মুহাম্মাদ কুতুবের ইন্তেকালে চোখে অশ্রুর বন্যা, হৃদয়ে বিয়োগ ব্যথা
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ০৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৬:১৪:৫১ সকাল
কাল সারা রাত ঘুমাইনি। খুব খারাপ ছিলো মনটা। কারণ খুঁজে পাই নি। আর সারা রাত ধরে মুহাম্মাদ কুতুব কে নিয়ে লেখা বিভিন্ন গবেষণা পড়া শুনা করেছি। স্ত্রীকে বলেছি, আমি কুতুব পরিবারের লেখা টা শেষ করতে চাই, এবারে রমাদানে বইটা বাজারে আনার নিয়্যাত করেছি। তাই তুমি ঘুমাও আমি একটু পড়ি। মুহাম্মাদ কুতুবের কয়টা বই পড়ে সকালে ফজরের পর ঘুমালাম। বিকালে যখন আমার এক ছাত্র মুহাম্মাদ কুতুবের ইন্তেকালের সংবাদ দিলো, মিলিয়ে দেখলাম রাত জাগার সেই কাতর মুহুর্ত গুলোর সময়েই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন আমার প্রানপ্রিয় এই উস্তায শায়খ মুহাম্মাদ কুতুব। আজ ২০১৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল শুক্রবার জিদ্দার ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল সেন্টার হসপিটাল 'মুস্তাশফা আলমারকায আলতিব্বী আলদাওলী'তে ফজরের পর তিনি ইন্তিকাল করেন।
মুহাম্মাদ কুতুব ১৯১৯ সালের ২৬শে এপ্রিল মিশরের আসইয়ূতের মুশা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার প্রাইমারি ও সেকন্ডারি শিক্ষা বড় ভাই সাইয়েদের তত্বাবধানে কায়রোতেই হয়। ১৯৪০ সনে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংলিশ ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রী গ্রহন করেন। এরপর আরো এক বছর শিক্ষায় হাইয়ার ডিপ্লোমা নিয়ে শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। মিশরের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুবাদ বিভাগেও ৫ বছর কাজ করেন। এর পর আবার শিক্ষকতায় ফিরে যান। ১৯৫০ সন হতে তিনি ইখওয়ানুল মুসলিমুনের সাথে পরিচিত হন। এবং বিভন্ন কর্মকান্ডে অংশ গ্রহন করেন। ফলে বড় ভায়ের সাথেই ১৯৫৪ সালে কারাবাস করতে হয় তাকে। বড় ভায়ের তথাকথিত অপরাধে গোটা পরিবারে জামাল আব্দুল নাসেরের যে অত্যাচারের খড়্গ নেমে আসে, মুহাম্মাদ কুতুব তা থেকে নিস্কৃতি পাননি। ১৯৬৫ সনে আবার তাকে আটক করা হয় এবং ভায়ের ফাঁসির কাষ্ঠে শাহাদাত বরণের পর ১৯৭২ সনে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তাকে এর পরে বাধ্য করা হয় দেশ ছাড়তে। তিনি সৌদি আরবে চলে আসেন, এবং দ্বীন প্রচারে ব্যাপৃত হন। ঐ বছরেই তিনি বাদশাহ আব্দুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয়ের মক্কা শাখায় লেকচারার হিসেবে নিয়োগ পান। পরে এই ইউনিভার্সিটি 'উম্মুল কুরা' নাম ধারণ করলে তিনি এখানের উসূল আলদ্বীন বিভাগের আক্বীদা ও আধুনিক ইসলামী থট এর প্রফেসর হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ৩৫টার বেশী বই লিখেছেন। বাংলা ভাষায় অনুবাদিত 'ভ্রান্তির বেড়াজ্বালে ইসলাম' ও 'বিশ শতকের জাহিলিয়্যাত' বই দুটো পড়লে তার জ্ঞানের গভীরতা আন্দাজ করা যাবে। ইসলামে তার বিশাল অবদান কে মূল্যায়ন করে মুসলিম বিশ্বের 'নবেল প্রাইজ' হিসাবে গন্য ফয়সাল পুরুস্কার প্রদান কমিটি তাকে পুরুস্কার পাওয়ার উপযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করেন। ১৯৮৮ সনে তাকে এই পুরুস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
তার কাছে শিক্ষা নিয়েছেন অনেক বড় বড় আলিম উলামা। ডঃ সাফার আলহাওয়ালী, ডঃ মুহাম্মাদ আলকাহতানী, ডঃ আলী আল'আলইয়ানী, ডঃ সালমান আলআওদাহ, শায়খ সাঈদ মুসফির আলকাহতানী সহ অনেক প্রখ্যাত উলামা তার হাতে দ্বায়ী ইলাল্লাহের যোগ্য হয়ে গড়ে উঠেছেন। তিনি ভাই সাইয়েদ কুতুবের ভাব ভাষা, চিন্তা ও চেতনায় দারুন ভাবে ঋদ্ধ হয়েছেন। তার সম্পর্কে ভাই সাইয়েদ কুতুবের 'অজানা তীরে' কবিতায় বলেছেনঃ
أخي، ذلك اللفظُ الذي في حروفه رموزٌ وألغازٌ لشتى العواطفِ
أخي ، ذلك اللحنُ الذي في رنينه ترانيمُ إخلاصٍ و ريّا تآلفِ
أخي أنت نفسي حينما أنت صورة لآمالي القصوى التي لمّا تُشارفِ
فأنت عزائي في حياة قصيرة وأنت امتدادي في الحياة وخالِفِي
'আমার ভাই' - এই শব্দে গাঁথা হরফ সমাহারে
মনের নানান টানের চিহ্ন, গোপন রহস্য
'আমার ভাই' -এই কণ্ঠে ভাসা বীণার ঝংকারে
নিষ্ঠার সুর, ভেজা ভেজা মিলন সহাস্য।
ভাইটি আমার আত্মা যেন, ছবি হয়ে ভাসো
তুমিই অসীম আশার আলো ভবির অন্ধকারে
ছোট্ট জীবনে সান্তনা নিয়ে দু'হাত বাড়িয়ে আসো
তুমিই আমার জীবন দিবে অনেক লম্বা করে।
আসলেই তাই হয়েছিলো। সাইয়েদের শাহাদাতের পর মুহাম্মাদ কুতুব ই তার চিন্তার অবশিষ্ঠ গুলো আমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন। তার লেখা অনেক গুলো বই পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। আমি সেখানে প্রতিটি ছত্রে, শব্দে, কিংবা ভাবের বিন্যাসে সাইয়েদ কেই খুঁজে পেয়েছি। এ যেন শহীদ সাইয়েদ কুতুবের জীবন টা তার ভাই লম্বা করে দিয়ে গেছেন।
তিনি ছিলেন জ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে ইসলামী করণের প্রবক্তা। তিনিই প্রথম ব্যক্তি যার উদ্যোগে 'ইসলামাইজেশান অব নলেজ' শ্লোগান টা খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি এবং বাংলাদেশের ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফ ছিলেন এই কাজের প্রথম উদ্যোক্তা। উনার একটা কথা আমাকে দারুন ভাবে আলোড়িত করেছিলো। তিনি বলেছিলেনঃ ইসলামের ইতিহাসে কোথাও ইসলামি জ্ঞান এবং অনিসলামি জ্ঞান বলে কিছু নেই। মানব কল্যানে যেসব জ্ঞান রয়েছে তা সবই ইসলামি, সেটা যেখানেই থাকুক মুমিনদের এটা শেখা জরুরী। এখানেই তিনি হাদীসের কথাটা কৌট করতেন। 'আলহিকমাতু দ্বাল্লাতুল মু'মিন। আন্না অজাদাহা, ফা হুয়া আহাক্বু বিহা।'
মুহাম্মাদ কুতুব বহু বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। সাহিত্যে তার পদচারণা পরিবারের অন্যান্যদের চেয়ে কোন অংশে কম ছিলোনা। কবিতাও লিখেছেন ঢের। সমালোচনা সাহিত্যে তার অবদান অনেক বেশী। ইসলামি সাহিত্য সন্দর্শনে তার লেখনী আজো পর্যন্ত রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহৃত হয়। তার 'মানহাজ আল ফান্ন আলইসলামী' বই টা ইসলামি সাহিত্য প্রেমীদের পড়া একান্ত কর্তব্য বলে আমি মনে করি। এই বই তে তিনি এক যায়গায় বাংলা ভাষার কবি রবীন্দ্রনাথের কবিতাও আলোচনায় এনেছেন। এবং সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, অমুসলিমদের লেখা সাহিত্য যদি মানবতা বোধকে উপজীব্য করে লেখা হয়, তাও ইসলামি সাহিত্যের উদাহরণ হিসাবে গ্রহন যোগ্য হতে পারে। ছাত্র জীবনে তার এই মন্তব্য পড়ে আমি অদ্ভুত ভাবে শিহরিত হয়েছিলাম।
