ইসলামী ছাত্র শিবির সন্ত্রাসীদের সংগঠণ (৩য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:০৭:১৫ সকাল
ইসলামী ছাত্র শিবির সন্ত্রাসীদের সংগঠণ । এই বিষয়টি বলতে গেলে অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না । বড় কারণ হলো : ধর্মীয় লেবাস ও পত্র-পত্রিকাগুলোর পরস্পরবিরোধী খবর বা বিভ্রান্তিকর তথ্য । বিভ্রান্তিকর তথ্যের একটা সহজ উদাহরণ : চরিত্র গঠণে মৌলিক উপাদান নামক বইকেও পত্র-পত্রিকাগুলো জিহাদী বই বা সন্ত্রাস সৃষ্টির সহায়ক হিসেবে উপস্হাপনকারী বই হিসেবে উল্লেখ করা এবং এজাতীয় বই শিবিরের সন্ত্রাসীদের সাথে পাওয়া গিয়েছে বলে সাংবাদিকরা উল্লেখ করে থাকে ।
উপরন্তু সাংবাদিকরা অনুুসন্ধানী সাংবাদিকতার চেয়ে নিবন্ধ ধরণের লেখা লিখেই তাদের দায়িত্ব শেষ করেন ।
পত্র-পত্রিকাগুলোও অনুসন্ধানী রিপোর্ট বিভিন্ন কারণে প্রকাশে আগ্রহী নয় । এসব কারণে শিবিরের সন্ত্রাস পত্র-পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ হয় না । তার উপর সংবাদকর্মী ও মালিক পক্ষের সাথে লেন-দেনের ব্যাপারও আছে ।
এত কিছুর পরও গুটি কয়েক মিডিয়ায় শিবিরের সন্ত্রাসের খবর প্রকাশ হচ্ছে । এসব খবর হতে আমরা বুঝতে পারছি , শিবিরের নেতারা পড়াশোনা করার চেয়ে অস্ত্র-গোলা-বারুদ নিয়েই ব্যস্ত থাকেন । আর এজন্য তাদের অনেকেরই যাবজ্জীবন কারাদন্ড পর্যন্ত হয় । আজ আমি এমন একটি খবর শেয়ার করছি ।
রাবির সাবেক শিবির সেক্রেটারি ইয়াহইয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০১৫ ১৫:৫৫ টা | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৫ ০১:১১ টা
নিজস্ব সংবাদদাতা, অনলাইন বাংলাঃ
ছাত্র শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়াকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে দ্রুত বিচার আদালত। এছাড়া একই মামলার অপর ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রাইবুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। এসময় মামলার শিবির সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মহানগরীর মালোপাড়া এলাকায় শিবির পরিচালিত কনটেস্ট কোচিং সেন্টার থেকে সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়াকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫)। গ্রেপ্তারের পর র্যাব দাবি করে ইয়াহইয়ার কাছ থেকে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার পাওয়া গেছে।
র্যাব-৫ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা নগরীর একটি কোচিং সেন্টার থেকে তাদের আটক করেছি। আটকদের মধ্যে রাবি শিবির সেক্রেটারি সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়ার নামে নগরীর বিভিন্ন থানায় রাবি ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা, বিভিন্ন সময়ে পুলিশের ওপর হামলা ও ছাত্রলীগ নেতার রগকাটাসহ ৪২টি মামলা রয়েছে।”
এছাড়া মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, ব্যাব রাজশাহী একটি দল ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে রাজশাহী নগরীর আল রহমান হার্ডয়ার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আসামী ও শিবির নেতাকে একটি কক্ষ থেকে পিস্তল, আট রাউন্ড গুলি, ১৩টি ককটেল এবং দেশিয় অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়। ওইদিনই র্যাব রাজশাহীর তৎকালীন ডিএডি আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অস্ত্র আইনে ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার তদন্ত শেষে চার্জসীটে ৭ জনকে অব্যহতি দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়। এতে ১৮জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলাটির বাদি পক্ষে ছিলেন বিশেষ পিপি এনতাজুল হক বাবু এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম। রায় ঘোষণার পর কড়া নিরাপত্তায় সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়াকে কারাগারে নেয়া হয়।
http://onlinebangla.com.bd/post/13139/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%95-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%9C%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাগলের ছাগলামী ভালই খোরাক যুগাচ্ছে বিনোদনে!
এ হিসেবে ফাকরুল কে ধইন্য পাদ!!
পুলিশের প্রতিবেদনটাকে নিজের নামে লিখে ব্লগার সাজলেন! এখানে আপনার কৃতিত্ব কি? পুলিশেরই বা বিশ্বাস কি? বাজার ফেরা কৃষকের, বাজারের থলেতে পানির পাইপ ঢুকিয়ে পাইপ গান বলে চালিয়ে দেওয়া কৃষকেরও ১০ বছর জেল হয়েছিল এই দেশে।
এটি একটি চুলকানি মুলক প্রতিবেদন
মন্তব্য করতে লগইন করুন