শেষ পর্যন্ত উর্দু ই আমাদের রাস্ট্রের ভাষা হয়ে গেল, আলহামদুলিল্লাহ

লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৭:২৭:০৩ সকাল



আমাদের অলি আহাদ সাহেবের আত্মজীবনী মূলক বইটা পড়ে খুব আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। এক যায়গায় উল্লেখ করেছেন কায়েদে আযম ঢাকায় এলে ছাত্র নেতাদের সাথে মিটিং করেন। সেখানে অলি আহাদ ও ছিলেন। কায়েদে আযম মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ সেদিন বুঝাতে চেয়েছিলেন উর্দু ভাষা মুসলিমদের যত্নে গড়া ভাষা, যা পশ্চিম পাকিস্থানের কোন এলাকার ভাষা নয়, বরং এর মাতৃভূমি হলো ভারত। মুসলমানরাই একে লালন পালন করে উৎকর্ষিত করেছে। একে রাস্ট্র ভাষা করলে পাকিস্থান প্রতিষ্ঠার জযবার সাথে মিল খায়।

ছাত্র নেতৃবৃন্দ তার এই কথায় কর্ণপাত না করে হৈ চৈ করে ওঠে। এবং জিন্নাহ সাহেব ক্ষেপে যান। অলি আহাদ কারাগারে যান এই ভাষার বিরুদ্ধে যেয়ে, এবং বাংলাকে রাস্ট্র ভাষার দাবি করতে যেয়ে। এমন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিস্কৃত ও করা হয়।

আজ সমস্ত ইতিহাস সব কথায় গেলো?! জিন্নাহ সাহেব রাজনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করে কিছুই করতে পারেন নি। আমাদের ভাষা দিবস পালন করে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে দারুন একটা আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন মাত্র। আমাদের ভাইদের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারিকে কী সুন্দর পুজো পালনের উপলক্ষ্য হয়ে গেল। এটাই হলো কায়েদে আযমের ব্রেইন এবং মুসলমানি রক্তের জযবা।

অথচ ভারতের হিন্দু ভায়েরা কত সহজে মাত্র ২০ বছরে বাংলাদেশে আপামর জন সাধারণের ভাষাকে উর্দুতে পরিণত করে দিলেন। সেদিন এক কলেজের বাংলা বিভাগের এক বোন আমার কাছে একটা ই মেইল পাঠিয়ছেন একটা ফতোয়া জিজ্ঞেস করে। তিনি গোটা চিঠি টা উর্দুতে লিখেছেন। তবে ইংলিশ প্রতিবর্ণায়নে। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ মা, তুমি এত সুন্দর উর্দু কোত্থেকে শিখলে। সে লিখলোঃ চাচু, কেয়া বাত হেই, এহ তু হিন্দি যবান হেই। মেই উরদু নেহি জানতি, মাগার মেরি হিন্দি বাংলা সে ভি বিহতার হেই’।

আমি হো হো করে হেসে উঠলাম। বল্লাম, জিন্নাহ সাহেব, আপনার মাথায় ব্রেইন ছিলো না, ছিলো কিছু হাড় হাড্ডি। আমার হিন্দু ভাইদের বুদ্ধি দেখেন। হিন্দি সিরিয়াল ও হিন্দি গানের মাধ্যমে কিভাবে আমাদের ভাষা উর্দুতে পরিবর্তিত হয়ে গেলো।ছয় ভায়ের রক্ত লাগলো না, পূজার বেদিও তৈরি করা লাগলো না।

কাভি কাভি মেরা দিল মে খায়াল আতা হেই, কে জেইসে হিন্দি কো বানায়া গায়া উর্দু কে লিয়ে...............



(রিপোস্ট বলে আপনি রাগ করেন না যেন!!! Happy)

বিষয়: বিবিধ

২৩৪১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

305423
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:২৬
হতভাগা লিখেছেন : আমার এক কলিগ এক সাথে অফিস বাসে আসার সময় একজনের সাথে (বাবা/দাদার বয়সী) ফোনে কথা বলার সময় উর্দূতেই কথা বলছিল । কথা শেষ হবার পর জিজ্ঞেস করলাম যে ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে চাওয়ার কারণেই মূলত আমাদের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলন শুরু হয়েছিল - সেই ভাষাতেই আপনি যখন ওদের সাথে কথা বললেন তখন ঐ লোকটি কি ঐ সময় তারই সমবয়সী আপনার দাদা/নানাকে কি বলবে না , দেখ তোরা কি আন্দোলনই না করলি উর্দূকে রাষ্ট্র ভাষা মানবি না বলে , আর এখন তোরই নাতি/নাতনি আমার সাথে উর্দূতে কথা বলছে ?!
305424
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১০:২৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আদর্শভিত্তিক উর্দুকে গ্রহন করতে পারি নাই। কিন্তু অশ্লিলতা ভিত্তিক হিন্দিকে গ্রহন করেছি।
305438
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : ডিজিটাল বাবাতো বাংলিশ বলেন,জনতা একটু আধটু বাংন্দি বলবেন এতে মনকষ্টের কি কারন আছে ভাই... ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ,
305442
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৫৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কাভি কাভি মেরা দিল মে খায়াল আতা হেই, কে জেইসে হিন্দি কো বানায়া গায়া উর্দু কে লিয়ে...............

কিয়া বাত হে ইয়ার !! এহি তো সাচ হে....
305601
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৫
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
306308
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৪:৫৪
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : গাদা নাকি গুলিয়ে খায়।?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File