জংগীদের নিয়ে মহানবী (স)
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১০:৩৩:৪১ রাত
আবু জান্দাল এবং আবুল বাছীর (রা) নামে দুইজন সাহাবী ইসলাম আনার কারণে তাদের পরিবারের হাতে খুব মারাত্মক ভাবে নির্যাতিত হচ্ছিলেন। এদিকে হুদায়বিয়ার সন্ধির শর্তের কারণে মহানবী চেষ্টা করেও এদের কে নিজের কাছে রাখতে পারছিলেন না। তবে তিনি সবর করার জন্য অনুরোধ করেন দুইজনকে, বলে দেনঃ "সবর কর, আল্লাহ হয়ত তোমাদের একটা পথ বের করে দেবেন"।
অত্যাচারের যুপকাষ্ঠে এরা বেশিদিন থাকতে পারলেন না। পালিয়ে চলে গেলেন লোহিত সাগরের তীরবর্তী আলঈস এর সাইফুল বাহর নামক স্থানে, যেখান থেকেই উপদ্বীপের দক্ষিণ আরবরা সিরিয়ার যাতায়াত করতো। তার সাথে যুক্ত হলো নির্যাতিত দের আরো অনেকে। যখন ই কোন কুরায়শ বাণিজ্য বহর সেখান থেকে যেত তারা আক্রমন করে তাদের বাণিজ্য লাঠে তুলে দিতেন। এভাবে কয়েকটি আক্রমনে খবর হয়ে যায় কুরায়শদের। মহানবী (স) এর কাছে যেয়ে নরম হয়ে তারা কম্প্রমাইজে চলে আসে। হুদায়বিয়ার সন্ধির যে শর্তের কারণে মহানবী (স) তাদের কে মদীনায় আনাতে পারতেছিলেন না, তাও শিথিল হয়ে গেলো। আবুল বাছীরের দল কে মদীনায় আনা গেলো এবং স্বাভাবিক কাজ কাম করতে সুযোগ পেলো তারা। কয়েক দিনের এই জংগী তৎপরতাও বন্ধ হয়ে যায়। এবং ইসলাম স্বাভাবিক ভাবেই সামনে এগিয়ে যায়।
বর্তমানে মুসলমানদের যে গ্রুপ গুলো জংগী হয়েছে তারাও কি আবুল বাছীর (রা) দের মত ফ্রাস্ট্রেইটেড নন??? মুসলামানদের একটু স্বাভাবিক ভাবে চলতে দিলে, এবং এদের কে মানুষ হিসেবে মেনে নিলে সারা দুনিয়ার উপকার হতো। কোন গ্রুপকে দাবিয়ে রেখে দুনিয়া চলেনা...............
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৬ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকিল্লাহু খায়রান, আপনার মন্তব্যের জন্য।
জঙ্গিদের মধ্যে কতজন ফ্রষ্টেশন থেকে আর কতজন কারো উস্কানি তে সেটাও হিসাব করা প্রয়োজন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন