শেষ পর্যন্ত উর্দু ই আমাদের রাস্ট্রের ভাষা হয়ে গেল, আলহামদুলিল্লাহ
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ১৬ মে, ২০১৪, ১২:১৬:৪০ দুপুর
আমাদের অলি আহাদ সাহেবের আত্মজীবনী মূলক বইটা পড়ে খুব আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। এক যায়গায় উল্লেখ করেছেন কায়েদে আযম ঢাকায় এলে ছাত্র নেতাদের সাথে মিটিং করেন। সেখানে অলি আহাদ ও ছিলেন। কায়েদে আযম মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহ সেদিন বুঝাতে চেয়েছিলেন উর্দু ভাষা মুসলিমদের যত্নে গড়া ভাষা, যা পশ্চিম পাকিস্থানের কোন এলাকার ভাষা নয়, বরং এর মাতৃভূমি হলো ভারত। মুসলমানরাই একে লালন পালন করে উৎকর্ষিত করেছে। একে রাস্ট্র ভাষা করলে পাকিস্থান প্রতিষ্ঠার জযবার সাথে মিল খায়।
ছাত্র নেতৃবৃন্দ তার এই কথায় কর্ণপাত না করে হৈ চৈ করে ওঠে। এবং জিন্নাহ সাহেব ক্ষেপে যান। অলি আহাদ কারাগারে যান এই ভাষার বিরুদ্ধে যেয়ে, এবং বাংলাকে রাস্ট্র ভাষার দাবি করতে যেয়ে। এমন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বহিস্কৃত ও করা হয়।
আজ সমস্ত ইতিহাস সব কথায় গেলো?! জিন্নাহ সাহেব রাজনৈতিক শক্তি প্রয়োগ করে কিছুই করতে পারেন নি। আমাদের ভাষা দিবস পালন করে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে দারুন একটা আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সুযোগ করে দিয়েছেন মাত্র। আমাদের ভাইদের রক্তে রাঙানো ফেব্রুয়ারিকে কী সুন্দর পুজো পালনের উপলক্ষ্য হয়ে গেল। এটাই হলো কায়েদে আযমের ব্রেইন এবং মুসলমানি রক্তের জযবা।
অথচ ভারতের হিন্দু ভায়েরা কত সহজে মাত্র ২০ বছরে বাংলাদেশে আপামর জন সাধারণের ভাষাকে উর্দুতে পরিণত করে দিলেন। সেদিন এক কলেজের বাংলা বিভাগের এক বোন আমার কাছে একটা ই মেইল পাঠিয়ছেন একটা ফতোয়া জিজ্ঞেস করে। তিনি গোটা চিঠি টা উর্দুতে লিখেছেন। তবে ইংলিশ প্রতিবর্ণায়নে। আমি জিজ্ঞেস করলামঃ মা, তুমি এত সুন্দর উর্দু কোত্থেকে শিখলে। সে লিখলোঃ চাচু, কেয়া বাত হেই, এহ তু হিন্দি যবান হেই। মেই উরদু নেহি জানতি, মাগার মেরি হিন্দি বাংলা সে ভি বিহতার হেই’।
আমি হো হো করে হেসে উঠলাম। বল্লাম, জিন্নাহ সাহেব, আপনার মাথায় ব্রেইন ছিলো না, ছিলো কিছু হাড় হাড্ডি। আমার হিন্দু ভাইদের বুদ্ধি দেখেন। হিন্দি সিরিয়াল ও হিন্দি গানের মাধ্যমে কিভাবে আমাদের ভাষা উর্দুতে পরিবর্তিত হয়ে গেলো।ছয় ভায়ের রক্ত লাগলো না, পূজার বেদিও তৈরি করা লাগলো না।
কাভি কাভি মেরা দিল মে খায়াল আতা হেই, কে জেইসে হিন্দি কো বানায়া গায়া উর্দু কে লিয়ে...............
বিষয়: বিবিধ
৩৯৮২ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মেরি কেয়া কুসুর....
বাংলাদেশ থেকে আপনাকে মেইল করেছে তাও আবার হিন্দিতে?? সত্যি বিষ্য়কর ও ভয়াবহ..
১। হিন্দী সিরিয়াল শুধু হিন্দীকে প্রমোট করছেনা, বাংলাতেও আমাদের প্রজন্মকে দূর্বল করছে।
২। পারিবারিক বন্ধন ও সামাজিক আচরণ গুলো আস্তে আস্তে আমাদের সমাজে একদম ঢিলে হয়ে যাচ্ছে।
৩। মুসলিম কালচার এবং আমাদের ঘর বাড়িতে ইসলামের যে সব শব্দ বা ফেরেজেস আগে ব্যবহৃত হতো তা এখন দখল হয়ে গেছে হিন্দীর মেইন কালচারে।
রুখে দাঁড়াবে কে?
আপনার গ্যান্জাম টা ভালো লেগেছে এবং ভিডিও টা দেখলাম। জাযাকাল্লাহু খায়রান
বাংলাকে রক্ষা করার জন্যে কি রাজাকারদেরকে ডাকতে হবে?
ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
আমাদের অবস্থা এখন "থোরা থোরা জানতা"!!!
একবার বাংলাদেশের এক মন্ত্রী বলেছিলেন: ৫০ বছর আগে বাংলাদেশ ছিলো না, ৫০ বছর পরেও বাংলাদেশ থাকবে এটা ভাব ঠিক না। মন্ত্রী সাহেব হয়ত ঠিক ছিলেন।
হয়েছে। শেষ পর্যন্ত উর্দূ ভাষাকে শিখিয়েছে মূভি এবং
গানের মাধ্যমে। সেই সুযোগে আমরা এখন বেদী পূজা করছি। এ সরকার, সমস্ত মাদ্রাসাতে ২১শের
মূর্তি বানাবে। আর গোটা জাতী আগামীতে মূর্তি
পূজা করবে। হায়রে পৃথিবী।
বাছিয়া যাই হিন্দি বলে
উর্দু বলিলে মরি,
রাজাকার বলে কহে লোকে
খোদা ছাড়ি রাম রাম ধরি! :-/
[ ইস মুদ্দে পে মুজাকারা জারি রাহে.....]
ধন্যবাদ মামা
মন্তব্য করতে লগইন করুন