অভিভাবকবৃন্দ ! শিবির বা ছাগু কি জিনিস ভালভাবে জেনে নিন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:৫৪:২৯ রাত
https://www.youtube.com/watch?v=BVpYXQahkk4
https://www.youtube.com/watch?v=kBMPdmvbJN0
আপনার ছেলেকে এই কিছু দিন আগে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পাঠিয়েছেন । আপনি চান আপনার ছেলে ভাল থাকুক, খারাপ সংসর্গে না মিশুক। কিছুদিন পর ছেলেকে দেখতে গেলেন। ছেলে তার বন্ধুর সাথে আপনার পরিচয় করিয়ে দিলো। খুবই অমায়িক ব্যবহার বন্ধুর। আপনি খুশি! কিছুদিন পর দেখতে পেলেন পত্রিকায় শিবিরের মারামারির ছবি। আপনার প্রিয় ছেলে রামদা হাতে কাউকে ধাওয়া করছে। শান্ত সুবোধ ছেলেটি কিভাবে এমন হলো ?
https://www.youtube.com/watch?v=ayH7kP-FY-k
এর উত্তর- ব্রেইন ওয়াশ! শিবির নামের মুখে ইসলামধারী এই ভন্ডদের কাজ হল সাধারণ ছাত্রদের নানা রকম প্রলোভন দেখিয়ে, ইসলামের নাম ভাঙিয়ে দলে ভিড়ানো আর তারপর স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের পদলেহন করা এবং তাদের নিলনকশা অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। খুবই পরিকল্পনা মোতাবেক মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করতে পটু এই শিবিরের কীটগুলো। এদেরকে শনাক্ত করা খুব একটা কঠিন নয়। এদের কিছু বৈশিষ্ট্য দেয়ার চেষ্টা করছি-
ইসলাম কায়েমের কথা বললেও সুন্নাতি পোষাক এরা পরিধান করেনা। ফিটফাট বাবু সেজে থাকে। প্যান্ট শার্ট ইন করে ভাওতা দেয়ার চেষ্টা। তবে পায়ের দিকে খেয়াল করুন। প্যান্টের সাইজ গোড়ালির উপরে থাকে অনেকেরই।
এক মুষ্টি দাড়ি রাখা সুন্নাত। এরা এটাও পালন করেনা। বেশিরভাগই ক্লিন শেভড। মুখে কারো কারো খোচা খোচা দাড়ি পাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=Bw8Ny8cALmg
পরিচয়ের কিছুদিনের ভেতরই এরা আপনার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা চালাবে। বারবার খোজ নিবে। জুনিয়রদেরকে বিকালের নাস্তা নানা উপলক্ষে খাওয়ার দাওয়াত দিবে। এক কথায় খাওয়ার টোপ ফেলবে।
https://www.youtube.com/watch?v=D1gdjx1Bh1Q
এদের গল্পের সময় বারবার ইসলামে দলের প্রয়োজন রয়েছে এবং একমাত্র ইসলামি দল জামাত শিবির এটা প্রমানের চেষ্টা করবে। শিবিররা অন্য ছাত্র সংগঠনের তুলনায় ভালো তা জানানোর চেষ্টা চালাবে। শিবিররা কাউকে মারেনা বরং আত্নরক্ষা করার চেষ্টা করে তা এদের যুক্তি।
https://www.youtube.com/watch?v=xJj4AAbV5Vc
পরের স্টেপে আপনার হাতে কিছু চটি বই অথবা ম্যাগাজিন ধরিয়ে দিবে। যেমন কিশোর কন্ঠ অথবা ইয়ুথ ওয়েভ ছাত্র সংবাদ, মওদূদি , নিজামি গোলাম আজম অথবা নসিম হিজাজি নামক কিছু রাইটারের বই। এই বইগুলার প্রতিপাদ্য বিষয় ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি জরুরি এবং একমাত্র ইসলামি দল জামাত আর শিবির।
https://www.youtube.com/watch?v=5MT-k9NJBVw
কিছুদিন পর আপনার হাতে একটি রিপোর্ট বই ধরাবে, নামাজ কোরান পড়ার হিসাব রাখার জন্যে।
পরের স্টেপে আপনাকে তাদের কর্মী হওয়ার জন্য তাগিদ দিবে।
https://www.youtube.com/watch?v=qRIzsWxQaT8
এর মাঝে তার আপনাকে তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে যুক্ত করবে। বনভোজন,নানা রকম মিটিং, নান রকম ক্লাবের কর্মকান্ড। উল্লেখ্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা রকম ক্লাব শিবির দখল করে রাখে। অন্য নাম হওয়ার এর কর্মকান্ড কী বুঝতে পারেনা সাধারন ছাত্ররা। পরিণাম ব্রেইন ওয়াশ।
ইয়ানত শব্দের দিকে খেয়াল রাখুন। শিবিরের চাঁদাবাজির পদ্ধতি এই ইয়ানত। আপনাকে তারা বলবে আল্লাহর রাস্তায় এই টাকা যাবে। ফলে না করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়না। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচারদের শিবিরকে ইয়ানত দেয়ার কথা পত্রিকায় নিশ্চয় দেখেছেন। আল্লাহর রাস্তায় খরচের কথা বললেও এ টাকা ব্যয় হয় তাদের নিজেদের খরচ মেটাতে। শিবির কাউকে স্বাবলম্বি করে তুলেছে এই খবর দেখেছেন? দেখেননি।
এদের পাঠাভ্যাসের দিকে লক্ষ্য করুন। এরা তিনটি পত্রিকা মূলত পড়ে। সংগ্রাম নয়া দিগন্ত আর আমার দেশ। এরা কিছু নির্দিষ্ট রাইটারের বই ছাড়া অন্য কোন ইসলামিক বই পড়েনা। যেমন তাফসির পড়ে মওদুদির, এছাড়া আবদুর রহিম সহ বেশ কিছু তাদের নিজিস্ব রাইটার ছাড়া আর কারো বই পড়েনা।
সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড দিয়েও কিছুটা চেনা যায় এদের সাইমুম বা এ গোত্রীয় কিছু সংগঠন এরা চালায়। নানা রকম প্রোগ্রামের আয়োজন করে। জিপিএ৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেয়।
কর্মী সংগ্রহের আরেক পন্থা হচ্ছে নানা রকম কোচিং সেন্টার। ভর্তি কোচিং এদের অন্যতম প্রধান আয় এবং কর্মী সংগ্রহের উৎস। রেটিনা, ফোকাস, কনসেপ্ট, কংক্রিট সহ আরও নানা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি কোচিং এরা চালায়।
ফেসবুকেও এরা সক্রিয়। তবে এখানে এদের শনাক্ত করা কঠিন নয়। এদের শেয়ার করা লিংক দেখুন। নয়া দিগন্ত , আমার দেশ পত্রিকার লিংক দেখতে পাবেন।
এদেরকে দেখবেন নানা রকম ছবিতে অন্যদের ট্যাগ করে বেড়াতে। এই ছবিতে নানা রকম লেখা থাকবে। এর মূল বক্তব্য বর্তমানে যুদ্ধাপরাধের থেকেও কঠিন অপরাধ হচ্ছে, এর বিচার নাই কেন? শিবির জুলুমের শিকার। জামাত জুলুমের শিকার ইত্যাদি।
এরা নানা রকম ফেসবুক পেজের সাবস্ক্রাইবার। এগুলো থেকে কৌশলে জামাতশিবিরের গুনগান করা হয়। যেমন এই ছেড়ি বুকে কাপড় দে,অই ছেড়ি এমনে তাকাস কেন? ইত্যাদি।
এদের কমেন্টস বা স্টাটাসই এদের পরিচয়। ব্লগেও এদের পরিচয় প্রকাশ পায় নানা পোস্ট আর কমেন্টস এ। এদেরকে শনাক্ত করা খুব একটা কঠিন নয়। প্রয়োজন সচেতনতা।
যে সাপ বালির নিচে মাথা লুকিয়ে ছোবলের অপেক্ষা করে তার মত ভংকর আর কিছু নেই। মুখে ইসলাম আর কাজ কর্মে ভন্ড এই শিবির দেশে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত। এদের থেকে সবাইকে সচেতন হবার প্রয়োজন। সামাজিক ভাবে ঘৃণ্য এই শিবিরের মুখোশ খুলে দিন। দেশকে এদের ছোবল থেকে রক্ষা করুন।
অভিভাবকবৃন্দ চিত্রের মাধ্যমে জানুন শিবিরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
শিবির কর্মীদের মতে শিবিরের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:-
আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসুল (সাঃ) প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানুষের সার্বিক জীবনের পুনর্বিন্যাস সাধন করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন|
বাস্তবে শিবিরের লক্ষ্য - উদ্দেশ্য পড়াশোনা বাদ দিয়ে খুনাখুনি ও মারামারি করা ।
শিবির কর্মীদের মতেকর্মসূচি:-
দাওয়াত:
তরুন ছাত্র সমাজের কাছে ইসলামের আহবান পৌছিয়ে তাদের মাঝে ইসলামী জ্ঞানার্জন এবং বাস্তব জীবনে ইসলামের পূর্ণ অনুশীলনের দ্বায়িত্বানুভুতি জাগ্রত করা|
বাস্তবে : শিবির তরুণ সমাজকে ইসলামের আহবান প্রচার করার নামে সন্ত্রাসী বানায় , জঙ্গী বানায় । বাস্তবে কোন লোক শোনে নাই শিবির করে কেহ বড় বিজ্ঞানী হয়েছে, নামকরা অর্থনীতিবিদ হয়েছে । শিবির করে নামকরা সন্ত্রাসী হওয়ার উদাহরণ ও পড়াশোনা গোল্লায় যাওয়ার ঘটনা লক্ষ লক্ষ ।
সংগঠন:
যে সব ছাত্র ইসলামী জীবনবিধান প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নিতে প্রস্তুত, তাদেরকে সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ করা|
বাস্তবে ইসলামী জীবন বিধান বা ইসলামী খেলাফত বা ইসলামী শাসন কায়েমের নামে শিবির গোলাম আজম - নিজামী - সাইদীর নির্দেশে বাংলাদেশ সন্ত্রাস করে ।
প্রশিক্ষন:
এই সংগঠনের অধীনে সংঘবদ্ধ ছাত্রদেরকে ইসলামী জ্ঞান প্রদান এবং আদর্শ চরিত্রবানরূপে গড়ে তুলে জাহিয়াতের সমস্ত চ্যালেজ্ঞের মোকাবিলায় ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করার যোগ্যতা সম্পন্ন কর্মী হিসেবে গড়ার কার্যকরি ব্যবস্থা করা|
বাস্তবে : বাস্তবে শিবির ছেলেদের ইসলামী জ্ঞানের নামে মওদুদী মতবাদ ও সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ নির্ভর বই পড়ায় এবং তাদের তালেবানদের মতো ও ইরাকের আইসিসের মতো সন্ত্রাসী হওয়ার জন্য যাবতীয় প্রশিক্ষণ প্রধান করা হয় ।
ইসলামী শিক্ষা আন্দোলন ও ছাত্র সমস্যা-
আদর্শ নাগরিক তৈরীর উদ্দেশ্য ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধনের দাবীতে সংগ্রাম এবং ছাত্র সমাজের প্রকৃত সমস্যা সমাধানের সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান|
বাস্তবে : ছাত্র শিবির ইসলামী মূল্যবোধ তো দুরের কথা ছেলেদের সন্ত্রাসী ও পড়াশোনায় ফাকিবাজ হিসেবে গড়ে তোলে ।
ইসলামী সমাজ বিনির্মান:
অর্থনৈতিক শোষন, রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং সাংস্কৃতিক গোলামী থেকে মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামী সমাজ বিনির্মানে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালানো|
বাস্তবে : শিবির যাতে বাংলাদেশটা আবার পাকিস্তানের অংশ হয় এবং কল্পিত খিলাফত বা ইসলামী রাষ্ট্র হয় এবং যার প্রধান হবে জামায়াতের মানবতাবিরোধী ও মওদুদী মতবাদ প্রচারকারী নেতারা তার জন্য সর্বক্ষণ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-স্কুলগুলোতে এবং আবাসিক এলাকাগুলোতে দুর্বেধ্য দুর্গ গড়ে তোলেছে । তার কিছু প্রমাণ আমার এই লেখার ভিডিওগুলোতে আপনারা দেখেছেন ।
আরো জানার জন্য পড়ুন :
ইসলামী ছাত্র শিবির হলো মিথ্যা ও সন্ত্রাসের প্রতিচ্ছবি (১ম পর্ব)
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66240#.VhFMT25Pis4
বাংলাদেশের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন ঘৃণা করতে হবে (২য় পর্ব)
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67136#.VhFL7m5Pis4
বাংলাদেশের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে কেন ঘৃণা করতে হবে (১ম পর্ব)
জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা , গুরুত্ব ও তাৎপর্য (১ম পর্ব : পুন:প্রকাশ)
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65163#.VhFMr25Pis4
