জামায়াতের বিরুদ্ধে লেখার কারণে জামায়াত নেতার মেয়ে ও ইসলামী ছাত্রী সংস্হার নেত্রী ফৌজিয়া রেজার মিথ্যা মামলায় সাংবাদিক গ্রেফতার
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২২ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:০৭:৫৩ রাত
জামাত নেতার মেয়ের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার খোমেনী ইহসান
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:৩৮ টা | আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ২০:৩৫ টা
নিজস্ব প্রতিবেদক, অনলাইন বাংলাঃ
জামাতের বিরুদ্ধে লেখার করণে জামাত নেতার মেয়ের মিথ্যা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি অবস্থা বিরোধী ছাত্র বিক্ষোভের অন্যতম নেতা সাংবাদিক খোমেনী ইহসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে রমনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ছাত্রী ফৌজিয়া রেজা। তিনি সাংবাদিক খোমেনী ইহসানের বিরুদ্ধে তাকে উত্যক্ত করার অভিযোগ করেন। একারণে খোমেনীকে আটক করা হয়। এরপর তিনি, তার পরিবার ও বান্ধবীরা এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খোমেনীর বিরুদ্ধে মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খোমেনী ইহসানের পরিচয় জানার পর তার বিরুদ্ধে মামলা নিতে অপারগতা জানালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম মামলা নিতে ফোনে তদবির করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে মামলা এজহারভুক্ত করা হয়।
মশিউর রহমান বলেন, বাদীর দাবি, ফেইজ বুকের মাধ্যমে ২০১২ সালে খোমেনী ইহসানের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর তাদের প্রেম হয়। তারপর ফৌজিয়া তার বাড়িতে খোমেনীকে বিয়ে করবে বলে জানান। পরে তাদের বাড়ি থেকে চাপের মুখে তিনি খোমেনীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন ফৌজিয়া। তার বাবা রেজাউল হক সৌদি আরব জামাতের শুরা সদস্য। ফৌজিয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রীসংস্থার নেত্রী।
ফেইজ বুকে লেখা পড়ে ২০১২ ফৌজিয়া রেজা খোমেনী ইহসানের প্রেমে পড়েন। এরপর ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি খোমেনীর তৎকালীন কর্মস্থল আমার দেশ অফিসে চলে আসেন এবং খোমেনীকে বিয়ে করার প্রস্তাব করেন। এরপর তারা সার্কিট হাউজ মসজিদের ইমামের হাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে তারা বিয়ের রেজিস্ট্রি করেননি। তারা প্রায় একবছর সুখে সংসার করেন। ওই সময় সাংবাদিক মহল ও ঢাকা শহরে তাদের বিয়েটি বেশ আলোচিত হয়। খোমেনী ইহসান অনলাইন বাংলার সম্পাদক।
তবে এ বিয়ে প্রথম থেকেই মেনে নেয়নি কোনো পরিবার। এক পর্যায়ে খোমেনী ইহসানের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার বিয়ে মেনে নেন। এরপর ফৌজিয়া খোমেনীর মিরপুরের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। পড়া-শুনা শেষ হয়নি বলে ফৌজিয়া তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন।
এক সময় ফৌজিয়ার বাবা সৌদি প্রবাসী জামাত নেতা রেজাউল হকও বিয়ে মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, দেশে ফিরলে আনুষ্ঠানিকভাবে খোমেনী ও ফৌজিয়ার বিয়ে দেবেন। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে তাদের বিয়ে মানতে নারাজ হন। তার কথা না মানলে এক পর্যায়ে ফৌজিয়াকে নির্যাতন শুরু করেন। এরপর ফৌজিয়া খোমেনীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এখনো তার এবং খোমেনীর মধ্যে তালাক হয়নি।
এখনো খোমেনী ইহসান তার ফেসবুকসহ সব বন্ধুমহলে তার স্ত্রীকে স্বীকার করেন। তিনি প্রায় বলতেন আমরা আবার এক হব। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। একারণে সামন্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে, সব ঠিক হয়ে যাবে। তোমরা দেখবে আমরা ফের এক হব। শেষ পর্যন্ত জামাত নেতা রেজাউল হকের বানানো মিথ্যা মামলার স্বীকার হলেন জামাত বিরোধী এই সাংবাদিক।
প্রথম থেকেই খোমেনী ইহসান তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিরোধের মিমাংসা করার চেষ্টা করে আসছেন। শনিবার তিনি বাংলা একাডেমীতে আয়োজিত হে ফেস্টিভাল থেকে বাসায় ফেরার সময় তার স্ত্রীর সাথে দেখা হয়। এরপর তিনি তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে গেলে অস্বীকৃতি জানান। পরে তিনি তার এক মিনিট কথা শোনার অনুরোধ করতে করতে সিদ্বেশ্বরী পর্যন্ত যান।
এসময় ফৌজিয়া তার বান্ধবী ছাত্রীসংস্থার কর্মী ফারহানা ও কানিজ তানিয়ার উস্কানীতে পুলিশে অভিযোগ করলে ২০০৭ সালের জরুরী অবস্থা বিরোধী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভের অন্যতম নেতা নির্যাতিত সাংবাদিক খোমেনী ইহসানকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এরপর পুলিশ এ বিষয়ে মামলা নিতে না চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ফোন করেন। এরপর জামাত নেতার মেয়ে ও ছাত্রীসংস্থার নেত্রীর পক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ট্রাস্টি মঞ্জুরুল ইসলাম মামলাটি জোরধারভাবে নেওয়ার জন্য রমনা থানা জোনের ডিসি শিবলী নোমানের কাছে তদবির করেন। তার তদবিরের কারণেই খোমেনী ইহসানের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।
উৎস :
১.
২.
http://onlinebangla.com.bd/post/913/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80-%E0%A6%87%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8
৩.
https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1565545926990930&id=1492716804273843
৪.
http://www.natunsomoy.com/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%20%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80%20%E0%A6%87%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8/12369
৫. https://www.facebook.com/khomenee/posts/819521778106524
৬. http://www.natunsomoy.com/%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%20%E0%A6%AA%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%A8%20%E0%A6%96%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%80%20%E0%A6%87%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8/12369
৭. http://imbdblog.com/?author=98
উপসংহার :
১. নিকাব ও বোরকা পরে এবং ইসলামী ছাত্রী সংস্হা করে প্রেম করা যায় ।
২. মেয়েরা বাবা বা ভাইদের ছাড়াই নিজের বিয়ে নিজে করতে পারে ।
৩. কাবিননামা ছাড়া ও স্বাক্ষী ছাড়া মসজিদের হুজুর ভাড়া করে বিয়ে অনুষ্ঠান করা যায় ।
৪. জামায়াতের বিরোদ্ধে লেখালেখি করলে প্রেম-ভালবাসা বিলীন হয়ে যায় ।
৫. জামায়াতের বিরোদ্ধে লেখালেখাকারী লেখককে ইসলামবিরোধী ও ইসলামবিদ্বেষীর সহায়তায় জেলের ভাত খাওয়ানো শোয়াবের কাজ ।
৬.ছেলেদের সাথে প্রেম করে ছেলেদের জীবন ও ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়া মেয়েরা সমাজের ভাল মেয়ে ।
৭. জামায়াত-শিবিরের লোকরা পুত ও পবিত্র । তারা যা করে তা সঠিক ও ইসলামসম্মত ।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইংরেজী ভাষায় মন্তব্য লিখলে আমি মন্তব্য মুছে দিবো ।
আমি বাংলায় লিখছি । ইংরেজীতে না ।
এই সংগঠণটা মেয়েদের সংগঠণ । এই সংগঠণের মেয়েদের সম্পর্কে বাংলাদেশের সাধারণ মেয়েদের পর্যন্ত ধারণা নেই । অত্যন্ত গোপন একটা সংগঠণ । এই সংগঠণের মেয়েরা নিজেদের চরম পরহেজগার দাবি করে । বাস্তবতা চরম বিপরীত । সামান্য ব্যতিক্রম এই সংগঠণের কিছু মেয়ের ক্ষেত্রে থাকতে পারে ।
অপর দিকে ইসলামী ছাত্র শিবির ছেলেদের সংগঠণ । আমি খুব কাছ থেকে ছাত্র শিবিরকে দেখেছি । এদের অনেক কাজও রহস্যময় । জনগণ শিবিরের অনেক কাজ সম্পর্কে জানে না । উপরন্তু শিবিরের সাধারণ কর্মীরা পর্যন্ত শিবিরের উপর পর্যায়ে কি হয় বা হবে জানে না বা জানার সুযোগ নেই । অনেকটা আল কায়দার মতো শিবিরের গোপন কার্যক্রম পরিচালিত হয় । ছাত্র শিবিরের কর্মী ও নেতারা নিজেদের পরহেজগার দাবি করেন ।
বাস্তব অবস্হা হলো ছাত্র শিবিরের মধ্যে সমকামী নেতা ও কর্মী আছে । আল্লাহ চাহেত এই বিষয়ে দুই কলম লিখে অভিভাবক ও ছাত্র সমাজকে সচেতন করবো ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন