বাংলাদেশীরা যে কত নীচ, তা দেখিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুজাতা সিং এবং শিবশংকর মেনন
লিখেছেন লিখেছেন সালাম আজাদী ১২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:১৭:৩২ বিকাল
১৯০৫ সালের জুলাই মাসে ভারতের ভাইস রয় লর্ড কার্জন বাংলা ও আসাম নিয়ে একটা প্রভিন্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। এবং ঢাকাকে তার রাজধানী হিসাবে ঘোষণা দেন। উদ্দেশ্য ছিলো এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবন যাত্রা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কিছুটা অতিরিক্ত নযর দেয়া। এটা কে মেনে নিতে পারেনি কলকতার হিন্দু বাবুরা। কারন এতে বেনিফিসিয়ারী হতে যাচ্ছিল এই এলাকার মেজরিটি প্রজা তথা মুসলমানেরা।
সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বাংলার জমিদার। হাজারো চাষা ভুষো মুসলিম প্রজা ছিলো তার দাসের তালিকায়। বাংলাভাষার এই রাজা সেদিন এই সব দাসদের মুখে যে আনন্দের ঝিলিক দেখতে পেয়েছিলেন তাতে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালো বাসি’ গান গেয়ে তাদের ঘুম পাড়ানোর জন্য সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেন। এক দিকে মুসলমানদের সুখনিদ্রার ব্যবস্থা করলেন তিনি, অন্য দিকে হিন্দু সমাজকে উদ্দীপ্ত করতে ‘শিবাজী’ বন্দনাও শুরু করেন।
ধ্বজা ধরি উড়াইব বৈরাগীর উত্তরী বসন
দরিদ্রের বল।
এক ধর্মরাজ্য হবে ‘এ ভারতে’ এ মহাবচন
করিব সম্বল।
সেই অনলবর্শী বন্দনায় উজ্জীবিত হয়ে হিন্দুরা কোলকাতার যুগান্তর পত্রিকায় ১৯০৮ সালের ৩০মে এটাও লিখলোঃ “মা জননী পিপাসার্ত হয়ে নিজ সন্তানদেরকে জিজ্ঞেস করছে, একমাত্র কোন বস্তু তার পিপাসা নিবারণ করতে পারে। মানুষের রক্ত ও ছিন্ন মস্তক ব্যতিত অন্য কিছুই তাকে শান্ত করতে পারেনা”।
স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি তো বলেই ফেললেনঃ ‘বাংলাদেশ বিভক্ত করে হিন্দুদেরকে অপমান ও অপদস্ত করা হয়েছে”। শেষে ১৯১১ সালে বংগভংগ রদ না করা পর্যন্ত উনারা ছাড়েননি।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এটাকে চাষা ভুষাদের প্রতিষ্ঠান হবে বলে মন্তব্য করেই শুধু ক্ষান্ত হননি, বিশ্ববিদ্যালয় না হোক তা নিয়ে তিনি ছিলেন মহাব্যস্ত।
সে যাক, ঐ সময় আমার জন্ম হয় নি, কাজেই বই পড়ে আর কি সব বুঝা যায়? কিন্তু আমরা যে দাদাবাবুদের চোখে কত হীন ও তুচ্ছ তা বুঝতে পেরেছি গত ৮ বছরে। আমাদের সেনাপতি মইন সাব কে ডেকে নিয়ে কিছু ঘোড়া ও প্রশিক্ষিত কুকুর উপঢৌকন দেয় ভারত সরকার। এই আনন্দে গদগদ হয়ে তিনি বলে গেছেন, তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এমন এক বন্ধন তৈরি করে যাচ্ছেন যা থেকে বাংলাদেশ আর পেছনে তাকাবেনা।
সেও যাক, আমাদের ব্রেইন কি অত ভালো যে পুরানো কথা মনে রাখব? এই সেদিন সুজাতা ম্যাডাম এসে আমাদের ‘বাঁদরীয় সভ্যতার’ জনক সেনাপতি এরশাদ সাহেব কে ধমকি দিয়ে গেলেনঃ ‘আপনি নির্বাচনে না এলে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসবে’। এরশাদ সাহেব এর পরেও নির্বাচন করবে না বললে, তাকে হস্পিটালে নিয়ে কিভাবে গলফ খেলনো হল, আমরা তা চোখ মুদে দেখলাম, আর বল্লাম, দাদা বাবুরা যা ইচ্ছা তাই করেন।
মাত্র একসপ্তাহ আগে র’ এর শিব শংকর মেনন আমাদের ‘আয়রন লেডী’ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেনঃ ভারত বাংলাদেশকে সার্বিক সহায়তা করবে, কাজেই শক্ত হয়ে থাকবেন (আর.........)।
এইসব দৃশ্যদেখি, আর ভাবি, আমরা বাংলাদেশের মুসলমানেরা পাশের দাদাদের চোখে যে কত হীন ও তুচ্ছ, তা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি আমাদের জাতীয় নেতারা।
পন্ডিত নেহেরু তার বই এ আশাবাদ ব্যক্ত করে ছিলেন, যে দুরত্ব ও সাংস্কৃতিক বিভাজনে পাকিস্থান রাষ্ট্র হলো, তার ভবিষ্যত হবে মাত্র ক’টা বছর।
এরপর ১৯৭১ সনে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেছিলেনঃ “আজ দ্বিজাতি তত্ব কে আমরা বংগোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছি”। আমার মনে হয় পাকিস্থান ভাঙ্গার পর বাংলাদেশ ৪০/৫০ বছর টিকে থাকা যেন দাদাদের চোখে এক মহাবিপদ। সব চেয়ে খারাপ লাগলো যখন দেখলাম, একতরফা নির্বাচনে আওয়ামি লীগ জয়লাভের পর এমপিরা মন্ত্রীত্ব নেয়ার জন্য তাদের ‘আয়রন লেডী’ জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে যেয়ে কদম বুছি না করে, ভীড় করলো ঢাকাস্ত ইন্ডিয়ান দুতাবাসে। যাতে দাদারা শেখ হাসিনা কে তাদের মন্ত্রী বানাতে বাধ্য করেন। আমরা আম জনতা ভারতের কাছে তো তুচ্ছই, কিন্তু খারাপ লাগছে তারা আমাদের জাতীয় নেতাদের কেও কত হীন ও তুচ্ছ ভাবে!!!
বিষয়: বিবিধ
৮৯১৬ বার পঠিত, ৭০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরাই গাইতে পারি সাম্প্রদায়িকতার উর্ধ্বে উঠে বিশ্বজনীন সাম্যের গাণ।
বি. দ্র. শ্রদ্বেয় ড. আব্দুস সালাম আজাদী স্যার প্রতি একটি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আবেদন করছি- আপনার এই ব্লগের বিষয় বস্তুর সাথে আংশিক প্রাসংগিক বিষয়ে আমি গত সপ্তাহে একটি ব্লগ লিখেছিলাম। সম্ভব হলে আমার লিখিত ব্লগটিতে একবার ঘুরে আসলে নিজেকে ধন্য মনে করবো।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর লিখিত
দেশপ্রেমিক বলি আর ইসলামিস্ট-ই বলি- কারও কর্মকান্ডেই নগদ রাজনৈতিক ফায়দা ছাড়া ঐসব ইতিহাসের আলোকে পরিকল্পনা ও কর্মসুচি দেখা যায়না!!
এমনকি যাঁরা নিজেদের ভুক্তভোগী বলে দাবী করেন তাঁরাও নগদ রাজনৈতিক ফায়দার মূল্যে ইতিহাস ও অভিজ্ঞতা বিক্রী করে বসেন!!
এ চক্র থেকে উত্তরণের উপায় কী???
ভারতের যে স্থুল রাজনীতি আমরা দেখলাম, তাতে আমাদের দেশটা স্বাধীন বলে মনে হচ্ছে না। বিএনপি এখানেও দূর্বল।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ এদেরকে হেদায়েত দিন আমিন।
ধন্যবাদ জাজাকাল্লাহু খাইরান।
কালকে আর এক সাহসি লেখক ফরহাদ মজাহারের একটা লেখা পড়েছিলাম,তিনি লিখেছেন "দিল্লি যদি ‘জঙ্গি’ ইসলাম প্রতিরোধের নামে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের বলয়ের মধ্যে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার বোকামি অব্যাহত রাখে, তাহলে তার পরিণতি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেয়েও আরও রক্তাক্ত হবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। এ আগুনে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়বে। "
"রুশ-ভারত অক্ষশক্তি পাকিস্তান ভেঙ্গে তখনকার পূর্ব পাকিস্তানকে ভারতের উপনিবেশে পরিণত করতে চায়, চীনপন্থী বামরা এই আশংকায় শেখ মুজিবের রাজনীতিকে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতি গণ্য করত। একই আশংকায় তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধ বলতে তারা ইসলামাবাদ ও দিল্লি উভয়ের দখলদারি থেকে বাংলাদেশের ‘মুক্তি’ বুঝেছিলেন। এই অসম যুদ্ধে তারা হেরে গিয়েছেন, এটাই বাস্তবতা। কিন্তু তারা ভুল বলেছিলেন কি-না সেটা আমরা নিজ নিজ বিবেচনায় বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতা বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। "
"জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিনাশ করার এবং সাধারণভাবে ইসলামী রাজনীতি ‘নির্মূল’ করার একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ধারা বাংলাদেশে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী তারপরও কেন আজও নির্মূল হলো না সেটাই বরং বিস্ময়ের। "
জনাব ফরহাদ মজাহারের এই বিস্ময়ের কারনটা যাদের কোরআনের জ্ঞান আছে তাদের কাছে খুব সোজা।
"অবশ্যই আমি তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।" বাক্বারাহ -১৫৫
আমাদের হারানোর কিছু নাই কারন আমরা বেঁচে তাকলেও লাভ মরতে পারলে আরও বেশী লাভ।
কিন্তু মীরজাফর ও লেন্দুপ দর্জিরা দুনিয়া-আখেরাত সবই হারিয়ে বসে আছে।
যাজ্জাকাল্ল খায়ের
মুখ্যমন্ত্রিী হয়ে যাক
সেনাবাহিনীতে স্পিরিট চাংগা করার জন্য একটা ট্রেনিং হত। প্রতিবেশী হানাদার বাহিনীর হামলা কিভাবে মোকাবেলা করবে তার উপায় নিয়ে, কিন্তু এটা আর নাই। শুধু তাই না, যাদেরকে প্রতিপক্ষ ভেবে এটা করা হত তাদেরই একটা অফিস এখন আর্মি হেড কোয়ার্টারের সাথে!
স্বাধীনতা?
সেটা অনেক আগেই শেষ। এখন যা চলছে তা আধুনিক তকমা লাগানো গোলামী জিন্দেগী। যুবক সমাজ আর নড়বে না। কারণ তারা খুবই ব্যস্ত ডিজুস নিয়ে।
=====
জেএমবি যখন দেশে আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গেল তখন আমার মত নাদান তরুণেরা ইসলামী বিপ্লবের স্বপনে বিভোধ আর অন্য দিকে সাঈদী সাহেব লিখে ফেললেন 'জঙ্গীবাদ ওসন্ত্রাসবাদ দমনে ইসলাম।' তাঁর লিখনী দেখে মনে হলো, জিহাদ (ক্বিতাল অর্থে) বুঝি হারাম। এমন তিনি বক্তৃতার মনচে ফতোয়া দিলেন "বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীই সত্যিকারের মুজাহিদ!" জিহাদী স্বপ্নে বিভোর শাইয় আব্দুর রহমানের নেতৃত্বের অনুসারী তরুনদেরকে তিনি গাধা-গরুর চাইতে বেশি মর্যাদা দিতে চাইলেন না!! বিভ্রান্ত তরুণদের নিয়ে সাঈদী সাহেবের যখন এহেন আচারণ তখন দিল্লির দাস না হয়ে আর কোন উপায় আছে!! আমাদের সাঈদী (আল্লাহ তাঁকে মুক্ত কের দিন)যদি শায়খ কারযাভী হতো!!
=============
মনে রাখা উচিত, দিল্লির দাসত্ব থেকে মুক্তি চাইতে হলে রক্তের বিকল্প নেই। শান্তিপূর্ণ সমাধান আমাদের আরো অশান্তির দিকে ঠেলে দিবে এই বোধদয় এখনই হওয়া উচিত। গুরু ঠাকুর বন্দনা করে আর পার পাওয়া যাবে না।
========
মন্তব্য কিছুটা লাইন চুত্য হয়েছে এর জন্য দুঃখিত।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> রায়হান রহমান লিখেছেন : (শান্তিপূর্ণ সমাধান আমাদের আরো অশান্তির দিকে ঠেলে দিবে এই বোধদয় এখনই হওয়া উচিত। গুরু ঠাকুর বন্দনা করে আর পার পাওয়া যাবে না।)হুম, এখন থেকেই সুইসাইড বোমা হামলার ট্রেনিং শুরু হয়ে যাক।
কারন সব মুসলিম দেশে ইসলামিক শক্তির উত্থান এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সঠিক নির্বাচন হলে ওরাই বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী হবে, সে শংকা আজ ইসলাম বিরোধী শক্তিগুলোর জানা হয়ে গেছে। আজ তাই এই শক্তি কে শেষ করতে সবাই একমত।
আমার মনে হয় এখন সময় এসেছে ইসলামি এই শক্তিকে আরেক দিকে মোড় নেয়া। এ মোড়টা কোন দিকে হবে তা নিয়ে এখন সবাই ভাবছে। সিরীয়া তে বহু দলে বিভক্তি আমাদের শেষ করতেছে, সুদান আজ তিন ভাগ হতে যাচছে ইসলামি শক্তির কোন্দলে, বাংলাদেশের হিফাযাত ও অন্যদল গুলোকে কাছে টানার সমস্ত দায়িত্ব ইসলাম পন্থীরা নিলে ভালো করবে। বিএনপি সস্তায় পাওয়া রক্তগুলোর মূল্য কখনো দেবেনা। তবে তাদের মধ্যে ইসলামের যে 'পীরীতী' আছে তাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
জাযাকাল্লাহু খায়রান
পরের কারনে স্বার্থ দিয়া বলি,এ জীবন মন সকলই দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে,আপনার কথা ভুলিয়া যাও....
অন্যের সুখের জন্য আমরা এখন নিজের দেশটাও তাদের হাতে তুলে দিতে রাজী। বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে।
জাযাকাল্লাহু খায়রা
জাযাকাল্লাহু খায়রান
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
একজন রিক্সাওয়ালা যখন তার স্বার্থটা শতভাগ বুঝেন এবং তা নিশ্চিত এর জন্য হত্যা গুম ও অনিশ্চয়তার মধ্যে ভাবলেশহীন ভাবে দেড় দ্বিগুন হারে ভাড়া হাকাতে পারেন এবং ডাবল আয় রোজগার করতে পারেন - তখন ঐ জাতির পচন যে কত গভীরে প্রোথিত হয়ে পড়েছে - তা বুঝতে বাকি থাকেনা।
আমি ব্যক্তগতভাবে মনে করি জনসেবক দের উচিত একটু ব্রেক দিয়ে এমন কোন কৌশলের আশ্রয় নেওয়ায় - যেখানে গনমানুষের লাইফে ইমপেক্ট হবেনা - কিন্তু অসৎ, চামচা ও দেশ বিক্রিতে নিয়োজিত নেতা কর্মীরা শর্টকাটে আল্লাহর মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়।
আমাদের বুঝতে হবে ২০ লাখ হেফাজতের কর্মী একজন আশ্রাফ এর মুখের বানী তুলনায় কিছুই না। সুতরাং বাংলার বুকে একজন আশ্রাফ লন্ডনে মাইগ্রেট করলে কিংবা অন্য কোথাও গেলে - ২০ লাখ হেফাজত এর কর্মী শাপলা চত্তরে দাড়াতে পারবে।
যথার্থ বিষয়ের উপর চমৎকার ঘোছানো লিখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
সুতরাং মানুষ হলে যা হয় তা ই হচছে।
ধন্যবাদ আপনার সুক্ষ্ণ ঐতিহাসিক আলোচানার জন্য।
আমাদের নতুন প্রজন্মের কিছুটা হলেও জানার আগ্রহ হবে হয়তো।
মূলতঃ ১৯০৫ সালে তদানীন্তন বৃটিশের ভাইসরয় মাউন্টব্যাটেন ঘোষনা করেন, রাষ্ট্রিয় কাজের সুবিধার্থে তথা পূর্ব বঙ্গের মানুষের সুবিধার্থে বঙ্গকে ভেঙ্গে দুভাগ করা হবে। পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিম বঙ্গ। ঢাকা হবে পূর্ববঙ্গের প্রধান কেন্দ্র। এটি কোন স্বাধীনতা কিংবা স্বায়ত্বশাসন ছিলনা, সেরেফ রাষ্ট্রিয় কাজের সুবিধার্থে এই পৃথকিকরণ। তদানীন্তন বাংলার মানুষ শিক্ষা, চিকিৎসায় পিছিয়ে ছিল। তারা সবাই ছিল চাষা; তাদের উৎপাদিত পাট, চা, বেত কাঁচামাল হিসেবে তৈরী হত এবং তা কলিকাতার মিলে প্রক্রিয়াজাত হয়ে বিদেশে রপ্তানী হত। এসব শিল্প কারখানায় কলিকাতার অভিজাত হিন্দুরা চাকুরী করত। তাদের সন্তানেরা সেখানে লেখাপড়া করে মানুষ হত। অপরদিকে বাংলার চাষারা ছোটখাট মারামারি করলেও কলিকাতা হাইকোট পর্যন্ত ছুটতে হত, এতে তারা গরীবই থেকে যেত। সাধারন একটা পুস্তিকা কিংবা বিয়ের কার্ড ছাপাতে সদূর সিলেট-চট্টগ্রামের মানুষকে কলিকাতা পর্যন্ত ছুটতে হত। এতে কলিকাতায় একটি হিন্দু আইনজীবি শ্রেনীও গড়ে উঠে। যার খদ্দের ছিল বাংলার অভাবী লোকজন। তাই দেশ ভাগ হলে তাদের ভাতের অভাবে মরার ভয় ছিল।
রবী ঠাকুরের দুঃচিন্তা ছিল সবচেয়ে বেশী । কারন তারা ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের মানুষ; আর দেশ ভাগ হলে, তাদের জমিদারী পড়ে যাবে পূর্ব বঙ্গে তথা বর্তমান বাংলাদেশে। এতে করে পশ্চিম বঙ্গ থেকে, পূর্ব বঙ্গে গিয়ে প্রশাসনিক খবরদারী করার অতীত খায়েশ বন্ধ হয়ে যেত। তখন তাকে জমিদারী চালাতে পূর্ব বঙ্গের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হত। ফলে তার জন্য দুটি পথ খোলা থাকে। হয়ত জমিদারী বিক্রি করতে হবে, নয়ত পূর্ব বঙ্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হবে। এই দুইটির একটি করাও তার জন্য অসম্ভব ছিল। ফলে তার চরম স্বার্থহানীই তার জন্য দুঃখের কারন হয় এবং হৃদয়ে বাংলার মায়া উৎড়ে উঠে। শুরু হয় চড়া গলায় পেরেশানী। এই হতাশায় তিনি বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জম্ম হবার ৬৩ বছর আগে, তথা ১৯০৮ সালে রচনা করেন, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি....। যে গানের সূত্রপাত হয়েছিল পূর্ব বঙ্গের মানুষদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য। যে গানটি রচনা করা হয়েছিল কবি পরিবারের জমিদারী টিকিয়ে রাখার জন্য। যে গানটি রচনা করা হয়েছিল, রক্তচোষা জমিদারের স্বার্থ সংরক্ষনে। সেই গানটিই হয়ে গেল আমাদের জাতীয় সঙ্গীত!!!!!!
পাঠক সবাইকে অনুরোধ করছি এই লেখাকে ছড়িয়ে দেবার জন্য ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন