ইসলামপন্থীদের ঐক্য হতেই হবে, বাঁধা হলো দেওবন্দী, সালাফি ও জামআতি এটিচিউড
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ৩১ মার্চ, ২০১৫, ০৯:২৩:৩৫ রাত
বাংলাদেশের ইসলাম ও স্বাধীনতার জন্য এখন দেখা যাচ্ছে ইসলামপন্থীরাই একমাত্র শক্তি হিসেবে আবির্ভুত হতে যাচ্ছে।
কিন্তু এই শক্তির অনৈক্যের জন্য কয়েকটি মোর্চা আজ দ্রুততার সাথে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। সবচেয়ে মারাত্মক মোর্চাটা হলো ফার লেফট, তথা নাস্তিক বাম। জড়ো হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব বিরোধী ভারতপন্থী মোর্চা। সংঘবদ্ধ হয়েছে ইসলাম বিরোধী কিছু অন্য ধর্মাবলম্বি কিংবা ইসলামপন্থীদের কিছু ভ্রান্ত দল।
যারা আজ মেইন স্টীম ইসলামপন্থী তাদের মধ্যে একদল হলো দেওবন্দের মুখপাত্র বা তাদের অনুসারী। এরা জনগনের খুব কাছা কাছি, এবং সার্বিক ভাবে ইসলামের ব্যাপারে তারাই বড় বড় সিদ্ধান্ত গ্রহনে ভূমিকা রাখে। সত্যি বলতে কি, সরকার ও এদের কেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এদের অনেক কিছু সুন্দর, কিন্তু নিজদের কে ইসলামের এমন সোল এজেন্ট মনে করেন তারা, যে তাদের বা আকাবিরের মতের বাইরে কোন মত কে ইসলাম সম্মত মনে করেনা। অন্যদের আলিম তো মনে করেই না, তাদের থেকে ইসলাম সম্পর্কে কোন কিছু এলেই তার বিরোধিতা যেন শরিয়াতের একমাত্র কাজ মনে করা হয়।
দেওবন্দী মাসলাকের সম্পূর্ণ বিপরীতে সালাফি চিন্তা ধারা। শিরক ও বিদআত মুক্ত ইসলাম মেনে চলতে তাদের মত আর কোন মুসলিম দলকে আমি প্যারালাল হিসেবে চিন্তা করতে পারিনা। কিন্তু তাদের এটিচিউড হলো তাদের বাইরে যারাই মাযহাব মেনে চলে, কিংবা দেওবন্দের আক্বীদায় বিশ্বাস করে, অথবা তাসাউফ মেনে চলে, অথবা ইসলামি আন্দোলন করে তারা যেন সবাই ইসলামের গন্ডির বাইরে। আতিশুদ্ধ আমল তাদের কে এমন ভাবে গর্বিত বানিয়ে দিয়েছে যে, অন্য মুসলমানদের কোন আমল ই আর যেন ইসলামে নেই। ফলে অন্যদের সাথে মিশতে পারার যোগ্যতাই এরা যেন হারিয়ে ফেলেছে।
জামাআতে ইসলামি হাল জামানার ইসলামের রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের গর্বিত অংশিদার। এর আগে মুসলিম লীগ, নেযামে ইসলাম ইত্যাদী দল ইসলামী রাজনীতিতে সফলকাম হলেও এরা মনে করে ইসলামের সামগ্রিকতা কে তারা সার্থকতার সাথে দেশের কাছে পরিচিত করতে পেরেছে। ইসলামি ব্যংক এবং বিশাল ইসলামি সাহিত্যের ভান্ডার এদের হাতে বিকশিত হয়েছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েদের কে সার্থক ভাবেই দ্বীনি চেতনায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। আলিম সমাজ কে ইসলামি রাজনীতিতে শামিল করতে পেরেছে। মসজিদে মাদ্রাসায়, ঘরের দহলিজে এমনকি কোন একটা ফাঁকা যায়গা পেলেই এরা বসে যায় দ্বীন শেখার অভীপ্সা নিয়ে। দ্বীনী ইলম কে মানুষের দোরগড়ায় এমন ভাবে এনে দিয়েছে দল টি, যে আজ বাংলাদেশের সচেতন প্রতিটি নাগরিক তাদের কে ইসলামের রক্ষাকারি বড় শক্তি হিসাবে মেনে নিয়েছে। ইসলামের শত্রুরা তো এই দলকেই একমাত্র ইসলাম রক্ষাকারী দল হিসেবে মেনে নিয়ে তাকেই তাদের শত্রুতার টার্গেট বানিয়ে নিয়েছে। এমন কি ইসলাম বিরোধিদের বিরুদ্ধে যে কেও হুঙ্কার দিক, মানুষ তাকে জামাআতী বা জামাআতের এজেন্ট মনে করে। এদলটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ডেল্যুশান। তারা মনে করে এই দলটিই একমাত্র ইসলামি আন্দোলন, আর যারা আছে তারা সব ইসলামের দৃষ্টিতে অপূর্ণাংগ। এই ধারণাকে সবচেয়ে যিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি হলেন বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতির নামকরা সিপাহসালার অধ্যাপক গোলাম আযম (র)। তিনি জামাআতের কাজ কে একমাত্র ইকামাতে দ্বীনের কাজ মনে করে অন্য সবার কাজ গুলো কে খিদমাতে দ্বীনের পর্যায় গন্য করেছেন। তার ইক্বমাতে দ্বীন বইটা যতদিন জামাআতের পাঠ্য সূচিতে থাকবে ততদিন জামাআত অন্যদের কে সমকাতারে ভাবতে পারবেই না।
উল্লিখিত তিনটি দলের এটিচিউডই আমাদের ইসলামি শক্তির ঐক্যের অন্তরায়।
দেওবন্দীরা তাদের মসজিদ মাদ্রাসা কিংবা দাওয়াতের ময়দানে সবাইকে এক করতে পেরেছিলো একসময়। সহীহ আক্বীদার একমাত্র ধারক হয়েও ইবনে তাইমিয়্যাহ ফাসিক নেতার আন্ডারে থেকে জিহাদ ও করতেন প্রতিনিয়ত। মাওদূদী সাহেব তো বলেই দিয়েছেন তাদের জামাআত 'আলজামাআত' নয়। পাকিস্থানের কাযী হুসাইন আহমাদ বলেছেন, তুমি যদি নামাজি হও, ইসলাম এর সঠিক জ্ঞান রাখো, এবং ইসলাম কে বিজয়ী শক্তি হিসাবে দেখতে চাও ও তার জন্য কাজ করতে চাও, তাহলে তুমি একজন জামাআতের রুকন। রুকন হতে আর কিছুই করা লাগবেনা।
এখন এই দেশের ইসলাম পন্থীদের এক হতেই হবে। এবং তার জন্য এই ইগো গুলো বাদ দিতে হবে। আর এই এটিচিউড গুলো ঠিক করে ফেলতেই হবে। যারাই এই কাজে এগিয়ে আসেবন, আল্লাহর বন্ধুত্বে তারাই সবার আগে।
বিষয়: বিবিধ
৩৩৩১ বার পঠিত, ৫৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহ...
আপনাদের মত মানুষেরা এসব ব্যাপারে উচ্চকন্ঠ হলে আমাদের আশার প্রদীপটা যেন উজ্জ্বল হয়ে ওঠে!
প্রত্যাশিত ঐক্যের জন্য বৃত্তের বাইরে থেকে মাঠেও কাজ দরকার-
কিন্তু সেটি যে কার/কাদের দ্বারা হবে আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!!
আমরা দূরে থেকে কলম চালাই, দোয়া করি
এই তিনের ঐক্য বাংলাদেশকে দিতে পারে কুরআনী সমাজের রূপালি রাত্রী, যার স্বপ্ন দেখে দেখে কৈশর, যৌবন ও প্রৌড়ত্বের সুন্দর সময় কাটিয়ে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি।
জাযাকাল্লাহু খায়রান
সম্ভবতঃ ৯০এর দশকের কোন এক সংখ্যার ইনকিলাব উপসম্পাদকীয়তে জনাব মোবায়দুর রহমান লিখেছিলেন (সারাংশ)-
ইসলামপন্থীরা একমঞ্চে উঠে যদি কোন ঘোষণা দিতে পারে, জনগণ তাদের সকল শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে পাশে থাকবে এবং কোন অপশক্তিই আর বাংলাদেশে দাঁড়াতে পারবেনা!
পরিচিত মহলকে আপনার পক্ষ থেকে ব্যক্তিগত পত্র লিখে কাজটিকে গতিশীল করার চেষ্টা করতে অনুরোধ রইল!
আল্লাহতায়ালা আপনাকে সুস্থ্যতার সাথে হায়াত দীর্ঘ করে দিন এবং আমাদের ইচ্ছা ও প্রচেষ্টা কবুল করুন, সাহায্য করুন! আমীন
বাস্তবে এই তিন শ্রেণীর মাঝে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব এতটাই বেশী যে মনে হয় কিয়ামতের পূর্বে একমত হওয়া সম্ভব নয়।
কুল্লু হিজবিম বিমা লাদাইহিম ফারিহুন।
আর কতদিন। দেশ বাঁচাতে সেক্যুলার রাও আমাদের বন্ধু হতে পারে, একসাথে আমরা বসতে পারি। তা হলে এক আল্লাহ, এক রাসূলে (স), এক কিতাব, এক কিবলাহ ও এক মিল্লাত বা উম্মাতের মানুষেরা আর কতদিন বিভক্ত হয়ে থাকবো।
আমাদের শিক্ষক আল্লামা ড: গিয়াস উদ্দীন রহহহিমাহুল্লাহ বলতেন, "আগে আমরা পড়তাম উমাইয়া, আব্বাসীয়, মুঘল বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম কারণ ছিলো অন্তর্দ্বন্দ ও আন্তকলোহ। সেই একই রোগ আজকের মুসলমানদের। তাদের সময় সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে। এখন পতন হচ্ছে উম্মাতের, খাদে পড়ে যাচ্ছে মুসলিম মিল্লাত।
তিনে চরম পন্থী!!!! আপনি কোন পন্থী??????? নরম পন্থী? চরম শব্দ উল্লেখ করে আপ্নিও কি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন না? @ মাসুম আযহারী
অথচ ইমাম শাফেয়ীর মত জ্ঞানী ব্যক্তি বলতেন-
আমার মত সঠিক তবে ভুলও হতে পারে। অন্যের মত ভুল তবে সঠিক হতে পারে।
@গাজী সালাউদ্দিন ভাই
দ্বিতীয় আপনি তিনটি দল কে নির্দিষ্ট করে চরম পন্থী শব্দটি উল্লেখ করেছেন, অতএব তারা যদি আপনার ভাষ্যমতে চরম পন্থীই হয়ে থাকে, তাহলে কেমন করে ঐক্যের আশা আপনি করেন, যদি চরম পন্থী বলে তাদের ঐক্যের পথে আনার পরিবর্তে অনেক দূরে ঠেলে দেন।
অন্য দুইটার কথা আমি ভাল জানি না, কিন্তু জামাত কখন কার উপর নিজেদের আদর্শম কে চাপিয়ে দিয়েছে অথবা মানতে বাধ্য করেছে, একটু বলবেন?
জামাত যখন তাদের আদর্শকে সেরা বলতে চায়, তখন তারা সর্বাঙ্গীন ইসলামের কথা, যা আল্লাহ্র রাসূল, তাঁর সাহাবীগণ করে গেছেন, সেদিকে দৃষ্টিপাত করে, এবং বলে মিলিয়ে দেখুন, যদি আল্লাহর রাসূল এবং তাঁর সাহাবীদের ইসলাম পালনের সাথে আমাদের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে আপনি অপরাপর ইসলামী দল এবং জামাতি ইসলামের মাঝে তফাৎ করে যাকে ভাল মনে হয়য় তাঁর দলেই আসুন।
কিন্তু তারা কারো উপর নিজেদের আদর্শ চাপিয়ে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই! আপনার জানা থাকলে জানাবেন। @ মাসুম আযহারী।
@গাজী সালাউদ্দিন ভাই
আমার মনে হয় এই সব দলের মধ্যেই অন্ধ ব্যাক্তি অনুসরন প্রবনতা এই সমস্যার মূলে।
এই ব্যখ্যা সবার ক্ষেত্রে নয়, কিছু কিছু লোক অবশ্যই এমন আছেন, তবে বেশিরভাগ এমন নয়।
জাযাকাল্লাহ খাইর সুন্দর কলামটির জন্য।
জাযাকাল্লাহু খায়রান। উম্মাতের যে জিনিষ গুলো আমাকে এই বুড়োবয়সে কাঁদায়, তার মধ্যে আমাদের অনৈক্য একটা বিশাল ক্ষত।
পড়ছি আর হাসছিলাম! জামাতের বিরোধিতা না করলে ইর্ষণীয় শীর্ষস্থানটা ধরে রাখা যায় না! তাইতো অনেক কেই আমরা হঠাত রনি'র ভূমিকায় দেখি!!!!
সাইফ ভাইয়ের ভাষায় বলতে চাই, প্রত্যাশিত ঐক্যের জন্য বৃত্তের বাইরে থেকে মাঠেও কাজ দরকার।
প্রশ্ন জাগে মনে, কলম যুদ্ধ যেমন চলছে, মাঠের যুদ্ধটাও কি তেমন চলছে? দুটোর মধ্যে যে সমন্বয় করতে পারবে, সমালোনা তাকেই মানায়!
ইসা (আ) এর সময় সকল মুসলিম এক হবে সে হাদীস কি হবে ভাইয়া!!
মাহদী এর সাথীরা এক হবে সেটার কি হবে ভাইয়া!!
আমি ছোটটট মানুষ যা বুঝি তাতে মনেহয় ধয্য ধরে দাত খিচিয়ে বসে থাকাই উত্তম কাজ
হ্যাঁ চেষ্টা তো একসাথে থাকার কিনতু ? আকিদাতেই মূল প্রবলেম।
এরখম আকিদাযার তার সাথে ঐক্য করলে কি আল্লহা সত্যিই সাহয্য করবেন??
সৌদি আরব আমেরিকার বন্ধু, ইস্রাঈলের সাথে শান্তি স্থাপনে আগ্রহী, বাদশাহ আব্দুল আযীয ইংরেজ দের সাথে যোগ সাজশ করে তুর্কির খেলাফত ভেংগে ছিলেন। এই সব বলে যেমন কেও কেও তাদের কে ইসলামের দুশমন মনে করে, দুই একটা বই এর লেখা দিয়ে প্রমান করা হয় কোন দল বা গোষ্ঠি খারাপ। এইটা কে আমি ডেলুশান বা এটিচিউড বলেছি। এই সব গুলো বাদ দেয়া দরকার।
পার্ট ১
পার্ট ২
পার্ট ৩
আমি পুরো বইটি পড়েছি ভাইয়া। আর আমি সবাইকে ভালোবাসি তবে খারাপ টি থেকে বিরত থাকি।
জাযাকাল্লাহু খায়রান, আখী।
আপনাকে অনেক দিন দেখিনা ব্লগ পাড়ায়
পরসমাচার- আপনার ফেসবুক আইডি থেকে কি আমাকে ব্লক করেছেন?
সময়োপযোগী একটি দূরদৃষ্টি সম্পন্ন শক্তিশালী লিখা নিঃসন্দেহে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
বিবেক বর্জিত চরম আবেগী মনোভাব ফলপ্রসু হয় না কখনই! উল্লখিত তিনদলের অবস্হাই এমন অঢিকাংশ ক্ষেত্রে!
সুন্দর চিন্তাময় উপস্হাপনা ভালো লাগল!
আল্লাহ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য সুদৃড় করে দিন!!
আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী তা সম্ভব হয় না দুটি কারনে।
১। কর্মী, সমর্থক ও গনমানুষ পারস্পরিক পার্থক্যসমূহ মূলতঃ কি কি এবং কোথায় এবং এর ব্যাপারে কোরান ও হাদীসে মূলতঃ কি লিখা আছে তা জানে না বলে - লিডারশিপ এর উপর যথাযথ প্রেশার নেই। অন্যদিকে লিডারশীপ রা একীভূত হতে পারছেন না - এই জন্য যে কর্মী সমর্থক কিংবা ফলোয়ার রা - সিদ্ধান্ত কেমন ভাবে নেবে? সুতরাং পার্থক্য সমূহ যদি ডকুমেন্টেড করা হত সহজ সরল ভাষায় - তা মানুষের বুঝতে ও মতামত তৈরীতে কাজ করতো।
২। উম্মাহ আজ এমন একটি অবস্থানে এসে পৌছেছে যেখানে - কোন একটা পার্টিকুলার শক্তি (ডিভাইন শক্তি - এই যেমন দজ্জাল, কিন্তু মসীহ উদ দজ্জাল নয়) - তা হতে দিচ্ছে না কিংবা হতে দিবে না।
এ্যানীওয়ে গণমানুষের অনুভবকে সুন্দর করে ঘুছিয়ে তুলে ধরেছেন - এই জন্য ধন্যবাদ।
জাজাকাল্লাহ
সাহাবারা এবং অতীতযুগের ইমামগণ বিতর্ক করেছেন, মতপার্থক্য করেছেন। মতপার্থক্যের কারণে কাউকে ছোট মনে করেননি বা অসম্মান করেননি। হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী সত্যকে অস্বীকার করা এবং অপরকে ছোট মনে করার অপর নাম অহংকার।
আপনি বলেছেন, 'ইসলামপন্থীদের ঐক্য হতেই হবে, বাঁধা হলো দেওবন্দী, সালাফি ও জামআতি এটিচিউড'। এর সারকথা হলো পার্টি-ইজম। এর বিপরীত হলো ইসলামিজম। ইসলামের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, 'ইক্লুসিভনেস' - এক্সক্লুসিভনেস নয়। সকল মানুষ এর লক্ষ্য, সকল মানুষের কল্যাণ এর লক্ষ্য। আমরা সকল মানুষ বাদ দিয়ে নিজের মতের বাইরে অবস্থানকারী মুসলমানদেরও খারেজি বানাতে ব্যস্ত। এর মানে হলো মুসলমানদের মিছিল বড় হচ্ছে, কিন্তু ইসলামী স্পিরিট সেখানে নেই। তাই মিছিল বড় করার আগে ইসলামী স্পিরিট তৈরি করা সর্বাধিক প্রযোজন।
জাযাকাল্লাহু খায়রান উস্তায
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জাযাকাল্লাহু খায়রান
আরও একজনকে পেলাম একই চিন্তাধারা সম্পন্ন। রোগটা বোধ হয় ভাল ভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন জনাব, কিন্তু ‘চিকিৎসার ব্যবস্থা কি?
কেউ ‘অতিশুদ্ধতায় পরিশুদ্ধ, কারোর টানেল ভিশন, কেউ বা ‘লেবেল’ এর ভারে ভারাক্রান্ত। সমস্যা তো একটাই, অহংবোধ; যে সমস্যার কারনে আজাজিল এর চিরস্থায়ী বাসস্থান হয়ে গেল জাহান্নাম!
ওদের বিভ্রান্তি দূর করতে আরও একটা দল গড়ার ইচ্ছা হয়, কিন্তু তা যে নূতন সমস্যা সৃষ্টি করবে না তার গ্যারান্টি কোথায়! কুইনিন জ্বর সারাবে বটে, কিন্তু কুইনিন সারাবে কে?
উম্মাহ তাই ভুগছে ‘সিদ্ধান্তহীনতায়, আমরাও ব্যতিক্রম নই। ইয়া আল্লাহ্। আমাদের সোজা পথ দেখান।
# মরহুম প্রফেসারের যে বইটির কথা বলেছেন তা নিয়ে কম কথা হয়নি। উনার সামনে বিষয়টা উঠানো হয়েছিল জেদ্দায়। একমত হয়েছিলেন।
# বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে (বর্তমানে) সালাফি সমস্যাটা অতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।
আপনি মানবেন - আগে আমাদের দেশে ছিলেন সালাফি অনুসারী। কিন্তু এত বেশী গুমরা - আর কাফির হওয়ার ফতোয়া হয়নি। যে কাজটা আগে কওমীর হাজারাতরা করতেন - সেই কাজটা এখন মাদানী হাজারাতরা করছেন।
# বৃহত্তর ইসলামী আন্দোলন এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসলে হয়ত কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
আবার মোবারকবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন