইসলামের মাঝে তফাৎ করে যাকে ভাল মনে হয়য় তাঁর দলেই আসুন।

কিন্তু তারা কারো উপর নিজেদের আদর্শ চাপিয়ে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই! আপনার জানা থাকলে জানাবেন। @ মাসুম আযহারী।
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
253239
মোঃ মাসুম সরকার আযহারী লিখেছেন : কোন পন্থী হওয়াই(আপনার কথামত)যদি লাগে তাহলে ধরে নেন "ইসলামপন্থী":Thinking
@গাজী সালাউদ্দিন ভাই
312113
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৫৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ।
আমার মনে হয় এই সব দলের মধ্যেই অন্ধ ব্যাক্তি অনুসরন প্রবনতা এই সমস্যার মূলে।
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২৮
253135
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু ভাইজান। আসলে মুশকিল হলো আমরা বুঝতে পারছিনা সামান্য ইগোর কারণে কোন খাদে আমরা পড়ে গেছি
312120
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:০৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আযাদী ভাই। শিরোনাম দেখে আমিতো ভড়কে গিয়েছিলাম। এতদিন যাকে প্রিয় ও জ্ঞানী মানুষ হিসাবে জানতাম উনি আজ আমাদের এক বড় আঘাত দিতে যাচ্ছেন। পুরো পোষ্টটি পড়ে উপলদ্ধি করলাম, সত্যিই প্রয়োজনীয় ও প্রসংশনীয় একটি ব্যখ্যা দিয়েছেন।
যে তাদের বা আকাবিরের মতের বাইরে কোন মত কে ইসলাম সম্মত মনে করেনা। অন্যদের আলিম তো মনে করেই না, তাদের থেকে ইসলাম সম্পর্কে কোন কিছু এলেই তার বিরোধিতা যেন শরিয়াতের একমাত্র কাজ মনে করা হয়।

এই ব্যখ্যা সবার ক্ষেত্রে নয়, কিছু কিছু লোক অবশ্যই এমন আছেন, তবে বেশিরভাগ এমন নয়।
জাযাকাল্লাহ খাইর সুন্দর কলামটির জন্য।
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩১
253136
সালাম আজাদী লিখেছেন : জান্নাতের আব্বু, আসলে যা বলা হলো অন্যদের ক্ষেত্রে তাই স্বতসিদ্ধ নয়, আমাদের ওভারঅল এটিচিউড। তা না হলে এই দল গুলো এত কাছের, তথাপি এক হচ্ছে না কেন।
জাযাকাল্লাহু খায়রান। উম্মাতের যে জিনিষ গুলো আমাকে এই বুড়োবয়সে কাঁদায়, তার মধ্যে আমাদের অনৈক্য একটা বিশাল ক্ষত।
312125
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩১
স্বপন২ লিখেছেন : আপনার লেখা থেকে। নামকরা সিপাহসালার অধ্যাপক গোলাম আযম (র)। তিনি জামাআতের কাজ কে একমাত্র ইকামাতে দ্বীনের কাজ মনে করে অন্য সবার কাজ গুলো কে খিদমাতে দ্বীনের পর্যায় গন্য করেছেন। তার ইক্বমাতে দ্বীন বইটা যতদিন জামাআতের পাঠ্য সূচিতে থাকবে ততদিন জামাআত অন্যদের কে সমকাতারে ভাবতে পারবেই না। আপনার সলিশন টা কি? বইটা সেলেবাস থেকে বাদ দেওয়া। আমার কাছে সমস্যা আরো গভীরে মনে হয়ছে। আপনি এম,এন, হাসান ভাই এর জামাত রিসার্স পর্ব, পড়তে পারেন। এবং কে,এম, আমিনুল হক ভাইয়ের আমি আলবদর বলছি। এ দুটো বই পড়লে, হয়তো অভ্যান্তরের সমস্যা বুঝতে পারবেন। তারপরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ইসলামী বিপ্লবের ব্যার্থতা, রিসার্স করলেই, বুঝতে পারবেন। জাযাকাল্লাহ খাইর সুন্দর লেখার জন্য।
৩১ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৪৪
253138
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান। তারা দুইজনেই আমার পড়ার তালিকায় আছেন। আসলে গভীর সমস্যা। আপনিও কিছু তুলে ধরুন। সমস্যা কি উত্তরণের সব দরোযা বন্ধ? আলোকের কোন রেখা ই কে দিগন্তে দেখা যাবেনা? সবাইকে তো ভাংগা যাবেনা, ভংগুর এই নৌকো গুলো নিয়ে সমুদ্রে না যেতে পারি পদ্মা মেঘনা আর যমুনার স্রোতে একটু ভাসতে চেষ্টা করা আর কি। অনেক ধন্যবাদ ভাই
312138
০১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:০৫
যুথী লিখেছেন : আপনি কি বি এন পি শুরু করেছেন
০১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:০৮
253144
সালাম আজাদী লিখেছেন : বুঝলাম না
312141
০১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৪:১১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : লিখার শিরোনাম দেখেই চমকে উঠি, গোলাম মাওলা রনি'র লিখা নয়তো!!!!

পড়ছি আর হাসছিলাম! জামাতের বিরোধিতা না করলে ইর্ষণীয় শীর্ষস্থানটা ধরে রাখা যায় না! তাইতো অনেক কেই আমরা হঠাত রনি'র ভূমিকায় দেখি!!!!

সাইফ ভাইয়ের ভাষায় বলতে চাই, প্রত্যাশিত ঐক্যের জন্য বৃত্তের বাইরে থেকে মাঠেও কাজ দরকার।

প্রশ্ন জাগে মনে, কলম যুদ্ধ যেমন চলছে, মাঠের যুদ্ধটাও কি তেমন চলছে? দুটোর মধ্যে যে সমন্বয় করতে পারবে, সমালোনা তাকেই মানায়!
০১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৬:১৭
253172
সালাম আজাদী লিখেছেন : ভালো কাজ যা-ই হোক আল্লাহ নষ্ট হতে দেন না। ভালো কথা একটা গাছের মত, যার মূল খুব নীচে প্রথিত, শাখা প্রশাখ যার বিস্তীর্ণ হয় আকাশের পানে। সেই আশায় তো প্রয়াস চালাই। কী বলেন গাজী সাহেব?!
০১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:৪৯
253181
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : জী আপনি ঠিক বলেছেন। কথা দ্বারা মানুষ প্রভাবিত হয়, কাজের বাস্তবায়ন সবসময় হয়য় না, তাই কথার সাথে সাথে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজের পর্যবেক্ষণ ও করা চাই।
০১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:৫৮
253182
সালাম আজাদী লিখেছেন : গাজী সাহেবের জাযবার সাথে একমত। এক হয়ে কাজ করবার সুযোগ বের করতে হবে।
312154
০১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৮:৩৯
ছালসাবিল লিখেছেন : এরা ঐক্যবদ্ধ হলে রসুল (সা) এর ফিরকার হাদীস কি হবে ভাইয়া !!
ইসা (আ) এর সময় সকল মুসলিম এক হবে সে হাদীস কি হবে ভাইয়া!!
মাহদী এর সাথীরা এক হবে সেটার কি হবে ভাইয়া!!

আমি ছোটটট মানুষ যা বুঝি তাতে মনেহয় ধয্য ধরে দাত খিচিয়ে বসে থাকাই উত্তম কাজ Love Struck
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৪
253218
সালাম আজাদী লিখেছেন : ওহ, ঈসা (আ) ও মাহদি (আ) এর হাদীস গুলো কি এই যুগের জন্য প্রযোজ্য, কী করে বুঝলেন শেষ সময় এসে গেছে? কাজ করে যেতে হবে আমাদের, দাঁত খিঁচিয়ে বসে থাকার যুগ মুসলমানদের কোন সময় হয়নি আর হবে না। জাযাকাল্লাহু খায়রান
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৪৮
253230
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, অবশ্যই হাদীস বিভিন্ন যুগে মিলে যেতে পারে। তবে এখন যে ফেতনার যুগ সেটাতে আপনার অমত আছে বলে মনে হয় না Love Struck

হ্যাঁ চেষ্টা তো একসাথে থাকার কিনতু Rolling Eyes ? আকিদাতেই মূল প্রবলেম। Worried
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৫৭
253234
সালাম আজাদী লিখেছেন : ফিৎনার যুগ ছিলো না কোন সময়? ইসলামের ইতিহাসে নবী (সা) চলে যাওয়ার পর কোন যুগ টা ফিৎনা মূক্ত? যখন ই ভালো দেখা গেছে তখন ছিলো মুসলিমের সম্মিলিত প্রয়াস।
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
253257
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়া, এই দেখুন, Smug ইসলামি আকিদা ও ভ্রান্ত মতবাদ নামক একটি কিতাবের লিখক তিনি দেওবান্দি, Yawn তার লেখা কিতাবে তিনি ওহদাতুল ওযুদ কে ইসলামি আকিদা বানিয়েছেন। Time Out এখন বলুন এই রখম হলে কি ঐক্য সম্ভব!!


এরখম আকিদাযার তার সাথে ঐক্য করলে কি আল্লহা সত্যিই সাহয্য করবেন?? Day Dreaming
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:১৭
253261
সালাম আজাদী লিখেছেন : ভুল নেই কার? আর এই লোকটাই যে সমস্ত দেওবন্দীদের আক্বীদা পোষণ করে কি করে বুঝলেন। বাংলাদেশের মুফতি ফায়জুল্লাহ দেওবন্দী ঘরাণার আলিম ছিলেন, মদীনার শিক্ষকদের অনককে তার প্রশংসা করতে শুনেছি। কয়জন দেওবন্দী আলিম কে আপনি চেনেন? যার বই এর একটা পৃষ্ঠা ছাপিয়ে তাকে খারাপ বানাতে চাইলেন তার সবটাই কি আপনি পড়েছেন? সে কি আসলেই বিকৃত আক্বীদার? আসলে এই সব গুলো হলো এটিচিউড। মানে 'দেওবন্দীরা খারাপ আক্বীদার লোক' কেও একজন বলেছেন, অমনি তারা ইসলাম বিরোধী হয়ে গেছে-এইটাই হয় আমাদের এটিচিউড।
সৌদি আরব আমেরিকার বন্ধু, ইস্রাঈলের সাথে শান্তি স্থাপনে আগ্রহী, বাদশাহ আব্দুল আযীয ইংরেজ দের সাথে যোগ সাজশ করে তুর্কির খেলাফত ভেংগে ছিলেন। এই সব বলে যেমন কেও কেও তাদের কে ইসলামের দুশমন মনে করে, দুই একটা বই এর লেখা দিয়ে প্রমান করা হয় কোন দল বা গোষ্ঠি খারাপ। এইটা কে আমি ডেলুশান বা এটিচিউড বলেছি। এই সব গুলো বাদ দেয়া দরকার।
০১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৪
253279
ছালসাবিল লিখেছেন : ভাইয়, আমি আপনাকে রাগাতে চাইনি। Day Dreaming আমি আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। Love Struck আপনি দয়া করে নেট থেকে বইটি ডাউনলোড করে পড়বেন। Angel তার পরে আপনার যা মোনেচায় তাই বলবেন।
পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩
আমি পুরো বইটি পড়েছি ভাইয়া। Day Dreaming আর আমি সবাইকে ভালোবাসি তবে খারাপ টি থেকে বিরত থাকি।
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২৯
253448
সালাম আজাদী লিখেছেন : বইটা আমি আগে দেখিনি, পড়বো ইনশাআল্লাহ। তবে ঐক্যের জন্য এগুলো কোন বিষয় না। ঐক্য হতেই হবে, তা না হলে আমাদের দেশ এই ভাবে সাফার করবে। অনেক বই আমাদেরকে বিভক্ত করে ফেলছে, হতে পারে এই বই ও তার মধ্যে একটি। দেওবন্দীদের কাছে আমি শিক্ষা লাভ করেছি। যাদের কাছে পড়েছি তাদের আক্বীদার ব্যাপারে কোন সমস্যা আমি পাইনি। জাযাকাল্লাহু খায়রান সালসাবিল ভাই
১০
312247
০১ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৪
egypt12 লিখেছেন : আপনার ধারণার সাথে একমত পোষণ করলাম। ইসলামী শক্তি সমূহের ঐক্য খুবই জরুরী এটা ছাড়া বিজয় অসম্ভব।
০১ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
253300
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান। আসলেই তাই। কিন্তু এখন ব্যাপারটা দাঁড়ায়েছে এমন যে, যারা ঐক্যের কথা বলে তারাই যেন খারাপ কাজ করতেছে, আর যারা ঐক্য ভাংগার কাজ করতেছে তারাই শ্রেষ্ঠ শায়খ, কত ভক্ত তাদের!! আমি এই আর্টিকেল টা লেখার পরে দেখলাম কিছু ভাই আমার এক ছাত্রের কিছু লেখা পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এবং এমন ভাবে কথা বলেছেন যেন আমি গো-মূর্খ। ভাব টা এমন, বিভক্তির কথা বলতে পারাটাই এখন বড় যোগ্যতার ব্যাপার।
জাযাকাল্লাহু খায়রান, আখী।
আপনাকে অনেক দিন দেখিনা ব্লগ পাড়ায়
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
253432
egypt12 লিখেছেন : আমি ঐক্যের পক্ষে বিভক্তির বিপক্ষে। চাকরীতে কিছুটা ব্যস্ত থাকায় কম আসছি ব্লগে।

পরসমাচার- আপনার ফেসবুক আইডি থেকে কি আমাকে ব্লক করেছেন?
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৪
253441
সালাম আজাদী লিখেছেন : না তো। ফেইস বুক কে পেইজ করতে যেয়ে কি হয়েছে বুঝলাম না। কোন এক্টিভিটি করা যায়না।
০২ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:১৪
253486
egypt12 লিখেছেন : হুম তাহলে এটাই ব্যাপার Tongue
১১
312257
০১ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। আপনার অসাধারণ লিখাটি পড়ে দারুণ ভালো লাগলো।
সময়োপযোগী একটি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন শক্তিশালী লিখা নিঃসন্দেহে।

জাজাকাল্লাহু খাইর।
০১ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
253301
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকিল্লাহু খায়রান। যদিও ভাষা টা আপনার তুলনায় অনেক দূর্বল। আপনার লেখায় সাহিত্য থাকে, আলহামদুলিল্লাহ!
১২
312373
০২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:১৬
কাহাফ লিখেছেন :
বিবেক বর্জিত চরম আবেগী মনোভাব ফলপ্রসু হয় না কখনই! উল্লখিত তিনদলের অবস্হাই এমন অঢিকাংশ ক্ষেত্রে!
সুন্দর চিন্তাময় উপস্হাপনা ভালো লাগল!
আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সুদৃড় করে দিন!!
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৫
253442
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান। ভালো লাগলো মন্তব্যটা
১৩
312385
০২ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৯:২৭
আল সাঈদ লিখেছেন : বর্তমান সময়ের দাবী এটা। আর আপনার সুন্দর লিখায় তাই শতভাগ প্রকাশ পেয়েছে। অনেক দিন মন্তব্য করিনি কিন্তু ঐক্যের কথা শুনে থেমে থাকতে পারলাম না। ঐক্যই মুসলিমদের আল্লাহর সান্নিধ্য পাইয়ে দিতে পারে। খুব ভালো লাগলো।
০২ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৭
253443
সালাম আজাদী লিখেছেন : ঐক্যের জন্য অনেক ছাড় দিতে হয়, আমাদের মুমিন ভাইরা তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনড়। এভাবে কি আর ঐক্য হয়? মাঝ খান দিয়ে দেশ হতে ইসলাম গেলো গেলো ভাব
১৪
313470
০৭ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:২২
সাদাচোখে লিখেছেন : মুসলিম উম্মাহর ঐক্য - তা সে বাংলাদেশ এ হোক কিংবা বিশ্বময় - কে না চাইবে। আপনার লিখা পড়ে গণমুসলিম এর আবেগ ও আকাংখা আরো বিস্তৃত হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় বিভিন্ন গ্রুপ এর নীতিনির্ধারক রা ও তা মনে করেন এবং আলোচনাকালে তা চান বলে অভিব্যাক্তি ব্যাক্ত করেন।

আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী তা সম্ভব হয় না দুটি কারনে।

১। কর্মী, সমর্থক ও গনমানুষ পারস্পরিক পার্থক্যসমূহ মূলতঃ কি কি এবং কোথায় এবং এর ব্যাপারে কোরান ও হাদীসে মূলতঃ কি লিখা আছে তা জানে না বলে - লিডারশিপ এর উপর যথাযথ প্রেশার নেই। অন্যদিকে লিডারশীপ রা একীভূত হতে পারছেন না - এই জন্য যে কর্মী সমর্থক কিংবা ফলোয়ার রা - সিদ্ধান্ত কেমন ভাবে নেবে? সুতরাং পার্থক্য সমূহ যদি ডকুমেন্টেড করা হত সহজ সরল ভাষায় - তা মানুষের বুঝতে ও মতামত তৈরীতে কাজ করতো।

২। উম্মাহ আজ এমন একটি অবস্থানে এসে পৌছেছে যেখানে - কোন একটা পার্টিকুলার শক্তি (ডিভাইন শক্তি - এই যেমন দজ্জাল, কিন্তু মসীহ উদ দজ্জাল নয়) - তা হতে দিচ্ছে না কিংবা হতে দিবে না।

এ্যানীওয়ে গণমানুষের অনুভবকে সুন্দর করে ঘুছিয়ে তুলে ধরেছেন - এই জন্য ধন্যবাদ।
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৪০
254487
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান
১৫
313524
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১০:০৬
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালই লাগলো তবে বেশী বিতর্ক করলে আবার সেখােনে আসল জিনিসটা হারিয়ে যায়
জাজাকাল্লাহ
০৭ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৫৭
254531
সালাম আজাদী লিখেছেন : ঠিক ই ধরেছেন রোগ টা। জাযাকাল্লাহু খায়রান
১৬
313637
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
ফরীদ আহমদ রেজা লিখেছেন : সালাম। অনেক ধন্যবাদ। আপনি মানসিকতাকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন। এটা একটা বড় কাজ। কিন্তু এটা বোঝার জন্যে যে মনের দরকার সেটা আমাদের নেই। আমরা সমালোচনা করতে পসন্দ করি, শোনা পসন্দ করি না। সমালোচনা গ্রহণ করা আরো অনেক বড় ব্যাপার।
সাহাবারা এবং অতীতযুগের ইমামগণ বিতর্ক করেছেন, মতপার্থক্য করেছেন। মতপার্থক্যের কারণে কাউকে ছোট মনে করেননি বা অসম্মান করেননি। হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী সত্যকে অস্বীকার করা এবং অপরকে ছোট মনে করার অপর নাম অহংকার।
আপনি বলেছেন, 'ইসলামপন্থীদের ঐক্য হতেই হবে, বাঁধা হলো দেওবন্দী, সালাফি ও জামআতি এটিচিউড'। এর সারকথা হলো পার্টি-ইজম। এর বিপরীত হলো ইসলামিজম। ইসলামের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, 'ইক্লুসিভনেস' - এক্সক্লুসিভনেস নয়। সকল মানুষ এর লক্ষ্য, সকল মানুষের কল্যাণ এর লক্ষ্য। আমরা সকল মানুষ বাদ দিয়ে নিজের মতের বাইরে অবস্থানকারী মুসলমানদেরও খারেজি বানাতে ব্যস্ত। এর মানে হলো মুসলমানদের মিছিল বড় হচ্ছে, কিন্তু ইসলামী স্পিরিট সেখানে নেই। তাই মিছিল বড় করার আগে ইসলামী স্পিরিট তৈরি করা সর্বাধিক প্রযোজন।
০৯ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:২৫
254731
সালাম আজাদী লিখেছেন : আল্লাহু আকবর, জাযাকাল্লাহু উস্তায। অনেক ভালো লাগলো। মূলতঃ এই লেখাটা প্রকাশ পাওয়ার পর যে সব থ্রেট এবং মারত্মক ভাষায় সমালোচনার খোঁচা খেয়েছি তাতে আপনার কথা গুলো একদম বাস্তব মনে হয়েছে। কেও কেও আমাকে ইসলামের বাইরের কেও মনে করে খিস্তি গেয়েছেন, কেও কেও তাদের দলের বাইরে ভেবে অকৃতজ্ঞ আখ্যা দিয়েছেন। আমি মনে করি আসলে আমাদের পতন কালের সমস্ত লক্ষন ই দেখা দিয়েছে। কুল্লু হিযবিন বিমা লাদাইহিম ফারিহূন। দলীয়বদ্ধতার মারাত্মক বীষবৃক্ষের গন্ধম খেয়ে জান্নাত থেকে বিতাড়িত হতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে আদমের (আ) ছেলে মেয়েরা
জাযাকাল্লাহু খায়রান উস্তায
১৭
313640
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩
ফরীদ আহমদ রেজা লিখেছেন : দুঃখিত। এটা হবে, ''ইসলামের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, 'ইনক্লুসিভনেস'- 'ইক্লুসিভনেস' নয়।''
১৮
313871
০৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:৪১
মুহাম্মদ নূরুল্লাহ তারীফ লিখেছেন : শাইখ আবু আফরা, আসসালামু আলাইকুম। মোবাইলে দেশের সর্বশেষ সংবাদ ফলোআপ করতে গিয়ে আপনার লেখাটি নজরে আসে। শুধু আপনার সাথে সহমত ব্যক্ত করার জন্য লগইন করলাম। আল্লাহ আপনার চিন্তার মাঝে বরকত দিন। আপনি যে কথাগুলো বললেন সেগুলো অনেকবার মুখে আসলেও মুখ আটকে রাখতে হয়েছে। আপনি মুখ খুলে বলেছেন- আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন। "আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য হবে নিঃশর্ত; এবং অন্য সকলের আনুগত্য হবে শর্তযুক্ত- অর্থাৎ কুরআন-সুন্নাহর মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হলে শুধু তখনি মাননীয়।" এ নীতি সবাই বলে; মানে না। তবে কুরআন-সুন্নাহর সরাসরি জ্ঞান ছাড়া মানুষ কিভাবে বুঝবে কোন আদর্শ কুরআন-সুন্নাহর মানদণ্ডে উত্তীর্ণ; আর কোনটি উত্তীর্ণ নয়। আরবী না বুঝে, মৌলিক তাফসির ও হাদিসের ব্যাখ্যা না পড়ে সে জ্ঞান অর্জন কি সম্ভব!! তাইতো দেখা যায় অনেক সাধারণ মানুষ ইলেমদার ও তাকওয়াবান আলেমের সাথে বেহুদা ও অজ্ঞতার উপর অবচেনতভাবে আবেগ থেকে তর্ক করেন, আলেমকে অভিযুক্ত করেন। আমার মনে হয়, আগে মানুষকে এমন কিছু জ্ঞান শেখানো দরকার যেগুলো ইসলামে স্বতসিদ্ধ। তখন এ জ্ঞান মানুষকে কাছে টেনে আনবে। কারণ অজ্ঞতা গোয়ার্তুমি, ভীরুতা ও অহেতুক ভয়ের জন্ম দেয়। তবে এর আগে ইসলামী জ্ঞানেরবাহকদের মাঝে ঐক্যের চিন্তা করা উচিত। তাদের মাঝে মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস ও নীতি নির্ধারণে ক্ষেত্রে ঐক্য হওয়া উচিত
০৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:৫০
254854
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমার ছোট ভাই তারিফ, আপনার মত বিদগ্ধ আলিমে দ্বীন আমার লেখা এন্ড্রোস করেছেন বলে পুলকিত হচ্ছি। আমার লেখা ছোট এই প্রবন্ধটা বের হবার পর দারুন একটা অনুভূতি হয়েছে। আমার পেইজে এর পাঠক সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১২ হাজার। লাইক ও শেয়ারে ভরে গেছে লেখা টি। সহমত দিয়েছেন ৯০%, দ্বিমত ও অনেকেই। আমি মনে করছি মানুষ ঐক্যের দিকেই বেশি এগুচ্ছে। তাই যদি হয়, ইসলামের অনেক উপকার হবে। তবে এই সব কথা লিখে কেও কেও মনে করেছেন কবীরা গুনাহ করে ফেলেছি আমি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জাযাকাল্লাহু খায়রান
১৯
317571
৩০ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:৫১
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : সুন্দর লেখা, ধন্যবাদ।
আরও একজনকে পেলাম একই চিন্তাধারা সম্পন্ন। রোগটা বোধ হয় ভাল ভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন জনাব, কিন্তু ‘চিকিৎসার ব্যবস্থা কি?
কেউ ‘অতিশুদ্ধতায় পরিশুদ্ধ, কারোর টানেল ভিশন, কেউ বা ‘লেবেল’ এর ভারে ভারাক্রান্ত। সমস্যা তো একটাই, অহংবোধ; যে সমস্যার কারনে আজাজিল এর চিরস্থায়ী বাসস্থান হয়ে গেল জাহান্নাম!
ওদের বিভ্রান্তি দূর করতে আরও একটা দল গড়ার ইচ্ছা হয়, কিন্তু তা যে নূতন সমস্যা সৃষ্টি করবে না তার গ্যারান্টি কোথায়! কুইনিন জ্বর সারাবে বটে, কিন্তু কুইনিন সারাবে কে?
উম্মাহ তাই ভুগছে ‘সিদ্ধান্তহীনতায়, আমরাও ব্যতিক্রম নই। ইয়া আল্লাহ্‌। আমাদের সোজা পথ দেখান।
২০
347403
২৭ অক্টোবর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৯
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : # সমস্যা যা চিহিৃত করেছেন তার সাথে একমত। এই ক্ষেত্রে বড়কে বড় ভুমিকা পালন করা উচিত। আমি জামায়াতকে মিন করছি।
# মরহুম প্রফেসারের যে বইটির কথা বলেছেন তা নিয়ে কম কথা হয়নি। উনার সামনে বিষয়টা উঠানো হয়েছিল জেদ্দায়। একমত হয়েছিলেন।
# বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে (বর্তমানে) সালাফি সমস্যাটা অতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।
আপনি মানবেন - আগে আমাদের দেশে ছিলেন সালাফি অনুসারী। কিন্তু এত বেশী গুমরা - আর কাফির হওয়ার ফতোয়া হয়নি। যে কাজটা আগে কওমীর হাজারাতরা করতেন - সেই কাজটা এখন মাদানী হাজারাতরা করছেন।
# বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসলে হয়ত কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
আবার মোবারকবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File