জামায়াত-শিবির যেভাবে বাংলাদেশে ধর্ম , সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্হার উপর আঘাত হানে (১ম পর্ব)
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65361#.VhFMnm5Pis4
আইসিস সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফি-জামায়াত-শিবিরের অশুভ কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65446#.VhFMiG5Pis4
জামায়াত - শিবিরের শক্তির উৎস ? পর্ব – ১
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67083#.VhFMFW5Pis4
জামায়াত-শিবিরের লোকরা সাধারণ মানুষ হত্যা করে ইরাক ও সিরিয়ার মতো বাংলাদেশটাকে আইএস বানাতে চায়, তবে তারা সফল হবে না
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66938
যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের জন্য জামায়াতের সৌদি বাদশাহর পা ধরা আর খালেদা জিয়ার সুপারিশ
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66771
মওদুদীর বই নিষিদ্ধ করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66503#.VhFMSm5Pis4
জামায়াতে ইসলামী (২য় পর্ব)
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65739#.VhFMhG5Pis4
জামায়াতে ইসলামী (১ম পর্ব)
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65524#.VhFMdm5Pis4
গোলাম আজম
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65475#.VhFMeG5Pis4
জামায়াতীরা দল ভারী করার জন্য জ্ঞানী ও গুনীদের টাকা পয়সা ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলে অন্তুর্ভুক্ত করে
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67025
মিনা ফারাহ ও জামায়াত-শিবিরের সাথে চরম ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের বন্ধুত্ব প্রসঙ্গ
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67498
জামায়াত-শিবিরের ব্লগীয় ভাই - বোনদের প্রতি খোলা চিঠি
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67541#.VhFOn25Pis4
বিষয়: বিবিধ
২৪৯৯ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি সব সময় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্হাপন করি ।
আজ হতে আমি ছাত্র শিবির কতটা ভয়ানক ও নির্দয় তা উপস্হাপন করতে থাকবো ।
আল্লাহর আজাব ও গজব ছাত্র শিবিরের উপর বর্ষিত হোক । ছাত্র শিবির দেশ-জাতি-ধর্মের শত্রু । আমাদের জন্য এক কাল সাপ ।
জামায়াত-শিবির ধর্মের নামে অধর্ম ও সন্ত্রাস করে যাচ্ছে আর জামায়াত-শিবিরের নেতারা কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের আবেগ ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছিয়ে নিচ্ছে । নিজামীর পেশা ছিল জামায়াত করা ও তার স্ত্রীর চাকুরী ছিল জামায়াতী স্কুলে শিক্ষকতা । কিন্তু তাদের আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন মিল ছিল না । নিজামী সংসদ নির্বাচনের তার হলফনামায় মাসিক আয় দেখিয়েছিলো মাত্র দেড় হাজার টাকা । অথচ তার তিন ছেলে-মেয়েই তখন বিদেশে পড়াশোনা করতো । তার স্ত্রীর আয়ও টেনে টুনে ৩০ হাজার ছিলো না ।
আমি দেশ-জাতি-ধর্ম-সমাজ নিয়ে কাজ করছি । সবাইকে সচেতন করছি । আমার কাজ গ্রহণযোগ্য হবে জনগণের কাছে । কারণ আমি নিস্বার্থভাবে কাজ করছি ।
জামায়াত-শিবির বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ ছাড়া কিছু নয় ।
সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে ছাত্রলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ, হল ত্যাগের নির্দেশ
শরীয়তপুরের জাজিরায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু‘গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমার দেশ, তারিখ ৫/১০/১৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গুলি করে শিশুকে আহত করার ঘটনায় গতকাল রোববার পর্যন্ত মামলার আসামি (আওয়ামী )সাংসদ মন্জুরুল ইসলাম ওরফে লিটনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। (প্রথম আলো) তারিখ ৫/১০/১৫
এবং আরও অনেক
কিন্ত অনেক খুজেও আপনার কল্পীত দানব ছাত্র শিবিরের অনৈতিক ও আপরাধী কোন সংবাদ পেলাম না।
এ ব্যাপারে আপনার জ্ঞানগর্ভ ব্যাখার অপেক্ষায় থাকলাম।
এখন দেখে থাকি ছাত্র লীগের দুই গ্রুপের মারামারি ও খুনোখুনি ।
আমার অভিমত, বাংলাদেশের রাজনীতিকরা বাংলাদেশকে ভালবাসেন না । এজন্য তারা নিজেদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশ পাঠিয়ে অন্যের ছেলে-মেয়েদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য ব্যবহার করে থাকেন ।
আমি আমার লেখায় ছাত্র শিবির মুখোশের আড়ালে মুসলিম সমাজের জন্য ও অভিভাবকদের জন্য অভিশাপ স্বরুপ - তা তুলে ধরেছি ।
আপনার মন্তব্য হতাশাজনক। বর্তমান বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। প্রতি দিনই নিরপরাধ মানুষ হত্যা, খুন, গুম, জুলুম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। প্রতি দিনের পত্রিকার খবর তার বড় প্রমান। মানুষ এর থেকে বাচার জন্য যখন পথ খুঁজে ফিরছে তখন আপনি যারা এই অসহনীয় অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য লড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন এবং বলছেন সত্য ও ন্যায়ের জন্য লড়ছেন!!!!! এটা যদি সত্য ও ন্যায় পথ হয় তবে সত্য ও ন্যায় পথ সংজ্ঞা নতুন করে লিখতে হবে। অর্থাৎ যখন কেউ বৃস্টি থেকে বাচার জন্য ছাতা ব্যাবহার করছে তখন আপনি ছাতার অপকারিতার কথা বলছেন। আপাদ দৃস্টিতে মনে হচ্ছে আপনি নাস্তিক-মুরদাত জাফর ইকবালদের পাতা ফাঁদে পরেছেন। আপনার এই লেখা ইতিহাস হয়ে থাকবে একটি জুলুমশাহি অবৈধ ইসলাম বিদ্বেষী শক্তির মেয়াদকে বাড়াবার জন্য। একটা কথা মনে রাখবেন, যারা অপরাধ করে এবং যারা তাদের কাজে সহায়তা/ সমর্থন করে তারা একই নায়ের মাঝি এবং বৈধ ও অবৈধতার মাঝে পার্থক্য বিরাট বিশাল।
পরস্পর বিরোধী মতবাদধারী দলগুলর মধ্য ঝগড়া- ফ্যাসাদ স্বাভাবিক ব্যাপার। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়ে খুন হওয়া দোষেরতো নয়ই বরং গৌরবের বিষয়। কিন্তু আজকের পরিস্তিতি সম্পুর্ণ ভিন্ন। শাসক শ্রনী নিজেদের মাঝেই মারামারি কাটা কাটি করছে ( যা ছাত্র শিবিরের মাঝে আমি খুঁজে পাইনি), নিরীহ শিশু গুলী বিদ্ধ হছে, বাবাকে না পেয়ে তার ছোট বাচ্চাকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে যাচ্ছে, এমন কী মায়ের পেটের শিশু যে এখনও পৃথির আলো দেখার সুযোগ পায়নি, সে ও গুলী বিদ্ধ হছে। বিষয়টি ভাবে দেখবেন, স্বাভাবিক ও অ- স্বাভাবিক বিষয়কে এক সাথে গুলিয়ে ফেলে খারাপটার পক্ষে গীত গাওয়া এবং ভালটাকে খারাপ বলা- বাতিলের পক্ষেই কথা বলা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন