জামায়াত-শিবিরের লোকদের বৈশিষ্ট্য এবং আমাদের সমাজে তাদের অবস্হান ( ১ম পর্ব )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৯ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:২৮:৫৭ সকাল
জামায়াতে ইসলামী সমর্থক ব্লগার মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ জুলাই, ২০১৫, ০১:৩৭:৩৭ রাত -এ আমাকে উদ্দেশ্য করে এই সাইটে একটা পোষ্ট দেন : “ ব্লগে একজন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম নামে নাস্তিক আগমন করেছে। আসলে সে কোন ফখরুল ইসলাম নয় “ ।
আমি তার জবাবে এই লেখাটা লিখতে বাধ্য হলাম । আমি লক্ষ্য করছি , এই সাইটের অনেক ব্লগারের পোস্টে আমি ব্লক । যার কারণে তাদের কোন লেখায় মন্তব্য করতে পারছি না । উপরন্তু তারা এই ব্লগ সাইট ও ফেসবুকে আমাকে গালি গালাজ করার পাশাপাশি হত্যার হুমকিও পর্যন্ত দিয়ে যাচ্ছে ।
আমাকে এই কথিত ব্লগার নাস্তিক এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পেইড দালাল বলে অভিহিত করে যাচ্ছেই না । তার কিছু বন্ধুও তার লেখাগুলোতে আমাকে উদ্দেশ্য করে অসম্মানজনক মন্তব্য করে যাচ্ছে ।
তার এই লেখায় আমি যুক্তি ও তথ্য প্রমাণ দিয়ে উপস্হাপন করি , জামায়াত টাকা-পদ-পদবী দিয়ে জ্ঞানী-গুণি-বুদ্ধিজীবীদের দলভুক্ত করে । তিনি আমার মন্তব্যটা মুছে ফেলেন ।
তারপর তিনি এক পাঠকের জবাব লিখেন :
”ওটা রাত্রে আমার ব্লগে উদাহরন নিয়ে হাজির হয়ে বলতেছে আমার কমেন্ট যদি ডিলেট করেন তবে আপনার জন্মের ঠিক নাই।
শয়তানের আত্তা ওর ভিতর ঢুকে গেছে । ওরসাথে কোন কথা বলে সময় নষ্ট করার চেয়ে ওকে সরিয়ে দিলেই ঝঙ্ঝাট শেষ । “
দেখুন : তার মন্তব্য : “ ওকে সরিয়ে দিলেই ঝঙ্ঝাট শেষ । “
জামায়াতীরা সন্ত্রাসী । তাদের মন্তব্যের ধরনেই প্রমাণ হয় । জামায়াত-শিবিরের লোকরা যুক্তি-তথ্য-প্রমাণকে বিন্দু মাত্র গুরুত্ব দেয় না । এটাই তার বড় প্রমাণ ।
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/9759/abdulmatin/67029
মূলত আমার “জামায়াতীরা দল ভারী করার জন্য জ্ঞানী ও গুনীদের টাকা পয়সা ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলে অন্তুর্ভুক্ত করে http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67025 ” এই লেখাটার কারণে মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি তার এই হুমকিমূলক লেখা ও মন্তব্য ।
লেখার জবাব লেখা দিয়ে না পেরে হুমকি ধমকি ও হত্যার হুমকি যারা দেয় তাদের ব্লগে বলা হয় ছাগু । জামায়াত-শিবির মানেই ছাগু । কারণ তারা কোন যুক্তি-তথ্য-প্রমাণের ধার ধারে না ।
তোমরা যারা শিবির করো তাদের বলছি মনযোগ দিয়ে একটু লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়ো :
অনেকে আমাকে বলে ছাত্র শিবির ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রদলের চাইতে ভালো। উদাহরন হিসেবে ছাত্রলীগের ইদানিংকালের ইতিহাসগুলা শুনাই। আমি তাদের প্রশ্ন করি ভাই আপনি কি কখনো ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন,আপনি কি আশির দশকের পর থেকে ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস জানেন। বেশীর ভাগ থাকে নিরুত্তর কিংবা না। হয়তো ভুলে গেছেন।
বাংলাদেশে যেকোনো সরকারী কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,ভোকেশনাল কিংবা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের হলে থাকা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সহজেই বুঝতে পারে যারা ছাত্রলীগ বা দলের মাঠকর্মী তারা ক্ষমতা পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের ব্যানারটাও পরিবর্তন করে নেন। আর সন্ত্রাসীদের আসলেই কোনো দল নেই,তারা যেই সরকারই ক্ষমতায় আসে সেই দলেই তারা যোগ দেন।
স্বৈরাচারী এরশাদের সময় শিক্ষাঙ্গন :
বাংলাদেশে সন্ত্রাসময় ছাত্র রাজনীতির স্রষ্টা এরশাদ এবং তার জাতীয় পার্টি । তার শাসনামলেই বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি কলুষিত হয়ে পড়ে। গোলাম ফারুক অভির কথা মনে পড়ে আপনাদের ! বোর্ড স্ট্যান্ড করা মেধাবী এই তরুনের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় কলুষিত ছাত্ররাজনীতি কিভাবে থাকে ধ্বংস করেছিলো।
গোলাম ফারুক অভি (সাবেক এমপি ও জাতীয় পাটির ছাত্র সংগঠণের নেতা)
ছাত্রলীগ তখন ৭৫ পরবর্তী ধকল কাটিঁয়ে উঠছিলো।সেই সময়ে রাজনীতিতে আবার নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করা জামায়াত তার সংগঠন ছাত্রশিবির সরকারী কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়,ভোকেশনাল,পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গুলোতে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার লক্ষ্যে অস্ত্রের রাজনীতির সূচনা করে। আর তাদের দেখানো পথেই ছাত্রদল এবং ছাত্রলীগ অনুসরন করে। আজকের ছাত্রদল এখনখার মতো এতো হ্যাবলা ছিলোনা। ছাত্রদলের সাথে শিবিরের প্রায়ই লাগতো।
শিবিরের কথিত শহিদী কাফেলা :
আপনি একটু কষ্ট করে শিবিরের সঘোষিত শহিদী কাফেলার তালিকা দেখুন। মারা যাওয়া শিবির সদস্যদের সর্বাধিক আক্রমনকারী ছিলো ছাত্রদল। আজকে অনেক জায়গায় ছাত্রদল শিবিরের বিটিম হয়ে গেছে। যাদের মধ্যে চট্রগ্রাম অন্যতম।
https://www.youtube.com/watch?v=dkGBD72j2f8
শিবিরের শহিদী গান গাচ্ছেন ওহাবী ধর্ম ব্যবসায়ী এক পাল সুন্দরী কিশোরীকে সাথে নিয়ে ( নাউজুবিল্লাহ )
আদর্শিক রাজনীতির অভাবেই শিবিরের কাছে পরাজিত হয়েছে ছাত্রদল। অপর দিকে ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন। ৭১ এ স্বাধীনতা সংগ্রামে এই ছাত্র সংগঠনটি অসামান্য ভূমিকা পালন করে। এই ছাত্র সংগঠনটির রয়েছে থানা ,জেলা বিত্তিক শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং জনপ্রিয়তা। ৯০ এর দশকে শিবির হাজার চেষ্টা করেও এই দলটির সমকক্ষতা অর্জন করতে পারেনি। তারা বুঝতে পারে কখনো তা পারবেও না । কারন বাংলাদেশে এখনো অনেক এলাকা আছে যেখানে শিবির বললে গনধোলাই দেবে। এমনকি মুসলীমদের মাঝেও তদের প্রচারিত মওদুদিবাদ এবং ওহাবীবাদ নিয়ে আছে নানা অসঙ্গতি।
ইসলামী ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসের ধরণ এবং ছাত্র লীগ :
ইসলামী ছাত্র শিবির - এই ছাত্র সংগঠনটিকে অনেকেই খুব ভালো করেই জানে না । এই সংগঠণ প্রতিকুল অবস্হায়ও সুপরিকল্পিত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
কোচিং সেন্টার দিয়ে,গরীব ছাত্রদের বৃত্তি দিয়ে , হলগুলোর আসন সংকট হওয়ায় নিজেদের মেস খুলে। সহজ সরল ছাত্রদের ব্রেইন ওয়াশ করে । হাজারো উপায়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকান্ড।
তার নাম কি অনেকেই হয়ত ভুলে গেছেন ? প্রথম জীবনে শিবিরের সদস্য তার পর জেএমবি নেতা । তার পরের ইতিহাস হয়ত সবার জানা আছে !!!!
২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে এই ছাত্র সংগঠনটির সামনে খুলে যায় সুবর্ণ সুযোগ। নিজেদের সংগঠন গুছিয়ে এবার তারা হানা দেয় প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠনদের। ছাত্রদলকে খুব সহজেই তাদের বিটিম বানিয়ে নেয়। বাকী থাকলো ছাত্রলীগ আর ছাত্র ইউনিয়ন। ছাত্র ইউনিয়নকে তারা পাত্তাই দেয়না বাকী থাকলো ছাত্রলীগ। শিবির ভালো করেই জানে দলের মতো লীগকে এতো সহজে বিটিম বানানোর উপায় নেই তাই তাদের পরিকল্পনা ছাত্রলীগের জনপ্রিয়তায় আঘাত করা।জনমানুষের মনে এই ছাত্র সংগঠনটিকে বিষিয়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে ৯০ এর দশক থেকে তারা কাজ করে যাচ্ছে। আজ এতিহ্যবাহী ছাত্রলীগ নামক সংগঠনটির নৈতিক পরাজয় হয়েছে।
আজ যখন কেউ আমাকে বলে ছাত্রশিবির ভালো টেন্ডারবাজি করেনা,চাদাঁবাজি করেনা, আমি হাসি , আমার হাসি পায়।
আমার চাইতে শিবিরকে কে ভালো করে চেনে। আমি নিজেইতো ভুক্তভোগী। দাড়ি রাখা,নামাজ পড়া লোকগুলার ভেতরের কুৎসিত রুপতো আমি নিজের চোখেই তো দেখেছি। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির বড় নেতাদের দেখেছি বুলেট সরবরাহ করতে । USTC তে দেখেছি খুকুমনীর সন্ত্রাস,গিয়াস হাজারিকার হাজারিকা বাহিনীর সন্ত্রাস। দেখেছি চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট দখল করার জন্য শিবির ক্যাডাররা ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি মোহাম্মদ জমির ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদউদ্দিন আহমদকে গুলি করার পর পায়ের রগ কেটে হত্যা করতে। বহদ্দারহাটে মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা ৬ ছাত্রলীগ নেতা ও তাদেরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের ড্রাইভার এবং রাস্তায় থাকা রিকশা চালককে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার ।
আমি ইতিহাস ভূলিনি । তাই আমার কাছে কোনো তফাৎ নেই লীগ-দল-শিবিরের মাঝে। বরং শিবিরকে ঘৃণা করি কারন তারা এগুলো করে ইসলামের নাম দিয়ে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অধিভুক্ত ন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম ফর স্টাডি অব টেরোরিজম অ্যান্ড রেসপন্স টু টেরোরিজমের তৈরি ফাইলে ছাত্র শিবিরের ব্যাপারে বলা হয়, ভয়ংকর জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি তৎপরতা চালানো ছাড়াও শিবির আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জঙ্গি সংগঠনগুলোর সাথে নিজেদের একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে।
৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের (২০০১ সাল) পর দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি।
গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যাকাণ্ড
২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর, শুক্রবার। সকাল সোয়া ৭টার দিকে চার অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারী যুবক ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যস্ততম জামাল খান রোডের বাসায় হাটহাজারী নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা সকলেই জামায়াত শিবিরের ক্যাডার। জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর জামাল খান, মোমিন রোড এলাকায় অঘোষিত হরতাল পালিত হয়। রাস্তাজুড়ে ছিল প্রতিবাদ মিছিল। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারন মানুষ। কালো পতাকা উঁচিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে মিছিল বের হয়। বিক্ষুব্ধ জনতার সকল মিছিল এসে জামাল খান রোডে জড়ো হয়। হত্যাকান্ডের পর থেকে জামাল খান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রতিবাদ আর মিছিলের জনপদে পরিণত হয়।
জামায়াত শিবিরের অবৈধ অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত নাজিরহাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে তাঁর স্ত্রী রেলওয়ে অডিক কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালি থানার মামলা নং-৪২ তাং ১৬-১২-২০০১ ধারা ৩০২/১২০(খ)। মোট ১১ আসামির বিরুম্দ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচার শেষে গিট্টু নাসির, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইজা আলমগীরের ফাঁসির আদেশ হয়। পরবর্তীতে গিট্টু নাসির ক্রস ফায়ারে মৃত্যুবরন বরণ করে। আসামি মহিউদ্দিন ওরফে মাইন উদ্দীন, হাবিব খান, শাজাহান এবং সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুলসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। এরা সবাই জামায়াত শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডার।
নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী ছিলেন একজন আওয়ামী লীগ ভক্ত। এছাড়া তিনি সকল ধরনের অন্যায়, অনিয়ম ও অবৈধ চাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে কলেজ পরিচালনা করতেন। তার কারনে কলেজটিতে জামায়াত-শিবিরের অপরাজনীতি চলতে পারতোনা। এ কারণে জামায়াত-শিবিরের স্বার্থান্বেষী ক্যাডাররা তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার বন্ধের দিনকে সন্ত্রাসীরা বেছে নিয়েছিলো।
বহদ্দারহাট হত্যাকান্ড :
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের ‘বহদ্দারহাট ট্রাজেডি’।
শিবির দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড ঘটায় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে। ২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শিবির চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট মোড়ে ৬ ছাত্রলীগ নেতা ও তাদেরকে বহনকারী মাইক্রোবাসের ড্রাইভার এবং রাস্তায় থাকা রিকশা চালককে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশফায়ার করে। এই হত্যাকাণ্ড দেখে দেশের মানুষ আবার তাদের বর্বরোচিত নারকীয়তার সাথে নতুন করে পরিচিত হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শিবিরের অবস্থান যখন হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিল, তখনই তারা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় একেবারে পরিকল্পিতভাবে শিবির ক্যাডাররা গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীকে।
বহদ্দারহাট হত্যাকান্ডের রায় সম্পর্কিত লিংক :
১। http://bdnews24.com/politics/2008/03/27/4-shibir-activists-sentenced-to-death-in-chittagong
২। http://bangladesh-web.com/new/index.php?option=com_content&view=article&id=2590:eight-murder-case-shibir-cadre-sazzad-held-in-india&catid=71:local-a-district-news&Itemid=400
৩। http://news.priyo.com/2014/04/17/chittagong-8-murder-convicts-acquitted-106321.html
৪। http://newsfrombangladesh.net/view.php?hidRecord=36157
(অন্য কোন লেখায় জামায়াতী সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী তৎপড়তার খতিয়ান আরো বিস্তারিত প্রদর্শন করা হবে । )
আজকের লেখা হতে আমরা জানলাম :
১. জামায়াত-শিবিরের লোকদের বড় অংশ আহলে হাদিস বা হাদিসে বর্ণিত শয়তানের শিং-এর অনুসারী । তারা একমাত্র নিজেদেরই মুসলিম মনে করে । তাদের মত ও দৃষ্টিভঙি্গর সাথে না মিলে্ল তারা লোকদের মুরতাদ-নাস্তিক-কাফের উপাধি দিয়ে হত্যা করে ।
বর্তমান সময়ের ভুয়া খলিফা বাগদাদী তাদের অন্যতম স্বপ্ন পুরুষ ।
২. জামায়াত-শিবিরের লোকরা সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে এবং বাস্তব জীবনে তারা সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে ।
৩. জামায়াত-শিবিরের লোকরা তাদের আদর্শ প্রচারের ক্ষেত্রে মানুষের মন জয় করার চেয়ে মানুষের উপর জোড় জবরদস্তি ও সন্ত্রাস করাকে গুরুত্ব দেয় ।
৪. জামায়াত-শিবিরের আদর্শ মওদুদীবাদ ও ওহাবীবাদ । এই দুই মতবাদ মুসলিমদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ বিস্তার করছে ।
৫. জামায়াত-শিবিরের লোকরা টাকা পয়সা দিয়ে চরম নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের বা ইসলামবিরোধ দলের লোকদের দলভুক্ত করে বা দলের পক্ষে কথা বলার জন্য ভাড়া করে । যেমন : মিনা ফারাহ । বর্তমান সময়ে গোলাম মাওলা রনি ।
বিষয়: বিবিধ
২৮৯৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তিনি কেন খুন হলেন, কেউ জানেনা! হয়ত হত্যাকারী চিহ্নিত হয়েছে কিন্তু কেন খুন হয়েছেন সেই কথাটি জাতি কোনদিন জানবে না কেননা বাংলাদেশের রাজনীতির ট্যাকটাই এমন। বাংলাদেশের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সবাই ঘটনা দিয়ে রাজনীতি করতে চায়, সমাজের উপদ্রব দূর করতে চায়না....
শিবির ক্যাডার আলমগীর ও মোহাম্মদ আজম নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি । তাঁরা কাশিমপুর কারাগারে আটক আছেন।
শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ হোসেন ভারতের কারাগারে আছেন। এপ্রিল ২৭, ২০১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী এই কথাই আমি জানি । আমি নিজে আইন আদালতের সাথে যুক্ত । বিশেষ করে আমি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে আমার আগ্রহ বেশি ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রী সংস্হার নেত্রী ফৌজিয়া রেজার সাথে শিবির নেতা খোমেনী ইহসানের মধ্যকার প্রেম ও নারী নির্যাতন সম্পর্কিত ঘটনা আদালত পর্যন্ত গড়ায় । এই ক্ষেত্রে ফৌজিয়া রেজা খোমেনী ইহসানকে নারী নির্যাতনকারী বা ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারী হিসেবে মামলা করেছেন । আমার স্যার ও ম্যামরা আমাকে এই বিষয় গভীরভাবে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন । আশা করি এব্যাপারেও আমি আপনাদের সুন্দর একটা লেখা উপহার দিতে পারবো । ইনশাআল্লাহ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন