আহ, তাসলিমা নাসরিনের 'ক' বা দ্বিখন্ডিত উপন্যাস টা যদি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়ানো হত!!
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ২৭ মার্চ, ২০১৪, ০২:৫৩:০৮ দুপুর
আমি জানি আমার অনেক ভাই বা বোনেরা শীরোনাম দেখে শিউরে উঠবেন। বলবেন: ও আল্লাহ, বলে কি হুজুরে! কেউ বলবেন: যত্তসব বাজে কথা!! কেউ হয়ত বলবেন: কেন জনাব??
কারণ হলো বাংলাদেশের তথাকথিত 'সুশীল সমাজের' জীবন সম্পর্কে আমি জানতে চাচ্ছিলাম। বিভিন্ন যায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবনী আমি পড়া শুরু করলাম। একজন 'খুব পড়ুয়া' নলেজেইবল ডক্টর কে এদের ব্যাপারে কোন ভালো বই এর সন্ধান দেয়ার জন্য বললাম। উনি বললেন: হায়রে সালাম ভাই, তাসলিমা নাসরিনের 'ক' বা দ্বিখন্ডিত বই থাকতে আবার অন্য বই খোঁজেন ক্যান।
আমি একটু দ্বিধাগ্রস্ত হলাম। পাশের লাইব্রেরী থেকে বইটা নিয়ে পড়লাম। মনে হলো যেহেতু বইটা ছোটদের উপযুক্ত নয়, (শুধুমাত্র বয়স্কদের) লেখা উচিৎ ছিলো এর শিরোনামের সাথে। আর বই টা পড়ার পর আমি মনে করলাম এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে থাকা উচিৎ।
এতে করে সাহিত্যের ছাত্র ছাত্রীরা সাহিত্য পড়ার অংশ হিসেবে যে সাহিত্যিক দের জীবনী পড়তে হয় তা হয়ে যাবে। এর এটা না পড়লে আমাদের বর্তমান কালের সেরা সাহিত্যিকদের মনের মতি গতি বুঝা যাবেনা। আর মনের গতি না বুঝলে তারা যে সব 'বয়স্ক' সাহিত্য রচনা করেছেন তার অনুঘটক কি ছিলো তা বুঝা যাবেনা।
এই বই সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীরা বুঝবেন বাংলাদেশের সামাজিক ক্ষেত্রে নৈতিক ও চারিত্রিক অবক্ষয়ে আমাদের সুশীলরা কত বড় অবদান রেখেছেন।
রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রীরা জানতে পারবেন আমাদের দেশের রাজনৈতিক পালা বদলে সুশীল সমাজের এই সব সক্রীয় সদস্যরা কিভাবে ভূমিকা রেখেছেন এবং সেখানে অনৈতিক কার্যক্রমে তারা কীভাবে কাজ করেছেন। কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক নেতাদের মন কে রঞ্জিত করতে ইডেনের ছাত্রীনেতাদের নিয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে হল গুলোর বাসিন্দা দের নিয়ে যে সব প্রতিবেদন ছাপা হয় তার কারণ চিহ্নিত করা যাবে।
একই ভাবে মনো বিজ্ঞানের ছাত্র ছাত্রী, বিজ্ঞানের স্টুডেন্ট, ল' এর শিক্ষার্থী, এবং অন্যান্য বিভাগের জ্ঞান পিপাসুদের ও এই বই থেকে রসদ পাওয়ার আছে অনেক সুযোগ।
ইসলামিক স্টাডীজ, কম্পিয়ারিটিভ রিলিজিওন এবং আরবী ফারসীর ছাত্র ছাত্রীরাও এই বই থেকে জানতে পারবেন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজ কেন ইসলামের নাম শুনলে এত ক্ষেপে যান। এমন হাও মাও খাও করে তাড়িয়ে আসেন। কেন মাদ্রাসার ছাত্রদের কে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দিতে নারাজ। তাসলিমা নাসরিন অনেক স্থূল ভাবে আমাদের ঐ সব জ্ঞানী গুণীদের অন্তর গুলো আমাদের সামনে মেলে ধরেছেন।
আমি ঐ অন্তর গুলো দেখে তাজ্জব হলাম। ওখানে ধর্ম কর্ম ঢোকার মত কোন যায়গা অবশিষ্ট নেই। ধর্মের সুই ও ঢুকতে পারবেনা বিশ্বাস করেন।
আরো আশ্চর্য হলাম ঐ অন্তর গুলোতে আবু জাহল, আবু লাহাব আর ইবনু উবাই এর ছাপ মারা আছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৩২৫ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাই এই মহান বই টা পড়তে চাই ,
বই এঁর লিঙ্কটা দেন না ভাই, !!!!
ব্রাকের আপার মতো ঠাট’ তিনি আর লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেন না। ‘শঙ্খমাজা স্তন’ ‘বর্তুল শঙ্খের মাঝে নাক ডুবিয়ে’ তিনি আর ঘ্রাণ শুকতে চান না। ‘দুটি মাংসের গোলাপ থেকে নুনের হালকা গন্ধে’ তিনি আর ব্যাকুল নন। ‘পূর্ণস্তনী ঘর্মাক্ত যুবতী’ এড়িয়ে যায় কবির দৃষ্টি। একদা নারীর প্রতি নিবেদন ছিল, চরের মাটির মতো খুলে দাও শরীরের ভাঁজ / উগল মাছের মাংস তৃপ্ত হোক তোমার কাদায়।’
কিন্তু তসলিমার এই দাবিগুলি কতটুক সত্য তানিয়ে আবার যদি সমস্যা হয়।
Thanks for sharing.
ধন্যবাদ
ক বইটি পড়ে এখন লুকিয়ে রেখেছি। কারন আমার হোম মিনিষ্টার এগুলোকে টাইম ওয়েষ্ট মনে করে। এবং ব্যক্তিগত লাইব্রেরীতে না রাখার পক্ষে।
এবার দ্বীতীয় বইটি পড়ার চেষ্টা করবো। আমি আপনার সাথে একমত। বাংলার সুশীল বান্ধব ব্যক্তিদের ইতিহাস জানা আগামীর জন্য খুবই প্রয়োজন।
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন