সাঈদী সাহেবের ফাঁসি অথবা ৯০ বছরের সাজা

লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ১৯ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:১৮:৪৪ দুপুর



বিচারক, বিচারিক কার্যক্রম, প্রসিকিউটারদের ভাব-ভাষা ও সরকারের মতি গতি দেখে বুঝাই যাচ্ছে আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেবের জন্য কি রায় অপেক্ষা করছে। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিতে যে সব সাক্ষের উপর ভর করতে হয় তার চেয়েও মারাত্মক সাক্ষী সাঈদী সাহেবের ক্ষেত্রে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইব্রাহিম কুট্টি বলেন আরা বিশাবলি বলেন, আদালতের কাছে অপরাধ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত করার যে টুকু চৌহদ্দি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করেছে, টিপু সাহেব ও হায়দার আলীদের হাসি মাখা চেহারাই বলে দেয়, সরকার পক্ষ তা সম্পন্ন করতে পেরেছেন।



ঐদিকে গোলাম আযম সাহেবের ৯০ বছরের শাস্তি পেতে যেসব অপরাধ রাষ্ট্র পক্ষ প্রমানিত করেছে, সাঈদী সাহেবের ক্ষেত্রেও তা সমভাবে প্রযোজ্য। কাজেই সুপ্রিম কোর্ট এর যে কোনটাই গ্রহন করবে তা যেন খুব স্পষ্ট মনে হচ্ছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট সাঈদী সাহেব কে বেকসুর খালাস দিলে তা শুধু চাঁদ দুই টুকরা হয়ে পড়ার মতই মুজিযা হিসাবে গন্য হবে হয়ত।

আসলে বাংলাদেশে ইসলামের খুব সংগীন সময় চলে এসেছে। আওয়ামিলীগের মত এত প্রাচীন মুসলিম রাজনৈতিক দল কেন জানি ‘প্যারানয়া’ তে ভোগে বুঝলাম না। ১৯৭১-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তারা জাসদ কে যে ভাবে ডরাতো, ২০০৬ থেকে আজ অবধি তারা জামাআত ইসলামিকে ঐভাবেই ভয় করে। জামাতের একজনকে দেখলেও আওয়ামি লীগ কেন জানি ভূত দেখার মত ভড়কে যায়। আর তাই জামাআতকে তা্রা শেষ করতেই একট্টা হয়েছে। এবং জামাআত কে শেষ করতে যেয়ে ইসলাম বিরোধী তকমা নিতেও আওয়ামিলীগের যেন যায় আসেনা। সাঈদী সাহেব কে শেষ করার পেছনে ঐ একটা কারণ ছাড়া আমি আর কিছুই খুঁজে পাচ্ছিনা।

সাঈদী সাহেব আগা গোড়াই একজন ওয়ায়েজ। সুন্দর বাচনিকে আধুনিক বিষয় আশয়ের দিক নির্দেশনা তার ওয়াজে থাকে বলে মানুষ তার খুব ভক্তি করতো। তার ওয়াজ শুনে প্রভাবিত হয়নি এমন কাওকেও পাওয়া যাবেনা। যারা ভালো মানুষ, তারা তার ওয়াজ শুনে আরো ভালো হওয়ার চেষ্টা করেছে। খারাপ মানুষেরা ভালো হওয়ার নিয়ত বেঁধেছে। আর অনেক অমুসলিম তার বক্তৃতা শুনে মুসলিম ও হয়েছে। যাদের সংখ্যা হাজারের ও বেশি আলহামদুলিল্লাহ। তবে তার আলোচনা শুনে আওয়ামি পরিমন্ডলে, সেক্যুলারদের মস্তিস্কে ও আবেগে, নাস্তিকদের মাথায় ও অন্তরে এবং ভারত-বান্ধবদের মননে ও চিন্তায় যেন আগুন লেগে যেতো। এ ক্ষেত্রে তার বক্তব্য এত ক্ষুরধার যে, তা সহ্য করাই কষ্ট হয়ে যেতো অদের। এই জন্য আমির হোসেন আমু কে যখন লন্ডনে একবার জিজ্ঞেস করা হয়, স্যার, সাঈদী সাহেব কে আপনি চেনেন। যুদ্ধাপরাধ তার দ্বারা আসলে হয়নি। তাকে রক্ষা করতে কিছু করা যায়না? তিনি বলেছিলেনঃ ........., কি বলবো, ওনার মুখের বাড়াবাড়ি টাই আজ উনার জন্য কাল। অত বড় বড় কথা না বল্লে হতনা? ছোট মানুষ, কিন্তু কথা বলতো যেন বিশ্বনেতা হয়ে বসেছেন?!!

তার মানে সাঈদী সাহেবের মুখের ইসলামি দিক নির্দেশনা আজ বাংলাদেশে তাকে মৃত্যুর মুখোমুখি করেছে। ওরা জানেনা যারা ইসলামের কথা বলে, ওরা কত উঁচু মানের মানুষ হয়ে থাকেন।

ইসলামের সামান্য কাজ করেও যারা ইন্তেকাল করেন আল্লাহ তাদের কে শাহাদাতের মর্যাদা দেন। কাজেই সাঈদী সাহেব শহীদ হলে, কিংবা হাজতের চার দেয়ালে বন্দী দশায় ইন্তেকাল করলেও আল্লাহর দরবারে তার মর্যদার ঘাটতি হবে না। কিন্তু তার জীবনটা কে যে ভাবে নাটকের মাধ্যমে শেষ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য তৈরী করে দেবে বিশাল একটা ক্ষত। যে ক্ষত একদিন আওয়ামি শরীরে ক্যান্সার ও এনে দিতে পারে। তাকে হত্যা করার জন্য বিচার ব্যবস্থা যে নযীর স্থাপন করলো, তা অন্ধকারের বড় বড় ভাগাড় হয়ে থাকবে আইন ও আদালতের ইতিহাসে।

ট্রাইবুনালের দেয়া সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে দেয়া ফাঁসির রায় শুনে প্রায় দুই শ’ ইসলাম পন্থী পুরুষ ও নারী তাদের জীবন দিয়েছে। আমি মনে করি এবারেও যদি ওই রায় বহাল রাখে, তাহলে এই ভাবে শত শত ভাই বোনেরা অকাতরে জীবন দিয়ে দেবে হয়ত। আমি অনুরোধ করবো জামাআত ও শিবির যেন রাস্তায় পুলিশ বাহিনীর গুলিতে আর জীবন না দেন। আমি জামাআত শিবিরের ভাই বোন দের বলবো, সবাই যদি শহীদ হন তাহলে সাঈদী সাহবের উপর চালানো জুলুমের প্রতিশোধ নেবে কে?

জাসদের বড় বড় নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ কিন্তু মেনন, মতিয়া, দিলিপ ও ইনুরা সুন্দর ভাবে নিয়েছে। যাদের কে শেখ মুজিব কচু কাটা করেছেন, তারাই এখন তার মেয়ের চারপাশে বসে দেশ চালাচ্ছে। আপনারা বেঁচে থাকুন এবং রক্ত শপথ গ্রহন করুন, যে বাংলায় সাঈদী সাহেবের উপর জুলুম চালানো হয় সেই বাংলায় আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে সমস্ত জুলুমের প্রতিশোধ নেয়া হবে।



সাঈদী সাহেবকে যে কষ্ট দেয়া হয়েছে, তার পরিবারকে যেভাবে নিষ্ঠুর হাতে শেষ করার চেষ্টা হয়েছে, তার কিছুটা শহীদ সাইয়েদ কুতুবের পরিবার বা হাসান আল বান্নার পরিবারের সাথে তুলনা করা যায়। এখনও তাকে যেভাবে বন্দীখানায় রাখা হয়েছে তা তার শরীর ও স্বাস্থের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়। সরকার আজ হয়ত বুঝতে পারছেনা, কিন্তু এক সময় হয়ত তার দীর্ঘশ্বাস গুলো সরকারের উঁচু পর্যায়ের লোকগুলোকে মরেও শান্তি দেবেনা।

বিষয়: বিবিধ

২৭২৪ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

210055
১৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:২৫
হতভাগা লিখেছেন : সাঈদী সাহেবকে ফাঁসি বা যাবতজীবন কোনটাই না দিয়ে শুধুমাত্র শাহবাগের সেই প্রজন্ম চত্বরে রেখে আসা হোক ।