তিনি ই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইসলামে 'তারবিয়্যার' ধারণাকে বিকশিত করেছেন। আমার জানা গন্ডীর মধ্যে তিনি প্রায় ১০টার মত বই লিখেছেন, যা সরা সরি ইসলামি এডুকেশান নিয়ে লেখা। তিনি বলেছেন 'শিক্ষা' 'জ্ঞান দান' 'প্রশিক্ষণ' 'এডুকেশান' এসব গুলো এক জিনিষ আর 'তারবিয়্যাহ' আরেক জিনিষ। তারবিয়্যাহর কাজ হলো একজন মানুষের ভেতরে থাকা প্রতিভা কে উন্মিলিত করে দেশ ও জাতির উপকারে আসতে পারে এমন ভাবে তাকে গড়ে তোলা। তিনি বলেছেন, ইসলামের ইতিহাসে কোন তারবিয়্যাহ প্রাপ্ত লোক কোথাও বেকার থাকতো না। বিশ্বাস করেন, এ সম্পর্কে তার দর্শন গুলো না পড়লে ইসলামি এডুকেশান নিয়ে ভাবাটা খুব ফলোদায়ক হবে না।
সৌদী আরবে ৬ বছরে থাকা কালে মাত্র তিনবার তাকে দেখেছি। দুইবার রিয়াদে, একবার মদীনায়। এত জ্ঞান, এত সুন্দর ভাষায় আলোচনা জীবনে খুব কম শুনেছি। এমন মানুষের ভালোবাসা পেয়ে নিজকে খুব ধন্য মনে হচ্ছে, দুয়া করছি আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন। তার তিন বোন ও ভাইকে একত্রে জান্নাতে রাখুন। তাদের ত্যাগ ও কুরবানী কে ইসলামের জন্য কবুল করুন।
বিষয়: বিবিধ
৪২৯৩ বার পঠিত, ১২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
বিষয়টির সাথে পুরোপুরি একমত নই। জ্ঞানের মুক্ত বিহঙ্গের পরতে পরতে ইসলামী লেবেল লাগিয়ে দিলে জ্ঞান শুধু সংকুচিতই হবে, নয় কি?
ধন্যবাদ আপনাকে।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : "মানব কল্যানে যেসব জ্ঞান রয়েছে তা সবই ইসলাম" (????)বটেই! নিতান্তই হাসালেন
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : @ তারাচাঁদ :২১ শতকের বিজ্ঞানময় অমুসলিমরা কখনো মুসলিম মুমিনদের নিয়ে ভাবিত নয়, বরং মুসলিম মুমিনরাই অমুলিমের দেশে ইসলাম ধর্মের জিজিয়া কর আদায়ের জেহাদী আফিম ত্যাগ করতে পারেনা।[b]@ বন্ধু ঈগল ভায়া :[/b] হুম!! কাফের, মুর্তাদ, নাস্তিকের কল্লা কর্তনের কল্যাণমূলক জ্ঞানকে ইসলাম সমর্থন করে।
আপনাকে অনেক শুকরিয়া
জাযাকাল্লাহু খায়রান
=========
ভাই, একটি প্রশ্ন ছিল, মুহাম্মদ কুতুব কি শেষ পর্যন্ত মুসলিম ব্রাদারহুডে ছিলেন? আশা করছি নিশ্চিত উত্তর দিবেন।
মজলূম স্কলার মুহাম্মদ কুতুব সত্যিই একজন উম্মাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানের আলোকবর্তিকা। বিংশ শতাব্দীতে মানবজাতির রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরতে, বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে দুনিয়াতে ফিতনা ফ্যাসাদ ও হানাহানিতে লিপ্ত মানব জাতিকে শাস্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইসলামের শ্রেষ্ঠত্বকে লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরার ক্ষেত্রে, পুজিবাদী শোষণতান্ত্রিক সুদ ভিত্তিক অর্থ ব্যবস্থার অসারতা ও গরীব-অসহায় মানুষের হক প্রতিষ্ঠার জন্য কল্যাণমূখী ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার কার্যকর ব্যাখ্যা ধার করার ক্ষেত্রে, নিত্য নতুন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের ইসলামের আলোকে যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে, সর্বপরি যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো বর্তমান উম্মাহর উপর মিডিয়া আগ্রসনের কারণে মুসলিম মিল্লাত সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ তা যেসব মুসলিম স্কলাররা গোড়াতেই বুঝতে পেরেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হচ্ছেন মুহাম্মদ কুতুব রাহিমাহুল্লাহ।
মিডিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত একজন ব্লগারের একটি ব্লগে আমি মন্তব্য করেছিলাম বেশ কিছুদিন পূর্বে। প্রসংঙ্গক্রমে এখানে তা উল্লেখ করছি-
মুসলমানদের মিডিয়াবিমূখীতার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশে আমাদের জাতির আলোর মশালধারী তথা আলেম সমাজের একটি বড় অংশই সেই বিংশ শতাব্দির শুরু থেকেই মিডিয়ার প্রতি নেতিবাচক চিন্তা চেতনার প্রভাব পড়েছে আজকের জাতির এই করুণ ধন্যতার উপর। অবশ্য আলেম সমাজের এই পশ্চাৎমূখীতার বেশ কিছু যৌক্তিক ও বাস্তবধর্মী কারণও ছিল। আলেম ওলামারা গল্প, নাটক, উপন্যাস ইত্যাদি সাহিত্যের এই শাখাগুলোতে সংগত কারণেই তেমন বিচরণ করেননি। তা তাদের পক্ষে শোভনীয়ও ছিল না। এর ফলে এসব সাহিত্যের যখন স্থির চিত্রায়ণের বৈপ্লবিক সূচনা হলো তখন খালি পোস্টে গোলা দেয়ার জন্য এগিয়ে আসলো তথাকথিত প্রগতিশীল নামের দুর্গিতিশীলরা। এই দুর্গিশীলদের খপ্পরে পড়ে যাত্রাতেই হুচোট খেয়ে পদশ্চুৎ হয়ে শয়তানের কর্মসূচী বাস্তবায়নের হাতিয়ারে পরিনত হলো এই শিল্পটি। এর পতিক্রিয়া স্বরূপ আলেম ওলামাদের তরফ থেকে ফতোয়া আসতে লাগলো সিনেমা দেখা হারাম, নাটক দেখা হারাম, টেলিভিশন দেখা হারাম, ভিসিয়ার দেখা হারাম। এর একটি বাস্তব কারণও ছিল। ওখানে যা প্রচার করা হচ্ছে তা দিতে জাতির প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তর পর্যন্ত সুষ্ঠ দিক নির্দেশনামূলক কিছুই দিতে পারছে না। পারবেই বা কি করে? ওখানে আগে থেকেই ঢুকে পড়েছে তথাকথিত প্রগতিশীলরা। যার ফলে আলেম সমাজের পক্ষ থেকে এসবের বিরুদ্ধে ফতোয়া আসাটা ছিল একটি অত্যন্ত সাভাবিক পতিক্রিয়া। একারণে এই জগতটাতে ঈমানদার মেধাবী লোকদের পদচারণা তেমন নিজের পরিবেশবান্ধব ছিল না।
কিন্তু মিশরীয় ইসলামী বুদ্ধিজীবিরাসহ বিংশ শতাব্দির অনেক মুসলিম স্কলার এ সমস্যাটি খুব তীব্রভাবে বুঝতে পেরেছিলেন। যার ফলে আরব জাহানের ইসলামী পন্ডিতদের ফতওয়া এবং সম সময়িকালের উপমহাদেশীয় আলেম বিশেষ করে ওলামায়ে দেওবন্দীদের একটি বিশাল অংশ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জগত সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার কারণে তাদের ফতওয়ার মধ্যে তারতম্য দেখা যায়। কিন্তু শহীদ হাসানুল বান্না ও সাইয়েদ কুতুবের চিন্তার প্রভাব যেসব অঞ্চলে পড়েছে সে সব অঞ্চলের মুসলমানরা কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে মিডিয়াগিরিতে। এক্ষেত্রে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানরা অনেক পিছিয়ে আছে তুলনামূলকভাবে।
আসলে আমি মন্তব্য লেখা শুরু করেছিলাম মরহুম মুহা্ম্মদ কুতুবের মৃত্যুতে লিখিত শোকাহত ব্লগটিতে। কিন্তু প্রসংঙ্গক্রমে মন্তব্যের ট্র্যকটি অন্যত্র চলে গেলো। মন্তব্যটি লম্বা হলে গেলো বিধায় দুঃখিত। মরহুম মুহাম্মদ কুতুবকে মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের কাতারে শামিল করে নিক- এ দোয়াই প্রার্থণা করছি।
ব্লগার মাই নেম ইজ খানের ব্লগে মন্তব্য করেছিলাম।
উস্তাদজি, ভূল হলে দয়া করে শুধরে দেবেন। আমার ব্যক্তিমত উপলব্ধীটুকুই বললাম কেবল। সুন্দর একটা পোষ্ট উপহার দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহু খায়রা; আমার পোস্টের চেয়েও সুন্দর আপনার কমেন্ট। নিজকে গর্বিত মনে হচ্ছে আপনার লেখা কমেন্ট পড়ে।
আচ্ছা ওস্তাদ! বাত কে বাত এক্কান আবদার করণ যায় না আপনাদের মতন বিদ্ব্যান ব্যক্তিদের প্রতি?
মানে হেতিনির বিখ্যাত কুতুবগুলানরে আমাগো মত বাঙ্গাল অধমগো লিগ্যা তরজুমা করে হুনানোর উদ্যেগ নেওন যায় না?
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অনবদ্য তাফসীরগ্রন্থ ফী জিলালিল কুরআনের রচয়িতা সাইয়েদ কুতুব শহীদের যোগ্যতম সহোদর এই সুমহান ব্যক্তিত্ব বিশ্ব-ইসলামী আন্দোলনের একজন শতাব্দীসেরা উজ্জ্বল নক্ষত্র! সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁর পরিবারের প্রতিটি অনন্য সদস্য এপথে! তাঁদের লেখনী, ত্যাগ-তিতীক্ষা, সংগ্রাম-সাধনা পৃথিবীর প্রতিটি আনাচে-কানাচে কর্মরত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অবিরাম অনুপ্রেরণা-উৎসাহ দিয়ে যেতে থাকবে! মহান রব অবশ্যই তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করবেন, ইনশাআল্লাহ...
আপনার লেখাটি পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম । কুতুব ভাইয়েরা আলাদা দু'জন ব্যক্তি আজ জানলাম ।
বাংলাদেশের ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফকে নিয়ে আপনার লেখা ব্লগে পড়তে চাই তাহার বেপ্যারে জানতে চাই ।
আপনার কলমে আল্লাহ বরকত দান করুন ।
জাযাকাল্লাহু খায়রান ।
ে
বস,একটা বিষয় জানতে চাই আরবি 'মালিশ' শব্দটার বাংলা অর্থ কি হবে ? বিনীত
আরবিতে نحت বলে একটা পরিভাষা আছে, যার অর্থ কয়েকটি শব্দ সমষ্টি খন্ডিত অংশকে একত্রে এনে একটি শব্দে রূপান্তরিত করা। যেমন لا حول ولا قوة إلا بالله কে সংক্ষেপ করে حوقل বলা হয়। بسم الله الرحمن الرحيم কে সংক্ষেপ করে بسمل করা হয়।
আরবীতে ما عليك شيء এর অর্থ হলো কোন সমস্যা নাই। এইটাকে সংক্ষেপ করে معليش করা হয়েছে।
জেদ্দাবাসী কেএই প্রশ্নের উত্তর লন্ডনের লোকেরা দিলে মানুষ আমাকে নেড়া করে দেবে যে!!!
আমার মনে হয়, সৈয়দ আলী আশরাফের মত সে ধরণের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজন করার মত মানুষ পৃথিবীতে খুব বেশি নেই । তখন থেকেই মুহাম্মদ কুতুব আমার কাছে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসাবে স্মরিত ।
জাযাকাল্লাহু খায়রান
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সহায় হোন। আমিন।
ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম বইয়ে ১৭টি চ্যাপ্টার আছে । এর মধ্যে প্রথম ষোলটি চ্যাপ্টারে ইসলাবিরোধীদের উত্থাপিত বিভিন্ন প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব দেয়া হয়েছে । এ বইয়ের সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন এবং অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাকের অনুবাদের চেয়ে অধ্যাপক আবদুল গফুরের অনুবাদ বেশ ঝরঝরে হয়েছে । ইসলামিক ফাউণ্ডেশন আবদুল গফুরের অনুবাদটি পুরো বই হিসাবে বের না-করে ছোট ছোট বুকলেট হিসাবে প্রকাশ করেছিল । সেই বুকলেট এখন আর পাওয়া যায় না । শুধু আধুনিক প্রকাশনীর অনুবাদটিই পাওয়া যায় ।
বিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত অনুবাদ করেছেন আবদুর রহীম সাহেবের মত একজন স্কলার । খায়রুন এ প্রকাশনী বইয়ের প্রকাশক ।
আমরা কি মুসলমান (হাল নাহনু মুসলিমুন) অনুবাদ করেছেন মুহাম্মদ মুসা । কাঁটাবনস্থ আহসান পালিকেশন এ বই প্রকাশ করেছে ।
ইসলামের প্রশিক্ষণ নীতি বইটি খুব সম্ভব সিন্দাবাদ প্রকাশনী প্রকাশ করেছিল । অনেকদিন ধরে এ বই বাজারে দেখি না । হককথা তার ১০ নম্বর মন্তব্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে সামান্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন ।
মুহতারাম সালাম আজাদী ভাই, এ মন্তব্য আপনাদের মত মুরুব্বীদের জন্য নয় । শুধু নবীনদের জন্য ।
সেদিন আমাদের এক মুরুব্বি বলতেছিলেন, ভালো ভালো ইসলমি বই বাজার থেকে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। সময় এসেছে আমাদের কাজ করার
বেশকিছু ইসলামী বইকে স্ক্যানিং করে অনলাইন পাঠকদের জন্য উপহার দিয়েছে । সেদিন দেখলাম মুহাম্মদ কুতুবের Islam the Misunderstood Religion বইটি হাওয়া হয়ে গেছে ।
যারা ইসলামের বিরুদ্ধে উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের জবাব পেতে চান, যারা ইসলাম্বের সাথে বিভিন্ন তন্ত্রমন্ত্রের তুলনামূলক অধ্যয়ন করতে চান, তাদের জন্য মুহাম্মদ কুতুবের বই উপযোগী । আর ঈমানদারদের মধ্যে যারা ইসলামী সমাজ কায়েমে অংশ নিতে চান, তাদের জন্য উপযোগী সাইয়্যেদ কুতুবের বই ।
আর উভয়শ্রেণীর জন্য প্রচুর বই লিখেছেন সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী ।
যদি কেও সাইয়েদ, মুহাম্মাদ ও মাওদূদীকে একসাথে পড়ে তাহলে দেখবে কীভাবে তিন ঝর্ণার পানি এক হ্রদে যেয়ে মিশেছে।
জাযাকাল্লাহু খায়রান, তারাচাঁদ ভাই
কিন্তু, মুষ্টিমেয় কট্টর সালাফীদের মতে, জাহেলিয়াতের মানে হল, ইসলামপূর্ব আরবীয় মুশরিক সমাজের নিয়ম-রীতির সমষ্টি । জাহেলিয়াত এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ; এ ছাড়া আর জাহেলিয়াত নেই ।
ইদানিংকালের পাঁচটি বই জাহেলিয়াত বিষয়ে তিন স্কলারের ধারণা পরিস্কারভাবে লিখে দিয়েছে ।
এক. সাইয়্যেদ আবুল আলা মওদুদী'র 'ইসলাম ও জাহেলিয়াত', এবং 'ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার দ্বন্দ্ব' ।
দুই. সাইয়্যেদ কুতুবের ' ইসলামী সমাজ বিপ্লবেৃ ধারা' ।
তিন. মুহাম্মাদ কুতুবের ' বিংশ শতাব্দীর জাহেলিয়াত'
চার. আব্বাস আলী খানের 'ইসলাম ও জাহেলিয়াতের চিরন্তন দ্বন্দ্ব' ।
ইসলামী সমাজ কায়েমে প্রত্যাশী নব-প্রজন্ম এ বইগুলো অধ্যয়ন করে ইসলাম এবং জাহেলিয়াত সম্বন্ধে সঠিক ধারণা পেয়েছে । আশ্চর্যের বিষয় হল, সংখ্যালঘু সালাফী আলেমদের দেয়া ফতোয়া অনুসারে এসব বই পড়লে ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে ।
(সালাম আজাদী ভাই, অনুগ্রহ করে ৫ই এপ্রিল, ২০১৪, রাত ১০-৪৭-এ পোস্ট করা প্রতি-মন্তব্যটি মুছে দিন ।)
যাজাকাল্লাহু খাইর। অনেক কিছু জানলাম।
আপনার লেখাটা সংক্ষিপ্ত হলেও সাইয়েদ কুতুব এবং মুহাম্মাদ কুতুবের মধ্যে পার্থক্যটা ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন। আমি এ বিষয়টার দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রয়োজন আমাদের মন-মগজকে এমন ভাবে মোহগ্রস্থ করে রেখেছে যে মুহাম্মদ কুতুব এবং এ রকম যে সকল মনীষী রাজনৈতিক শ্লোগান-মিছিলের বাইরে থেকে মুসলিম কমিউনিটির চিন্তার বিকাশ এবং মনের তালা-খোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছৈন তাদের দিকে দৃষ্টি দেয়ার সময় আমরা পাই না। মনুষকে টানেল-ভিশন থেকে মুক্তি দিয়ে বিকাশের রাজপথে টেনে আনার কাজটা কঠিন এবং সে যোগ্যতা-দক্ষতা খুব কম মানুষেরই থাকে। মুহাম্মদ কুতুব এমন বড় মাপের পন্ডিত ছিলেন যে তা বুঝতে হলে আমাদের, মানে মুসলিম-বিশ্বের মানসিক বয়স আরো বাড়তে হবে। দোয়া করি আল্লাহ তার সকল খেদমত কবুল করুন এবং তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসে স্থান দিন।
আপনার 'মুহাম্মদ কুতুব এমন বড় মাপের পন্ডিত ছিলেন যে তা বুঝতে হলে আমাদের, মানে মুসলিম-বিশ্বের মানসিক বয়স আরো বাড়তে হবে'আমার খুব দারুন লেগেছে। শুধু একমত নই, এই কথা টা বুঝানোর ও আমি খুব চেষ্টা করি। কিন্তু বাতাসে ভেসে যায়, ইথার টা কারো কর্ণ কুহরে যেতেই চায়না। উস্তায, আপনার জন্য শুধু দুআ না, আপনার সাহচর্য আমার আরো দরকার।
আমরা একবার দেখা করেছিলাম ডক্টর হাফিজ হাসান মঈনুদ্দিন ভাইয়ের সাথে।
বাংলায় - আমরা কি মুসলমান? এই বইটি পড়েছিলাম দেশে। তার পর আলগাছিমে এসে আবার সেটা পড়লাম।
যে কয়টি বই পড়ার সুযোগ হয়েছে তার মধ্যে একজন ব্যক্তি হিসাবে এই বইটি পড়া খুবই প্রয়োজন। কারন জীবন সম্পর্কে একটি নীতিমালা তৈরী করা যাবে।
বইটি সবাই পড়ার আবেদন রইল। ইসলামের এই মহান খাদেমকে যেন তার উত্তম মেহমান করে নেন। আমীন।
'আমরা কি মুসলমান' বইটা আসলেই খুব ভালো। আরো ভালো ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম।
জাযাকাল্লাহু খায়রান।
জীবনের ক্ষয়িষ্ঞু সময়ে এসে ক্রমান্বয়ে ইসলাম এর ব্যাপ্তি, উপযোগীতা, সাফল্যের মাইলস্টোন সমূহ দেখে অবাক যেমন হচ্ছি - তেমনি 'না জানার অতৃপ্তি' 'বঞ্চিত হওয়ার কষ্ট' 'কিছু না করার যন্ত্রনা' আকড়ে পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরছে।
আপনার এ লিখা এবং 'তারাচাঁদ' ভাইয়ের সাথে আপনার আলোচনা চমৎকার সুখপঠ্য হয়েছে, অনেক কিছু জানা হয়েছে এবং জানার জন্য অনেক রেফারেন্স ও পাওয়া গেছে।
আল্লাহ আপনাদের এ্যাপোর্টকে - পরবর্তী প্রজন্মের জন্য উছিলা করে দিন - এবং ইসলামের এই রিলে রেইস কে আলটিমেট সাকসেস দিন এবং সে সাথে মুসলিমদের খেদমত করেছেন এমন সব আলেম ওলামা ও স্কলারদের আল্লাহ উপযুক্ত সন্মান এর সাথে বেহেস্ত নসীব করুন - এই প্রার্থনা করি।
আলহামদুলিল্লাহ.. ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
প্রিয়জন বিদায়ের কষ্টের খবরটা পড়লাম, ফিরে গেলাম অনেক বছর আগের একদিনের স্মৃতিতে- কুতুব পরিবারের সাথে রুহানী পরিচয় প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি- সেকথা আরেকদিন বলবো ইনশাআল্লাহ!
ঘুমানোর পরিকল্পনাটা বাদ দিতে না পেরে মনে কষ্ট নিয়েই ব্লগ থেকে উঠলাম!
এরপর ঐদিন আর সময় করতে পারিনি, কাল রাতে আমার নেটে সমস্যা ছিল- তাই ব্লগে/পোস্টে মন্তব্য করা হয়নি!
আজ এখানে সকল মন্তব্য ও দোয়া পড়লাম, নিজের জ্ঞানের ঝুলোতে রাখার জন্য অনেক কিছুই পেলাম!
কিছু মানুষের জন্য দোয়ার ঝাঁপি স্বতঃস্ফূর্তভাবেই খুলে যায়- চলতে থাকে একটানা- কয়েকদিন, সপ্তাহ, মাস পেরিয়ে চলে- কখনোই থামেনা, থামার নয়!
আল্লাহতায়ালা কুতুব পরিবারকে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তরে রাখবেন এবং নাদেখেও যাঁরা তাঁদের লেখনি ও সংগ্রামী সাথীদের মাধ্যমে জেনে তাঁদেরকে ভালোবাসেন তাঁরাও যেন জান্নাতে সাথী হবার সুযোগ পান [ইনশাআল্লাহ]- রহমানুর রহীমের শাহীদরবারে এমন দাবী করে চলেছি!
*******
*******
শুরুতে আপনার যে মানসিক অবস্থার কথা বলেছেন এটাকে সম্ভবতঃ "টেলিপ্যাথী" বলে- যার সাথে অন্তরের গভীর সম্পর্ক থাকে তার যেকোন গুরুত্বপূর্ণ বড় ঘটনায় অলৌকিকভাবে নিজের অন্তরে যে প্রতিক্রিয়া হয়- ভালো বা মন্দ যাই হোক!
এমনটা আমার ছাত্রজীবন থেকেই হয়! বিশেষ করে আব্বা-আম্মা দাদা-দাদী ও ভাই-বোনদের ক্ষেত্রে সামান্য বিষয়েও টের পেয়ে যাই! কখনো আমার আপনজনেরা কোন মন্দ খবর আমার থেকে গোপন রাখতে চাইতো! কিন্তু আমিই যখন অস্থিরতা নিয়ে খোজ নেয়া শুরু করতাম তখন আর সেটা গোপন থাকতোনা! এখন আর কেউ গোপন রাখতে চায়না! অনুশীলন করেও এ অনুভূতির কার্যকারিতা বাড়ানো সম্ভব হতে পারে ইনশাআল্লাহ!
মুহতারাম, আপনি তো তাঁকে দেখেছেন, তার দরস শুনেছেন । মুহাম্মাদ কুতুব ছিলেন একজন একাডেমিশিয়ান, কিং আবদুল আজিজ ইউনিভার্সিটির শরীয়াহ ফ্যাকাল্টির ডীন । । আপনি সাক্ষ্য দিয়েছেন, যারা বড়জোড় তার ছাত্রের সমান জ্ঞান রাখে, তাদের কাছে তিনি রূঢ় আঘাত পেয়েছেন এবং সবর করেছেন । শেখ সাদীর কবিতা 'উত্তম ও অধম'-এর উদাহরণ দেখা গেল কিছু অসহিষ্ণু ধর্মান্ধের মাঝে । সেটা পড়ে আরও খারাপ লাগল ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মরহুমকে---যার জ্ঞানের কাছে আমরা ঋণী---তাকে উচ্চ মর্যাদায় দাখিল করুন । আমার ক্ষুদ্র পোস্টে Click this link। আমি মুহাম্মাদ কুতুবের মৃত্যু সংবাদ ছাড়া আর কিছুই লিখিনি । তাই আপনার বিশ্লেষণধর্মী পোস্টের খুবই প্রয়োজন ছিল । মডারেটরগণও এ পোস্টকে নির্বাচিত করে ন্যায়বিচার করেছেন ।
উত্তম পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
এখানে অধ্যাপক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন লেখা বই পাবেন।
//www.storyofbangladesh.com/ebooks/ekattorersriti.html
ইসলামকে ভালবেসে আমাদের অনুপ্রেরনার জন্য এতো সুন্দর লিখা উপহার দেবার জন্য আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সব চেয়ে উত্তম প্রতিদান দান করুন
কিন্তু আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারছি তিনি মুসলিম বিশ্বের অমুল্য রত্ন ছিলেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন- আমিন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
likhati pore unar shomporke nuton kore janlam.
আপনার লেখাটা অনেক পড়ে পেয়েছি.কারন আমাদের এখানে বিডি টুডে ব্লক ছিল.
আমিও আসলে সাইয়েদ কুতুব ও মুহাম্মাদ কুতুবকে নিয়ে দ্বন্দে ছিলাম. আপনার লেখা পড়ে ফ্রেস হলাম.
ওনাদের পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন. আশা করি.
আল্লাহ আপনার লেখার হাতকে আরও খুরদার, শক্তিমান, মোহময় ও বলিষ্ট করুন.এবং আমাদের সবাইকে তার সত্য ও সুন্দরের জন্য.. ও দ্বীনের জন্য কবুল করুন..
মন্তব্য করতে লগইন করুন