ঈদুল আযহা সৌদি আরবের এক দিন পর বাংলাদেশে পালন করা চরম ইসলামবিরোধী কাজ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:৫০:২৪ রাত
সৌদি আরবের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ বুধবার সৌদি আরবে হজ বা আরাফাতের রোজার দিন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখ বৃহস্পতিবার ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে ।
সৌদি আরবে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখ হাজীগণ ও সাধারণ মুসলমানরা পশু কুরবানি দিবেন। বাংলাদেশের অনেক লোক সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেবে ২৪ সেপ্টেম্বর । আর বাংলাদেশ সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক সৌদি আরবের পর দিন ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ঈদুল আযহা পালন করবে ।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখ মোতাবেক ৯ জিলহজ ১৪৩৬ হিজরী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হজ করতে আসা মুসলমানরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে হজ পালন করবেন ।
প্রতিবছর সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী হিজরি ক্যালেন্ডারের জিলহজ মাসের ৮ তারিখ থেকে হজের কার্যক্রম শুরু হয় এবং জিলহজ মাসের ১২ তারিখে শেষ হয়।
ক্যালেন্ডার ব্যবহার ও হজ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা :
সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী বিশ্বের সব মুসলিমকে ঈদুল আযহা পালন করা ফরজ । কারণ কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে বলা আছে হজের পরের দিন ঈদ হবে । হজ হয় সৌদি আরবের মক্কা শহরে । সুতরাং সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একই দিনে বিশ্বব্যাপী ঈদ না করা ইসলামবিরোধী কাজ । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ
লোকেরা আপনাকে নবচন্দ্রসমূহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলেদিন, এগুলো পুরো মানবজাতির জন্য ও হজ্জের জন্য সময়সমূহ আরম্ভ করার মাধ্যম । সুরা বাকারা : ১৮৯ ।
এই আয়াত হতে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, সমগ্র মানব জাতির জন্য একটাই ক্যালেন্ডার হবে আর তা মক্কা শহর কেন্দ্রিক নবচন্দ্র ভিত্তিক ক্যালেন্ডার যা হিজরী সন বলে আমাদের কাছে বহুল পরিচিত ।
জিলহজ্জ মাসের নতুন চাঁদ দেখার এই মানচিত্রই প্রমাণ করছে সৌদি আরবের হিজরী সন গণণা সঠিক
http://moonsighting.com/1436zhj.html
হজের আনুষ্ঠানিকতা মক্কা শহরে যেভাবে হয় :
সৌদি আরবের গণণা অনুযায়ী ৮ জিলহজ হাজিরা হজ শুরু করেন ও মিনায় অবস্হান করেন ।
তারা ৯ জিলহজ আরাফাত ময়দানে অবস্হান করেন । এই দিনটাই হজের দিন ।
তারা ১০ জিলহজ মক্কায় অবস্হান করেন । কুরবানী দিয়ে ঈদুল আযহা পালন করেন ।
কুরআন ও হাদিস অনুসারে আরাফা দিবস বা হজের পর দিন কুরবানীর ঈদ ।
হজ ও তাকবিরে তাশরিক :
যিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখের ফযর থেকে ১৩ তারিখের আসব পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্তের ফরয নামাযের পর এবং ঈদুল আযহার পর একবার করে উচ্চ স্বরে সাধারণ মুসলিমদের তাকবীরে তাশরীক বা আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার , লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার , ওয়া লিল্লাহিল হাম্দ বলা ওয়াজিব । আর তা অবশ্যই শুরু করতে হবে সৌদি আরবের ঘোষিত ৯ জিলহজ তারিখ হতে ।অন্যথায় ওয়াজিব ইবাদত বাদ দেওয়ার গুনাহ হবে ।
মক্কা শহরে ঈদ পালনের পর দিন বাংলাদেশে ঈদ করায় উদ্ভুত সমস্যা সমূহ :
ইসলামের আইন কুরআন-হাদিস-ইজমা-কিয়াসের উপর নির্ভর করে হয় । বাংলাদেশ সহ বেশ কিছু দেশ সৌদি আরবের পর দিন ঈদুল আযহা পালন করছে যা সম্পূর্ণরূপে কুরআন-হাদিস-ইজমা-কিয়াসবিরোধী । এক কথায় ইসলামবিরোধী । এর ফলে নিচের সমস্যগুলো হচ্ছে -
১ ) মক্কার আরফাত ময়দানে হজের দৃশ্য টিভিতে আমরা দেখে বলি - আজ হজের দিন। অথচ বাংলাদেশে ৭ বা ৮ জিলহজ্ব। কিন্তু হজ্ব হয় ৯ জিলহজ্ব তারিখে । তারপর দিন ১০ জিলহজ্ব ঈদুল আযহা হয় । পত্র পত্রিকাতেও বলা হয় আজ পবিত্র হজ। তাহলে প্রশ্ন : পৃথিবী আরাফাতের ময়দান কয়টি ? বছরে পৃথিবীতে হজ কয়দিন হয় ? অথচ আরাফার রোজা রাখা হয় প্রকৃত আরাফায় হাজী সাহেবদের অবস্হানের এক অথবা দুই দিন পর। তাকবীবে তাশরীক মক্কা শরীফে পড়ার এক বা দুই দিন পর পড়া হয় এবং শুরুও করা হয় দুদিন পর। তাহলে বাংলাদেশের মুসলিমদের এ ইবাদতগুলো কি ঠিক হচ্ছে?
২) ৯ জিলহজ হল আরাফার দিন। হাদিস শরীফের বর্ণনা মতে এদিন রোজা রাখলে আল্লাহ পূর্বেব ১ বছর ও পরবর্তী ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে হাজিরা অবস্হান করেন। কিন্তু বাংলাদেশের হিসাবে ৯ জিলহাজে হাজীরা অবস্হান করেন না। তারা এ স্হান ত্যাগ করেন। তাহলে ৯ জিলহজ সারা পৃথিবীতে কয়টি? আরাফার দিনের রোজা সারা বিশ্বে কয়দিন অনুষ্ঠিত হয়? এভাবে আরাফার রোজা করলে আল্লাহ গ্রহণ করবেন কি?
৩) ১৭ রমজান ইসলামের স্মৃতি বিজরিত বদর যুদ্ধের দিন। ১৪২৪ হিজরীতে সারা বিশ্বে তিনদিন (১১,১২ এবং ১৩ নভেম্বর ২০০৩) ১৭ রমজান পাওয়া গেল। প্রশ্ন হলো কোন দেশের হিজরী সনের তারিখ অনুযায়ী বদর যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল?
৪) এই কথা মশহুর যে, ২৭ রমজান লাইলাতুল কদর। এদিনের রাতে কোরআন নাযিল হয়েছিল বলে কোরআনে এদিনের রাতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে এবং আল্লাহ এরাত নিষ্ঠাবান মুসলিমদের প্রার্থনা কবুল করবেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো লাইলাতুল কদর সারা দুনিয়ায় কয়দিন ? নিশ্চয় একদিন। অথচ এ বছরে তিন দিন লাইলাতুল কদর পাওয়া গেল।
যেমনঃ মিশর ইয়োমেন, জর্দান ও ফিলিসিত্মনে ২০ নভেম্বর ২০০৩ খ্রীষ্টাব্দ বৃহস্পতিবার মোতাবেক ২৬ রমজানে ১৪২৪ হিজরীর দিনগত রাত লাইলাতুল কদন, সৌদি আরব, ইরান, সিরিয়া , ওমার, কাতার ও আরব আমিরাত সহ অধিকাংশ আরব দেশে এবং বাংলাদেশের পূর্বে ইন্দোনেশিয়ায় ২১ নভেম্বর ২০০৩ খ্রীষ্টব্দে শুক্রবার মোতাবেক ২৬ রমজানের দিবাগত রাত লাইলাতুল কদর এবং বাংলাদেশে ২২ নভেম্বর ২০০৩ খ্রীষ্টাব্দে শনিবার , ২৬ রমজানের দিবাগত রাত লাইলাতুল কদর।
অথচ এসব দেশগুলোর মধ্যে একটি অপরটির সাথে কোন সীমানত্মগত ব্যবধান নেই। এসব দেশগুলোতে একব শত বছর আগেও একই দিনে লাইলাতুল কদরসহ বিভিন্ন মুসলিম ধর্মীয় উৎসবাদি পালন হতো।
আবার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র একই দেশ হওয়া স্বত্বেও একই শহরে (নিউ ইর্য়ক) দুইদিন (২০ ও২১ নভেম্বর ২০০৩ তারিখ) লাইলাতুল কদর পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুরা কদরে আল্লাহর বর্ণনামতে, জিব্রাইল (আঃ) ও অন্যান্য ফেরেশতারা তার নিষ্ঠাবান বান্দাদের দোয়া করার জন্য লাইলাতুল কদরে পৃথিবীতে অবতরন করেন। এখন প্রশ্ন হলো তারা কি আল্লাহর বিধান লংঘন করে এসব দেশের ঘোষিত ভিন্ন ভিন্ন রাতে (লাইলাতুল কদরে) পৃথিবীতে অবতরন করবেন কি? আর এভাবে ভিন্ন ভিন্ন রাতে (লাইলাতুল কদরে) ইবাদত করলে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কি? কারণ আল্লাহর মতে লাইলাতুল কদর একরাত, তিনরাত নয়।
৫) সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের দ্রাঘিমাংশের পার্থক্য ৪৫ ডিগ্রী এর জন্য সময়ের ব্যবধান হয় মাত্র তিন ঘন্টা। বাংলাদেশে যখন বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজ ও জুমার নামাজ পড়া হয় সৌদি আরবে সেগুলো পড়া হয় মাত্র ৩ ঘন্টার ব্যবধানে। অথচ তারিখ গণনার ক্ষেত্রে ২৪ ঘন্টা (১ দিন), ৪৮ ঘন্টা (২দিন) এবং ৭২ ঘন্টা (৩দিন) ব্যবধান। এটা কি হওয়া উচিত?
স্হানীয় সময় অনুসারে যে সব ইবাদত বন্দেগী করতে হয় তা সূর্যের উপর নির্ভরশীল আর দিন তারিখ নির্ধারনের উপর যে সব ইবাদত বন্দেগী হয় তা চাঁদের উপর নির্ভরশীল। স্হানীয় সময় এক এক দেশে এক রকম হতে পারে। কিন্তু দিন- তারিখ বার এগুলো স্হান ভিত্তিক ভিন্ন হতে পারে না। আর যদি হয় ক্যালেন্ডার অকার্যকর হয়ে যাবে আর অকার্যকর ক্যালেন্ডার দিয়ে কোন চুক্তি ও লেন-দেন গ্রহণযোগ্য নয় । আবার অমুসলিমদের সন যেমন: ইংরেজী সন ও বাংলা সন ইসলামী শরিয়াত মতে ব্যবহার করা কুফরী ও শিরকী কাজ বা কবিরা গুনাহের কাজ । মুসলিমদের কেন পৃথিবীর সব মানুষের সাথে লেন-দেন ও কার্যক্রমে হিজরী সন ব্যবহার করা ফরজ । অন্যথায় কবিরা গুনাহ হবে ।
৬) সৌদি আরব থেকে কোন ব্যক্তি রোজা শুরু করে আমাদের দেশে ঈদ করলে তার রোজা হবে ৩০ বা ৩১ টি। আবার আমাদের দেশ থেকে রোজা শুরু করে সৌদি আরবে ঈদ করলে তাঁর রোজা হবে ২৮ বা ২৯ টি । কিন্তু হাদিসে স্পষ্ট বলা আছে হবে ২৯ অথবা ৩০ দিনে । হিজরী সনের মাস কি কখনো ২৮ বা ৩১ দিনের হতে পারে? বিশ্বায়নের এ যুগে এক দেশ থেকে আরেক দেশে অবাধ যাতায়াত তাহলে কি অবৈধ ও ইসলাম বিরোধী?
৭) পৃথিবী নিজ অক্ষে ২৪ ঘন্টায় একবার ঘুরে আসে, এক আহিৃক গতি বলে। এগতির কারণে সর্বদা পৃথিবীর কোন না কোন স্হানে ভোর হচ্ছে এবং কোন না কোন স্হানে সূর্য অস্ত যাচ্ছে। অতএব ২৪ ঘন্টার প্রতিটি মুহুর্তে কোন না কোন স্হানে ফজরের নামাজ এবং অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ হচ্ছে। এখন এখানে ফজর তো অন্য স্হানে যোহর আবার আরেক স্হানে আসর। এভাবে প্রতিটি ওয়াক্ত প্রত্যেক স্হানে যাচ্ছে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হচ্ছে। এভাবে জুমার নামাজ ও সারা বিশ্বে একই দিনে হচ্ছে, তবে ঈদের নামাজ একই দিনে বা বারে বিভিন্ন দেশের স্হানীয় সময় অনুযায়ী হতে বাধা কোথায়?
৮) ১২ রবিউল আউয়াল রাসূল (সাঃ) এর জন্ম ও ওফাতের দিন (একথা প্রমাণিত)। এখন প্রশ্ন হলো রাসুল (সাঃ) কোন দেশের হিজরী সনের তারিখ অনুযায়ী জন্মগ্রহন করেছিলেন? উল্লেখ্য সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী তিনটি ১২ রবিউল আউয়াল পাওয়া যায়।
৯) দেশ ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন কি আলস্নাহর একক সত্তা ও এক নীতির সমর্থক? পূর্ব ও পশ্বিম পাকিস্তান যখন একই রাষ্ট্রের অধীন ছিল তখন উভয় অংশে একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালিত হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়াতে বাংলাদেশের আকাশ সীমাতে চাঁদ দেখা হচ্ছে। তাতে দেখা যায় যে, কখনো কখনো পাকিস্তানের চেয়ে ১ দিন পরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালিত হয়। কালের বিবর্তনে আল্লাহ না করুন যদি কখনো বাংলাদেশ বিভক্ত হয় এবং তার এক অংশে চট্রগ্রাম এবং অন্য অংশে রাজশাহী থাকে, তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাবে যে, রাজশাহীতে যে দিন চাঁদ দেখা গেল চট্রগ্রামে সে দিন চাঁদ দেখা গেল না। ফলে তারা আর ও একদিন দেরীতে দিন গণনার হিসাব শুরু করলো। এভাবে দেশ বিভাগের ফলে যদি এক সময় বিশ্বে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্রের জন্ম হয় আর সবাই যদি এ দেশের নিয়ম গ্রহন করে তবে হিজরী সনের অসংখ্য ক্যালেন্ডার তৈরি হবে। আর বর্তমানে হয়েছেও । অথচ আল্লাহ তায়ালা সুরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াতে বলেছেন মানবজাতির সময় নির্ধারন ও হজ্জের সময় নির্ধারনের জন্য একটাই ক্যালেন্ডার হবে। সুতরাং এ ধরনের অসংখ্য হিজরী সনের ক্যালেন্ডার হওয়া কোরআন ও হাদীসের পরিপন্হী । উপরন্তু আল্লাহর কাছে পুরো পৃথিবীটাই একটা দেশে । তিনি আমাদের পৃথিবীর প্রতিনিধি বানিয়েছেন । দেশ ও জাতিতে বিভক্ত হয়ে বাড়াবাড়ি করা কবীরা গুনাহের কাজ ।
১০) ইসলামের রাষ্ট্রীয় ধারণা হলো পুরো পৃথিবীটাই একটা দেশ । হাদিসে আছে ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমন হওয়ার পর সমগ্র পৃথিবী তার শাসনাধীনে আসবে তখন বিশ্ব এক রাষ্ট্রে পরিণত হবে ও একক নির্দেশে পরিচালিত হবে। তখন কি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন দিনে মুসলিম ধর্মীয় উৎসবাদি পালিত হবে কি? যদি না হয় তবে বর্তমানে যারা বিশ্বে একই দিনে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালিত হতে বাঁধা কোথায়? উপরন্তু ওসামানীয় শাসকদের অধীনস্হ স্হানগুলোতে ও ব্রিটিশ আমলেও ভারতবর্ষের মুসলিমরা একই দিনে ইসলামী উৎসব পালন করতো । ব্রিটিশরা চলে গেছে কিন্তু তাদের ভাল একটা নিয়মও উঠে গেছে । তখন বোম্বে শহরের চাঁদ দেখা কমিটি ওসমানিয়া শাসকদের হতে তথ্য সংগ্রহ করতো ও তারপর এই তথ্য কলকাতায় পাঠানো হতো টেলিগ্রাম করে ।
১১) হাদীসে হিজরী সন গণনা করতে নতুন চাঁদ ( হেলাল) দেখতে বলা হয়েছে, চাঁদ (কমর) দেখতে বলা হয়নি। ভূপৃষ্ঠের কোথাও নতুন চাঁদ উদিত হলে পরদিন তা নতুন থাকে না, যদিও ভূপৃষ্ঠের কোন কোন অংশে নতুনভাবে দেখা গেলেও সে চাঁদকো নতুন চাঁদ বললে ভুল হবে। সেটা বর্তমান ও প্রাচীন কালের জ্যোর্তিবিজ্ঞান মতে দ্বিতীয়া বা তৃতীয়ার চাঁদ। বিভিন্ন দেশের “জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি” এই দ্বিতীয়া বা তৃতীয়ার চাঁদকেই প্রথমা হিসেবে গণনা করে। অথচ আল্লাহ বলেছেন, চন্দ্র ও সূর্য হিসাব মতো চলছে। এভাবে গণনা করা কি ইসলাম সম্মত? জ্যোর্তিবিজ্ঞান মতে, বিশ্বে সর্বপ্রথম উদিত ওয়াকসিং ক্রিসেন্ট-টাই হলো হিজরী সন গণণার জন্য নতুন চাঁদ বা ঈদের চাঁদ । আরবী ব্যকরণও তা-ই বলে ।
১২) কুরআন, হাদিস, ইমামদের মতৈক্য এবং অন্যান্য দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় কোথাও রাষ্ট্রীয় ও ভৌগলিক সীমারেখা টানা হয়নি। বরং বিশ্বস্ত সূত্রে রমজানের নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ প্রাপ্তির ভিত্তিতেই রোজা রাখা ফরজ। সৌদি আরব কিংবা অন্যান্য কোন মুসলিম রাষ্ট্রের নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ সেটেলাইট, ইন্টারনেট, রেডিও, টেলিভিশন, ফোন এবং ফ্যাক্স প্রভৃতির মাধ্যমে পেলে কেন তা গ্রহনযোগ্য হবে না কেন ? ঘরে বসে বাংলদেশের লোকরা স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে টিভিতে সৌদি আরবের তারাবীর নামাজ দেখতে পারেন। অথচ সে অনুযায়ী রোজা আরাম্ভ না করে দেশবাসী রমজান মাস শুরুর ১ হতে ৩ দিন পর শুরু করে থাকেন এবং ঈদের দিনে রোজা পালন করেন। এটা কি ভ্রানিত্ম ও অদূরদর্শীতার পরিচায়ক নয় কি ? এটা কি গোড়ামি নয় ?
১২) নতুন চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য বা কোন নির্ভযোগ্য মাধ্যম না থাকতো তবে মেরু অঞ্চলের দেশ, যেমনঃ নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, কানাডা, গ্রীনল্যান্ড, আইসল্যান্ড প্রভৃতি দেশে মুসলিমরা কীভাবে ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালন করতো? এসব দেশে অঞ্চল ভেদে দুই হতে ৩০৮ দিন সূর্যাস্ত হয় না বলে মুসলিমরা এসব দেশে বাসবাস ত্যাগ করেনি। বরং এসব এলাকার মুসলিম জনসংখ্যা ১৯৯০ সালে হতে বেড়ে বিশ গুন হয়েছে। ৯২২ খ্রীষ্টাব্দে রাশিয়ায় শক্তিশালী মুসলিম সাম্রজ্য কায়েম হয়। উলেখ্য যে মুসলিম শাসকদের দ্বারা রাশিয়া আড়াই শত বছর শাসিত হয় । রাশিয়ার শাসক গিয়াসুদ্দীন উজবেক খানের সময় (১৩১৩-১৩৪১ খ্রীষ্টাব্দ) রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ছিল। ১৪৮০ সালে রাশিয়ায় মুসলিম রাজত্বের অবসান হয়। রাশিয়ার মতো উত্তর মেরুর কাছাকাছি দেশগুলোতে নতুন চাঁদ দেখা না যাওয়াতে মুসলিমরা কী ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি ও উৎসবাদি বাদ দিয়েছে? তারা তাদের এ সমস্যার সামাধান ইসলাম গ্রহনের সময় থেকে কোরআন হাদীস ও ইমামদের বর্ণিত উপায়ে গবেষনার মাধ্যমে সমাধান করে নিয়েছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কারনে বর্তমান বিশ্ব একটি ছোট গ্রামে পরিনত হয়েছে। ফোন, ফ্যাক্স , স্যাটেলাইট ও ইন্টারনেটের কল্যাণে মুহুর্তের মধ্যে বিশ্বের এক প্রান্ত হতে সংবাদ অন্য প্রান্তে পৌছানো সম্ভব। সুতরাং নতুন চাঁদ দেখার সংবাদ ও সারা বিশ্বে মুহুর্তের মধ্যে পৌছালে সে অনুযায়ী সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ রোজা ও অন্যান্য ইবাদত পালন করা কেন সম্ভব নয়?
ঘড়ি আবিষ্কারের আগে লাঠি-কাঠি আলোর বিপরীতে ধরে জোহর-আসর নামাজের সময় বের হতো। আর আকাশের নানা রঙের রেখা খুজেঁ ঈশা ও ফজর নামাজ আদায় করা হতো । কিন্তু ঘড়ি আবিষ্কারের পর এসব মাপামাপির প্রয়োজন ফুরিয়ে গিয়েছে। ঠিক তেমনি একবিংশ শতাব্দীতে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উন্নতির ফলে আবহাওয়া দপ্তর এবং জোর্তিবিজ্ঞানীরা চাঁদ উদয়ের নির্ভুল তথ্য অগ্রীম জানাকে সম্ভব । হাদীস অনুযায়ী একজন মুসলিমের নতুন চাদঁ দেখার মাধ্যমে সারা বিশ্বের লোকদের চাঁদ দেখা সাব্যস্হ হয় তা সে যে দেশেরই বাসিন্দা হোক না কেন। আর তাছাড়া আমরা সবাই তো নতুন চাঁদ দেখি না। রেডিও টেলিভিশনের সংবাদের উপর নির্ভর করে সকলে রোজা ,ঈদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করে।তবে এক্ষেত্রে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অন্য দেশের চাঁদ দেখার সংবাদ গ্রহন করতে অসুবিধা কোথায়? ইন্টারনেট ও ওয়েব সাইটের তথ্য কেন আমরা গ্রহণ করবো না ?
যারা বিশ্বে একই দিনে বা বারে স্হানীয় সময় অনুযায়ী মুসলিম ধর্মীয় উৎসবাদি পালন করার জন্য কিছু প্রস্তাব :
ইসলাম বিশৃঙ্খলা ,অনৈক্য ও জগাখিচুরীপূর্ণ কোন মনগড়া ধর্ম নয়। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ও হিসাব নিকাশের বর্তমান উৎকর্ষের যুগে এসে প্রাচীন ও অদূরদর্শীতা প্রসূত পদ্ধতি আকড়ে থাকা হবে স্বল্প জ্ঞানের পরিচায়ক এবং সুসলিম বিশ্বের বৈষয়িক ও আধ্যত্নিক উন্নতির প্রতিবন্ধক।
উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের জন্য ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ , বুদ্ধিজীবী , আলেম সমাজ ও মুসলিম জন সাধারনের উদ্দেশ্য কিছু প্রস্তাব তুলে ধরছি :
১) মক্কা শরীফ মুসলিম বিশ্বের কেন্দ্র। মক্কা শরীফের কাবা ঘরকে কেন্দ্রে করে কিবলামুখ হয়ে বিশ্বের মুসলমান নরনারী সৃষ্টিকর্তার প্রতি সিজদায় নত হয়ে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে । তাছাড়া ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ হজ পালনের জন্য সার্মথবান মুসলিমরা মক্কা শরীফে উপস্হিত হয়। হজ ও নামাজের প্রধান উদ্দেশ্য সারা বিশ্বের মুসলিমদের একত্রিত করা একই মঞ্চে আনা, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। এজন্য ইসলামের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবাদি ও তারিখ সমূহ যেমনঃ ১ লা মহররম (হিজরী নববর্ষ) ,১০ই মহররম (আশুরা),১লা রমজান,দুই ঈদের দিন,লাইলাতুল বারায়াত,লাইলাতুল মেরজ এবং ঈদে মিলাদুন্নবী বা ১২ রবিউল আউয়াল প্রভৃতি ধর্মীয় উৎসবাদি একই দিনে আনার জন্য কাবাঘরকে কেন্দ্র করে হিজরী মাসের তারিখ নির্ণয় করে স্হানীয় সময় অনুযায়ী একই দিনে সুষ্ঠুভাবে পালন করার জন্য ইসলামী দেশসমূহের সংস্হা বা ওআইসি-র মাধ্যমে সার্বজনীন হিজরী সন গণনা কমিটি গঠণ করতে হবে । এই ক্ষেত্রে সৌদি আরবের তেরী করা উম্মুল কুরা ক্যালেন্ডারকে সামান্য পরিবর্তন করে গ্রহণ করতে হবে ।
বর্তমানে সৌদি আরবের মানদন্ড হলো : Conjunction before sunset of Makkah and moonset after sunset
( সংক্ষেপে : Ummul-Qura Calendar)
বর্তমানে সৌদি আরবের ক্যালেন্ডার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সামান্য সংশোধনী আনলে বিশ্বের সব দেশ একই বার ও তারিখে ঈদ করতে পারবে । এই ক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব হলো :
"If the moon is born before 12:00 Universal Time (UT) then somewhere in Polynesian Island at sunset, the age of the moon will be 18 hours and the month begins at sunset of that day everywhere in the world, otherwise the month begins on the next day's sunset everywhere. ”
( সংক্ষেপে : Conjunction before 12:00 UT )
আমরা কেন আধুনিক বিজ্ঞানময় পদ্ধতি ব্যবহার করবো :
১।রাসুল সা. - এর যুগে চশমা ছিল না , ঘড়ি ছিল না । যদি থাকতো এসব ব্যবহারের কথা হাদিসে থাকতো । তার মানে এই নয় এসব ব্যবহার করা যাবে না । আমরা ইসলাম প্রচার করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করি । ফেসবুক ব্যবহার করি । হাদিসে এসব ব্যবহার করার কথা নেই । তারপরও করি ।
আমরা বাংলাদেশি মুসলিমরাও সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ইউরোপ,রাশিয়া,তুরস্কের মুসলিমদের মতো দুরবীন ব্যবহার করে নতুন চাঁদ দেখতে পারি এবং এসব দেশের মুসলিমদের সাথে একই বার ও তারিখে রোজা ও ঈদ করতে পারি । এব্যাপারে আমাদের দুরবীন ব্যবহার করা বৃদ্ধি করতে হবে ও সরকারকে এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে । আলেম সমাজেকেও এব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে ।
২। ফিকহ শাস্ত্র মতে, মুসলিমদের সব কাজে হিজরী পঞ্জিকা ব্যবহার করা ফরজ । পঞ্জিকা শুদ্ধতম না হলে ইবাদত ও জাগতিক কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয় ।
জেনে শুনে ইংরেজী বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার এবং বঙ্গাব্দ বা অন্য কোন কুফরী ও শিরকী ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা ও অপরিহার্য ভাবা ও বাস্তব জীবনে ব্যবহার করা কবিরা গুনাহ ।
অনেকে এই বিষয়ের পক্ষে আমার কাছে কুরআন-হাদিস-ফিকহ হতে দলীল দাবি করতে পারেন । অবশ্যই আমার কাছে এসম্পর্কিত সব ধরনের দলীল-প্রমাণ-তথ্যাদি আছে ।
২) সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ১লা মহররমকে মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতি দিবস ঘোষনা দিতে হবে এবং বিশ্বব্যাপী হিজরী জাক-জমকের সাথে হিজরী নববর্ষ পালন করায় উদ্যোগী হতে হবে । এ উপলড়্গ্যে পত্র-পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ অনুষ্ঠান সমপ্রচার করতে হবে এবং দেশে দেশে রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। এদিন তরুণ সমাজের কাছে হিজরী সনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে ।
৩) তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির আটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং নলেজ বেইজ সিষ্টেম ব্যবহার করে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও ঘড়িতে ব্যবহারযোগ্য এমন এক কম্পিউটার প্রোগ্রাম বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মহলকে উদ্যোগী হতে হবে যা দিয়ে পরবর্তী হিজরী সনের তারিখ , দিন ও বার খ্রীষ্টাব্দ অনুযায়ী নির্ভুলভাবে জানাই যাবেনা, বরং এ প্রোগ্রাম দিয়ে একজন মুসলিম ছেলে জানতে পারবে কখন সে সাবালক প্রাপ্ত হলো ও কি তার করণীয় ? একজন মুসলিম মেয়ে কখন নারীত্ব প্রাপ্ত হলো ও কি তার করণীয় এবং একজন মুসলিম অন্তসত্ত্বা মা জানতে পারবে তার গর্ভস্হ সন্তানের বর্তমান অবস্হা ও তার কি করণীয় ইত্যাদি। এই বিষয়টা করা অপরিহার্য যা হাদিসে করার জন্য আমাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে ।
৪) হিজরী সনের মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধ করা হোক। কারণ মানুষের সাথে ভিত্তিক ক্যালেন্ডার জড়িত,সূর্য ভিত্তিক ক্যালেন্ডার ( ইংরেজী ও বাংলা ক্যালেন্ডার )নয়। তাছাড়া মুসলিমদের ধর্মীয় বিধি বিধান ফরজ হয় চন্দ্রকেন্দ্রিক ক্যালেন্ডার (হিজরী সন) দ্বারা।
উপসংহার :
মুসলিম বিশ্বের ঐক্য ও সংহতির স্বার্থে এবং ইবাদতগুলো যথাযাথভাবে করার জন্য সৌদি আরবের চলমান পঞ্জিকা ব্যবহার করার পাশাপাশি নতুন চাঁদ দেখার জন্য ”জাতীয় (!) চাঁদ (!) দেখা কমিটি “ - কে ও জনসাধারণকে দুরবীন ও রাডার ব্যবহার করায় যত্মবান হতে হবে । আর সৌদি আরবকেও তার পঞ্জিকায় সামান্য সংশোধনী আনতে হবে ।
এই লক্ষ্যে আলেম সমাজকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্যোতির্বিজ্ঞান ( Astronomy )-কে বহুল পঠিত বিষয়ে পরিনত করতে হবে ।
আশা করা যায় হিজরী সন গণনার ক্ষেত্রে এসব পদক্ষেপ নিলে সারা বিশ্বব্যাপী একই দিনে ইসলাম ধর্মীয় সব উৎসব ও পর্বাদি স্হানীয় সময় অনুযায়ী পালিত হবে, হিজরী সন সার্বজনীন হবে , হিজরী সন তার হারানো মর্যাদা ফিরে পাবে এবং মুসলিমদের ঐক্য সংহতি জোড়দার হওয়ার পাশাপাশি মুসলিম জাতির হজ অনুষ্ঠান পালন বা এসম্পর্কিত ইবাদত সমূহও যথাযথভাবে করা সম্ভব হবে ।
আরো জানার জন্য পড়ুন :
সারা বিশ্বে একই বার ও তারিখে রোজা ও ঈদ করার জন্য সৌদি আরবের ক্যালেন্ডার ব্যবহার করতে হবে
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67249
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবীন ।
বিষয়: বিবিধ
৩৩১৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Which make this post different than your previous posts.
আমি বাংলায় লিখেছি । আমি ইংরেজীতেও লেখালেখি করি । আমার ইংরেজী লেখায় ইংরেজী বাক্য লিখে মন্তব্য করুন । তাহলে আমি ইংরেজীতে উত্তর দিবো ।
আশা করি আমার নীতিমালাটা অনুসরণ করবেন ।
ভাই আপনি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন , যুক্তির নিরীখে আপনার উপস্থাপনায় যথেষ্ট মুন্সীয়ানার ছাপ রয়েছে । আপনার কাছ থেকে এই ধরনের গঠনমূলক লেখা আরো বেশী আশা করি , আমাদের ভেতর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে কিন্তু সেটা যেন উম্মাহর ভেতর ফিতনা সৃষ্টি না করে সেটা খেয়াল রাখা খুব জরুরী । আশা করি সমালোচনা ইতিবাচক ভাবে নিবেন বিকজ নান অফ আস আর পারফেক্ট ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন