আমার, পাকিস্তানের ইসলামী কাউন্সিলের আলেম ও সৌদি আরবের আলেম শায়খ আল গামাদীর হিজাব বা পর্দার বিরোধীতা !!!!!! ???????
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৩ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:৪৫:১৭ রাত
আমার এক লেখায় সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের সমর্থক, জামায়াতী ও ওহাবী ব্লগার দ্যা শ্লেভ মন্তব্য করেন :
” ১.যেসব আলেমগন মানুষের কাছে সম্মানিত আপনি বিভিন্ন কৌশলে তাদের চরিত্র হনন করেন,তা আপনার লেখায় স্পষ্ট হয়। ফলে আমি অনুমানের ভিত্তিতে কিছু বলিনি।
২.আর হিজাবের বিরুদ্ধেও লিখেন।
৩.আপনি যেভাবে সমালোচনা করেন সেটা উক্ত আলেমগন পছন্দ করবেন না,আর এটাই গীবত।
৪.আমি সাঈদীকে নিয়ে আপনার আপলোডেড একটি ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিও দেখেছি। যদি তিনি দোষীও হন,তবুও আপনি যে ধারায় সমালোচনা করেছেন সেটা গীবত।
৫.আপনার লেখা পড়লে স্পষ্ট বিদ্বেষ বোঝা যায়।
৬.আপনাকে সংশোধন করা আমার কাজ না। আপনি আপনার বিবেচনা অনুযায়ী কাজ করবেন।
৭.আর আপনি আমার বিরুদ্ধে বলেছেন আমি জামাত শিবির সমর্থন করি। এটাও আপনার অনুমান।
৮.আবার বলেছেন --তবে আমরা যারা জামায়াত-শিবির করি না,তারা কেন জামায়াত-শিবির এবং মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসীদের অপকর্ম ও অশুভ তৎপড়তা মেনে নিবো ? এখানে ওহাবী,মওদূদীবাদ এসব বলাটাও শোভনীয় নয়। কারন এটা গালী অর্থেই কিছু মানুষ ব্যবহার করে।“
উত্তরে বলছি :
১. উত্তরে বলছি, ইসলাম ও মানবতার দুষমণ ওহাবী বা সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের অনুসারীদের বিরোদ্ধে নির্মম সত্য কথাগুলো তুলে ধরি । সত্য কথা তুলে ধরা যদি চরিত্র হনন করা হয় , তাহলে আমার কিছু বলার নেই ।
২. আমি হিজাবের বিরোদ্ধে বা পর্দার বিরোদ্ধে লেখালেখি করি না । আমি নিকাব এবং জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামীর যৌনদাসী তেরী করার পদ্ধতি বা দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধীতা করি মাত্র ।
৩.আমি যেভাবে সমালোচনা করি সেটা কথিত ওহাবীরা বা জামায়াত-শিবিরের লোকরা পছন্দ করেন না, আর এটাই গীবত।– গীবতের এমন সংগা কুরআন – হাদিসের কোথায় আছে ? হাদিসে আছে যে দুচরিত্রবান বা স্বেরাচারী শাসকের শাসনে ন্যায় কথা বলা জিহাদ । সেখানে এসব লোককে গণণার মধ্যেই আনা উচিত না ।
৪.আমি সাঈদীকে নিয়ে কোন ভিডিও বানাইনি । ফেসবুক হতে আমি সংগ্রহ করেছি ও সেটা ইউটিউবের মাধ্যমে শেয়ার করেছি ।ভিডিওটিতে ব্যাঙ্গাত্মক উপাদান বা হাস্যরসাত্মক উপাদান রয়েছে । তাকে চাঁদে দেখা গেছে – এই কথা জামায়াত-শিবিরের আলেম ও কর্মীরা প্রচার করে দেশে নাশকতা ঘটিয়েছিলো । বিষয়টি কি হাস্যকর নয় কি ? এদিক থেকে তিনি ও তার দলের লোকরা দোষী । আর তাদের কাজও ব্যাঙ্গাত্মক ও হাস্যরসাত্মক । সুতরাং এটা কোনক্রমেই গীবতের পর্যায়ে পড়ে না । আর সম্মানিত লোক কখনো অসম্মানিতদের মতো কাজ করতে পারেন না । বাস্তবে তিনি করেছেনও । তার এদিকগুলো তুলে ধরা গিবত নয় । এজন্য অদুর ভবিষ্যতে তার খারাপ দিকগুলো তুলে ধরে আমি একটা লেখা লিখবো । যার শিরোনাম হবে : “ সাঈদীর ফাঁসি চাই “ ইনশাআল্লাহ ।
৫.আমার কোন লেখাই বিদ্বেষপ্রসুত নয়। তথ্য ও উপাত্ত নির্ভর । আর শেষে আমার নিজস্ব অভিমত থাকে ।
৬. যদি আমার ভুল থাকে আমাকে সংশোধন করা আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য । কারণ প্রত্যেক মুসলিম ভাই ভাই সদৃশ ।
৭. জনাব দ্যা শ্লেভ সাহেব । আপনার লেখার সাথে আমি ভালভাবে পরিচিত ।আপনি জামায়াত-শিবির ও সৌদি আরবের রাজাদের সমর্থন করেন লেখেন ও তাদের পক্ষে মন্তব্য করেন ।
৮. আমরা যারা জামায়াত-শিবির করি না,তারা জামায়াত-শিবির এবং মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসীদের অপকর্ম ও অশুভ তৎপড়তা মেনে নিবো না । ওহাবীবাদ ,মওদূদীবাদ , রাফাদানী,আহলে হাদিস, দায়েশ, জঙ্গী, খারেজী, সন্ত্রাসী বর্তমানে পরস্পর সমারর্থক । এগুলো লোকরা বাস্তব অবস্হা বিবেচনা করেই বলে থাকে ।
আমার হিজাব বা পর্দা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি :
আমার হিজাব বা পর্দা সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি কুরআন ও হাদিস সমর্থিত । জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলামী লোকরা এবং ওহাবী বা আহলে হাদিসরা মেয়েদের মুখ ঢাকা ফরজ বলে থাকে । আমি এবং অসংখ্য আলেম বলেন মেয়েদের মুখ ঢাকা ফরজ নয় । আমি কম করে হলেও ৩০ টা নিবন্ধে কুরআন ও হাদিস হতে তথ্য ও উপাত্ত উপস্হাপন করে প্রমাণ করেছি যে পর্দা বা হিজাব করার জন্য মেয়েদের মুখ ঢাকার প্রয়োজন নেই ।
বর্তমানে জামায়াত-শিবিরের মেয়েরা বা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হার মেয়েরা মুখ ঢেকে ও বোরকা পড়ে খারাপ কাজ বা বিয়ে বর্হিভুত প্রেম এবং নাশকতামূলক কাজও করছে । সুতরাং বিষয়টি এখন আর ধর্মের বিষয় হিসেবে নেই । বর্তমানে তা আমাদের দেশের নিরাপত্তা এবং উন্নায়ন-অ্গ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-শৃঙ্খলার সাথে সম্পৃত্ত বিষয় হিসেবে পরিগণিত হয়েছে ।
পর্দা বা হিজাব সম্পর্কে পাকিস্তানী আলেমদের অভিমত :
নারীদের মুখ হাত পা আবৃত রাখা শরীয়াহেত বাধ্যতামূলক নয় - পাকিস্তানি ইসলামি কাউন্সিলের মত
ইত্তেফাক ডেস্ক ২১ অক্টোবর, ২০১৫ ইং
পাকিস্তানের ইসলামিক কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজির (সিআইআই) বলেছে, মুসলিম নারীদের জন্য হাত, মুখ এবং পা আবৃত করার বিধান ইসলামি শরীয়াহেত বাধ্যতামূলক নয়। সোমবার কাউন্সিলের ২০০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মোহাম্মাদ খান শিরানি। সভায় নারীদের পর্দা নিয়ে আলোচনা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ডন’র অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
মাওলানা শিরানি বলেন, মুসলিম নারীদের জন্য মুখ, হাত এবং পা আবৃত রাখার কোনো বিধান শরীয়াহতে নেই। ঘটনাবশত, কাউন্সিলের কিছু উদারপন্থি সদস্য যেমন মাওলানা তাহির আশরাফি এবং আল্লামা আমিন শাহিদি দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন না। তবে এই সেশনে ?
জামায়াত-ই-ইসলামির নেত্রী ড. সামিয়া রাহিল কাজী উপস্থিত ছিলেন। তিনি নারীদের নিয়ে এই ফতোয়াকে জোরালোভাবে সমর্থন করেন। যদিও তিনি নিজে নিকাব পরে ছিলেন।
আগে মাওলানা শিরানিও দলীয়ভাবে নারীদের নিকাব দিয়ে মুখ ঢাকা, গ্লোবস দিয়ে হাত এবং মুজা দিয়ে পা ঢাকাকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি জেইউআই-এফ দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
বৈঠকের পর শিরানি বলেন, মেয়েদের এসব অঙ্গ ঢাকার ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু এখনো এটা সমাজে প্রচলিত হয়ে আসছে। কারণ মেয়েরা সতর্কতার জন্য এই কাজটি করে। তবে তিনি বলেন, যদি কোনো হুমকি এবং অনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঢেকে রাখাটা প্রয়োজন। তবে তিনি হুমকি এবং অনিষ্টতার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি। বৈঠকে নারী এবং মেয়েদের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা করা হয়। কাউন্সিলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে। কারণ এখনো অনেক সম্প্রদায়ে এই রীতি আছে যে, মেয়েরা ছবি তুলতে পারবে না, এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্যও। অনেক আলেম সেটাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। বৈঠকে আবারো সহ-শিক্ষার (ছেলে-মেয়ের একসঙ্গে শিক্ষা গ্রহণ) বিষয়টিতে বিরোধিতা করা হয়। কাউন্সিল মনে করে, এতে সমাজে অসুস্থ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
খবরের উৎস :
http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/second-edition/2015/10/21/79031.html
এই খবরটা সম্পর্কে আরো জানতে দেখুন :
1.Muslim women not bound to cover face, hands or feet: CII
http://en.dailypakistan.com.pk/pakistan/muslim-women-not-bound-to-cover-face-hands-or-feet-cii/
2.Sharia doesn’t ask women to cover face, hands or feet: CII
http://www.dawn.com/news/1214319
3.New ruling by Islamic Council of Pakistan, face veil not mandatory
http://forpakistan.org/fpdata/new-ruling-by-islamic-council-of-pakistan-face-veil-not-mandatory/
4.Muslim women need not cover their faces, Pakistan's Islamic body rules; says transvestites have rights to inheritance
http://www.ibtimes.co.in/muslim-women-need-not-cover-their-faces-pakistans-islamic-body-rules-says-transvestites-have-651242
https://www.youtube.com/watch?v=5PkeQ_9XBO8
জাকির নায়েকের মতে মেয়েদের মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক নয়
পর্দা ও হিজাব সম্পর্কে আমার অভিমত :
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান । ইসলাম নারী ও পুরুষের ব্যক্তিত্বকে আলাদা হিসেবে তুলে ধরেনি । তবে তাদের মধ্যে শালিনতাবোধ যাতে যথাযথভাবে থাকে সেজন্য কিছু নীতিমালা দিয়েছে । সেই নীতিমালাকে বলা হয় হিজাব বা পর্দা । হিজাব বা পর্দা মুসলিম নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য আবশ্যক বা ফরজ বিষয় । হিজাব বা পর্দা ব্যাপক বিষয় । কথা বলা হতে পোষাক পড়া পর্যন্ত সব বিষয় হিজাব বা পর্দার অন্তর্ভুক্ত ।
আজকে আমাকে হিজাব বা পর্দা সম্পর্কে জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হলো মুসলিম মেয়েদের মুখ ঢাকা প্রয়োজনীয় কি ? আমি উত্তরে এক শব্দে বল্লাম “ না “ । মুখ ঢাকার বিষয়টি শুধু মাত্র রাসুল (সা.) - এর স্ত্রীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল ।
বিভিন্ন সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত রাসুল (সা.) - এর যুগে মুসলিম মেয়েরা মুখ খোলা অবস্হায় সমাজে প্রকাশ্যে চলাফেরা করতো । যেমন :
১.
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيْفَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ، فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا، وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ فَجَعَلَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ-
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, (বিদায় হজ্জের দিন তার ভাই) ফযল রাসূল (ছাঃ)-এর পিছনে সওয়ারীতে বসে ছিল। অতঃপর খাছ‘আম গোত্রের একটা মহিলা আসল। ফযল তার দিকে তাকাতে শুরু করল এবং মহিলাটিও ফযলের দিকে তাকাচ্ছিল। অতঃপর নবী করীম (ছাঃ) ফযলের মুখমন্ডল অন্যদিকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন।
[ বুখারী হা/১৫১৩; মুসলিম হা/১৩৩৪, আবুদাঊদ হা/১৮১১; নাসাঈ হা/২৬১৩। ]
এ হাদীছ প্রমাণ বহন করে যে, মহিলাটির মুখ খোলা ছিল।
২.
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ يَوْمَ الْعِيْدِ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ ثُمَّ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلاَلٍ فَأَمَرَ بِتَقْوَى اللهِ وَحَثَّ عَلَى طَاعَتِهِ وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ ثُمَّ مَضَى حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ فَقَالَ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّ أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ. فَقَامَتِ امْرَأَةٌ مِنْ سِطَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ-
জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঈদের দিনে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুৎবার পূর্বে আযান, ইক্বামত ব্যতীত ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর লোকদেরকে উপদেশ, নছীহত করলেন। অতঃপর মহিলাদের নিকট এসে ওয়ায-নছীহত করে বললেন, হে মহিলারা! তোমরা ছাদাক্বা কর, ……… দু’গাল লালচে কালো দাগ মিশ্রিত একজন মহিলা নারীদের মধ্যে হ’তে দাঁড়িয়ে বলল, কেন হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)?...।
[মুসলিম হা/৮৮৫।]
এই দুই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হলো মেয়েরা মুখ খোলা রাখবে ।
কুরআনের আয়াতেও মেয়েদের চেনার কথা আছে । মুখ ঢাকা থাকলে মেয়েদের চেনা যায় না । যেমন :
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا “হে নবী! তোমার স্ত্রীদের, কন্যাদের ও মু’মিনদের নারীদেরকে বলে দাও তারা যেন তাদের ওড়নার প্রান্ত তাদের ওপর টেনে নেয়৷ এটি অধিকতর উপযোগী পদ্ধতি, যাতে তাদেরকে চিনে নেয়া যায় । (সুরা আহযাব, ৫৯)
এই আয়াতে জিলবাব বলে একটা শব্দ আছে । যার বাংলা অনুবাদ হলো চাদরের মতো বড় ওড়না যা দিয়ে মাথা,গলা ও বুক ঢেকে রাখা যায় । এটা বোরকা নয় । বোরকা আরবী শব্দও নয় ।
এই আয়াতে স্পষ্টভাবে যেখানে বলা হচ্ছে- তারা যেন তাদের ওড়নার কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে।
তাদের সহজে যেন চেনা যায় এই বক্তবব্যের মাধ্যমে তাদের মুখমন্ডল খোলা রাখার অনুমতিই দেয়া হয়েছে। কারন মুখমন্ডল খোলা না রাখলে চেনার প্রশ্নই আসে না।
ইসলামী স্কলারও মেয়েদের মুখ খোলা রেখে সমাজে অবাদ বিচরণ করুক - তা চান । যেমন : সৌদি আরবের আলেম শেখ আহমেদ আল-গামেদী ।
সৌদি আরবের আলেম শেখ আহমেদ আল-গামেদীর স্ত্রী জাওয়াহির বিনতে শেখ আলী
যেমন :
শেখ আহমেদ আল-গামেদী, সৌদি আরবের প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষের মক্কা অংশের সাবেক প্রধান । তার স্ত্রী জাওয়াহের বিনতে আল-শেখ আলী ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ এমবিসি টিভিতে মুখ খোলা অবস্হায় বা নিকাব দিয়ে মুখ না ঢেকেই উপস্হিত হন । আর শেখ আহমেদ আল-গামেদীও তার সাথে উপস্হিত ছিলেন । শেখ আহমেদ আল-গামেদী বলেন যে মুখ ঢাকা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ সা. – এর স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল । তিনি টিভির সাক্ষাৎকারে জনসাধারণের সামনে মহিলারা তাদের মুখ প্রকাশ করা দোষের কিছু নয় এবং মহিলারা সামান্য মেকআপ পরতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।
ভিডিওটা দেখুন , এই লিংক হতে :
https://www.facebook.com/video.php?v=885018538187908&set=vb.831464740209955&type=2&theater
সৌদি আরবের আলেম শেখ আহমেদ আল-গামেদী
মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করতে পারেন । মুখ খোলা রেখে চলাফেরা করতে পারেন । তাতে পরিমিতিবোধের দিকে লক্ষ্য রাখবেন । প্রয়োজনবোধে হাল্কা মেক আপ করতে পারেন ।
https://www.youtube.com/watch?v=4WgPJ_Bxu7o
জামায়াত নেতা কামরুজ্জামান-এর পরিবার
জামায়াতে ইসলামী নামক দলের ছাত্রী উইং ইসলামী ছাত্রী সংস্হা-র মেয়েরা যদি সর্বক্ষণ মুখ ঢেকে রাখে ও সমাজ হতে নিজেদের ঘুটিয়ে রাখে - তাদের এই কার্যক্রম বাড়াবাড়ি এবং ধর্মের নামে গোড়ামী ।। জামায়াতে ইসলামী-তে মেয়েদের মুখ ঢাকার জন্য নিকাব পড়া বাধ্যতামূলক বা ফরজ (নাউজুবিল্লাহ) করা হয়েছে । ব্যতিক্রম কিছু আছে । যেমন জামায়াত নেতা কামরুজ্জামান-এর পরিবার ।
সমাজে মুসলিম নারীরা পুরুষের সাথে অবাদে বিচরণ করবে এবং তারা কোন ক্রমেই নিজেদের পুুরুষদের চেয়ে হেয় মনে করবে না । তারা পরস্পরকে বন্ধু মনে করবে । কারণ কুরআনে বলা আছে :
” আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী। " ( সুরা তওবা : ৭১ ) "
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এমন সব আপুদের প্রতি অনুরোদ শালীনভাবে ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পরুন :
স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন এমন অনেক আপু আছেন যারা ইসলামের নীতিমালা মেনে সহজভাবে পোষাক পরার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পরতে পারেন না । কারণ তিনি জানেন না কীভাবে ইসলামের নীতিমালা মেনে সহজ ও সাবলীলভাবে পোষাক পরতে হয় বা পোষাকের হিজাব করতে হয় ।
ইসলামে হিজাব করা ফরজ বা আবশ্যিক । হিজাব অনেক ধরনের । যেমন :
১. পোষাকের হিজাব । এই হিজাব হলো আপনি কীভাবে পোষাক পরবেন ।
২. আচার- আচরনের হিজাব বা মুয়ামালাত ।
৩. চিন্তা – ভাবনার হিজাব ।
২ এবং ৩ নং হিজাব নিয়ে আমি আলোচনা করছি না । যদি বিষয় দুইটি অনেকের কাছে নতুন মনে হবে । পরবর্তীতে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো । আজ শুধু পোষাকের হিজাব নিয়ে আলোচনা করবো ।
আপনি কীভাবে হিজাব করবেন বা পরবেন তা নিচে পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করছি ।
১। আপনার চুল ভালভাবে ঢাকুন :
হিজাব করার প্রথম শর্তই হচ্ছে আপনার চুল আপনার বাবা-ভাই-ছেলে বা যাদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ এমন পুরুষ ছাড়া অন্য পুরুষকেও দেখাতে পারবেন না। কারণ এতে গুনাহ হবে ।
হিজাব করার জন্য প্রথমে ওড়না বা স্কার্ফ পরার আগে সব সময় চুল ভাল করে বেঁধে নিন ।
সামনে যদি চুল ছোট করে কাটা থাকে তাহলে তা ব্যান্ড দিয়ে ভাল করে আটকে নিন ।
এছাড়া চুল ঢেকে রাখার জন্য বোনেট ক্যাপ, আন্ডারক্যাপ ও নেটের ব্যান্ড বাজারে পাওয়া যায়। আপনি সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন ।
অনেকে বলেন, বোনেট ক্যাপ মাথায় দিলে মাথা গরম হয়ে যায় । আসলে এটা অভ্যাসের ব্যাপার। বোনেট ক্যাপ বিভিন্ন ধরণের হয় । কিছু ক্যাপ সম্পূর্ন ঢাকা থাকে । আপনি আপনার সুবিধা মত এসবের যে কোনটি দিয়ে চুল বেঁধে নিতে পারেন। তাতে আপনার মাথা গরম হবে না।
আপনি এসব জিনিস বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজে পাবেন । এমন কি ফেসবুকে বিভিন্ন পেজেও এগুলো বিক্রি হয় । নেটে ইকমার্স সাইট হতেও কিনতে পারেন ।
আপনি ঢাকায় থাকলে বসুন্ধরা সিটি হতে এসব জিনিস কিনতে পারেন । ঢাকা-য় কম করে হলেও ৫০ টা ফ্যাশন হাউজ আছে যারা হিজাব করার মতো জিনিস বিক্রি করে ।
বসুন্ধরা সিটিতেও আপনি পাবেন নানা ধরণের ক্যাপ এবং ওড়না । শুধু একটু খুঁজে নিতে হবে আপনার সাইজ মত। ক্যাপ মাথায় দিলে কোন ভাবেই চুল সামনে আসবে না। চুল দেখিয়ে হিজাব করার ফ্যাশন থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
আপনি এই যদি এসব উপকরণ জোগাড় না করতে পারেন, তাহলে একটা বড় ওড়না দিয়েও এই টিউটোরিয়াল দেখে চুল, মাথা ও বুক ঢাকার কৌশল আয়ত্ব করতে পারেন :
1. https://www.youtube.com/watch?v=4WgPJ_Bxu7o
2. http://www.dailymotion.com/video/xugymj_wrap-orna-or-dupatta-around-head-and-chest-in-proper-way_lifestyle?search_algo=2#.UKjyWphodkg
https://www.youtube.com/watch?v=3_tsODi2qFA
3. https://www.youtube.com/watch?v=otT6Jf7fqnk
4. https://www.youtube.com/watch?v=
২। দয়া করে কামিজের হাতা লম্বা করুন :
ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী মেয়েদের হাফহাতা জামা পরা নিষিদ্ধ । আপনার প্রয়োজন হলে আপনি জামার হাতাটাকে ছেলেদের মতো বাজ করে কাজ-কর্ম করতে পারেন ।
আপনার হাত মানুষকে (তা ছেলেই হোক বা মেয়েই হোক ) আকৃষ্ট করতে পারে । আপনি না চাইলেও করতে পারে । তাই ছোট হাতার সাথে যদি কেহ হিজাব করার চেষ্টা করে থাকে তা সঠিকভাবে হিজাব করা হবে না বা ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পরা হলো না । আপনার কামিজের হাতা অবশ্যই লম্বা হতে হবে।
অনেকে মনে করে হিজাব করেছি বা ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পরেছি, তার সাথে থ্রি কোয়ার্টার হাতা বা সামান্য লম্বা হাতা পরলেই হবে। গরম লাগে, ঘেমে যাই, গ্রীষ্মকালে পরতে পারিনা, এমন অনেক মন্তব্য অনেকেই করতে পারেন । গরমের দিনে গরম লাগবেই। কিছু করার নেই। শীতকালে যেমন শীত লাগবে, বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। গরমের অযুহাত দেখিয়ে আপনি কিন্তু কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবেন না। চিন্তা করে দেখুন, পৃথিবীর গরম আপনার সহ্য হয় না আর জাহান্নামের যখন আগুনের মধ্যে আপনাকে থাকতে হবে তখন কি করবেন ? এখন না হয় আপনি ছোট হাতা, চুল দেখিয়ে খুব ফ্যাশন করছেন কিন্তু জাহান্নামের দন্ড থেকে কিভাবে রেহাই পাবেন ? জাহান্নামের কথা ভাবলেই দেখবেন সব কিছুই স্বাভাবিক লাগছে।
আর ছেলেরা তো কোর্ট -প্যান্ট-সার্ট-টাই-টুপি গরমের মধ্যেও পরেন । ডা. জাকির নায়েক তো সারা বছর এই পোষাক পরেই ইসলাম প্রচার করেন । অনেক হুজুর জোব্বার উপর ওভার কোট পরেন । মাথায় টুপির উপর আবার পাগড়ি পরেন । তাদেরও নিশ্চয়ই গরম লাগে । কিন্তু তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে । সুতরাং আপনাকেও অভ্যস্হ হতে হবে । কারণ মানুষ অভ্যাসের দাস । আর মেয়েদের কষ্ট সহিষ্ণু হতে হবে । কারণ মেয়েরা মায়ের জাতি । মা হতে হলে কষ্ট করতে হয় । আর কষ্টের প্রশিক্ষণ না হয় পোষাকের মাধ্যমেই শুরু হোক ।
৩। জিন্স/প্যান্ট বা আঁটসাঁট বা পাতলা কাপড় বা কথিত ল্যাগিং পরার অভ্যাস ত্যাগ করুন :
হিজাব পরে যদি আঁটো জিন্স/প্যান্ট/কামিজ অথবা যে কোন ধরণের কাপড় পরে থাকেন তা হয়ে যাবে হিজাব এর অর্থের বিপরীত। আপনার শরীরের ধরণ, শেইপ বা এমন কোন ধরণের অঙ্গ দেখাতে পারবেন না যা মানুষ কে আপনার প্রতি আকর্ষণ করবে। তাহলে হিজাব গ্রহনের কোন মানেই থাকেব না।
আপনার কাপড় আপনার ব্যাক্তিগত বিষয় কিন্তু যদি আপনার আল্লাহর প্রতি ভালবাসা এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে, তা আপনার কাপড়ে দিয়েই প্রকাশ পায়। আপনার কাপড়ই বলে দিবে আপনি আল্লাহকে কতটা ভালবাসেন। আপনার আচরণ এবং আপনার কাপড় যেন বিপরীত দিকে না যায়। আজকাল অনেকে আপুই পোষাক নিজের শরীরের ধরণ অনুযায়ী আঁটো বা টাইট করে পরে থাকেন। তাদের শরীরের আকৃতি পরিষ্কার বোঝা যায়। এর ফলে সঠিকভাবে পর্দা বা হিজাব করা হয়না।
শরীরের গড়ন দেখানো হিজাবকে বা পর্দা করাকে অসন্মানিত করে। কাপড় পরুন বড় এবং ঢিলা পোষাক । তাতে আপনি যেমন স্বচ্ছন্দবোধ করবেন তেমন আল্লাহর নির্দেশও পালন করা হবে। হিজাব এবং জিন্স কখনই এক সাথে যায় না।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া বা তুরস্কের মেয়েদের দেখে অনুকরন করবেন না। কারণ তাদের শরীর গড়ণ আর আমাদের দেশের মেয়েদের শরীরের গড়ন এক নয় । এমন কাপড় পছন্দ করুন যা আপনার ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে। আপনি যেন সমাজে একটি সুন্দর উদাহরণ হতে পারেন। সমাজকে আপনার চরিত্র নিয়ে কথা বলার কোন সুজোগই দিবেন না।
৪। উঁচু হিল যেন খুব বেশি মনোগ্রাহী না হয় :
আমাদের দেশে বর্তমানে উচুঁ হিল/হাই হিল ছাড়া মেয়েদের দেখাই যায়না। আপনার হিল থাকতে পারে বা আপনি সংগ্রহ করতে পারেন বা ব্যবহার করতে পারেন । তবে আপনার হিল কখনই অন্যকে আকর্ষন করতে পারবে না।
আপনি সালোয়ার বা কামিজের সাথে বানানো সেলোয়ার, পায়জামা বা প্যান্ট এমন ভাবে পরুন যাতে আপনার হিল খুব ভালভাবে না তাকালে দেখা না যায় । অনেকেই গোড়ালির উপরে পায়জামা/সালোয়ার পড়ে থাকে যা ইসলামের নীতিমালাবিরোধী ।
সালোয়ার কে যদি লম্বায় একটু বেশি করে পরা হয় তাহলেই আপনার হাই হিল ঢেকে যাবে এবং তা অন্যকে আকর্ষন করতে ব্যর্থ হবে।
তাছাড়া এখন নানা ডিজাইন এর স্লিপার বা ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বাজারে পাওয়া যায়। কামিজের সাথে মিলিয়ে যে কেও স্লিপার ব্যাবহার করতে পারেন। হাই হিল ব্যাবহার করতেই হবে এমন কোন কথা নেই।
আপনি হজ্জ ও ওমরা করতে যেয়েও অনেক মহিলা/মেয়েদের হাই হিল ব্যাবহার করতে দেখবেন । কিন্তু তারা খুব সুন্দর করে পোষাক এমন নিচু করে পরেন যে তাতে খুব ভাল করে না দেখলে বোঝার কোন উপায় নেই যে তারা হাই হিল ব্যবহার করেছেন । সাধারণত হাই হিলগুলো মানুষ ব্যবহার করে উচ্চতা কম হবার কারণে। সত্যি কথা বলতে আপনার উচ্চতা আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন । হাই হিল দিয়ে কতটা উঁচুতে যেতে পারবেন? গেলেও তা কি আপনার জন্য ভাল কিছু বয়ে নিয়ে আসবে? ক্ষনিকের জন্য লম্বা হয়ে কি লাভ? যা আল্লাহ দেয়নি, তা জোর করে পাবার শখ কি বেশি দিন টিকে থাকতে পারে? যা আপনার নেই, তা মেনে নিলেই আপনি শান্তি পাবেন। মনে শান্তি। আর মনে শান্তি থাকলেই জীবন অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সব কিছু মেনে চলা অনেক সময় অনেকের পক্ষে সম্ভব হয়না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, যেই মুহুর্তে আল্লাহ’র রহমত কে আপনি নিজের সমস্ত কিছু দিয়ে অনুভব করতে পারবেন, সেইদিন থেকে এমন অনেক কিছু আছে যা আপনি শুধু মেনেই নিবেন না, অন্যদেরকেও মানতে সাহায্য করবেন।
তবে এতটুকু মনে রাখুন, আল্লাহর ইচ্ছায় পৃথিবীতে এসেছেন । আল্লহই সব । আপনার জন্য মৃত্যু অপেক্ষা করছে । কারণ আমরা হায়াত-মউতের কথা জানি । সুতরাং এক সেকেন্ডর নাই ভরসা । মৃত্যুর পর জান্নাতই আমাদের শেষ ঠিকানা । সুতরাং কেনই বা আপনি ইসলামের নীতিমালা মেনে পোষাক পরবেন না । হিজাব করা কি কঠিন জিনিস ? আমি হিজাব করার জন্য যে পদ্ধতি উল্লেখ করলাম তাতে বোরকার কথা নেই ।
আপনি মাত্র ১০০০ টাকার পোষাক কিনে আমার উল্লেখিত নিয়ম মেনে পরলে মুহুর্তের মধ্যেই হিজাবী আপু হয়ে যেতে পারবেন বলে আমি আশা করি । সুতরাং আর দেরি নয় । আজই বলুন : আমি হিজাবী । আপনি হিজাবী হচ্ছেন তো ?
আপনাকে হিজাব করার জন্য দিক নির্দেশনা দিতে পারে এসব পেজ :
ক ) https://www.facebook.com/WrapOrnaInProperWay
খ ) https://www.facebook.com/WrapSareeInProperWay
গ ) https://www.facebook.com/SareeHijab
ঘ) https://www.facebook.com/pages/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%80-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%87/1409551792608271
বিশেষ দ্রষ্টব্য : সাজতে ভাল লাগলে অবশ্যই সাজবেন । মেয়েরা সাজবে এটাই স্বাভাবিক । লিপস্টিক ব্যবহার করলে অবশ্যই হাল্কা রংয়ের ব্যবহার করবেন । নিজের সীমার মধ্যে থেকে আপনি অনেক সুন্দর করে সাজতে পারেন। তবে কোনই এই ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়িয়ে যাবেন না । সাজার জন্য মুখ মন্ডলকে মেক আপ করে বিকৃত করবেন না । এতে আপনার আসল সৌন্দর্য্য আড়াল হয়ে যাবে । আপনার ব্যক্তিত্ব মেক আপের আড়ালে হারিয়ে যাবে । আর ঘন ঘন মেক আপ ও মুখের উপর অতিরীক্ত প্রসাধনী ব্যবহার স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর ।
( লেখাটার প্রথম দিকে ছবিটা জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের কন্যা ড. নোভা আহমেদ । তিনি সম্পূর্ণ বাংলায় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা উদ্ভাবন করেছেন । বর্তমানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন । )
বিষয়: বিবিধ
৩৫৯৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি নিকাব বা মুখ ঢাকার বিরোদ্ধে লিখি । আপনি এই কথাটা হিজাব বা পর্দার বিরোদ্ধে লিখি বলে প্রচার করলেন । এটা কি আপনি গর্হিত কাজ করেননি ।
মেয়েদের মুখ খোলা রাখার উপর কুরআন হতে কম করে হলেও ২০ টা আয়াত উপস্হাপন করবো - কোন এক লেখায় ইনশাআল্লাহ ।
প্রক্ষাত সাহাবী রা -বৃন্দ, ইমাম রহ -বৃন্দ এবং বিশিষ্ট লেখকদের উদৃতি ও প্রমাণ উপস্হাপন করবো ।
এর আগের লেখাগুলোতে এসব উদৃতি ও প্রমাণ উপস্হাপন করেনি । এবার করবো ।
আপনার যদি জ্ঞান বিতরনের ইচ্ছা থাকে ও জানার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনার লেখালেখি করা উচিত । এই ক্ষেত্রে ইসলাম ধৈর্য্য ধারণের কথা বলে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন