সৌদি আরবে মুসলিমদের ইসলাম ত্যাগ এবং ওহাবী-সালাফী-জামায়াতী-আহলে হাদিস সম্প্রদায়ভুক্ত ধর্ম ব্যবসায়ীদের অমানবিক ও হাস্যকর কিছু কাজ ও ফতোয়া (১ম পর্ব )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ১১:৩৪:৩৮ রাত
পটভুমি :
কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে অবস্হানরত সৌদি নাগরিকের সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছিলো । তিনি গাজীপুরের আই.ইউ.টি-তে পড়েন । আমরা যতক্ষণ ছিলাম ততক্ষণ আমরা তিন ওয়াক্ত নামাজ পড়েছিলাম । কিন্তু সেই সৌদি নাগরিক এক ওয়াক্ত নামাজ পড়েননি । কথা প্রসঙ্গে অনেক বিষয় আলোচনা হলো । তার কথার ধরণ দেখে মনো হলো ইসলাম ধর্মত্যাগী নাস্তিক, তবে প্রকাশ্যে ইসলামবিদ্বেষ প্রদর্শনকারী লোক নন । নেটে এধরনের অনেক লোকের সাথে যোগাযোগের সুযোগ হয়েছিল । সৌদি নাগরিকরা সবচেয়ে বেশী সক্রিয় টুইটার সাইটটাতে । এর মাধ্যমে তারা নাস্তিকতা প্রচার করার পাশাপাশি সৌদি রাজতন্ত্রবিরোধী প্রচার চালিয়ে থাকে ।
আমি তাদের কাজের ধরণ ও তৎপড়তার তথ্য সংগ্রহ করতে বিভিন্ন যেয়ে নেটে যেসব তথ্য পেলাম তার উপর ভিত্তি করে আজকের লেখাটা তৈরী করলাম ।
ইথিওপিয়ানদের সৌদি পতাকা পুড়িয়ে প্রতিবাদ জ্ঞাপন । সৌদি আরবের পতাকা ওহাবী মতবাদ অনুযায়ীই পুড়ানো কোন গুনাহের কাজ নয় । এব্যাপারে তথ্য পরবর্তী পর্বে দেওয়া হবে
সূচনা :
সত্যিকারের ইসলাম ও মানবতাবিরোধী এবং ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের তেরী করা ওহাবী মতবাদ সৌদি আরব রাষ্ট্রটির উৎপত্তি ইহুদী-খৃস্টানদের সহায়তায় ১৯৩২ সালে ।
এই দেশে ইসলামের পবিত্র স্হান মক্কা মদীনা অবস্হিত । এজন্য অশিক্ষিত মুসলিম এবং ওহাবী-সালাফী-আহলে হাদিস-জামায়াতী-সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল সম্প্রদায়ভুক্তরা সৌদি আরবের যৌন উম্মাদ ও অত্যাচারী শাসকদের আমিরুল মুমেনীন বলে সম্মান করার পাশাপাশি তাদের দ্বারা নিযুক্ত ধর্ম ব্যবসায়ী বা ওহাবী ধর্ম ব্যবসায়ীদের ফতোয়াকে অনুসরণ করা ফরজ ও ওয়াজিব বলে মনে করে ।
আজব হলেও সত্যি ১৯২৪ সালে ওসমানীয়া খেলাফতের অধীনস্হ আধা স্বাধীন রাষ্ট্র হেজাজকে দখল করার মাধ্যমে সৌদি আরব মক্কা - মদিনাকে কুক্ষিগত করে । তারপর ইসলামের স্মৃতি বিজরীত ২০ হাজার স্হাপনা ও সত্যিকার ইসলামের মর্মবাণী ধারণকারী প্রায় দশ লক্ষাধীক ইসলামী পুস্তক ধ্বংষ করে । তারপর সৌদি আরব বিশ্বময় ইহুদী-খৃস্টানদের সহায়তায় ওহাবী মতবাদ বা সালাফী মতবাদ বা আহলে হাদিস মতবাদ বা মওদুদী মতবাদ প্রচার করতে থাকে । তার ফল হিসেবে বিশ্বময় মুসলিমদের মধ্যে সন্ত্রাস ও অনেক্য এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে অরাজকতা চেপে বসেছে । আর বাংলাদেশেও মুসলিমদের মধ্যে সন্ত্রাস -অনৈক্য-কুসংস্কার-ধর্মীয় গোড়ামী বিস্তার ঘটছে ।
সৌদি আরবে নাস্তিকতা ও নাস্তিকদের সংখ্যা :
ইসলাম ছেড়ে অন্য ধর্ম বা নাস্তিকতা অনুসরণ করলেতাকে ‘মুরতাদ’ উপাধি দিয়ে হত্যা করার বিধান বহুল প্রচলিত । এই বিধানকে উপেক্ষা করেই দিনে দিনে বাড়ছে সৌদি নাস্তিকের সংখ্যা । প্রকাশ্যে পরিচয় দিতে না পারলেও অনেকেই ঘরোয়াভাবে ও নেটে নিজেকে নাস্তিক ঘোষণা করছে।
উইন গ্যালপ পরিচালিত ২০১২ সালের একটি জরিপ থেকে জানা যায়, ‘৫ ভাগ সৌদি নাগরিক নিজেদেরকে পাড় নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।’ ওই সময় সারা বিশ্বে নিজেদের নাস্তিক পরিচয় দিতেন ১৩ ভাগ।
সারা বিশ্বের তুলনায় সৌদিতে নাস্তিকের হার কম থাকলেও তাদের সংখ্যা বাড়ার হার অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে রাজা শাসিত দেশটিতে নাস্তিকতাকে ‘জঙ্গীবাদ’ ও নাস্তিক মানেই ‘জঙ্গী’ ঘোষণা করা হয়েছে।
পরিস্থিতির একটা চিত্র পাওয়া যায় সৌদির ৩১ বছর বয়সী মানবাধিকার কর্মী ও বিপণন উপদেষ্টা ফাহাদ আলফাহাদের জবানে।
ফাহাদ বলেন, ‘আমি কমপক্ষে ৬ জন নাস্তিককে জানি যারা আমার কাছে নিজেদের বিশ্বাসের কথা স্বীকার করেছেন। ৬/৭ বছর আগে একজনকেও এমন কথা বলতে শুনিনি। এমনকি খুব অন্তরঙ্গ বন্ধুর কাছেও কেউ এ কথা বলতো না।’
সৌদি আরবের ওহাবী বা আহলে হাদিসী বা জামায়াতী সুন্দরী বা সৌখিন পতিতা
সৌদি আরবের সরকারী ইসলামী পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার নিউজ যেগুলো পড়াকে ওহাবী বা আহলে হাদিস বা জামায়াতীরা পড়া ভাল কাজ বলে মনে করে ।
বর্তমানে সৌদি আরবে নাস্তিকতা বাড়ার কারণ :
১. ইসলামপন্থীদের কথা ও কাজে মিল না থাকা :
সৌদিতে নাস্তিকতা বাড়ছে তার কারণ জানালেন রাজধানী রিয়াদে কাজ করছেন এমন একজন সাংবাদিক। তিনি বলছেন, ‘সৌদিতে ধর্মহীন এমনকি নাস্তিকদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ইসলামপন্থীদের কথা ও কাজে মিল না থাকায় এমনটি হচ্ছে।’
২. সত্যিকার ইসলামকে বাদ দিয়ে ওহাবী বা সালাফী মতবাদ বিস্তার ঘটানো :
নাস্তিক বাড়াতে বেশি প্রভাব রাখছে ইসলামকে নিজেদের সুবিধা মতো ব্যবহার করে ওহাবী মতবাদের ভিত্তিতে তৈরি করা ইসলামপন্থ ।
৩. সৌদি আরবে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অনুপস্হিতি ও ওহাবী ধর্ম ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ড :
সৌদিতে গণতন্ত্র নাই । সৌদি বংশের লোকরা বংশানুক্রমিক ভাবে রাজত্ব করছে। তাদের রাজতন্ত্র চালাতে সহায়তা করছে কট্টরপন্থী আবদুল ওয়াহাবের উত্তরসুরি ও অনুসারীরা। এদেরকে ওয়াহাবী বলা হয়। বিদেশে তাদের সালাফী বা আহলে হাদিস বা রাফাদানী বলা হয় ।
এই ওহাবীদের মতে, শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা প্রতিবাদ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এই মতের সুযোগ নিয়ে রাজতন্ত্র নিরাপদ থাকলেও সৌদি নাগরিকরা ওহাবীদের বানানো মনগড়া কঠোর শরীয়া আইনে বন্দি।
সৌদি আরবের বিচারের ধরণ ও তার বিরোদ্ধে বাংলাদেশিদের প্রতিবাদ
৪ . মানবাধিকার ও মৌলিক চাহিদার উপর শাসক গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রন :
শরীয়ার মাধ্যমে দেশটির শাসকগোষ্ঠি মতপ্রকাশ, মানবাধিকার ও বিয়েসহ নাগরিক অধিকারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।
ইসলামের এই অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তেমন একটা সমালোচনা করা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় নেতা ও তাদের বিভিন্ন ঘোষণা, ফাতওয়া নিয়ে বিদ্রুপ ও মজা করেন সৌদি নাগরিকরা।
৫. তাদের এই বিদ্রুপের শিকার হয় সাধারণত এসব ফতোয়া :
১. এক সাথে কাজ করা বৈধ করতে পুরুষ সহকর্মীকে বুকের দুধ খাওয়াবেন নারী’,
২. মিশরের স্বৈরশাসক আল সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা নাজায়েজ’,
৩. ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ করা নাজায়েজ’,
৪.‘বোরকার ভেতর দিয়ে নারীর সুন্দর চোখ বেরিয়ে পড়া অপরাধ’।
এই সব হাস্যকর ফতোয়া নিয়ে সাধারণ মানুষ যে সমালোচনা বা বিদ্রুপ করেন তা পবিত্র ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে বিমুখ করে দিচ্ছে।
রাজতন্ত্র ও ওয়াহাবীদের সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকেই ইসলামের বিশ্বাসও আক্রমণ করছে। যা একটা পর্যায়ে নাস্তিকতায় রূপ নিচ্ছে।
নাস্তিকতার ব্যাপারে সৌদি নাগরিকদের প্রতিক্রীয়া :
দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন টুইটার, ব্লগ ও ফেসবুকে ধর্ম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও রাজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কড়া সমালোচনা হচ্ছে।
এক সৌদি তরুণ টুইট করেছেন, ‘প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ বিরতিহীন আল্লাহকে নিয়ে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। তার প্রতি করুণা হয় তিনি সাধারণ মানুষ থেকে কত দূরে আছেন। এটা ১৯৮০ এর দশক না। খুবই করুণ অবস্থা!’
সৌদির রাজকীয় টিভির একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘মসজিদগুলো এখনো জনাকীর্ণই থাকে কিন্তু সমাজ এর মূল্য হারাচ্ছে। এটা অনেক সময় একটা যান্ত্রিক চর্চার মত ব্যাপার যেমন খৃস্টানরা রবিবার গীর্জায় যায়। আমরা এখন আর আমাদের ধর্মকে বুঝতে পারছিনা তার কারণ এই নয় যে আমরা এটা বুঝতে চাচ্ছি না। রাজতন্ত্র ধর্মকে দূষিত করে রেখেছে। সৌদি রাজ যেটা চায় এবং যেগুলো রাজতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখবে সেগুলোই কেবল ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পায়।’
অবশ্য সৌদিতে সবাই যে স্বেচ্ছায় নাস্তিক হচ্ছেন এমনও না। সেখানে মুসলমান থাকতে হলে ওয়াহাবী মতাদর্শের মাপকাঠি দিয়েই ইসলামের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে হবে। এর বাইরে গিয়ে কেউ সৌদি মাওলানাদের কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের সমালোচনা করেন তবে তিনি নাস্তিক আখ্যা পাচ্ছেন।
রায়েফ বাদাবি নামে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে ‘নাস্তিক’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তার কারণ তিনি এই আহ্বান জানিয়েছিলেন যে ওয়াহিবী ইসলামের সাথে সাথে ইসলামের অন্যান্য ব্যাখ্যারও সহাবস্থান থাকতে হবে।
‘ফ্রি সৌদি লিবারেলস্’ নামে একটি ওয়েবসাইটে এই আহ্বান জানানোর ফলে তাকে ২০১৩ সালের জুলাই মাসে সাতবছর কারাদণ্ড ও ৬০০ দোররা দেয়া হয়। তার আইনজীবি ওয়ালিদ আবু আলখায়ের যিনি একজন মানবাধিকার কর্মী তাকেও কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বাদাবি আদালতে ঘোষণা করেছেন যে তিনি একজন মুসলিম। এবং তিনি এটাও যুক্ত করেন, ‘প্রত্যেকেরই বিশ্বাস করা বা অবিশ্বাস করার স্বাধীনতা থাকা উচিত।’
সব মিলিয়ে সৌদি আরবে নাস্তিকতা এখন আর ট্যাবু নয়। পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ বছরের প্রথমার্ধে কমপক্ষে দুটি টেলিভিশন টকশোতে নাস্তিকতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আর যারা বন্ধুমহলে বা অনলাইনে নিজেদের নাস্তিক পরিচয়দাতারাও নিজেদের মধ্যে একটা সম্পর্ক খুজে নিচ্ছেন। তারা খাতির বাড়ানোর পাশাপাশি একত্রিত হওয়ারও চেষ্টা করছেন।
সৌদিতে নাস্তিকতার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে তা থেকে তরুণ বের করে আনতে কেউ কেউ তাদের তাদের কাছে ওয়াহাবী ইসলাম ও প্রকৃত ইসলামের ফারাকটা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।
উচ্চ শিক্ষা নিয়ে কাজ করার কারণে সৌদি তরুণদের সাথে গভীর সখ্যতা রাখেন রিয়াদের এমন এক বাসিন্দা বলছেন, ‘আমি তরুণদেরকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি তারা তারা সরকারের তৈরি করা ইসলামের মধ্যে জীবন যাপন করছে, আল্লাহ আমাদের কাছে যে ইসলাম পাঠিয়েছেন তার মধ্যে নয়’।
তিনি অনেকটা হতাশার সূরেই বললেন, ‘অনেক তরুণ সৌদি রাজতন্ত্রের খেলাটা বুঝতে পারলেও কিছু তরুণ ইসলামকে অস্বীকার করে নাস্তিক হয়ে যাচ্ছে।’
এই ভিডিওটা শুনুন :
https://www.facebook.com/video.php?v=313168588880696
শুনতে রুচিতে বাঁধবে।
# মেয়েদের নাকি আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন বাচ্চা দেয়ার জন্যে।
# আমাদের মা বোনেরা নাকি বাজারে যায় পর পুরুষের সাথে ধাক্কা খাওয়ার জন্য।
নারী সম্পর্কে খারাপ ইঙ্গিতকারী, ইসলামের ভুল ব্যাখ্যাকারী এরা ইমাম নামের কলংক।
এরা ভয়াবহ কুৎসিত ধরনের কথা বলবে মসজিদের খুৎবায় - তা আমরা সহ্য করবো কেন ?
(ভিডিওতে হুজুরটির হাতের ইশারা দেখুন , আজব হলেও সত্যি এই হুজুর জাকির নায়েকের পিস টিভিতে ওয়াজ করেন । )
তার বক্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্য ? তার এসব কুৎসিত কথা কি দেশের সংবিধানের পরিপন্থি নয় ?
তার বিরূদ্ধে কি আইন অনুযায়ি কোন ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন নয় কি ?
(আইন বিশেষজ্ঞরা মতামত দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো । )
ইমামের নাম - আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ।
খতিব, আল আমিন জামে মসজিদ
৪৬, শাহজাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
সৌদি আরবে সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদ-মৌলবাদ-আতংকবাদ :
সৌদিতে নাস্তিকতা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে জঙ্গীবাদও বাড়ছে। প্রচুর তরুণ বিভিন্ন উগ্র ইসলাম পছন্দজঙ্গী সংগঠনে নাম লেখাচ্ছে। ইরাক ও সিরিয়াকে কেন্দ্র করে আরব দেশগুলোরে মদদে ‘আইএস’সহ নানা সন্ত্রাসী সংগঠনের দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়ায় সৌদি নাগরিকদের নাস্তিক হওয়ার প্রবণতাকে আরও উসকে দিয়েছে।
রিয়াদে অবস্থিত ‘কিং ফয়সাল সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ’ এর গবেষণা পরিচালক সৌদ আল সারহান একটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘আরব বসন্ত শুরু হলে তরুণরা ইসলাম ও গণতন্ত্র নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতো। কিন্তু সিরিয়া ঘটনাবলীর পর এখন তারা শুধু ইসলাম ও জিহাদ নিয়ে প্রশ্ন করছে।’
ওহাবী-সালাফী-আহলে হাদিস সম্প্রদায়ভুক্ত ধর্ম ব্যবসায়ীদের অমানবিক ও হাস্যকর কিছু কাজ ও ফতোয়া :
১.গাজার জন্য মিছিল করা হল গণবিদ্রোহসুলভ পদস্খলন :
গাজার জন্য মিছিল করা হল গণবিদ্রোহসুলভ পদস্খলন। শুরা সদস্য সৌদি জ্ঞানী সালেহ আল লুহাইদান-এর ফতোয়া : “গাজার জন্য মিছিল করা হল গণবিদ্রোহসুলভ পদস্খলন। বিসৃঙ্খলা আর সন্ত্রাসের পদ্ধতি। এসব মিছিল মানুষকে আল্লাহ থেকে দূরে নিয়ে যায়। বরং উচিত মসজিদে বসে বসে দুয়া করা। ”
২.জিহাদিদের পেশাব খেলে পাপ ক্ষয় হয় :
ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ আল কুবা'র ইমাম সৌদি মুফতি সালেহ আল গামেদি: জিহাদিদের মুত্রপানে পাপ ক্ষয় হয়।
ছবি: আল গামেদি। এরকম চেহারা, ভ্রুভঙ্গি, মুখভঙ্গি, পাগড়ির বদলে মাথায় কড়া ভাঁজের চাদর, এইরকম আলীশান আলখেল্লা নিয়ে আজকাল সারা পৃথিবীই দাবড়ে বেড়াচ্ছেন সৌদি আরবের দালাল মুফতিরা । সব ভাষাতেই তারা ওয়াজ করেন । তারা ঠিক করে দিচ্ছেন, ”আমাদের ধর্ম ঠিক নাই, নামাজ ঠিক নাই, রোজা ঠিক নাই, ঈমানও ঠিক নাই। ”আমরা বলছি: জ্বি হুজুর।
৩.সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে :
আমরণ সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি, যার হাত ধরে সৌদি মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় নামক ওহাবী ধর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উত্থান এবং বিশ্বব্যাপী সৌদি সালাফি আহলে হাদীস মতবাদের প্রধান প্রচারক আবদুল ওহাব নজদীর বংশধর আব্দুল আজিজ বিন বাজ-এর ফতোয়া :
” সূর্য্ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরে। যে এই ফতোয়া মানে না, সে কাফের। যে এইভাবে কাফির হল, তার সমস্ত সম্পদ ও রক্ত হালাল হয়ে গেছে। তওবা করার সুযোগ দেয়া হবে, তওবা না করলে তারে হত্যা করতে হবে। আমেরিকানরা আসলে চাঁদের দেশে গেছে কিনা সেটা আমাদের ভাল করে চেক করে দেখতে হবে।”
৫.লালবাতি ক্রস করা হারাম! কবিরা গুনাহ্! :
হালাল ও হারামের পার্থিব অধিপতি আবদুল ওহাব পরিবারের বংশধর সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি বললেন,
Saudi Arabia’s grand mufti Abdulaziz al-Shaikh.
”লালবাতি ক্রস করা হারাম! কবিরা গুনাহ্!”
http://english.alarabiya.net/en/News/2014/04/28/Crossing-red-signals-is-Haram-says-Saudi-Grand-Mufti-.html
ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহু ছিলেন অন্যায়কারী এবং ইয়াজিদ সত্যপথগামী :
আব্দুল আজিজ বিন বাজ-এর ফতোয়া :
” এজিদ ছিল সত্যপন্থী আর ইমাম হুসাইন রাদ্বিআল্লাহু আনহু ছিলেন অন্যায়কারী। কারবালায় অন্যায়কারীকে পরাজিত ও হত্যা করা হয়েছে।”
http://thewahhabireality.wordpress.com/tag/bin-baaz-says-yazeed-was-right-and-imam-hussain-wrong/
৬.আমেরিকাকে সৌদি আরবে রাখা ফরজ ও সাদ্দাম শাসনাধীন ইরাকের বিরোদ্ধে যুদ্ধ করা ফরজে আইন :
আব্দুল আজিজ বিন বাজ-এর ফতোয়া :
”ইরাকের বিরুদ্ধে জিহাদ সবার জন্য ফরজ । যারা এই জিহাদে আছে, তারা বন্ধু । তাদের সহায়তা করা ফর । আমেরিকান সেন্য বাহিনীসহ বহু জাতিক বাহিনীকে সৌদি রাজত্বে রাখা সম্পূর্ণরূপে প্রয়োজনীয় এবং ফরজ। সন: ১৯৯১ ( বিন বাজ মৃত্যু শয্যায়ও বারবার অনুরোধের প্রেক্ষিতেও এই ফতোয়া ফিরিয়ে নেননি।)
৭.কার্টুন ছবির মিকি মাউস ও টম এন্ড জেরি-কে হত্যা করতে হবে (পাগলের প্রলাপ ) :
ওহাবী ধর্ম ব্যবসায়ী ও কুটনৈতিক আল মুনাজিদ-এর ফতোয়া :
”ইসলামিক আইন অনুসারে মিকি মাউসকে ও টম এন্ড জেরির জেরিকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে। তা বাসায় থাক আর কার্টুনে। এরা শয়তানের চামুন্ডা।
(মুনাজিদ ওয়াশিংটন ডিসির সৌদি দূতাবাসের সাবেক কূটনীতিক ছিলেন ।
বিখ্যাত ধর্ম ব্যবসায়ী মহিউর রহমান শয়তানী ওরফে ভারতী যিনি জামায়াতী আলেম সাইদীকে গালি দিয়ে সুনাম অর্জন করেছেন এবং তার বিখ্যাত ওয়াজ হলো : শাসক অত্যাচারী হলেও তার আনুগত্য করতে হবে এবং ভারতের মুসলিম নির্যাতন হলেও মুসলিমদের নিরবে সহ্য করতে হবে ।
৮.মেয়েদের পুরুষদের যৌনতা উপভোগের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে ও মেয়েদের বুদ্ধি কম :
আব্দুল আজিজ বিন বাজ-এর নারী জাতি সম্পর্কে ফতোয়া : নারীদের বুদ্ধি কম। তারা বড় জোড় পুরুষের যৌনতা উপভোগের উপকরণ মাত্র । ( পল এ মার্শাল, ২০০৫)
৯.জিহাদ করার সময় সমকামীতা বা গে হওয়া বা পায়ুপথে যৌনতা করা হালাল :
স্ত্রী থেকে দূরে থাকা অবস্থায় পায়ুসঙ্গম জিহাদের সময় বৈধ। ( এই কাজটি ভুয়া খলিফা বাগদাদীর আইএস সন্ত্রাসী ও তালেবানী সন্ত্রাসীরা করে থাকে । এই ফতোয়া মিশরের এক ব্রাদারহুড সমর্থক আলেমও সমর্থন করেছিলেন ।
বর্তমান সময়কার সৌদি ধর্মব্যবসায়ীদের একাংশ যাদের ওহাবী বা আহলে হাদিস বা জামায়াতীরা পুজা করে থাকে ।
১০.জিহাদের সময় অবিবাহিত নারীদের জিহাদীদের সাথে যৌনতা করা ফরজ :
আইএস সন্ত্রাসীরা ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশ দখল করার পর ঘোষণা করে, “প্রত্যেক বাড়ির অবিবাহিত নারীদের অবশ্যই জিহাদিদের খুশি করতে হবে । তাদের সাথে যৌনতা উপভোগে অংশ নিতে হবে । যে সব মেয়ে এ আদেশ লঙ্ঘন করবে তাদের উপর ইসলামী আইন প্রযোজ্য হবে । কারণ http://www.thegatewaypundit.com/2014/06/report-isis-issues-pro-rape-fatwa-in-northern-iraq/
১১.
বিদ্যুৎ ব্যবহার না করা সোয়াবের কাজ :
রমজান মাসে বিদদুত বন্ধ করার ফতোয়া দেয় ভুয়া খলিফার সংগঠণ আইএস । কারণ রাসূল (সা) ও তার সাহাবী (রা) -গণ ১৪০০ বছর আগে বিদ্যুত ব্যবহার করতেন না । তারা বিহীন যুগে রোজা রাখতেন।
http://www.syriadeeply.org/articles/2014/07/5746/outrage-raqqa-isis-issues-fatwa-cut-power-ramadan/
পাঁচটি ফতোয়া- আল কামিশলি শহরের সমস্ত খাদ্য ও বস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ জিহাদি ভাইদের অধিকারে যাবে। স্বর্ণ ও রৌপ্য যোদ্ধারা নিবে কারণ এটা তাদের অর্জিত সম্পদ। সমস্ত বিনোদনের ব্যবস্থা ও সিগারেট বিক্রির দোকান সম্পূর্ণ ধ্বংস করার আগে আগুন দেয়া হবে। খ্রিস্টান, কুর্দ ও আল খাজনাভিদের বের করে দাও অথবা হত্যা করো। তাদের নারীরা তোমাদের। এই নির্দেশ আল্লাহর ইচ্ছায় পরবর্তী শহরগুলোতেও জারি থাকবে। https://www.facebook.com/positivelyrepublican/posts/751966034854278
সৌদি যুবরাজ তালাল ও তার স্ত্রী আমিরা । পৃথিবীর ১১ তম ধনী ব্যক্তি । ভারতের মুসলিমদের টাকা দিয়ে হিন্দু বানানো হলেও তিনি নিরব । তিনি খৃস্টান পতিতাদের সাথে মদ খেয়ে মাতাল অবস্হায় থাকেন ।
সৌদি রাজকন্যাদের একাংশ বা যুবরাজদের স্ত্রী । নেটে সার্চ দিন বিস্তারিত তথ্য পেতে ।
১৩. ১১-৪৬ বছর বয়সী সকল নারীর খতনা করতে হবে। (এই আদেশের পক্ষে অসংখ্য প্রমাণ এসেছে, বিপক্ষেও অনেক তথ্য এসেছে। এই আদেশ জারি হয়ে থাকলে তা ৪ কোটি নারীর উপর পড়ছে।)
আসলে আইএস এর আরো অসংখ্য ফতোয়া আছে। এইসব বীভৎস ফতোয়া ঘেঁটে বের করা নার্ভের উপর চরম চাপের বিষয়। যেমন, সারা পৃথিবীর সমস্ত মুসলমানের ফরজ হল খলিফাকে মানা। তাদের উপর ফরজ, ইসলামিক স্টেটে চলে আসা। যারাই আসবে না, তারাই পথভ্রষ্ট এবং শাস্তি পাবে। সবার উপর ফরজ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ নয় এমন মা বোনকে তাদের হাতে তুলে দেয়া। জামাতেস্লামী, বাংলাদেশের হেজবুত তওহীদ বা এ ধরনের অসংখ্য আল কায়েদা টায়েদার অসংখ্য বিবমিষাকর ফতোয়া রয়েছে যা উল্লেখ করতে যাওয়াও রীতিমত শারীরিক কষ্টের বিষয়।
বিন বাজ: সাদ্দাম হুসাইন কাফের। http://www.ummah.com/forum/showthread.php?139378-Ibn-baaz-calls-saddam-a-kafir
১৪. রোজায় মাস্টারবেশনে রোজা ভাঙে না। নবীকে অপমান করলে কেউ কাফির হয় না। নারীদের জন্যও স্বর্ণ হারাম। (নাসিরুদ্দিন আলবানী, সৌদি 'মুজাদ্দিদ')
১৫. মুলতাকা আহলে হাদীস: ইমোটিকন হারাম। (হারামই যদি, তো ছবি তোলাই হারাম। সব গ্র্যান্ড মুফতি থেকে শুরু করে পাতি মুফতি পর্যন্ত টিভিতে দৌড়ায়। এমনকি ইরাক-লেভ্যান্টের তাকফিরিরাও তাদের খলিফাকে ভিডিওতে দেখাচ্ছে।)
১৬. সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: সত্যিকার মুসলিম টুইট করে না! (উল্লেখ্য, সৌদি প্রিন্স আলাউদ্দিন বিন তালাল টুইটারের ৩.৬% শেয়ার কিনেছে ৩০০ মার্কিন ডলারে)
১৭. সিরিয়ায় জিহাদি রা পর্যায়ক্রমে সিরিয়ান ১৪ বছর বা তদুর্দ্ধ মহিলা, স্বামীহীন এবং তালাকপ্রাপ্তা- এদের সাথে কয়েক ঘন্টার ইন্টারকোর্স ম্যারেজে আবদ্ধ হতে পারে। (আল আরিফি, সৌদি মুফতি। https://www.youtube.com/watch?v=6Qvo4_hMrF4)
১৮. যুদ্ধক্ষেত্রে আপন বোনের সাথেও যৌন জিহাদ চালনা করা যাবে আর কাউকে না পেলে। (নাসের আল উমার, সউদি... এ নিয়ে ভিডিও প্রচারণাও করা হয়েছে।)
১৯. জিহাদিরা সমস্তকিছুর মালিক। সমস্ত জড় ও জীবের মালিকানা তাদের হাতে। তাদের হাতে স্বেচ্ছায় নিজের দেহ তুলে দিলে এর বিনিময়ে জান্নাত পাওয়া যাবে। আর প্রয়োজনে সমস্ত হারাম হালাল হয়ে যায়। জিহাদের প্রয়োজনে প্রস্টিটিউশন হালাল। কাফির হত্যার উদ্দেশ্যে হোমোসেক্সুয়ালিটি করা যায়। http://www.theblaze.com/contributions/shariah-law-sex-jihad-fatwa-permits-incest-in-syria-2/
২০.অবশেষে সেই সৌদিরাই, যখন দেখা গেল যে, আরেক সালাফিস্ট আইএস ঘোষণা করেছে ক্বাবা ধ্বংস করবে সৌদি আক্রমণ করে, নতুন ফতোয়া জারি করল, সিরিয়ায় কোন জিহাদ নেই। (কাউন্সিলের আলী আব্বাস আল হিকমী। http://www.ecoi.net/local_link/223589/345215_de.html
২১. সৌদি পত্রিকা আল ওয়াতান: ফুটবল খেলতে পারবে, কিন্তু ইহুদি খ্রিস্টানের মত ১১ জন নিয়ে খেলো না, আর গোলপোস্টও রেখো না। (আ ফতওয়া অন ফুটবল, দ্য গার্ডিয়ান, ৩১ অক্টোবর ২০০৫)
২২.ড. ইসরার আহমেদ: আলী রা. মদ খেয়ে মাতাল হয়ে নামাজে ইমামতি করেছিলেন এবং সূরা ক্বাফিরুনে বলেছিলেন যে হে ক্বাফিররা, তোমরা যাদের যাদের ইবাদাত করো আমরাও তাদের তাদের ইবাদাত করি।
২৩.ইউসূফ ক্বাদি: ইমাম হুসাইন রা. রাজা হতে চেয়েছিলেন দেখে আল্লাহ তাকে রাজা হতে দেননি, ইমাম হাসান রা. রাজা হতে চাননি দেখে ইমাম মাহদী রা. কে তার বংশে পাঠানো হবে। তাদের দুজনের আর কোন ভাইবোন নেই। (দেখি, এই তিনটার কেউ রেফারেন্স চায় কিনা)
২৪.'ডক্টর' ইজ্জাত আতিয়া: পুরুষ ও নারীকে একই কর্মক্ষেত্রে কাজ করাটা হালাল করার জন্য তাদের দুধমা ও দুধ সন্তানে পরিণত করতে হবে। এজন্য পাঁচবার বিষয়টা চর্চা করা জরুরি। আশা করি যেভাবে কথাটা মিডিয়ায় এবং তারা বলেছে, সেভাবে বলতে হবে না। (মে মাসের ফতোয়া নিউইয়র্ক টাইমসের জুন ১১ তে এসেছে, ২০০৭।)
২৫.উচ্চতর শরিয়া বোর্ডের সদস্য সালেহ আল ফাওজান: ইজরায়েলের উপর অভিশাপ দেয়া যাবে না। তাহলে তা ইয়াকুব আ.'র উপরও পড়বে।
গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আশ শেইখ (আশ শেইখ পরিবার হচ্ছে আবদুল ওয়াহহাব নজদীর সরাসরি পরিবার। চুক্তি অনুযায়ী আবদুল ওয়াহাব নজদীর পরিবার চিরকাল সৌদি দেশের ধর্ম নিয়ন্ত্রণ করবে আর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ জমিদার সৌদ পরিবার চিরকাল রাজনীতি পরিচালনা করবে): ইসরাইল-বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম। তিনি আরো বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল করা অর্থহীন সস্তা আবেগপ্রসূত তৎপরতা মাত্র!
২৬. গোয়েন্দা প্রধান ও প্রিন্স তুর্কি: হামাস অতীতের মতই ভুল করে যাচ্ছে এবং গোঁয়ার্তুমি করে ইসরাইলে অকার্যকর বা প্রভাবহীন রকেট নিক্ষেপ করছে বলেই ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/2010-04-21-08-29-54/item/64568-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%AA-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A6%BF
২৭. সৌদি ধর্মীয় স্কলারদের শুরার সদস্য আল হেমকি: মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ ও ভ্রমণের চেষ্টা হারাম।
২৮. সৌদি মালিকানাধীন মিডিয়া আল আরাবিয়ায় প্রকাশ সৌদি জ্ঞানী আল ফাওজান: বুফে খাওয়া যাবে না। বুফে খেলে আগে খাবারের পরিমাণের দাম নির্ধারণ করতে হবে। যারাই বুফেতে ঢুকে খাবে, তাদেরই... (ওরে আমার আল্লাহ রে! তুমি কি এই ইসলাম দিয়েছিলে? সৌদিরা এক টেবিলে কী খায় আর আমরা গরিবরা টাকা জমিয়ে এক বুফেতে গিয়ে কীই বা খাই? তাও আমাদেরটা হারাম...) শুধু তাই না, এই ফতওয়ায় খুশি হয়ে টুইটার হ্যাশট্যাগের বন্যা বয়ে গেছিল।
২৯. সালাফি প্রিচিং মুভমেন্টের আল সাহাত বলেন: মাত্র তিনটা খেলা ইসলামে হালাল। বর্ষা নিক্ষেপ, সাঁতার, ঘোড়দৌড়! আর সব হারাম।
৩০. বর্তমান সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: মেয়েদের ১০-১২ বছরের মধ্যে বিয়ে দেয়া উচিত। আমাদের মা-দাদীরা এই বয়সেই বিয়ে করেছে। বিয়ের দায়িত্ব তারা এই বয়সেই পালন করতে উপযুক্ত হয়। (এপ্রিল ২০১২)
৩১. সালাফি জিহাদিস্ট গ্রুপের মারজান আল গোহরি: পিরামিডগুলো ধ্বংস করে দিতে হবে।
৩২. বর্তমান সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি: আরব উপদ্বীপের সমস্ত গির্জা ধ্বংস করতে হবে। (১৫ মার্চ ২০১২)
৩৩. সোমালিয়ান সালাফিস্ট জিহাদি ফতওয়া: সাম্বোসাক (তিনকোণা সমুসা) খাওয়া যাবে না। কারণ এটা ত্রিত্ববাদের প্রতীক ত্রিকোণ ধারণ করছে।
৩৪. সালাফিস্ট সন্ত্রাসী বোকো হারাম: পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার অপরাধে (আমাদের দেশে যেমন স্কুল কলেজ, তেমনি কলেজে পড়ার অপরাধে) তিনশো মেয়েকে অপহরণ করা হয়।
৩৫. তারেক মনোয়ার নামক জামায়াত সমর্থক আহলে হাদিস সম্প্রদায়ভুক্ত লোক ওয়াজে বলেছেন : “ আল্লাহ আর মুহাম্মদ নাম এক সাথে লেখা ও পড়া গুনাহ । আর ” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ , মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ” বলা যাবে না “ নেটে একটা ভিডিও আমি পেলাম তাতে তিনি এসব বলেছেন দেখলাম । ভিডিওটা হলো : http://www.youtube.com/watch?v=dpMixIaVHRU
আমি বিনীতভাবে বলছি :
” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ , মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ” বাক্য দুইটার গুরুত্ব :
” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ , মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ” বাক্য দুইটাকে আমরা বেশ কিছু কারণে নিয়মিত পড়বো, আবৃত্তি করবো, স্মরণ করবো বা জিকির করবো এবং হৃদয়ে স্হান দিবো । কারণ :
১.” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ” অর্থাৎ ” আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই ” কথাটি আছে কুরআনের ৩৭ নং সুরা সাফ্ফাতের ৩৫ নং এবং ৪৭ নং সুরা মুহাম্মাদের ১৯ নং আয়াতে ।
” মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ” অর্থাৎ ”মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বার্তা বাহক” কথাটি আছে কুরআনের ৪৮ নং সুরা ফাতাহ্ - এর ২৯ নং আয়াতে ।
কুরআন হচ্ছে আল্লাহর প্রত্যাদেশ যা মুহাম্মাদ (সা.) - এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে । মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর কথাগুলো আমাদের কাছে পৌছে দিয়েছেন । মুহাম্মাদ (সা.) সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেছেন :
”রাসুল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর, যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর । নিশ্চয আল্লাহ্ কঠোর শাস্তিদাতা । ” ( সুরা হাসর : ৭ )
২. ” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ , মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ” প্রকাশ্যে ঘোষনা না দিলে, এই দুই বাক্য মনের মধ্যে স্হান না দিলে এবং এই দুই বাক্য অনুযায়ী কাজ না করলে মুসলিম হওয়া যায় না ।
৩. কোন অমুসলিম মুসলিম হতে হলে তাকে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিতে হয় : ” লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ , মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ ” অর্থাৎ ” আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই , মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর বার্তা বাহক ।”
৪. এই দুই বাক্য বাস্তব জীবনে চর্চা করলে এবং উচ্চারণ করে পৃথিবী ছেড়ে গেলে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার আশা করা যায় ও জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয় ।
৫. এই দুইটা বাক্য উচ্চারণ করলে মনের মধ্যে অসীম সাহস সৃষ্টি হয় ।
৬. এই দুই বাক্য মুসলিমদের শেষ আশ্রয় ।
৭. এই দুই বাক্য মুসলিম জাতির ঐক্য ও সংহতির প্রতীক ।
এই বিষয়ে আমার একটা লেখা আছে । আপনারা দেখতে পারেন : http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/53927
( চলবে )
আরো জানার জন্য আমার এসব লেখা পড়তে পারেন -
১. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50510
ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম
২. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )
৩. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/49624
সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করা মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব
৪. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/42639
মুসলিম অস্তিত্ববিরোধী ও ইসলামবিনাশী ইসরাইল ও ভারতের স্বাধীনতা লাভে সৌদি আরবের প্রধান ভুমিকা এবং মিশরের ইসলামী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে সৌদি আরব ও ওহাবী ধর্মব্যবসায়ীদের কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
৫. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32530
রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বিশ্বাস হলো ওহাবীবাদ ও সেক্সীজম (১ম পর্ব)
৬. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27711
ইসলাম ও মানবতার দুষমণ এবং ইসলামবিনাসী শক্তির তাবেদার সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস
৭. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/13231
রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য (৯৯% কপি পেস্ট)
৮. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1209#.U96ox6N3zSk
সৌদি আরবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের উপর চলছে অত্যাচার ( নিউজপোস্ট )
বিষয়: বিবিধ
৬৮৮৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আল্লাহর অশেষ কৃপা ও মদদে জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও এসব অশুভ শক্তির বিরোদ্ধে জিহাদ চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন