সৌদি আরব হতে মক্কা ও মদিনাকে আলাদা করে ভ্যাটিকান সিটির মতো দেশ বানানো মুসলিমদের ঈমানী দাবি

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:০৭:৩০ রাত



সৌদি আরব হতে মক্কা ও মদিনাকে আলাদা করে ভাটিক্যান সিটির মতো পৃথক একটি দেশ গঠণ করা মুসলিমদের ঈমানী ও সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে ।

কারণ সৌদি আরবের হাতে মুসলিমদের ঈমানই নয়, বরং তাদের জীবন পর্যন্ত নিরাপদ নয় ।





মক্কা-মদিনাকে নিয়ে গঠিত প্রস্তাবিত হিজাজ রাস্ট্র ও তার পতাকা । সহিহ হাদিসগুলোতেও রাসুল সা তার জন্মভুমির নাম হিজাব বা হেজাজ বলে অভিহিত করেছেন ।

প্রস্তাবিত এই রাস্ট্রটির মূল দায়িত্ব হবে নূন্যতম মূল্যে হজ্ব, ওমরা পালনের সুবিধা প্রদান, মুসলিমদের স্মৃতিবিজরিত স্হান সংরক্ষণ, মুসলিমদের ঈমান-আকিদা সংরক্ষণে ব্যবস্হা গ্রহণ এবং বিশ্বের মুসলিমদের সম্মানজনক অবস্হান তেরী করা ও মুসলিমদের ভাব-মুর্তি সুরক্ষায় ব্যবস্হা গ্রহণ করা ।

নির্দিষ্ট মেয়াদে এই রাস্ট্রটির প্রেসিডেন্ট হবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোনো মুসলিম নাগরিক যেমনভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের প্রধান প্রতিদ্বন্দী দেশগুলিকে এধরণের প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে। যেমন ইরান ও তুরস্ক প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে।

১৯২৪ সালের আগে হিজাজ নামে আধা স্বায়ত্বশাসিত দেশ ছিলও । কিন্তু বর্তমান সৌদি শাসক সম্প্রদায় তুরস্কের ওসামানিয়া শাসকদের হাত হতে এই দেশ ইহুদি ও খৃস্টানদের সহায়তায় দখল করে নেয় ।

আজ মুসলমান হ্জ্জ অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১০০০ জন নিহত এবং ২ হাজারের বেশী আহত হয়েছেন। (http://www.bbc.com/news/world-middle-east-34346449)

যত দিন যাচ্ছে হজ ব্যবস্হাপনায় অরাজকতার পাশাপাশি সৌদি আরব সরকার মুসলিমদের স্মৃতিবিজরীত অসংখ্য স্হান ভেঙ্গে ফেলছে এবং বিলাসবহুল হোটেল মক্কা শহরে বানিয়ে অমুসলিমদের প্রবশ করার সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে ।

এদিকে ইয়েমেনের সাধারণ মুসলমানদের উপর খারেজী দাঈশ সম্প্রদায় বা আইএস -এর হামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে। ইয়েমেনীদের পবিত্র হজ্জ্ব করার উপর এ বছর অঘোষিতভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদী আরব ।

প্রায় ১ লাখ ভুয়া কুরআন শরীফ হাজিদের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করা হয় । প্রচন্ড জনরোষের মুখে সেসব কুরআন সৌদি আরব লুকিয়ে ফেলে ।

হজের সময় মক্কা শহরের এক হোটেলে আগুন লাগানো হয় । উদ্দেশ্য মুসলিমদের হজকে ব্যহত করা ।

হজের আগে কাবা ঘর এলাকায় পর্যন্ত ক্রেন ফেলে হাজীদের হত্যা করা হয়েছে । কত জনকে শহীদ করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা পর্যন্ত মুসলিমরা জানে না ।

মক্কা মদীনায় সৌদ সাম্রাজ্যবদের ধর্ম ব্যবসা আর কত? সৌদি বাদশাহর ঠাণ্ডা মাথায় খুনোখুনি কতদিন দেখবে বিশ্বের মুসলিমরা ।



হিজাজ রাষ্ট্র যেখানে হাজিরা সুন্দরভাবে হজ করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ ।

হজ নাকি মৃত্যুকুপ ?

সৌদির এই শাসকদের হাতে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো নিরাপদ নয়। এরা হজ্বের মত একটি ইবাদতকেও করে তুলেছে মৃত্যুকুপ।

অযোগ্যতা এবং অব্যবস্থাপনার দায় মাথায় নিয়ে সৌদির বর্তমান শাসকদের উচিত এই স্থানগুলোর দায়িত্ব মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি করে তাদের হাতে তুলে দেয়া।

যারা হজ্বের উদ্দেশ্যে গমন করেন তাদেরকে আল্লাহ তার মেহমান বলে ঘোষণা করেছেন । আল্লাহ মক্কাকে চির শান্তির শহর হিসাবে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেছেন, মসজিদুল হারামে যারা প্রবেশ করবে তারা নিরাপদ।

কিন্তু মক্কায় কাবা ঘর ও মদিনায় মোহাম্মদ (সা) এর রওজা মোবারক থাকাতে সৌদি আরব সেজেছে নাটের গুরু ও পাটের রাজা ! মক্কায় ক্রেন পতনে শতাধিক হাজীর মৃত্যু সৌদি রাজতন্ত্রেরে উদাসিনতা, খামখেয়ালিপনা ও ভোগ বিলাসিতা অন্যতম কারণ।

মক্কা-মদিনাকে নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র করার গুরুত্ব :

১। সৌদি রাজতন্ত্র, ওহাবিবাদ ও জঙ্গীবাদের খপ্পর থেকে মক্কা , মদিনাকে মুক্ত করতে পারলে সারা বিশ্বে সৌদির তেমন কোনো প্রভাব থাকবে না আর হজ্বের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসম্মিলনে সৌদি বা একক কোনো রাস্ট্রের দাদাগিরিও থাকবে না । ওহাবিবাদের প্রভাব নিঃশেষ হয়ে যাবে ও এরফলে জঙ্গীবাদও অস্তমিত হয়ে যাবে।

২।হজ্ব করতে এত অর্থের অপচয়ও হবে না । হজ্ব, ওমরাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় সভায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সম্ভবনাও শুণ্যের কোঠায় নেমে আসবে।

৩।ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সুরক্ষিত থাকবে ।

৪। সৌদি আরবের শাসকরা সঠিক ইসলামের অনুসারী নয় । সৌদি আরবে ওহাবী মতবাদ কায়েম আছে । এটা সঠিক ইসলাম নয় ।

দয়া করে বলুন :

নামাজ কালাম পড়াই কি ইসলাম ??

সৌদি আরবের বাড়ির কাছে আফ্রিকার দেশগুলোতে মুসলিমরা না খেয়ে মারা যায় ।

আফ্রিকার অনেক দেশে ইসলাম নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।যেমন : মধ্য আফ্রিকা, এংগোলা, জাম্বিয়া .. ।

বিশ্বব্যাপী মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে - এই ব্যাপারে সৌদি আরবের ভুমিকা কি ? যেমন : কাশ্মির, আরাকান ,,,

সৌদি আরবের বাড়ির কাছে সিরিয়ার মুসলিমর গৃহহীন । তারা ইউরোপে যেয়ে খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করছে । এব্যাপারে সৌদি আরবের ভুমিকা কি ?

সৌদি আরবের বাড়ির কাছে দায়েশ বা খারেজী আইএস সন্ত্রাসী গ্রুপ মুসলিমদের হত্যা করছে ও যৌন জিহাদ প্রবর্তন করছে । এব্যাপারে সৌদি আরবের ভুমিকা কি ?

ওসামানিয়া শাসকরাও সৌদি বাদশাহর মতো ইসলাম প্রচার করতো ? তারাও নামাজ কালাম পড়ার উপর বই হাজিদের দিতো । তবে তাদের তেল ছিল না । তাই বাংলাদেশের মুসলিমদের শ্রমিকের কাজ দেয়নি । বাংলাদেশের শ্রমিকদের কাজ আর রেমিটেন্স না পাওয়ার ভয় বাংলাদেশের মুসলিমরা করবে না ।

উপসংহার :

সৌদি রাজতন্ত্রের দিন ঘনিয়ে আসছে । সৌদ বংশ আসলেই সত্যিকার ইসলামের অনুসারী নয় । এই ব্যাপারটা মুসলিমদের বেশির ভাগ বুঝতে পারছে না ।

সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের বিরোদ্ধে সব মুসলিমকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি এবং মক্কা-মদিনাকে নিয়ে আলাদা দেশ বানানোর জন্য জিহাদে অবতীর্ণ হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি ।

বিষয়: বিবিধ

৫৩৪৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343234
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:০৬
কাহাফ লিখেছেন : যেভাবে সমস্যার সমাধান অতি সহজে আপনি বাতলে দান....আপনাকেই প্রেসিডেন্ট বানানো হোক!!
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:২৭
284520
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : "নির্দিষ্ট মেয়াদে এই রাস্ট্রটির প্রেসিডেন্ট হবেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোনো মুসলিম নাগরিক যেমনভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি আরবের প্রধান প্রতিদ্বন্দী দেশগুলিকে এধরণের প্রস্তাব উত্থাপন করতে হবে। যেমন ইরান ও তুরস্ক প্রধান ভূমিকা পালন করতে পারে। " ---- আমি যদি এই নীতিমালার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তি আল্লাহ চাহেত হই , তাহলে আমি প্রস্তাবিত হিজাজ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবো ।

তবে এজন্য আপনাকে ও আপনার সঙ্গী সাথীকে সৌদি আরবকে ভেঙ্গে টুকরা করে এই রাষ্ট্র স্হাপন করার জন্য মরণপণ জিহাদ করতে হবে ।


ফেসবুকে অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য ও স্যাটাস দেখছি সৌদি আরব সম্পর্কে । সেগুলো হতে কয়েকটি শেয়ার করছি :
“”””””””
পৃথিবীতে মাত্র দুটি রাস্ট্র মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থনে বিশ্ব মানচিত্রে টিকে আছে। একটি ইসরায়েল ও অন্যটি সৌদি আরব। আমেরিকা আজকেই এই দুই দেশের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করলে আগামীকালকেই বিশ্ব মানচিত্র থেকে এরা হারিয়ে যাবে ! এবার সেই কথাটিই সৌদি আরবের বেলায় প্রকাশ্যে বলেছেন মার্কিন রিপাবলিকান অন্যতম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ! তিনি বলেছেন, আমাদের সমর্থনের কারণেই সৌদি আরব টিকে আছে। আমাদের সমর্থন ছাড়া সৌদি আরবের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না । সৌদি আরবে সামান্য কিছু হলেই আমরা সৌদি আরবকে রক্ষার জন্য যুদ্ধ জাহাজ পাঠাই, জঙ্গী বিমান পাঠাই। আমাদের সমর্থনের কারণে সৌদি আরব প্রতিদিন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করতেছে । বিনিময়ে আমরা কি পাচ্ছি ? কিছুই পাচ্ছি না । তিনি বলেছেন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে সমর্থনের জন্য সৌদি আরবের কাছ থেকে সৌদি অর্থের উপর ভাগ বসাবেন। একই ভাবে তিনি মার্কিন সমর্থনপুষ্ট অন্যান্য আরব রাস্ট্রগুলোর কাছ থেকেও সমর্থনের বিনিময়ে অর্থ দাবি করেণ ! প্রসঙ্গত যে অর্তীতে ট্রাম্প সৌদি আরবকে বিশ্ব জঙ্গীবাদের প্রধান অর্থ দাতা হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।

জঙ্গীবাদের ফিলোসোফি হল ওহাবিবাদ। সৌদি আরব হল বিশ্বের একমাত্র ওহাবি রাস্ট্র। মক্কা মদিনা সৌদির নিয়ন্ত্রণে থাকাতে সারা বিশ্বেই দ্রুত ওহাবিবাদের বিস্তৃতি ঘটছে।
ভ্যাটিকান সিটির উদাহরণ টা সামনে এনে মক্কা-মদিনার ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের প্রসঙ্গ এখন আরো জোরে সোরে উঠবে ।
একদিকে অন্য ধর্মের লোকের কাছে মুসলমানরা মুসলমানদের নিরপওা না দেয়ায় বিতর্কিত হচ্ছে।কিন্তু কোনদিন কি এমনটা হবে। “”””””
343250
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:১৪
কাহাফ লিখেছেন : মুসা আঃ কে ইয়াহুদিরা মুর্তি বানিয়ে দেয়ার আবদার জানিয়েছিল,যাতে অন্যদের মত ইবাদত করতে পারে।
'ভ্যাটিকান সিটি'র মত রাষ্ট্রের দাবী কতটুকু গ্রহনযোগ্য? যেখানে সমকামীদের পোপ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়!
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩৫
284532
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমার লেখার মধ্যেই বলেছি, প্রস্তাবিত হিজাজ রাষ্ট্র কি কাজ করবে ? আমি লিখেছি :

প্রস্তাবিত এই রাস্ট্রটির মূল দায়িত্ব হবে :
১.নূন্যতম মূল্যে হজ্ব, ওমরা পালনের সুবিধা প্রদান,
২.মুসলিমদের স্মৃতিবিজরিত স্হান সংরক্ষণ, মুসলিমদের ঈমান-আকিদা সংরক্ষণে ব্যবস্হা গ্রহণ

৩.বিশ্বের মুসলিমদের সম্মানজনক অবস্হান তেরী করা ও মুসলিমদের ভাব-মুর্তি সুরক্ষায় ব্যবস্হা গ্রহণ করা ।


আপনি বলেছেন :

"'ভ্যাটিকান সিটি'র মত রাষ্ট্রের দাবী কতটুকু গ্রহনযোগ্য? যেখানে সমকামীদের পোপ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়! "

উত্তর : সমকামীতা ও নোড়ামী ইসলামবিরোদ্ধ কাজ । তা যে কেহই করুক না কেন বা সীকৃতি দেক না কেন - তাতে গুনাহের কাজ জায়েজ হয়ে যাবে না । খৃস্টানদের কাছে এই কাজ বৈধ হতে পারে । মুসলিমদের কাছে নয় ।

হিজাজ রাষ্ট্র ওহাবী সন্ত্রাসী বা সৌদি শাসকদের দখলে আগে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত অস্তিত্ব বজায় রেখে ছিল । এই রাষ্ট্রটি সর্বশেষে ওসমানিয়া শাসকদের আশ্রিত রাজ্য বা ভিলায়াত হিসেবে পরিচিত ছিল ।

এই আরবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হিজাজ রাষ্ট্র হজ ব্যবস্হাপনা সঠিক ভাবেই করে যাচ্ছিল । হজ ব্যবস্হাপনার জন্য সুদুর অতীত হতে বিভিন্ন দেশের শাসক সম্প্রদায় এই রাষ্ট্রকে সাহায্য করে যেতো । এমন কি অমুসলিম প্রধান দেশের শাসকরাও । কারণ অমুসলিম দেশেও মুসলিম আছে । অমুসলিম প্রধান দেশের শাসকরা তাদের দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের হজ ও ধর্ম পালনের সুবিধার জন্য মক্কা ও মদিনায় বিভিন্ন ধর্মীয় স্হাপনা নির্মাণ করতো । যেমন : বার্মার এক রাজা মুসলিমদের জন্য মক্কা ও মদিনায় উৎকৃষ্ট সরাইখানা ও মুশাফিরখানা নির্মাণ করেছিলেন । অথচ এই শাসক ছিলেন নিষ্ঠাবান বৌদ্ধ ।

আমাদের অতীতের সব তথ্য জানতে হবে এবং সেগুলো প্রচার করতে হবে ।

অন্যথায় সহীহ হাদিস বর্ণিত শয়তানের শিং সৌদি শাসক বর্গ আমাদদের ইসলাম ধর্মকে দিন দিন বিকৃত ও হাস্যপদ করতেই থাকবে । তাদের বিরোদ্ধে আমাদের জিহাদে যাপিয়ে পরা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ।
343265
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
ছালসাবিল লিখেছেন : Unlucky Eat Big Grin
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৫
284536
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
343273
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
ভিশন২০২১ লিখেছেন : বাচ্চা সূলভ পোষ্ট, বেশী কিছু মন্তব্য অযথা মনে করি, আর আপনাকে বুঝানোও সম্ভব না মনে হয়...
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৪
284535
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : বর্তমানে মধ্যপাচ্যকে নতুনভাবে সাজানোর কথা ভাবছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ । যেমন :

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস Washington post পত্রিকায় এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন ‘’তুরস্কসহ মরক্কো থেকে পারস্য উপসাগর পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের ২২ টি দেশের মানচিত্র পরিবর্তন করব।‘’

তার প্রস্তাবিত মানচিত্র ।



তিনি কি বাচ্চা সুলভ মন্তব্য করেছেন । তার কথা যৌক্তিক । আমরা বাংলাদেশি । আমরা পশ্চিম বঙ্গের হিন্দুদের সাথে নেই । কারণ আমরা তাদের সাথে এক সাথে থাকতে পারবো না বা তারা এক সাথে থাকতে পারবো না ।
তুরস্কে কুর্দিরা নিরাপদ নয়, ইরাকে কুর্দিরা নিরাপদ নয় , সিরিয়াতেও কুর্দিরা নিরাপদ নয় । অথচ তারা মুসলিম । ইরানে সুন্নীরা সাভাবিকভাবে ধর্ম কর্ম করতে পারে না ।ইরাক ও সৌদি আরবের শিয়াদের মানুষ মনে করা হয় না । পাকিস্তানে শিয়া ও বেলুচদের নূন্য মৌলিক অধিকার দেওয়া হয় না । সুতরাং বাংলাদেশের মতো মধ্যপ্রাচ্যে নতুন মানচিত্র সৃষ্টি করা প্রয়োজন । মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান মানচিত্র প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকা-বৃটেন-ফ্রান্স সৃষ্টি করেছে । তারাই ওসমানিয়া শাসকদের বিরোদ্ধে আরবদের ‍উসকে দিয়ে ২২ টা আরব দেশ সৃষ্টি করেছে । খোদ ১২ টা আরব দেশের মানচিত্র পর্যন্ত এই অমুসলিম শক্তি বানিয়ে দিয়েছে । এই মানচিত্র তেরী করার জন্য জনগণের সমর্থণ ছিল না । পাকিস্তান বা বাংলাদেশ করার পেছনে জনগণের সমর্থন ও ত্যাগের নিদর্শন যুক্ত ছিল । আর এজন্য পাকিস্তান-ভারত-বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জাতীয় চেতনাবোধ বেশী সচল । মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে এখন আধুনিক রাষ্ট্র চেতনা গড়ে ওঠেনি । সে সব দেশের এমন লোকও আছে, তারা তাদের দেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শ কি ও দর্শন কি জানে না । এই কারণে সৌদি আরব ইয়েমেনে আগ্রাসন চালানোর সময় সৌদি সেনা সদস্যরা বেঘোড়ে মারা যাচ্ছে । তাদের শুধু এতটুকু বলা হয়েছে : “ তোমরা ইয়েমেনের শিয়াদের হত্যা কর । “

জাতীয় চেতনা ভাষা-ধর্ম-দর্শনের উপরই বর্তমানে গড়ে উঠে । মধ্যপ্রাচ্যে এক ধর্ম থাকা সত্বেও সেই ধর্মকে কেন্দ্র করে জাতীয় চেতনা গড়ে উঠছে না । এক ভাষা সত্বেও জাতীয় চেতনা গড়ে উঠছে না । কারণ একটাই রাষ্ট্রীয় দর্শণ সেসব দেশে অনুপস্হিত এবং সেসব দেশের শাসকরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না ও তারা পশ্চিমা শক্তির তাবেদার ।






আরব বিশ্বজুড়ে তুরস্কের ওসানিয়া শাসন বিলুপ্তি ঘটিয়ে জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র সৃষ্টির প্রক্রিয়া ছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা। একশো বছর আগেও অধিকাংশ আরব অঞ্চল সব দিক দিয়ে সমৃদ্ধশালী ওসমানিয়া সম্রাজ্যের অংশ ছিল। এটি ছিল একটি বিশাল বহুজাতিক রাষ্ট্র । যার রাজধানী ছিল ইস্তাম্বুল। বর্তমানে আরব বিশ্বের মানচিত্র খুবই জটিল একটি গোলকধাঁধার মতো । বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকের কিছু জটিল ঘটনা এই সম্রাজ্যের পতন এবং নতুন জাতিয়তাবাদী রাষ্ট্র সৃষ্টি করে । নব সৃষ্ট এসব রাষ্ট্রের নিজস্ব সীমানা বা বর্ডার ছিল যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে বিভক্ত এবং মুসলিমদেরকে একে অন্যের থেকে আলাদা করে ফেলে। এই ঘটনার পেছনে অনেক কারণ থাকলেও আমেরিকা-ফ্রান্স-বৃটেনের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই সময়ে বৃটেনের বিবাদমান ৩ পক্ষের সাথে সই করা ৩ টি আলাদা চুক্তিতে পরস্পর বিরোধী অঙ্গীকার ছিল। চুক্তিগুলোর ফলে মুসলিম বিশ্বের একটি বিশাল অংশ বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে ।


সুতরাং আমাদের সেই বিশৃঙ্খল অবস্হা দুর করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে ।


আপনার কথা আমি কেন বুঝবো না ? আপনি আমাকে বুঝান যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে । আল্লাহ তো আমাকে বিবেক ও জ্ঞান দিয়েছেন , তাই না ?




343279
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৪
আলআমিন লিখেছেন : তুই হচ্ছিস বেজন্মা তুই সন্ত্রাসি তুই জারজ কারন তুই মক্কা মদিনার মত পবিত্র জায়গারে খ্রীস্টানদের ভ্যাটিকান বানাইতে চাস
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২০
284548
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : মক্কা মদিনা নিয়ে ইসলামের পবিত্র রাষ্ট্র বা হিজাজ বানাতে চাই । কারণ ১৯২৪ সালের আগে এই এলাকাতেই হিজাজ নামে দেশ ছিল যা হজ ব্যবস্হাপনা করতো ।

আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
343281
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
স্বপন১ লিখেছেন : মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম কে প্রস্তাবিত হিজাজ রাষ্ট্র নায়ক বানিয়ে দিলাম!!। এখন থেকে তিনি
স্বঘোষিত রাষ্ট্র নায়ক এবং আইএস এর সেনা প্রধান!!!!!
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:২১
284550
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আগে ভাই হিজাজ রাষ্ট্র বানানোর জন্য জনমত ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করুন । তারপর দেশটা বানান । আমি নয়তো আপনাদের ইচ্ছায় আল্লাহ চাহেত সেই দেশের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করবো ।

আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
343347
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪০
আনোয়ার আলী লিখেছেন : সহমত। ভালো লাগলো।
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
284672
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এই বিষয়ে আমাদের আরো লেখালেখি করা প্রয়োজন । আপনার এই পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
343453
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:৫৬
আল্লাহর সন্তুষ্টি লিখেছেন :
ভাইজান,
আপনার মাথাতো আউলাইয়া গেছে,
আপনার লিখায়তো ফিতনা ফিতনা গন্ধ আছে,
ধন্যবাদ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:১৪
284889
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ফিতনা কাকে বলে ? - যদি আমার লেখায় ফিতনা থাকে । ফিতনা শব্দের অর্থ বিপর্যয় । মক্কাতে হজে হাজীদের অকাল মৃত্যুর দিকে ফেলেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ । এটাই বড় বিপর্যয় । এই বিপর্যয় যাতে না ঘটে এজন্য সমাধান দেওয়া হয়েছে এই লেখায় ।
343475
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৩১
রক্তলাল লিখেছেন : ফরমালিন যুক্ত খাবারের ফলে পাগলের মস্তিস্কে চরম বিক্রিয়া!
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০২
284959
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
১০
343522
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৪
হতভাগা লিখেছেন : সৌদি সরকারকে হাজিদের সুরক্ষার জন্য আরও বেশী দায়িত্বশীল , সতর্ক ও আন্তরিক হতে হবে । কারণ হাজিগন আল্লাহর মেহমান ।

আমার মনে হয় সৌদিদের সেরকম যোগ্যতা আছে । গত বছর মাত্র একজন হাজি মারা গিয়েছিল জামারাহতে পাথর মারার সময় , শেষদিনে ।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:০৫
284960
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : মক্কা-মদিনা বিশ্বের সব মুসলিমের সম্পত্তি । কোন বংশ বা সৌদ বংশের সম্পত্তি নয় । সৌদি আরব হজ ব্যবস্হাপনায় ব্যর্থ । উপরন্তু সৌদি আরব মুসলিমদের স্মৃতিবিজরীত স্হান ও স্হাপনা ধ্বংসকারী । মক্কা-মদিনাকে বাণিজিক শহরে হিসেবে পরিনত করেছে । এগুলোর আধ্যাত্মিক মর্যাদা নষ্ট করেছে । মক্কায় প্যারিস হিলটনের মতো পতিতা ও অমুসলিমদেরও প্রবেশ করার সুযোগ করে দিচ্ছে ।

আমাদের অবশ্যই মক্কা-মদিনাকে নিয়ে আলাদা পবিত্র দেশ বানাতে হবে যা শুধু মাত্র হজ ব্যবস্হাপনা করবে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File