বাংলাদেশ রাস্ট্রটা হয়ে গেলো মাকড়সার পরিবারের মত দূর্বল
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ১৬ মার্চ, ২০১৫, ০৫:৪৭:২৭ সকাল
কুরআনে যারা আল্লাহ ছাড়া আর কাওকে অভিভাবক বা বন্ধু বানায় তাদের কে মাকড়শার পরিবারের সাথে তুলনা করা হয়েছে। এত দূর্বল এবং বাজে পরিবার তিন মিলিয়ন স্পিসেসের মধ্যে আর নাই।
পরিবারের এই ঘর টা বানায় মা মাকড়শা। বাবা মাকড়শার সাথে শুধু মাত্র সেক্সের জন্যই মায়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রথম সেক্সেই বাচ্চা হবে, এটা বাবা বুঝতে পারলে পালিয়ে চলে যায়। আর বাবা না বুঝতে পারলে মা বুঝে ফেলে, এবং যেহেতু দরকার নেই; তাই বাবা কে খেয়ে ফেলে।
বাচ্চা হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় হত্যাযজ্ঞ। ভাইরা বোনদের কে খাওয়া শুরু করে, বোনেরা কেও মরে, সামান্য কিছু পালিয়ে যায়। ছেলেরা শেষ পর্যন্ত তাদের মায়ের প্রয়োজন নেই বলে মাকেও খেয়ে ফেলে।
যে ঘরটাও এক মেয়ে মাকড়শা বানায় তা শুধু ক্ষণভংগুর নয়, তা অন্যান্য কীট পতংগ হত্যা করার মতলবেই তৈরি। এবং খুব দ্রুত তা শেষ হয়ে যায়।
এইভাবে যে পরিবারে মা বাবার সম্পর্ক এই রকম, ছেলে মেয়ের সাথে বাবা মায়ের সম্পর্ক এইটাই, ভাই বোনের মধ্যে কাটা কাটি এমন। এবং ঘরটাও যাদের এমন ক্ষণভংগুর...... আর আল্লাহর সাথে সম্পর্ক কেমন দেখতে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেই বুঝবেন। ভাবুন তাদের স্বাধীনতা আর কত দিন।
আল্লাহ তায়ালা এই কথাটাকে বুঝিয়েছেন এই ভাবেঃ
مَثَلُ الَّذِينَ اتَّخَذُوا مِن دُونِ اللَّـهِ أَوْلِيَاءَ كَمَثَلِ الْعَنكَبُوتِ اتَّخَذَتْ بَيْتًا ۖ وَإِنَّ أَوْهَنَ الْبُيُوتِ لَبَيْتُ الْعَنكَبُوتِ ۖ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ ٤١
যারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য অভিভাবক গ্রহণ করে তাদের উপমা হচ্ছে মাকড়সার দৃষ্টান্তের ন্যায়, -- সে নিজের জন্য ঘর বানায়, অথচ নিঃসন্দেহ সবচেয়ে ঠুনকো বাসা হচ্ছে মাকড়সারই বাসা, -- যদি তারা জানত। [29:41]
বিষয়: বিবিধ
২১৪৭ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মাকড়শার উপমা পড়েছি অনেক কিন্তু মাকড়শার স্বরূপ আজ আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। অশেষ ধন্যবাদ।
আমিও সে প্রতিষ্ঠানের একজন, প্রতিনিয়ত বুঝে যাচ্ছি, তারা খুব শীঘ্রই দেখবে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ভয়াবহ পরিণতি।
(ওই শব্দটার স্থলে মিলন বা দৈহিক মিলন শব্দটা ব্যবহার করলে অনেকে লজ্জা পেত না ) বড় ভাইকে উপদেশ দিয়ে ফেললাম।
স্মৃতিতথ্য ঝালাই করার সুযোগ পেয়ে কৃতজ্ঞতা জানাই-
জাযাকাল্লাহু খাইরান..
মাকড়শার পারিবারিক জীবনের সাথে গোটা সমাজ ও রাষ্টের সাথে তুলনা । খারাপ লাগলে ও বাস্তব ।
অনেক ধন্যবাদ চাচাজান ।
আমরা কী মাকড়শার চেয়েও ঘৃণ্য হয়ে যাই নি?
আল্লাহ্পাক আমাদের সবাইকে বোঝার এবং সেইভাবে জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দিন। আমীন।
গুরুত্বপূর্ণ লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
কোনআনের বানী তো সর্বদাই সঠিক। আমাদের সমাজে এর বাস্তব উদাহরনও মিলে যাচ্ছে। কিন্তু মাকড়শার ব্যাপারে তথ্যগুলো আংশিক সত্য। অনেক জাতের মাকড়শা আছে। একে অপরকে খেয়ে ফেলে এমন মাকড়শা আছে। ব্লাক উইডো নামক এক প্রজাতীর স্ত্রী মাকড়শা মিলনের শেষেই পুরুষ মাকড়শার মাথা চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। তবে সব মাকড়শা এমন করে না। তাছাড়া মাকড়শার জাল আমাদের কাছে ঠুনকো হলেও প্রকৃতিতে পাওয়া সবচেয়ে শক্ত সুতা হল এটি। মাকড়শার জাল দিয়ে দড়ি বানালে তা লোহার দড়ির চেয়ে শক্ত হবে। বুলেট প্রুফ জ্যাকেট মাকড়শার জাল দিয়ে বানানো হয়।
যাহোক, কুরআন মাকড়শার পরিবার কে ক্ষণভংগুর বলেছেন, কেন বলেছেন তা বুঝার চেষ্টা আমরা সবাই করি। আমি ঐসব নিয়ে আলোচনা করিনি। করেছি এই আয়াতের প্রায়োগিক দিকটাকে আলোচনায় নিয়ে আসতে চেয়েছি।
ভালো লেগেছে আপনার মত সাইয়েন্স জানা মানুষ এগিয়ে এসেছেন কুরআনের ব্যাখ্যায়।
আল্লাহ আমাদের দেশকে জালিমদের জুলুম করা হতে রক্ষা করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন