৩ রা মার্চ ২০১৩ তারিখ সাইদীকে চাঁদে দেখা গেছে !

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২০ জানুয়ারি, ২০১৬, ০১:১৯:৪৫ রাত










৩ রা মার্চ ২০১৩ তারিখ সাইদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার কথা বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হয় । জামায়াত-শিবিরের লোকরা

তখন সাইদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার বিষয়টি সত্য ও বাস্তব তা কুরআন হাদিসের উদৃতি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে । যেমন :




Saidy ke chade dekha prosonge2 সৌদি আরব

https://www.youtube.com/watch?v=ZMawXzLhX3Q




সাঈদীকে চাঁদে দেখা" গুজব নয়, সত্য

https://www.youtube.com/watch?v=wFTJtWW1LsM




সাঈদীকে চাঁদে দেখা" গুজব নয়, সত্য

https://www.youtube.com/watch?v=6luIArY4Yfc




সাঈদীকে চাঁদে দেখা" গুজব নয়, সত্য- Jalal Uddin

https://www.youtube.com/watch?v=JVxP3IYR188




(99) Mar 3, 2013 5-59pm

https://www.youtube.com/watch?v=WT4uz-KTeyE&html5=1

পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের কিছু অংশ :

১ম খবর :

March 3, 2013 •

চাঁদে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চেহারা দেখা গেছে বলে গুজব ছড়িয়েছে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। গতকাল শনিবার রাত ১২টার পর সাতকানিয়া সদরসহ আশপাশের এলাকার বেশির ভাগ মসজিদ থেকে সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে একযোগে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর শত শত মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন।




সাঈদী চাঁদে,মানুষের প্রতিক্রিয়া, S M Sumon

https://www.youtube.com/watch?v=5jLC4m_b9Gg

তবে ফজরের নামাজের পর সাতকানিয়া জামে মসজিদের ইমাম হাবিবুল হক মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে, তাদের ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। যদি সাঈদীকে চাঁদে দেখা যায়, তা হলে তো তিনি গ্রেপ্তার নেই। তা হলে তাঁর মুক্তি চাওয়ার দরকার কী। যাঁরা এ ধরনের অপপ্রচারে বিব্রত হবেন, তাঁদের ইমান থাকবে না। নষ্ট নয়ে যাবে।’

স্থানীয় লোকজন জানান, রাত ১২টার পর সাতকানিয়ার বোয়ালীপাড়া, সামিয়ারপাড়া, খলিফাপাড়া, রুজমপাড়াসহ আশপাশের অনেকগুলো মসজিদ থেকে চাঁদে সাঈদীকে দেখা যাচ্ছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। যে যেখানে আছে, সবাইকে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলা হয়। এরপর শত শত লোক বাইরে বেরিয়ে সাঈদীর মুক্তি ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিল করে।

উল্লেখ্য, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শামসুল ইসলাম সাংসদ নির্বাচিত হন। সূত্রঃ প্রথম আলো।

লিঙ্কঃ http://prothom-alo.com/detail/date/2013-03-03/news/333589

২ য় খবর :

March 3, 2014 •

সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে

গফরগাঁও উপজেলার পৌর এলাকার আলতাফ হোসেন ডিগ্রি কলেজের সামনে রোববার দুপুরে লোক জড়ো করে স্থানীয় সালটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মারুফ আহমেদ মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত শীর্ষ জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে বলে প্রচার করতে থাকেন।

পরে উপস্থিত লোকজন তাকে মারধর শুরু করলে দৌড়ে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান তিনি।

এ ঘটনার পর পরই স্থানীয় লোকজন গফরগাঁও থানা পুলিশকে এ বিষয়টি অবহিত করে।

সূত্র জানায়, এ ঘটনাটি অবহিত হবার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলার রৌহা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জামায়াত নেতা মারুফ আহমেদের এ ধরণের অভিনব প্রচারণা চালানোর সত্যতা পায়।

সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার প্রচারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের সালটিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি মারুফ আহমেদকে খুঁজছে পুলিশ।

ধর্মপ্রাণ মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সুযোগকে কাজে লাগাতে জামায়াত নেতা এ অপপ্রচার চালিয়েছে বলেও মনে করছে পুলিশ।

এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।

এ ঘটনার পর থেকেই ওই জামায়াত নেতা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন করেছেন।

মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের বিচার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করতে ওই জামায়াত নেতার এ অভিনব প্রচারণা জামায়াতীদের নতুন কৌশল হতে পারে

এ বিষয়ে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, জামায়াত নেতা মারুফ এ ধরণের অপপ্রচারা চালিয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গফরগাঁও ॥ রবিবার দুপুরে লোকজন জড়ো করে পৌর এলাকার আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রী কলেজের সামনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এমন ফতোয়া দেয়ার সময় এক জামায়াত নেতাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে গণধোলাই দেয়।

রবিবার সকালে নাটোরে আকাশের চাঁদে সাঈদীর মুখ দেখেছে বলে কেউ দাবি করেনি। নাটোরের বেশিরভাগ লোক বলেছে, বগুড়ার আকাশে ওঠা চাঁদে দেখা গেছে সেই মুখ। এ ব্যাপারে স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, এটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

৩ য় খবর :

সাইদিকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে বগুরায় জামাত-বিএনপি'র তাণ্ডবঃ

তারিখ-০৩/০৩/২০১৩

জামাত-বিএনপি'র ৩৮৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।

নন্দিগ্রাম জামাতের আমীর নুরুল ইসলাম মণ্ডল- প্রধান আসামীদের মধ্যে একজন।

শত শত জামাত-বিএনপি সন্ত্রাসীরা সারারাত ব্যাপি চালায় তাণ্ডব ।।

সাধারণ মানুষ নিহত ১৩

সরকারী অফিসে অগ্নিসংযোগ ১৬

সরকারী যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ২

আহত সাধারণ মানুষের সংখ্যা ৩০০

৪র্থ খবর :

চাঁদ ও সাঈদীকে নিয়ে গুজব রটিয়ে নৈরাজ্য জামায়াতের

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য অপচেষ্টা করেছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার মধ্যরাতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ চেষ্টা চালায়। তারা কম্পিউটারের সাহায্যে চাঁদের ছবির ভেতর যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর একটি ছবি বসিয়ে এ রটনা শুরু করে। এর পরে বিভিন্ন লোককে মোবাইল ফোনে এ খবর জানায় যে, চাঁদে সাঈদীকে দেখা যাচ্ছে। বেশ কিছু জামায়াত নিয়ন্ত্রিত মসজিদ থেকেও এ ধরনের অসত্য প্রচার করা হয়। পবিত্র ধর্মকে এবং চাঁদকে নিয়ে এ ধরনের গুজব রটানো ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক। অন্যদিকে বিজ্ঞান অনুযায়ীও এটা সম্ভব নয়।

দেশের বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট আলেম-ওলামারা এ খবর শোনার পর জানিয়েছেন, যারা এ গুজব রটিয়েছে এরা ইসলামবিরোধী কাজ করেছে এবং এ ধরনের ইসলামবিরোধী কাজ করা কেবল জামায়াতে ইসলামীর মতো ইসলামবিরোধী দলের পক্ষে সম্ভব। খবর স্টাফ রিপোর্টার, নিজস্ব সংবাদদাতা ও সংবাদদাতার।

বগুড়া ॥ চাঁদকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘সেন্টিমেন্ট’ তৈরি করে জামায়াতী তা-বের সূচনা হয় বগুড়ায়। শনিবার মধ্য রাত তিনটা থেকে বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ফোনে একটি ভয়েস বার্তা দেয়া হয়। যাদের মোবাইলে এমএমএস সার্ভিস আছে তারা ছবিও দেখে। যাতে চাঁদের ভেতরে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছবি দেখা যায়। এক কান থেকে চার কান হয়ে মুহূর্তেই তা পৌঁছে যায় গ্রামের মানুষের কাছে। রাত সাড়ে তিনটার মধ্যে লোকজন আকাশে তাকিয়ে চাঁদ দেখতে থাকে। ‘ওই যে দেখা যায় ওই যে দেখা যায়...’ এমন আওয়াজ তুলে শোরগোল তোলা হয়। অনেকে না দেখেই বিভ্রান্তিকর ধন্ধে পড়ে। তারা যে দেখেছে এই কথাটি প্রচার হতে থাকে। এভাবে এলাকার পর এলাকায় কৌশলে রটিয়ে দেয়া হয় গুঞ্জন। শহরতলির জয়পুরপাড়া, আটাপাড়া এলাকায় আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষ জড়ো হয়ে সেøাগান দিতে থাকে। তাদের জানানো হয় শহর দখলে নিতে হবে যেতে হবে কেন্দ্রস্থল সাতমাথায়। শোরগোলের ব্যাপকতা বেড়ে যেতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে শহরের চারধারের বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা তৈরি হয়। আশপাশের উপজেলা থেকেও লোকজন আসতে থাকে। যে যেভাবে পারে শহরের দিকে রওনা দেয়। আবার উপজেলাগুলোতেও এভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয়। এর মধ্যে ফজরের আজান ধ্বনিত হয়। কয়েক মসজিদে নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গেই কিছু লোক একই গুঞ্জন তুলে আহ্বান জানায়, আকাশের চাঁদে যখন সাঈদী সাহেবের ছবি দেখা গেছে তখন তৌহিদী জনতা হয়ে মাঠে নামার ইঙ্গিত এসেছে। সবাইকে এখন মাঠে নামতে হবে। এভাবে সেন্টিমেন্ট তৈরি করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে সরাসরি মাঠে নামিয়ে দেয় জামায়াত। সাধারণ মানুষ কিছু না বুঝেই জামায়াতী নির্দেশে এগোতে থাকে। তাদের সামনে রেখে জামায়াত-শিবির শুরু করে দেয় তা-ব আর ধ্বংসলীলা, যা বগুড়া শহরের প্রতিটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। তারপর উপজেলা পর্যায়েও শুরু হয় চাঁদকে নিয়ে সেন্টিমেন্টের তা-ব। যার ভয়াবহতায় রবিবার দিনভর শহর পরিণত হয় কার্ফুর মতো আতঙ্কের এক নগরীতে।

বরিশাল ॥ সহজ-সরল মানুষকে অবিশ্বাস্য গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। শনিবার রাতভর জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা সাঈদীর প্রতিচ্ছবি চাঁদে দেখার কথা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এক্ষেত্রে তারা প্রমাণ হিসেবে চাঁদের একটি এডিটেড ছবিতে সাঈদীর মুখম-ল বসিয়ে ছবিটি সাদা-কালো করে তা প্রমাণ হিসেবে হাজির করে।

নীলফামারী ॥ রবিবার ফজরের আজানের সময় জেলা সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরীগঞ্জ, সৈয়দপুর উপজেলার গ্রামে গ্রামে চাঁদে সাঈদীকে দেখা যাচ্ছে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। যে যেখানে আছে সবাইকে বাইরে বেরিয়ে আসতে বলা হয়। এরপর শত শত লোক বাইরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু তারা কেউ সাঈদীর ছবি চাঁদে দেখতে পায়নি। সিংড়া, নাটোর ॥ সাঈদীর প্রতিচ্ছবি চাঁদে দেখা যাচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে রবিবার ভোর থেকেই বাসাবাড়ির ছাদ ও রাস্তায় শত শত নারী-পুরুষ ঘর থেকে বের হয়ে আসে। পরে সকাল ৭টায় সাঈদীর মুক্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।

লালমনিরহাট ॥ লালমনিরহাট শহরে জামায়াত-শিবির কর্মীরা ভোরবেলায় ফজরের নামাজের পূর্বমুহূতে মসজিদে মসজিদে ইমাম ও মোয়াজ্জিনের মাধ্যমে গুজব রটিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষকে জমায়েত করার চেষ্টা চালায়। গুজবে বিশ্বাসীদের সকালে হরতালে নাশকতার কাজে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল তাদের উদ্দেশ্য।

বাউফল ॥ চাঁদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী ও ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেলু রাজাকারকে দেখা যায়! এমন বার্তা দিয়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করা হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের আজব খবরে শনিবার গভীর রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ তা দেখার জন্য রাস্তায় নেমে আসে। তবে তারা কেউই সাঈদীকে চাঁদের মধ্যে দেখতে পাননি। উল্টো তাঁরা ভর্ৎসনা করেছেন জামায়াত-শিবিরকে।

নাটোর ॥ রবিবার সকালে নাটোরে আকাশের চাঁদে সাঈদীর মুখ দেখেছে বলে কেউ দাবি করেনি। নাটোরের বেশিরভাগ লোক বলেছে, বগুড়ার আকাশে ওঠা চাঁদে দেখা গেছে সেই মুখ। এ ব্যাপারে স্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বলেন, এটি গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

ফটিকছড়ি ॥ আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাচ্ছে উদ্ভব এক গুজব মোবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে শনিবার রাতভর কাউকে ঘুমাতে দেয়নি। কেউ কেউ মধ্যরাতে মেসেজ পেয়ে বিছানা থেকে ওঠে চাঁদ দেখতে শুরু করে।

কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামে নানা গুজব আর অপপ্রচার চালিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে মানুষকে শামিল করার কৌশল নিয়েছে জামায়াত। এই অপকৌশলের অংশ হিসেবে শনিবার রাত থেকে ফেসবুক, মোবাইল ও লোকমুখে খবর ছড়িয়ে দেয়া হয় যে, চাঁদে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে। রবিবার ভোরে বিভিন্ন এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুরা চাঁদে এই কথিত ছবি দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদ ও মাদ্রাসাকে গুজব আর অপপ্রচার চালানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে।

চট্টগ্রাম ॥ শুক্রবার রাত থেকে জামায়াতী অপপ্রচার দেশজুড়ে চাউর হয়ে আছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উত্তেজিত করতে পরিকল্পিতভাবে জামায়াত-শিবির এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গুজবটি হচ্ছে ‘চাঁদে সাঈদীর চেহারা দেখা যাচ্ছে।’ শনিবার রাতে বিষয়টি আরও জোরাল হয়। জানা গেছে, সৌদি আরব থেকে বাঙালীদের একটি অংশ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামে তাদের আত্মীয়স্বজনের কাছে এ ধরনের খবর দেয়ার পর তা এক কান, দু’কান হয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার রাতে নিরীহ ধর্মপ্রাণ অসংখ্য মানুষ চাঁদ দেখে সাঈদীর চেহারা প্রত্যক্ষকরণে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

নওগাঁ ॥ ভোররাত থেকে বিভিন্ন মোবাইলে ‘চাঁদে সাঈদীর মুখ’ দেখা যাচ্ছে, জামায়াতের এমন প্রচারণায় নওগাঁবাসী সাড়া দেয়নি। তাদের এমন ডাকে নওগাঁর কেউ রাস্তায় নামেনি। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, কতিপয় ধর্মব্যবসায়ী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে।

গফরগাঁও ॥ রবিবার দুপুরে লোকজন জড়ো করে পৌর এলাকার আলতাফ গোলন্দাজ ডিগ্রী কলেজের সামনে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এমন ফতোয়া দেয়ার সময় এক জামায়াত নেতাকে স্থানীয় লোকজন আটক করে গণধোলাই দেয়।

http://oldsite.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2013-03-04&ni=127590

উপসংহার :

৩ রা মার্চ ২০১৩ তারিখ সাইদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার গুজব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয় জামায়াত-শিবিরের লোকরা ও তারা স্মরণকালের ভয়াবহ তান্ডব লীলায় মেতে উঠে । এরপর এই বিষয়টা নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হয় ।

তৎকালীন সময় পত্র-পত্রিকাগুলোর খবর এবং নেটে থাকা ভিডিও ফুটেজে এই বিষয়টির যথাযথ প্রমাণ রয়েছে । কিন্তু বর্তমানে জামায়াত-শিবিরের লোকরা এই বিষয়টি অস্বীকার করছে । তাদের কথা ও অস্বীকার করার ব্যাপারটি মিথ্যা প্রমাণিত হলো ।

জামায়াত-শিবির কুসংস্কারাচ্ছন্ন-বিজ্ঞানবিমুখ জাতি হিসেবে আমাদের তুলে ধরতে চায় । জামায়াত-শিবির হলো এক অশুভ শক্তির নাম ।

বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে জামাত- শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হোক। এই চাওয়ার পিছনের কারণগুলো নিচে দিলামঃ-

১) জামায়াতে ইসলাম সংঘটন হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে।

২) ১৯৭১ সালে জামায়েত ইসলামের নেতা কর্মীরা গনহত্যা, খুন, ধর্ষণ, ডাকাতি ইত্যাদি অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো।

৩) বাংলাদেশে পুনর্জন্ম হওয়া এই দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রায় সবারই মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকা ছিল, এবং স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের নেতা কর্মীদের ভুল আদর্শে দীক্ষিত করেছে।

৪) জামায়েতে ইসলামী তাদের নেতা কর্মীদের গেরিলা ট্রেনিং দেয় যা রীতিমত অবিশ্বাস্য।




https://www.youtube.com/watch?v=X0BmmSche0s

বগুড়ায় নেয়া সাক্ষাৎকার, 'চাঁদে সাইদি' ও জামাত-শিবিরের তাণ্ডবঃ যুবক, পুলিশ ও ব্যবসায়ি'র কথা

৫)জামায়েতে ইসলামী নানা ভাবে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে ইসলামকে অবমাননা করে।যেমনঃ- জামায়েত ইসলামীকে ভোট দিলে জান্নাত পাওয়া যাবে, সাইদিকে চাঁদে দেখা গেছে, কাবা শরীফের ইমামদের জড়িয়ে মিথ্যাচার, আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে ঈমান থাকবে না,জামায়েত ইসলামের নেতাদের ধর্মীয় নেতা বানানোর অপচেষ্টা, শোলাকিয়ার ইমামের পিছনে নামাজ পড়া হারাম ইত্যাদি আরো অসংখ্য মিথ্যাচার।

৬)জামায়েত ইসলাম সবসময় মিথ্যাচার করে দাঙ্গা ও ঝগড়া-বিবাদ লাগিয়ে দেশের ক্ষতি করতে চায়।

৭) তারা কখনো বাংলাদেশকে নিজের দেশ মনে করতে পারে না ।

৮) মুক্তিযুদ্ধে তাদের অপকর্মের জন্য কখনো ক্ষমা না চাওয়া উল্টা মুক্তিযুদ্ধকে নিয়েই কটু কথা বলা।

৯) মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা। যেমনঃ- ৭১ এ নাকি গণ্ডগোল হইছে, পাক-ভারত যুদ্ধের ফলে নাকি বাংলাদেশের জন্ম, মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের টাকা খেয়ে নাকি যুদ্ধ করছে ইত্যাদি আরো নানা অদ্ভুত মিথ্যাচার। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ হাজার লোক মারা গেছে !!!

১০) সর্বোপরি ইসলামবিরোধী মওদুদি মতবাদ ও ওহাবী মতবাদ প্রচার করা ।

উপরোক্ত একটা কারণও যেখানে মেনে নেওয়া কষ্টকর ,সেখানে জামাতের মধ্যে সব ত্রুটিই বিদ্যমান। আমি কুসংস্কারাচ্ছন্ন - বিজ্ঞানবিমুখ ও সন্ত্রাসী সম্প্রদায়টাকে নিষিদ্ধ না করার পিছনে কোন যুক্তি পাচ্ছি না। আপনাদের কাছে কোন যুক্তি আছে কি ?

বিষয়: বিবিধ

১৭৯০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

357277
২০ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৬:৪২
বিবর্ন সন্ধা লিখেছেন : ইসসস
আমি যে কেন দেখতে পেলাম না.. Big Grin

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File