যা করার তরুন প্রজন্মই করবে ।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৬
158623
সালাম আজাদী লিখেছেন : কথাটা খারাপ না। এই প্রজন্ম চত্তরের ছেলেরা এখন দেশ চালাচ্ছে। আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন সাঈদী সাহেবের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তারা সবাই বয়সে তরুন। শাহবাগ আর ওদের মধ্যে পার্থক্য হলো শাহবাগের ছেলেরা একটু মদ, বিরাণী ও মেয়ে পাগলা, এর সাঈদীর জন্য ঐ সব শহীদ তরুনেরা ছিলো আল্লাহর জন্য নিবেদিত প্রাণ
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:২০
158766
হতভাগা লিখেছেন : এই গনজাগরনের পোলাপানরা যেটা নিয়ে মাঠে নেমেছে সেটা করে দেখিয়েছে
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:৩৭
158767
আল মাসুদ লিখেছেন : হতভাগা নামটি ভালই মানাইছে। ঠিকই বলছেন। প্রজন্ম চত্ত্বরের যারা শিবির আসছে শুনে তেলের কড়াইতে পড়ে তারা অনেক কিছু করতে পারবে। ঐ তরুন প্রজন্মের মুরোদ জানা আছে। খোদার কসম, নারায়ে তাকবীর বলে একবার এগিযে গেলে পঙ্গপালের ন্যায় আপনার প্রজন্ম কোথায যাবে তার খোঁজ পাওয়া যাবে না। তাই কোর্টে যা ইচ্ছা করতে পারেন। ঐ চত্ত্বরের চ্যালেন্জ দিবেন না।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১০:০২
158774
হতভাগা লিখেছেন : @ আল মাসুদ

আষাঢ়ের তর্জন গর্জন সার
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৩৯
158822
সালাম আজাদী লিখেছেন : হায়রে হতভাগা, গণজাগরণ মন্চ সৃষ্টির ও বহু আগ থেকে আওয়ামী লীগ থেকে যা যা বলা হয়েছে এই তরুনরা সেই কথাই বলেছে। মানে সরকারের লোক আর কি।
েখন তো দেখছেন সরকারি ধোলাই। আরো আসতেছে সামনে। টাকার বান্ডেল পেলে ফাঁাসি চাওয়া যায়
210056
১৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:২৬
সুশীল লিখেছেন : ফাসি চাই
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
158626
সালাম আজাদী লিখেছেন : চান, চাইলেই তো পাচ্ছেন। না চাইলেও পাচ্ছেন। আপনারাই তো এখন সব!! এই দিন দিন নয়, আরো দিন আছে
210062
১৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৬
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : কতটুক কান্ডজ্হানহীন আর অযোগ্য হলে একজন বিচারক ক্ষমতালোভী নেত্রীর নির্দেশে বিচারের কলমে হাত ধরে! ছি।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
158627
সালাম আজাদী লিখেছেন : এখানেই তো আল্লাহর বিচার শুরু হবে। জাযাকাল্লাহু খায়রান
210065
১৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৫
আব্দুল জাব্বার s লিখেছেন : বিড়ালের মত ৫০০ বছ র বেচে থাকার চাইতে সিংহের মত ১ ঘন্টা বাচতে চাই বলেছেন
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
158628
সালাম আজাদী লিখেছেন : উনি সিংহের চেয়েও আরো বড় মনের
210069
১৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৩
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : ফাসি না হলে তো কলঙ্কমুক্ত হবে না । সুতরাং যার যা প্রাপ্ত তাকে তাই দিতে হবে।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
158629
সালাম আজাদী লিখেছেন : 'যার যা প্রাপ্ত তাকে তাই দিতে হবে', তাই হবে ইনশাআল্লাহ
210151
১৯ এপ্রিল ২০১৪ বিকাল ০৫:৫২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আপনার প্রাণস্পর্শী লিখাটা পড়ে চোখের পানিতে বুক ভিজে যাচ্ছে। হে মহান রাব্বুল আলামীন যারা ক্ষমতার মোহে জঘন্য পাষণ্ড মানসিকতায় লিপ্ত হয়ে অমানবিকভাবে আল্লাহ্‌র সন্মানিত মেহমানকে কলংকিত করার অপচেষ্টা করছে তাদেরকে হয় তুমি হেদায়ত দান করো নয়তো বেইজ্জতি করে ধ্বংস করে দাও।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৫
158679
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন
210164
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১২
সালমা লিখেছেন : ফাঁসি অথবা ৯০ বছরের সাজা কোনটাই চাই না। চাই সসম্মানে মুক্তি। লোভী আবার বিচারক হয় নাকি। সত্যের বিচার হবে আসমানে,ইনশাআল্লাহ।
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৫
158680
সালাম আজাদী লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ
210186
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫২
আহমদ মুসা লিখেছেন : সাঈদী সাহেবকে গ্রেপ্তার থেকে আপিল বিভাগে মামলা চলাকালীন সময় পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে প্রতিটি কার্যক্রমে ভারতপন্থী এবং তাদের এদেশীয় গোলাম দাসীদের নাফরমানীসূলভ আচার আচারণে যথেষ্ট সন্দেহ করার কারণ রয়েছে যে, আল্লামা সাঈদীর উপর হয়তো ক্যাপিটাল আক্রোশ চরিতার্থ করবে। বাংলাদেশের কথিত যুদ্ধাপরাধ বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী ট্রাইবুনালের জন্ম এবং তাদের কার্যক্রমের সোজা সাপ্টা বা সাধাসিধে বিশ্লেষণ করলে প্রকৃত রহস্যে বা এর অন্তর্নিহিত মাজেজা অনুধাবন ও তাদের মুখোশ উন্মোচন হবে বলে মনে হয় না। এ ট্রাইবুনাল গঠনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনার তেমন ভূমিকা নেই। পর্দার আড়ালে ভারতই এ ট্রাইবুনাল গঠনে মূখ্য ভূমিকা রেখেছে। এখনো ট্রাইবুনালের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ভারতের হাতেই রয়েছে। শেখ হাসিনাকে এক্ষেত্রে পুতুল নাচের পূতুল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্র। ১৯৪৮ সালে হায়দারাবাদের করুণ পরিণতির ইতিহাস যদি আমরা গভীরভাবে পর্যালোচনা করি তবে কিছুটা হলেও আমরা বর্তমান পরিস্থিতিরি ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবো। বাংলাদেশপন্থী কোন কোন বিশ্লেষক ধারণা করছেন ভারত বাংলাদেশকে পূর্ণরূপে দখল করে ভারতের অন্তুভূক্ত রাজ্যে বানাবে না। শেখ হাসিনার মত একটি অনুগত পুতুল সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মসনদে বসিয়ে যাবতীয় ফায়দা লুটবে। তারা উদাহারণ হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশের মেরুদন্ডহীন ফরেন পলিসি ও ভারতের প্রতি জি-হুজুর নীতিতে পশ্চাতের নরম অংশটি ভারতমুখী রাখার আত্মঘাতি অপদার্থগুলোর কাজ কারবারের দিকেই ইংগিত দিয়ে থাকেন। আর এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য যেভাবেই হোক ভারতের অনুগত অপদার্থগুলো থেকে ক্ষমতা চিনিয়ে নিতে পারলেই কেল্লফতে।
বাংলাদেশপন্থী এসব বুদ্ধিজীবিদের হায়দারাবাদের ইতিহাসের দিকে নজর দিতে অনুরোধ করবো। ভৌগলিক অবস্থানগত তুলনায় বাংলাদেশ হায়দাবাদের চেয়েও অতীত সেনসেটিভ ও ঝুকিপূর্ণ একটি অঞ্চল ভারতের ইউনিয়ন ঠিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে। হায়দারাবাদকে তিন টুকরো করে গিলে ফেলেছে ভারত। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে হায়দারাবাদের মত করুণ পরিনতি ভোগ করতে হবে না তা নিশ্চত করে কেউ বলতে পারবে না। ১৯৯৫ সালে বঙ্গ কে ভঙ্গ করা হয়েছিল। আবার ১৯০৯ সালেই ততকালীন অপরাধী ট্রাইবুনালের হোতাদের বিরোধীতার কারণেই বঙ্গভঙ্গকে রদ করতে হয়েছিল বিটিশ লুটেরাদের। বিটিশ লুটেরাগুলো এখন নেই। কিন্তু তাদের পদলেহনকারী কুযোগ্য উত্তরসূরী চোর ডাকাত এবং গরীব দূঃখী মেহনতী বদি আদম যাদের বেশীর ভাগই ধর্মীয়ভাবে মুসলিম তাদের হকুকাত আত্মসাৎকারীদের চোখে ঘুম নেই, নিরীহ মানুষের রক্ত পিপাসু সেই সাম্প্রদায়িক জানোয়াগুলোর হিংস্র দাতগুলো সব সময় গালের বাহির করেই রাখে।
বর্তমানে বাংলাদেশের যে অবস্থা তাতে এখনো পর্যন্ত ভারতীয়রা বাংলাদেশকে পূণার্ঙ্গ দখলে নেয়ার সাহস করবে না। এখনো বাংলাদেশ সে পর্যায়ে উপনিত হয়নি। কিন্তু ভারতের থিং ট্যংরা বসে নেই। বাংলাদেশকে পূর্ণাঙ্গ কব্জায় নেওয়ার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম তারা পুরো দমে চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আশংকা হয় অদূর ভবিষ্যতে কোন একদিন সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনতে পাবো বাংলাদেশের মানচিত্রকে টুকরো করে কুমিল্লাকে বলা হবে ত্রিপুরার অংশ, চট্টগ্রামকে বলা হবে মিজুরামের অংশ, খুলনাকে বলা হবে কোলকাতার অংশ, রাজশাহীকে বলা হবে বিহারের অংশ, সিলেটকে বলা হবে মেগালয়ের অংশ। সমৃদ্ধ ঢাকা হবে হায়দারাবাদের মত একটি শুধুই মেগাসিটি। এ ধরনের অলিক স্বপ্ন দেখার হারামজাদাগুলোর আস্ফালন দেখে আজ কেন আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে এভাবে ইতিহাস রচনা করতে উঠে পড়ে লেগেছে তা বুঝতে সহজ হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে মুসলমানদের হাতে সর্বশ্রেষ্ট নেয়ামত (কোরআন) থাকার পরেও তারা ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ না হওয়ার কারনে বৃটিশরা চলে যাওয়ার পরেও ১৯৪৭ সাল থেকে এযাবত ভারতীয় উপমহাদেশে যত নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরেছে তাদের বেশীর ভাগই মুসলমান, যত নিরাপরাধ মানুষের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠেছিল তাদের বেশীর ভাগই মুসলমান। যত নারীর ইজ্জত হরণ হয়েছে তাদের বেশীর ভাগই মুসলমান।
অথচ মানবতা রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, উপমহাদেশের আজাদীপ্রিয় মানুষের হারানো স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে আনার জন্য রক্ত দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে মুসলমানরাই। পক্ষান্তরে যারা মানুষের অধিকার আদায় ও স্বাধীনতা অর্জনের নামে ডাকাতি এবং মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্মদাতা তারাই আজ বীরের মর্যদা চিনিয়ে নিতে তৎপর। তারাই আজ মজলুম মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে আর্ভিভুত হওয়ার খায়েশ করে!
আজ সময় এসেছে দল মত নির্বিশেষে আল্লামা সাঈদী সাহেবের উপর আরোপিত মিথ্যা এলজামের বিরুদ্ধে সৌচ্চার হওয়ার। মনে রাখতে হবে ব্যক্তি সাঈদী যেমন জাহেল নাফরমানদের তার্গেট তেমনি তার আদর্শ ও ফিলোসফি তার চেয়েও বড় তার্গেট এ জাতির আসল শত্রুদের।

আওমী লীগের রাজনীতি এখন মুসলমানদের হাতে নেই। আওমী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে মানবতা বিরোধী নাস্তিক বামপন্থী এবং মানব সভ্যতার চরম শত্রু তথাকথিত সমাজতন্ত্রের স্লোগান ফেরি করে দুনিয়াতে ফ্যসাদ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের খুন ঝড়ানো সম্পদের অপচয়কারী বেত্তমিজ নাস্তিকগুলো। তাদেরকে সরাসরি সাপোর্ট দিচ্ছে ইন্ডিয়ার রাষ্ট্রীয় পলিসি নির্ধারণকারী চরম মুসলিম বিদ্বেশ পোষণকারী থিং ট্যাংকের সদস্যরা। দূর্ভাগ্যের ব্যাপার হচ্ছে ভারতীয় উপমহাদেশের আজাদীর স্বাদ গ্রহণের জন্য, নিজস্ব তাহজিব তামাদ্দুন ও নিজস্ব সকীয়তার বিকাশ ঘটিয়ে উপমহাদেশের আম জনতার সার্বিক মুক্তির জন্য যারা লড়াই করে রক্ত দিয়েছে, যারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে ইংরেজদের বিতাড়নের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে তারাই আজ সবচেয়ে নির্যাতন আর অবহেলার স্বীকার। অপর দিকে চিটার, টাউট বাটপার, চোর, ডাকাতগুলোর হাতেই চলে গেছে নেতৃত্ব ও কর্তৃত্ব। সংখ্যার বিবেচনায় সর্ব বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্টীর দেশ ভারত। প্রায় ২৫ কোটির চেয়েও বেশী মুসলিম। অথচ ভারতীয় নীতি নির্ধারণী পলিসি মেকারদের আসনে মুসলমানরা নেই। তা না হলে "র" এর মত একটি শক্তিশালী ও দুনিয়ার বিখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার যাবতীয় পলিসি সব মুসলমানদের স্বার্থ বিরোধী হয়ে থাকে কেন? প্রতিবেশী দেশ হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত অন্যায় ও জুলুমের যেভাবে চর্চা করে আসছে সেখানে বাধা দেয়ার মত অথবা পলিসি মেকারদের চিন্তার ট্র্যাককে ঘুরিয়ে দেয়ার মত কোন মুসলিম ব্যক্তি বা সংস্থা এখনো যোগ্যতা অর্জন করে উঠতে পারেনি?
ভারতীয় থিং ট্যাংকের একটি গ্রুফের মাস্টারপ্ল্যন বাস্তাবায়ন করার উদ্যেগের সফল বাস্তবায়ন হচ্ছে বাংলাদেশের মানবতা বিরোধী অপরাধী ট্রাইবুনাল।
বেশী লম্বা হয়ে যাচ্ছে মন্তব্যটি, তাই আর বাড়াতে চাই না।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩২
158995
সালাম আজাদী লিখেছেন : বিষয়টা এমন যে, লিখতে গেলে লেখাই চলে আসে। জাযাকাল্লাহু খায়রান খুব সুন্দর মন্তব্য উপহার দেয়ার জন্য। আল্লাহ আমাদের প্রানপ্রিয় হুজুর এর সব দ্বায়িত্ব নিজের হাতেই নিয়ে নিন। আমীন
210217
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১২
ফেরারী মন লিখেছেন : আইন অনুযায়ি যেটা হয় সেটাই কাম্য।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩২
158996
সালাম আজাদী লিখেছেন : হাঁ, একমত, তবে আওয়ামি আইন অনুযায়ি না
১০
210253
১৯ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আল্লামা সাঈদির অপরাধ তিনি মানুষকে ইসলামের পথে আহব্বান করেন।
অার আওয়ামি লিগ ইসলামের পুর্ন বিরোধি।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
158997
সালাম আজাদী লিখেছেন : ঠিক বলেছেন
১১
210284
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৩৭
সবুজেরসিড়ি লিখেছেন : আল্লাহ ওদের কে হেদায়েত দান করুন, যেন সাঈদী সাহেব মুক্ত হন . . .
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
158998
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন
১২
210363
১৯ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:১৫
ইমরান ভাই লিখেছেন : মাকারু মাকারাল্লাহ ওয়াল্লাহু খায়রুল মাকিরিন
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
158999
সালাম আজাদী লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ
১৩
210494
২০ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ১০:২২
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : আল্লাহ তুমি এই মযলুমের সহায় হয়ে যাও।
ধর্মদ্রোহী নাস্তিক শক্তিকে তুমি পরাজিত করে দাও।
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৩৩
159000
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমীন
১৪
210590
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০১:৫৮
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বিচারের নামে অবিচার, তবে যারা এটা ঘটাবে, যারা এক উৎসুক দর্শক হবে, মৃত্যুর আগে তাদেরই এ জাতীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এটা আল্লাহর ওয়াদা। তবে জনগন এটার মাশুল গুনবে এ জাতীয় অন্যায় মেনে নেবার কারণে। অনেক ধন্যবাদ
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০২:১৫
159018
সালাম আজাদী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খায়রান, টিপু ভাই
১৫
210665
২০ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : অন্য কিছু না পারুক, মাওঃ সাঈদী সাহেবের ভক্তরা তাঁর পক্ষে লিখে লিখে সমগ্র দেশবাসীকে সজাগ করা উচিত।
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৮:৫৯
159285
সালাম আজাদী লিখেছেন : হাঁ তাই
১৬
210814
২০ এপ্রিল ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫১
শেখের পোলা লিখেছেন : ফায়সালা জমিনে নয় আসমানে হয়৷ সেই আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রইলাম, আপিল করবনা৷ সেই আদালতের বিচারকের কাছে নিজেকে সমর্পন করেই দিয়েছি৷
২০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০৯:০০
159286
সালাম আজাদী লিখেছেন : এটা কার কথা? আপিল তো করা হয়েছে।
১৭
210960
২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:২১
সায়িদ মাহমুদ লিখেছেন : ধারুণ লিখেছেন, আমার মনের কথাগুলোই আপনার কিবোর্ডে টাইপ করেছেন ভাইজান।
২১ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১২:২৯
159377
সালাম আজাদী লিখেছেন : নিজকে ধন্য মনে করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান
১৮
214617
২৮ এপ্রিল ২০১৪ রাত ১১:৪১
সত্যলিখন লিখেছেন :

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File