বাংলাদেশি মেয়েদের আইএস-এ যোগদান
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০২ অক্টোবর, ২০১৫, ১২:০৪:১৮ রাত
বাংলাদেশি মেয়েরা সাধারণত নিজের চেহারা প্রদর্শণ করে বিখ্যাত হতে চায় । কিন্তু ইদানিং ফেসবুক ও ব্লগ সাইটগুলোতে বাংলাদেশি মেয়েদের সন্ত্রাসী সংগঠণের সাথে যুক্ত হয়ে বিখ্যাত হওয়ার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে । বাংলাদেশি মেয়েদের অনেকেই ইরাক ও সিরিয়ার ভুয়া খলিফা বাগদাদি-র প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশের ছেলেদের বায়াত (বায়াহ বা আনুগত্যের শপথ) দেওয়ার কথাও ফেসবুকে শোনা যায় ।
বাংলাদেশি মেয়েদের আইএস-এ যোগদানের কারণ :
এর অনেক কারণ আছে । যেমন :
১। অসীম যৌনতা ও রোমাঞ্চ উপভোগ :
আইএস যৌন জিহাদ প্রবর্তন করেছে । সেই যৌন জিহাদ অতৃপ্ত যৌনতা বা যৌনজড়তাগ্রস্হ অবস্হা দুর করার সুযোগ রয়েছে ।
২। পারিবারিক অশান্তি ।
৩। দু:সাহসিক অভিযানের মাধ্যমে জীবনকে উপভোগ ।
৪। ছকে বাঁধা জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা ।
৫। পড়াশোনার প্রতি অনিহা ।
৬। বাবা-মার অতি আদর ।
৭। ধর্মান্ধ ভাই-স্বামী-ছেলের প্ররোচনা ।
৮। ইসলামের ধর্মান্ধ দৃষ্টিভঙ্গি : কল্পিত খেলাফত রাষ্ট্র কায়েমের আকাংখা অথবা যুদ্ধ করে মুসলিমদের বৃহৎ রাজ্য স্হাপন অথবা অমুসলিমদের বিশাশ করে কল্পিত স্বর্গরাজ্য স্হাপন ।
আইএস-এ যোগদানকৃত কিছু মেয়ের কর্মকান্ড :
আইএস-এ যোগদানকৃত কিছু মেয়ের কর্মকান্ড বা কর্ম তৎপড়তা সম্পর্কে আলোকপাত করছি :
ধানমণ্ডির ধামড়ি মেয়ে মাইরুনার আইএস যোগদানের উদ্দেশ্য যাত্রা, অতঃপর তুরষ্কে যা ঘটল -
মাইরুনা ফারহিন। ১৯ বছর বয়সী বাংলাদেশী ধামড়ি । বিবাহযোগ্য ও সন্তান জন্মদানে সক্ষম মেয়েদের কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় ধামড়ি বলা হয় ।
বাবা ডা. শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইসহাক ও মা তিনা ফারজানার সাথে বাস করে রাজধানীর ধানমন্ডিতে। জানা যায়, মাইরুনার গ্রামের বাড়ি নাকি কুমিল্লা ।
গত ৪ মে বাবা-মাকে না জানিয়ে হঠাৎ করেই তুরস্কের উদ্দেশে টার্কিশ এয়ারলাইনস যোগে ঢাকা ত্যাগ করে এ তরুণী। তুরস্কের পার্শ্ববর্তী দেশ সিরিয়া ও ইরাকে সক্রিয় বিতর্কিত গোষ্ঠী আইএসে যোগ দিতেই তুরস্ক যায় সে।
মেয়ের এমন মনোভাব সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা ছিল বাবা-মায়ের। তাই ওই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তুরস্কের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাহায্য চান তারা।
এরপর বাংলাদেশ দূতাবাস অতি জরুরি ভিত্তিতে একটি কূটনৈতিক নোট ভারবালের মাধ্যমে বিষয়টি তুরস্ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায়। সাথে ওই তরুণীর পাসপোর্টের কপি ও একটি ছবি যুক্ত করে দেয়া হয়।
তুরস্কের ন্যাশনাল পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট মাইরুনা ফারহিনকে দ্রুত শনাক্ত করে তাকে তুরস্কে প্রবেশের অনুমতি দানে বিরত থাকে। কামাল আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকেই ৫ মে’র ফিরতি ফ্লাইটে তাকে ফেরত পাঠানো হয় ঢাকায়। খবর মানবজমিনের।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনজুরুল করিম খান চৌধুরী এ বিষয়ে জানান, ওই তরুণী হয়তো কোন চরমপন্থি গ্রুপে যোগ দিতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। এ কারণে তাকে পরবর্তী ফ্লাইটে ফেরত পাঠিয়েছেন তারা। পরিবারকে না জানিয়ে তুরস্কে আসার কারণেই তার বিষয়ে চিঠি দেয়া হয়।
বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে তুরস্ক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কনস্যুলার শাখার মহাপরিচালক, সাউথ এশিয়া বিভাগের উপ-মহাপরিচালক ও আতাতুর্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বরাবর চিঠিটি পাঠানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘এটা খুবই আতঙ্কের বিষয় যে, ওই তরুণী তুরস্কের প্রতিবেশী কোন দেশের চরমপন্থি সংগঠনের সঙ্গে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছে।’ এতে বলা হয়, বাংলাদেশী টিএনএজার তরুণী মাইরুনা ফারহিন (বাংলাদেশী পাসপোর্ট নং- এএফ ৮৮০০০৩৬০) ৪ঠা মে, সোমবার টার্কিশ এয়ারলাইন্সযোগে ঢাকা থেকে তুরস্কের পথে রওনা দিয়েছে। সে তার পরিবারকে কিছু না জানিয়েই তুরস্কের উদ্দেশে রওনা দেয়। তার পাসপোর্টের কপি ও একটি রঙিন ছবি এর সঙ্গে যোগ করে দেয়া হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট থেকে ওই তরুণীকে আটকের পর পরবর্তী ফ্লাইটে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভাল হয়। এ বিষয়ে ইস্তাম্বুলে কনসাল জেনারেলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার নাম ও ফোন নম্বর উল্লেখ করে দেয়া হয়।
ওই তরুণীর পাসপোর্টের কপি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তার জন্ম ১৯৯৬ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি। ২০১৩ সালের ২৯শে জুলাই পাসপোর্টটি নিয়েছে। জরুরি যোগাযোগের জায়গায় তরুণীর পিতার নাম লেখা রয়েছে। সাথে একটি মোবাইল ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে। ওই নম্বরে বারবার যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
- See more at: http://tazakhobor.org/bangla/exclusive/47935-2015-05-27-20-10-59#sthash.vQvQeBX0.dpuf
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন-প্রসঙ্গঃ শারমিনা বেগমের আইএস এ যোগদান
ইষ্ট লন্ডন মস্ক এবং ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ, সিস্টার ফোরাম বা মুসলিমাহকে আইএস র্যাডিকালাইজেশনের জন্য দুষলো
সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ- লন্ডন থেকে:ব্রিটেনের বহুল প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি মেইল তাদের অনলাইন ভার্সনে আইএস সন্ত্রাসী সংগঠনে ব্রিটিশ বাংলাদেশী টিনএজদের ব্রেন ওয়াশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বা জিহাদি হতে সিরিয়া গমনে উদ্বুদ্ধ করনের জন্য হোয়াইট চ্যাপেলের বুকে মুসলমানদের গর্বভরে, বুক উঁচু করে দাঁড়ানো, ইষ্ট লন্ডন মস্ক এবং এই মসজিদ কেন্দ্রিক সংগঠন ব্যাপক জনপ্রিয় দাওয়াতুল ইসলামের সিস্টার সংগঠণ ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ ও তাদের মহিলা সংগঠন সিস্টার মুসলিমাহকে সরাসরি দুষে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর আইএসে যোগদানের জন্য সিরিয়া গমন করেছিলো বেথনাল গ্রিন একাডেমির টিনএজ ছাত্রী শারমিনা বেগম।শারমিনা বেগমের মা শাহনাজ বেগম(৩৩) দুরারোগ্য ক্যানসার রোগে মৃত্যু বরন করলে শারমিনা বেগম হতবিহবল এবং মাকে হারিয়ে একেবারে ভেঙ্গে পরে।মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শারমিনা বেগম তখন ইষ্ট লন্ডন মসজিদের আইএফই`র মহিলা ফোরামের সার্কেলের সাথে জড়িয়ে ইষ্ট লন্ডন মসজিদে নিয়মিত যাতায়াত করে। তখন থেকে তার মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সে হিজাব পড়া, ইত্যাদি শুরু করে । “ডেইলি মেইলের কাছে শারমিনার পরিবারের দাবী ইষ্ট লন্ডন মস্কের এই ফোরামের সার্কেলে বেড়ে উঠে শারমিনা কট্ররপন্থা আর জঙ্গি জিহাদি তালিমে মগজ দোলাই হয় এবং তাকে বলা হয় সে জিহাদে মৃত্যু বরন করলে তার মায়ের সাথে জান্নাতে দেখা পাবে”।
ডেইলি মেইলের কাছে শারমিনার বাবা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন(৩৮) বলেছেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর শারমিনা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং ইষ্ট লন্ডন মসজিদে ঘন ঘন আসা যাওয়া করে। এই পরিবর্তন তার কাছে সন্দেহের সৃস্টি করে এবং তা তিনি পুলিশকেও বলেছেন। কিন্তু তিনি সরাসরি ইষ্ট লন্ডন মস্ককে দুষ দিতে নারাজ।
শারমিনার মামা,চাচারা সরাসরি সেজন্যে ইষ্ট লন্ডন মসজিদ কেন্দ্রিক ইসলামিক ফোরামকে দুষ দিয়েছেন। তারা সরাসরি বলেছেন, এরাই জান্নাতের লোভ দেখিয়ে শারমিনাকে সিরিয়া পাঠিয়েছে, জিহাদী সন্ত্রাসীদের কাছে দিয়েছে।
ডেইলি মেইল ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ ও ইষ্ট লন্ডন মসজিদের কথা লিখতে গিয়ে বলেছে, এই ফোরামের নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ থেকে আসা ১৮টি মার্ডারের আসামী, ওয়ার ক্রিমিন্যাল। ডেইলি মেইল এটাও লিখেছে, কট্রর পন্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার ও বিবৃতি প্রদানের জন্য ইষ্ট লন্ডন মস্কের সুনামও রয়েছে।
তবে আইএফই ডেইলি মেইল, সানডে মেইলের কাছে তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শারমিনা বেগম প্রথমে নিজে সিরিয়া আইএসে গিয়েছে। তারপর সে গত বছর যে তিন টিনএজ আমিরা, খাদিজা, শামীমা- গেট উইক এয়ারপোর্ট হয়ে সিরিয়ায় আইএসে যোগ দেয়, সেই তিন মেয়েকে শারমিনাই ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে সিরিয়ায়। ঐ তিন মেয়ের ব্যাপারে প্রথমে ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রপাগান্ডাকে দুষ দেয়া হলেও পরে প্রমাণিত হয় শারমিনাই তাদেরকে নিয়ে গেছে সেখানে। আর সব কিছুর মূলে পরিবারের আত্মীয়স্বজনের দাবী ইষ্ট লন্ডন মস্ক ভিত্তিক মহিলা ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ।
শারমিনার দাদী বলেছেন, শারমিনা কাপড় চোপড় খরিদের জন্য তার কাছ থেকে ৫০০পাউন্ড চেয়ে নেয়। মা হারা নাতিনকে তিনি কাপড খরিদের জন্য এই টাকা দিয়েছিলেন। পড়ে তদন্তে দেখা গেছে, এই ৫০০পাউন্ড দিয়ে শারমিনা বেগম তার্কিএ টিকেট খরিদ করে সিরিয়া যায়।
কিছুদিন আগে শারমিনা তার দাদীকে ফোন করে জানিয়েছে, সে সিরিয়ায় এক আইএস ফাইটারকে বিয়ে করেছে।দাদীর ভাষ্যে বর্তমানে শারমিনার বয়স ১৬।
শারমিনার আত্মীয় বাকী মিয়া (৩৫) মেইলের কাছে ৫০০পার্সেন্ট কনফার্ম করে বলেছেন, ইষ্ট লন্ডন মস্ক আর ইসলামিক ফোরাম শারমিনার মগজ দোলাই করেছে। তাকে জান্নাতে তার মায়ের সাথে শহীদী দরজা দেখিয়েছে।
ওয়েম্বলিতে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী ও পরিবারের বন্ধু শাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, গত বছর ডিসেম্বরে শারমিনা সিরিয়া যাওয়ার পরে তার বাপের কাছে একবারই ফোন করেছিলো এবং সে জানিয়েছিলো সে সিরিয়া পৌছেছে।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এ ব্যাপারে মেইলের কাছে কোন মন্তব্য করতে চায়নি। অবশ্য স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড শারমিনাকে সিরিয়া যেতে সাহায্য করার জন্য গত বছর নর্থ লন্ডন থেকে ২০ ও ২১ বছর বয়সী দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডেইলি মেইলে গত রাতে ইষ্ট লন্ডন মস্কের সাথে যোগাযোগ করলে তারা স্পঠতই তীব্রভাবে এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। তবে ইসলামিক ফোরাম ইউরোপ কোন মন্তব্য করেনি বলে ডেইলি মেইল লিখেছে।
ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে ইসলামিক ফোরাম ইউরোপের প্রতিষ্ঠাতা লিডার হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিরোধীতাকারী যুদ্ধাপরাধী হিসেবে ১৮ হত্যার অভিযুক্ত চৌধুরী মঈনুদ্দিন(৬৪) এর নামোল্লেখ করেছে।
ডেইলি মেইলের লিঙ্ক-
http://www.dailymail.co.uk/news/article-3182561/Britain-s-jihadi-bride-groomer-Schoolgirl-radicalised-London-mosque-recruited-three-classmates-join-ISIS-Syria.html
http://www.sylheteralap.com/category/immigration/91187/
উপসংহার :
নিকাবী মাতারী ধরনের মেয়ে ।
শাহবাগী পাঠী শাম্মী হককে র্যাবের দুই আপু উত্যম-মধ্যম দিচ্ছেন ।
উপসংহার :
বাংলাদেশী মেয়েরা ধামড়ি, পাঠী, শাহবাগী, মাতারী, হিজাবী, নিকাবী ও তেজাবী ইত্যাদি ভাগে বিভক্ত । তারা যত ভাগে বিভক্ত হোক না কেন তাদের আমরা ছেলেরা দুরে ঠেলে না দিয়ে তাদের স্নেহ-মায়া-মহব্বত-প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিবো । আশা করা যায়, এর ফলে সামান্য হলে কিছু ছাগু ও শাহবাগী সাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে । কারণ তারা আমাদের বোন-মেয়ে-স্ত্রী ।
বিষয়: বিবিধ
২৬৩৭ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য সঠিকভাবে করা না জানলে দয়া করে তা করা শিখুন । অন্যথায় আমার কোন পোস্টে মন্তব্য করতে আসবেন না ।
ভাইয়া, আপনার এই লেখার এই বিষয়গুলোর সাথে একমত নই । এই বিষয়গুলো আমি নিচে পয়েন্ট আকারে উপস্হাপন করছি ।
১।
২।
৩।
পরিশেষে আমি আপনার লেখাটার সাথে আরো কিছু বিষয় যুক্ত করছি । সেগুলো হলো :
১।
২।
৩।
পরিশেষে বলছি, আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বের বর্তমান পরিস্হিতির .........
আপনি তথাকথিত আই এস কে জড়িয়ে যে দুটো নিউজ এর উল্লেখ করলেন এবং তার সাথে যে ছবি দুটি সমূহ যোগ করলেন - কষ্ট করে কি খবর ও ছবির মধ্যে বিরাজমান অসামন্জস্যতা সমূহ - নিজে থেকে পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করবেন? খবর দুটির দূর্বলতা সমূহ কি কি? কোন কোন পয়েন্ট এর কারনে একজন মুসলিম এ দুটো খবর এবং ছবিকে এক্সেপ্ট করা উচিত বলে আপনি মনে করছেন?
ধন্যবাদ।
ওয়া আলাইকুমুস সালাম
খবর ও ছবির মধ্যে বিরাজমান অসামন্জস্যতা সমূহ - পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করবেন?
উত্তর :
1. নিকাব পরা কিন্তু প্রয়োজনের খাতিরে মুখ খোলা কালো বোরকা পড়া মেয়েরা সাধারণত তথাকথিত ইসলামী সন্ত্রাসী দলগুলোর সাথে যুক্ত হয় । অথবা সাধারণ মেয়েরা তথাকথিত ইসলামী সন্ত্রাসী দলগুলোর সাথে যুক্ত হওয়ার পর তাদের অফিসিয়াল ড্রেস কোড হয় নিকাব ও কালো বা গাঢ় রংয়ের বোরকা ।
2. উল্লেখিত খবরগুলোতে মেয়েগুলো বোরকা পরা এবং তরুণী বা টিনএজ পেড়িয়ে আসা মেয়ে । সুতরাং তারা আবেগ দ্বারা তাড়িত হয়েছে ।
3. কথিত মডারেট ইসলামী দলগুলো সুকৌশলে সন্ত্রাসী দলগুলোতে তাদের কর্মী সরবরাহ করে ।
খবর দুটির দূর্বলতা সমূহ কি কি?
উত্তর : খবরগুলোতে সরাসরি আইএস-এর সাথে এসব মেয়ে যুক্ত হয়েছে – এমন প্রমাণ উপস্হাপিত হয়নি ।
কোন কোন পয়েন্ট এর কারনে একজন মুসলিম এ দুটো খবর এবং ছবিকে এক্সেপ্ট করা উচিত বলে আপনি মনে করছেন?
উত্তর :
আমি নিন্মোক্ত পয়েন্টগুলোর কারণে কোন মুসলিম এই দুই খবর ও ছবি দুইটাকে গ্রহণ করা উচিত নয় বলে মনে করি :
1.কথিত খিলাফাত রাষ্ট্র বা তথাকথিত ইসলামী রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না ।
2.উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-সংহতি-সমৃদ্ধির স্বার্থে মুসলিমদের অবশ্যই সন্ত্রাসবাদী সংগঠণগুলো হতে দুরে থাকতে হবে ।
3.মুসলিমদের বিশেষ করে মেয়েদের পোষাকের ক্ষেত্রে নিকাব বা মুখ ঢাকার কাপড় অবশ্য বর্জন করতে হবে । কালো বোরকা ও গাঢ় রং-এর বোরকা মুসলিম মেয়েদের স্বাস্হ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে বর্জন করার জন্য জনমত গঠণ করত হবে ।
4. খিলাফত রাষ্ট্র ও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের নামে কিছু লোক ধর্ম ব্যবসা করে থাকে এবং নিজের আখের গুছিয়ে থাকে । এই দুই দর্শনের বিরোদ্ধে মুসলিম বিশ্বে লেখালেখির প্রয়োজন আছে । যেমন : জামায়াতে ইসলামীতে জামায়াতের বড় নেতারা ভাতা পান ।আর এই ভাতার টাকা আসে গরীব ও অসহায় কর্মীদের থেকে । এসব নেতাদের জন্য গরীব ও অসহায় কর্মীরা জীবন পর্যন্ত দেয় । আল্লাহর নবী সা. ইসলাম প্রচার করার জন্য ভাতা পাওয়ার নিয়ম চালু করে গিয়েছেন কি ? এটা কমিউনিস্টদের থেকে ধার করা নিয়ম । বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনে চরমোনই পীর রাজনৈতিক দল বানিয়ে তার পীর ব্যবসা ভালভাবে ঝাকিয়ে বসেছেন । শুনেছি তার বাৎসরিক মাহফিলে দানের টাকার পরিমাণই নাকি ৩১ কোটি টাকা ।
আপনি কি অনুসন্ধিৎসু মনে তথাকথিত সন্ত্রাসীর নামে যে মেয়েদুটোর ছবি পোষ্টে দিয়েছেন - তাদের ছবির দিকে তাকিয়ে বের করার চেষ্টা করবেন ঐ ছবি দুটোতে কি কি অনিয়ম, কি কি টেইলরিং করা হয়েছে। আপনি কি ছবির রং, ছবির মধ্যে কোন সংযোজন, বিয়োজন কিংবা ম্যানুফাকচারিং এর কাজ করা হয়েছে কিনা তা সততার সাথে চেক করে দেখবেন?
আর আমার তৃতীয় প্রশ্ন ছিল কেন আপনি একজন মুসলিমকে এ খবরটি বিশ্বাস করতে বলবেন। যেহেতু আপনি দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে ইতোমধ্যে বলেছেন রিপোর্টার মেয়েদুটো যে আইএস এর সাথে যুক্ত হয়েছে এমন প্রমান হয় নি - সেহেতু মিথ্যা ও বানোয়াট গল্প খরব হিসাবে গ্রহন করার কিংবা প্রচার করার কোন ব্যাপার নেই। আশা করি আপনি ছবি দুটোর পোস্টমর্টেম করলে আমাদেরকে সাজেস্ট করবেন এ খবরটির কোন ভিত্তিই নেই। এটা একটা ম্যানুফাকচারড খবর এবং এ খবরের অবজেক্টিভ অন্য কিছু অর্জন করা।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনার লিখার ক্যাপাসিটিকে পজেটিভ ডাইরেকশান এ চালিত করার আহ্বান জানাই।
কথায় আছে , শুকুনের দোয়ায় গরু পর্যন্ত মরে না । সুতরাং আজাব ও গজব তো পরের ব্যাপার । আপনারা হলেন গোখড়া সাপের চেয়েও বিষাক্ত । এজন্য এই অক্টোবর মাসে ২০০৬ সালে আপনাদের কিছু গেলমানকে লোকেরা সাপের মতো পিটিয়ে তক্তা বানিয়েছে । তখন আপনাদের দোয়া আল্লাহ কবুল তো করেনই নাই , বরং আপনাদের পালের গোদাদের আল্লাহ ফাসির ব্যবস্হা করেছেন ।
আপনার উপরও আল্লাহর আজাব ও গজব বর্ষিত হোক । আল্লাহ আপনাকে হাশরের মাঠে বিষাক্ত সাপ হিসেবে উঠাক । অন্তত ছাগল হিসেবে উঠাক । আল্লাহ আপনাকে নির্বংশ করে দিন । আমীন ।
যেমন মন্তব্য লিখবেন তেমন উত্তরই পাবেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন