ইসলামী ছাত্র শিবির সন্ত্রাসীদের সংগঠণ (১ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৫ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:২৯:১১ রাত
শিবিরের কথিত শহীদ ৮৬তম ওয়াহিদের বাড়িটা হলো মীরপুর অগ্রণী স্কুলের দালানটা । এটার দোতালায় সে ও তার পরিবার থাকতো । এখন তার বাবা-ভাই-বোনরা থাকে এই দালানটার দোতালায় । তার বাবা পল্লবী থানা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্পাদক ছিল ।
শিবিরের কথিত শহীদ ৮৬তম ওয়াহিদের বাড়ির সদর দরজা । তার বাবা পল্লবী থানা জামায়াতের বায়তুল মাল সম্মাপদ ছিল । তার ভাই শিবিরকে পছন্দ করে না । তার ভাইয়ের নাম জাহিদ । তার বয়স চল্লিশ । তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে । তিনি তার সন্তানদের কখনো রাজনীতি বা ইসলামী কোন সংগঠণে যুক্ত করতে আগ্রহী নয় । কিন্তু তার অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলেটা শিবির টার্গেট করেছে । তাকে আবুল আসাদের লেখা সাইমুম সিরিজ পড়তে দিচ্ছে তার শিবির বন্ধুরা । আর সে মগজ দোলাইয়ের শিকার হচ্ছে । বিষয়টি দু:খজনক ।
শিবিরের কথিত ৮৬তম শহীদ ওয়াহিদের বাসার ঠিকানা ১১-সি/১১/১/৭ ,মীরপুর , ঢাকা । তার বাসায় যাওয়ার জন্য মিরপুর এগার নম্বর যেয়ে নেমে সি ব্লক বায়তুল মুয়াজ্জাম জামে মসজিদ বা বড় মসজিদের কাছে যেতে হবে । মসজিদের সামনে গেলেই লোকেরা ঠিকানা দেখালে তার বাড়ি চিনিয়ে দিবে । তার পরিবার সেখানে পরিচিত । কারণ তার বাবা জামায়াত করে ।
শিবিরের কথিত শহিদ :
আমার মতে শিবির সন্ত্রাসী সংগঠণ । এটা বিন্দুমাত্র আদর্শবাদী সংগঠণ নয় । জামায়াত-শিবির কেমন তা বোঝতে আমাকে বুঝতে বেশি দিন লাগেনি । কারণ আমার যখন ভোট দেওয়ার বয়স হয়েছিলো, তখন সংগ্রামী জননেতা গোলাম আজমের মুক্তি চাই শিরোনামের দামী ও বাহারী পোস্টারে ছেয়ে থাকতো ঢাকার দেওয়ালগুলো । এসব বাহারী পোস্টারে গোলাম আজমের নুরানী ছবি মোবারক স্হান পেতে । অথচ তার কিছু দিন আগে জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের পোস্টারে ছবি থাকতো না । কারণ বলা হতো : ছবি আকা ও তোলা হারাম । ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের কথা বলছি ।
এবার আসি, তথন আমি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি । আমি লক্ষ্য করলাম শিবির বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্মী দিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে বা আদিপত্য বিস্তার করে । এটা করতে যেয়ে তাদের অনেক নিরীহ (!)কর্মী বোমা বানাতে যেয়ে নিহত (শহীদ)হয় ।
শিবিরের ৮৬ তম শহীদ আব্দুল ওয়াহিদ সহ আরো দুই ওয়ালিয়ার ও হামিদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে যায় ও বোমা তেরী করতে যেয়ে বোমা বিস্ফোরনে মারা যায় । অথচ তারা কেহই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল না ।
শিবিরের কথিত ৮৬তম শহিদ ওয়াহিদ যিনি বোমা বানাতে যেয়ে মারা যান ।
আব্দুল ওয়াহিদ বাবা-মার সাথে ঢাকায় থাকতো আর ঢাকার তেজগাও কলেজে ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়তো । তাকে ও তার কিছু বন্ধু যারা শিবিরের সাথী তাদের ঢাকা মহানগরী উত্তর (বর্তমানে পশ্চিম ) শিবির নেতারা (মইনুদ্দীন আহমেদ জিলানী, মশিউর রহমান, রফিকুল ইসলাম খান, শাহ আলম ভুইয়া, আবু সাইদ মুহাম্মদ ফারুক, আমিন আহমেদ প্রমুখ )কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় ।
কিন্তু তারা বোমা বানানো ও মারামারি কম জানতো । কিন্তু তারা নেতার আনুগত্য করতে যেয়ে কম বয়সেই দুনিয়া ত্যাগ করে ।
ভাই রে ! আমরা যদি সত্যি কথা তুলে না ধরি । আজ আপনি আমাকে গালি দিচ্ছেন । হয়ত অদুর ভবিষ্যতে আপনিও আপনার ছেলেদের ও নাতিদের এই অবস্হা হতে দেখবেন ।
জামায়াতের শত্রুরা জামায়াতকে ভাল বলতে পারে । কারণ তারাও সম্ভবত একই ধরনের লোক । খারাপ লোকদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম খারাপদের অবশ্যই বেশী খারাপ লোকরা ভাল বলবেই ।
আমি আমার লেখায় কোন অসত্য ও বানোয়াট তথ্য দেই না ।
রুটি-রোজগার ও ধন-দৌলত দান করার মালিক আল্লাহ । উপরন্তু আমি সব সময় হালাল রোজগার অর্জন করার চেষ্টা করি ।
আমি লেখালেখি করি দেশের ভবিষ্যত কান্ডারী ও জন সাধারণকে সচেতন করার জন্য ।
আমি লেখালেখি করি আসল ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্যটাকে তুলে ধরার জন্য ।
গালি-গালাজ-পরচর্চা-হুমকি-ধমকি দিয়ে আমার কলম আপনি বন্ধ করতে পারবেন না ।
আপনার উচিত আমার কথাগুলো ভুল প্রমাণ করা ।
মানুষ বোঝে কেন আপনারা ফেসবুক ও ব্লগে দলভেদে যুক্তি ও বস্তুনিষ্ঠভাবে জামায়াত-শিবিরের গঠণমূলক সমালোচনাকারীদের আপনারা কেন গালি-গালাজ করেন ।
জামায়াত-শিবিরের লোকরা বলে থাকে :
শিবির হলো মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন - দলে দলে মেধাবী ছাত্ররা জামাতের ছাত্র সংগঠন শিবিরে যোগ দেয়। টেলিভিশনের টক শো ও ইউটিউবের বদৌলতে আমরা দেখেছি - মইনুদ্দীন ফখরুদ্দীন সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন , মাহি বি চৌধুরি, আসিফ নজরুল প্রমুখ লোকরা বলেন, শিবির মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন। প্রতি বছর ১৫ লাখ ছেলে শিবির হয়ে যায় এবং ২ লাখ মেয়ে নিকাবী ছাত্রী সংস্হার মেয়ে হয়ে যায় । এরা পবিত্র ও ধার্মিক ।
এই বিষয়ে একটু খোঁজ খবরের জন্যে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে কিছু খবর পেলাম। তাতে মেধাবী ছাত্রদের সংগঠনের একটা ছবি এতে ফুঁটে উঠবে - পরে পাঠকগন বিবেচনা করে দেখবেন “মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন” বলতে কি বুঝানো হয়।
আজকের আলোচ্য মেধাবী ছাত্রটি নাম আহমাদুল হক চৌধুরী - যিনি “আহমইদ্দ্যা” হিসাবেই বেশী পরিচিত। এক রাতে আটটি বুলেট শরীরের ভিতরে নিয়ে চলে আসেন চট্রগাম মেডিকেল কলেজে - পরে ধরাধামের মায়া ত্যাগ করে মর্গে শুয়ে থাকেন কয়দিন। তার সাথে তার সাথে মিনহাজ নামে আরেকজন মারা যায়। ( ১০ই সেপ্টেম্বর ২০০৪)
জানা যায় - মৃত মেধাবী ছাত্রটি শিবিরের নেতা - পরে জামাতের ক্যাডার ছিলেন - এক সময় সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন। মৃত্যুর আগে উনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগদান করেন। উল্লেখ্য তার দলত্যাগের সময়কালটি জামাত-বিএনপির ক্ষমতার মধুচন্দ্রিমার কাল হিসাবে বিবেচিত হয়।
শিবিরের এই মেধাবী ছাত্রটির নামে এক ডজন মামলা ছিল - যার মধ্যে ১০টি খুনের মামলা ছিল বলে পুলিশ সুত্র জানিয়েছে।
রেপিড একশন ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার লে: ক: এমদাদুল হক বলছেন -“তার নামে একশত টি খুনের সাথে জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে - এবং সে ক্রশ ফায়ারে মারা গেছে”। (এরপর বলা হয়েছে ক্রশফায়ারে বহুল প্রচারিত গল্পটি)
আহমইদ্দ্যা ১৯৯২ সাল থেকেই চট্রগাম জেলা - বিশেষ করে সাতকানিয়া এবং আশে পাশের নির্বাচনী এলাকাতে জামাতের একটা “ক্রাইম সিন্ডিকেট” চালাতো। বিনিময়ে জামাত তাকে নিরাপত্তা দিতো। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত জামাতের এমপির সাথে বিরোধের জের হিসাবে জামাত ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগদান করে। তারপরই তার “ক্রশ ফায়ার” বরন করতে হয়।
পত্রিকা সূত্রে জানা যায় - জামাত ত্যাগের পর তাকে হত্যার জন্যে শিবির ক্যাডাররা দুইবার চেষ্টা করে। এর মধ্যে একটা নেয় জামাতের স্থানীয় এমপির ভাতিজা মঞ্জুর আলম( এপ্রিল ৫, ২০০৪) আর অন্যটা শিবির নেতা আজরাইল দেলওয়ার (১৬ই জুলাই ২০০৪) দুইটি প্রচেষ্টা নেয় - কিন্তু ব্যর্থ হয়।
এই অভিযানের সময় ১০ জন শিবিরের টপ টেররকে গ্রেফতার করা হয়। কুখ্যাত “শিবির নাসির”, “সাজ্জাদ খান”, “ফাইভ স্টার জসিম”, “বাইট্টা আলমগীর”, “তাসলিমউদ্দিন মন্টু”, “বাইট্টা ইউসুফ”, “আজরাইল দেলওয়ার”, মনজুর আলম”, “সারওয়ার আলম”, “ভাগিনা রমজান” - নামক মেধাবী শিবির নেতারা আটকে জেলে ছিল। আর ক্রশ ফায়ারে মারা যায় - হুমায়ুন আর ইয়াকুব।
হামিদুল্লাহ নামে আরেক মেধাবী ছাত্র এবং শিবির কর্মী পুলিশে গুলিতে আহত হয় - পরে আটকাবস্থায় মারা যায়। এছাড়া আরেক মেধাবী শিবির কর্মী মারা যায় তাদের মেধাবী ছাত্রনেতা “গিট্টু নাসির” এর গুলিতে।
এই অবস্থায় - শিবিরের সন্ত্রাসী দলটি আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যায় বলে পুলিশ সুত্রটি জানায়। সেখানে নেতৃত্বে আছে “গিট্টু নাসির”, “হাবিব খান” আর “বিডিআর সেলিম”। গিট্টু নাসির তিন ডজন মামলার আসামী বলে জানা যায় - যার মধ্যে প্রিন্সিপাল গোপাল মুহুরী হত্যার মামলায় মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়েছে। আর হাবিব খান কমিশনার লিয়াকত হত্যার আসামী এবং মুহুরী হত্যায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত।
এই হলো মেধাবী ছাত্রদের সংগঠন শিবিরের একটা চিত্র। এরাই পরবর্তীতে “সতলোকের দল জামাত” এর নেতা হবে এবং বাংলাদেশে সতলোকের শাসন কায়েম করবে ! (সূত্র: ডেইলি স্টার, নিউ এজ এবং ইয়াহু নিউজ)
বি:দ্র: - যদি কেহ উপরের খবরগুলোর কোন আপডেট দিতে পারেন - তাহলে বাধিত হবো।
বার্মার রোহিঙ্গা মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা আত্মসাৎ করে শিবির :
বিগত কয়েক দশক ধরে আরাকান ফ্রি মুভমেন্টের নামে অর্ধশতাধিক জঙ্গি/বিচ্ছিন্নতাবাদী/মুক্তিকামী সংগঠন মিয়ানমার-বাংলাদেশ, মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে তৎপর আছে। এদের কাজ মূলত চাঁদাবাজি করা ও বার্মিজ আর্মি বা নাসাকা বাহিনীর দাবড়ানি খেয়ে বাংলাদেশের নাইক্ষাংছড়ি বা আলিকদম বর্ডার পেরিয়ে লুকিয়ে থাকা ! এরা কখনোই মজলুম আরাকানীদের পাশে দাড়ায়নি, অতীতের মতো এখনো নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে কাজ করে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন/আরনো/নুইপা/আরসো/আরাকান লিবারেশন/মুসলিম মুভমেন্ট নামগুলো রোহিঙ্গা জঙ্গি/বিচ্ছিন্নতাবাদী/মুক্তিকামী সংগঠনগুলো মূলত ব্যবহার করছে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা সাহায্য গুলো যাতে হাতছাড়া না হয় সে লক্ষ্যে । আর তাদের এই কাজের অংশীদার শিবিরও ।
১০-১৫ বছর আগে শিবির ক্যাডার ইকবাইল্যা, আহমইদ্যা, হাবিব খান, ফটিকছড়ি নাসির, গিট্ট নাসির ও সাজ্জাদের নেতৃত্বে শিবির ক্যাডারদের হাতে যেসব ভারী অস্ত্র যেমন এম-১৬, একে-৪৭, একে-৫৬ দেখা যেতো সেগুলো কালেকশন করা হতো মূলত রোহিঙ্গা জঙ্গি/বিচ্ছিন্নতাবাদী/মুক্তিকামী সংগঠনগুলো কাছ থেকেই পাওয়া !
বিখ্যাত শিবির ক্যাডার নাসিরের কর্মকান্ড :
ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলা
শিবির ক্যাডার নাছিরসহ সব আসামি খালাস
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম: ছাত্রদল নেতা জমির উদ্দিন হত্যা মামলার রায়ে শিবির ক্যাডার নাসির উদ্দিনসহ মামলার ১৩ জন আসামীর সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা তারিক আহমেদ এ রায় দেন। মামলার ১৫জন আসামীর মধ্যে বিচার চলাকালীন অবস্থায় ২জন মারা যান।
১৯৯৪ সালে নগরীর পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছাত্রদল নেতা জমির উদ্দিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে শিবির ক্যাডাররা। হত্যার ২০ বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হল।
সব আসামী খালাস পাবার বিষয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মো. আইয়ুব খান বাংলানিউজকে বলেন, ২০ বছর আগের মামলার অভিযোগ প্রমাণ করা খুবই কঠিন। বিচার বিলম্বিত হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ মামলায় যারা সাক্ষী দিয়েছেন তাদের মধ্যে বাদি ছাড়া কেউ রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগকে সমর্থন করেননি। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন।
মামলার ১৩ আসামি হল, দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার নাছির উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, কাজী ওসমান গণি, ইব্রাহিম, হারুন অর রশিদ, সাহাবউদ্দিন, শওকত হোসেন, নুরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, মোকসেদ আলম, আবদুল মান্নান, আহসানুল আজাদ ও আবদুল কুদ্দুস। মৃত দুইজন হলেন ইয়াকুব আলী ও হুমায়ুন কবির।
আসামিদের মধ্যে নাছির জেলহাজতে আছে। রায় ঘোষণার সময় দেলোয়ার হোসেন, ওসমান গণি, ইব্রাহিম, হারুনুর রশিদ টিপু, কুদ্দুছ হাজির ছিলেন। বাকিরা পলাতক আছেন।
১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর সকালে ক্লাস চলাকালে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে ছাত্রশিবির সেখানে হামলা চালায়।
এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে মো. জমিরউদ্দিন ও ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর ফরিদকে।
এ ঘটনায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের হয়। নিহত জমিরের ভাই পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার নাছির উদ্দিনসহ ১৫ জনের নাম উঠে আসে ওই মামলার তদন্তে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ জোনের তৎকালীন সহকারী পুলিশ কমিশনার এটিএম জসিম উদ্দিন ১৯৯৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার নাছির উদ্দিন, হুমায়ুন বাহিনীর প্রধান হুমায়ুন কবির, ইয়াকুব বাহিনী প্রধান মো. ইয়াকুবসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০০০ সালের ২৩ আগস্ট আসামিদের দন্ডবিধির ১৪৮, ১৪৯, ৩০২ ও ৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০০৩ সালের ২৫ আগস্ট মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়।
এরপর মামলার আসামি হারুনুর রশিদ উচ্চ ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল উচ্চ আদালতে আবেদন করলে মামলার কার্যক্রমের উপর স্থগিতাদেশ আসে। ২০১৪ সালের ২৬ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের নথি দায়রা আদালতে পৌঁছলে মামলাটির কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
একই বছর ১০ সেপ্টেম্বর বাদির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। মামলায় মোট ২১ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদিসহ ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজুর আহমেদ আনসারি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য আদালত তাদের খালাস দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫
http://www.banglanews24.com/fullnews/bn/379838.html
উপসংহার :
ছাত্র শিবির কখনোই ভাল ছেলেদের সংগঠণ ছিল না । বরং এই সংগঠণে ছেলেরা গেলে জিহাদ করার নামে বোমা বানানো ও সন্ত্রাস করা শিখে । তবে সাধারণ লোকরা জানে শিবিরের ছেলেরা কুরআন পড়ে ও নামাজ পড়ে । কথাটা আংশিক সত্য । কথাটা হবে শিবিরের ছেলেরা কুরআন পড়ার বদলে তাহফীমুল কুরআন বা মওদুদীর লেখা ভুল কুরআনের ব্যাখ্যার বই ও তার লেখা অন্যান্য বই পড়ে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নামাজ পড়ে । আজব হলেও সত্যি শিবিরের ছেলেরা কয় রাকাত নামাজ পড়লো তার হিসেব আল্লাহর কাছে না দিয়ে সন্ত্রাসী নেতাদের কাছে দিয়ে থাকে । ছাত্র শিবিরের ছেলেরা যখন পড়াশোনায় ফাকি দিতে শুরু করে বা খারাপ করে তখন লোকদের কাছে বলে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য ক্যারিয়ার সেক্রিফাইস করছি । এমন ক্যারিয়ার সেক্রিফাইসের কথা কুরআন-হাদিসের কোথায় আছে - এর উত্তর সন্ত্রাসী নেতারা কখনো দিতে পারেনি । ছাত্র শিবিরের ছেলেরা যখন সন্ত্রাস করে, তখন তারা বলে কুরআন বর্ণিত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ বা আল্লাহর পথে জিহাদ করছি । ছাত্র শিবিরের ছেলেরা যখন খারাপ কথা বলে বা গালি-গালাজ করে লোকদের, তখন তাদের খারাপ কথা বলা কারণ জানতে চাইলে বলে যে আমরা তাগুত বা শয়তানের অনুসারীদের সাথে মুখের জিহাদ করছি । কুরআন - হাদিসে কি এমন জিহাদের কথা আছে কি ?
বিষয়: বিবিধ
৩৫৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন