নিকাব ও বোরকা পরা সেই প্রেমিকা ( ১ম পর্ব )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:২৫:১৩ রাত



পটভুমি : নিকাব ও বোরকা পোষাক দুইটি বড়ই রহস্যময় । ইদানিং বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে কিছু নিকাব পরা মেয়েদের নিয়ে শিক্ষাগুরুবৃন্দ মহাসমস্যায় নিপতিত হচ্ছেন । মানুষ গড়ার কারিগরবৃন্দ বলছেন : “মা জননি । তোমাদের মুখ খোল । আমরা তোমাদের দেখতে চাই । তোমরা আমাদের কথা বুঝো কি না - জানতে চাই । তোমাদের স্বতস্ফুর্ত ও প্রাণবন্ত অবস্হা দেখতে চাই । ”

কিন্তু তাদের এই সরল কথার জবাব হচ্ছে, ”বাংলাদেশের সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ দেখিয়ে তোমাদের জেলের ভাত খাওয়াবো ” ।

তার উপর বোরকা আর নিকাব প্রেমিক মুসলিম ভাইয়েরা জিহাদ ঘোষনা করে শিক্ষাগুরুদের কল্লা ফেলে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । এই লক্ষ্যে তারা ফেসবুক আর ব্লগ সাইটগুলোতেও জিহাদী জোস প্রদর্শণ করে যাচ্ছেন ।

তবে আমি এক অধম ও সাবেক শিক্ষক মহোদয় - কোন এক কলেজে পড়ানোর সময় নিকাবের বিরোদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছিলাম । সবাই অবাক । ইসলামকে শেষ করে দিচ্ছি । পর্দাকে শেষ করে দিচ্ছি ।



তারপরও দাবি করতাম , আমি ইসলাম ও মুসলমানদের রক্ষার অগ্রগামী সেনাপতি । প্রথমে সেই জিহাদে কাউকে পাইনি । আজ মনে হয়, সেই সময়ের সবাই আমার সাথে আছেন ।

কিন্তু সে সব শিক্ষক মহোদয়গণ কেন পেরে উঠছেন না - এই সব ফ্যানাটিকদের সাথে ? কারণ একটাই - তারা তাদের কথাগুলো যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারছেন না ! তারা কি তাহলে স্নেহ-মায়া-মমতা দিয়ে তাদের কথাগুলো বলতে পারছেন না ? হয়ত তাদের প্রতিপক্ষা ভাবছেন বা প্রতিপক্ষ ভেবে খাটো করারও চেষ্টা করছেন কি ?

তাহলে কেন তারা তাদের নিকাব ও বোরকা পড়া শিষ্যদের নব জন্ম বা দ্বিতীয় বার জন্ম দিতে পারছেন না !

তারা ভুলে যাচ্ছেন, বাবা-মা ছেলে মেয়ে জন্ম দেন । তার সাথে তারা কিছু খারাপ জিনিসও তাদের শেখান । শিক্ষাগুরুরা তাদের দ্বিতীয় বার জন্ম দেন ও সেসব খারাপ দিক দুর করে তাদের পুনর্জন্ম দেন ।

মূল গল্প :

[ গল্প বলা যাবে কি না - জানি । আমার কাছে গল্প । তবে শুধু গল্প নয় মনোবৈজ্ঞানিক গল্প । হয়ত এটা উপন্যাসে রূপ নিতে পারে । মনোবৈজ্ঞানিক গল্প লিখেন শুধুমাত্র ডা মোহিত কামাল । আমি তার অনুকরণ চেষ্টা করবো মাত্র । গল্পের সব চরিত্র আমাদের সমাজেরই আপনজন । আশা করি সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । আমি কাউকে শত্রু মনে করি না । সমাজের কদর্য দিক তুলে ধরার স্বার্থেই ও সমাজকে সচেতন করার স্বার্থেই লেখালেখি করি । ]

ফৌজিয়া রেজা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজী বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স করেছেন । তার বাবা রেজাউল হক জামাতের শুরা সদস্য । সাংগঠনিক কারণে অবস্হান করছেন সৌদি আরবে । তার অনেক টাকা পয়সা । অনেক প্রভাব । বাবার কারণে মেয়েও বাবার আদর্শের পথিক । ফৌজিয়া ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী ছাত্রীসংস্থার নেত্রী। ইসলামী ছাত্রী সংস্হার ড্রেস কোড বোরকা ও নিকাব । নিকাব দিয়ে মুখ সব সময় ঢেকে রাখাই এই সংগঠণের কর্মীদের অন্যতম কোড অব কন্ডাক্ট । ফৌজিয়া নিজেও এই নিয়ম মেনে চলেন । তিনি এই নিয়ম বাংলাদেশের সাধারণ মেয়েরা অনুসরণ করুক - তাই চান । কারণ এই নিয়মের অনেক উপকারী দিকের কথা তার শীর্ষগুরু সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদী পর্দা ও ইসলাম নামক বিশাল একটা গ্রন্হে উল্লেখ করেছেন । নেতার আনুগত্য করা ফরজ । তাই তিনি এই কথাকে বেদ বাক্য হিসেবে মানেন ।



ফৌজিয়া রেজা ফেসবুকে লেখা পড়ে ২০১২ খোমেনী ইহসানের প্রেমে পড়েন। ( প্রেমে যে কেহ পড়তে পারে । এর কারণ পরবর্তীতে মনোবিজ্ঞান ও যৌনবিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্য করা হবে । ) ।

খোমেনী ইহসানের খুব নাম ডাক । তিনি কলা ভবনে দাপিয়ে বেড়ান । আরেফীন সিদ্দিকের মতো শিক্ষকরাও পর্যন্ত তার কর্মকান্ডে থর থর করে কাপে । রুবাইয়াত ফেরদৌসকে পর্যন্ত এক হাত দেখাতে ছাড়েন না । মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দীনের মতো জাদরেল লোকদের ঘুম হারাম তো করেছেনই । তার উপর বাম-ডান সব কিছিমের আতেলকে এক জায়গায় করে ক্যান্টনমেন্টের আংকেলদের এক হাত দেখান । এসব আংকেলদের গাড়িও নাকি তার আতেল বাহিনী জ্বালিয়ে দেয় । সুতরাং এজন্য কিছু দিন লাল দালানের ভাত খেয়ে আসলেন । আরো যে কিছু খেয়ে আসলেন কি না - তা হয়তো আমরা জানি না ।

ওমা ! শোনা যায় খোমেনী ইহসান নামটা নাকি তার আসল নাম নয় । তার আসল নাম গোলাম আজম । সে তো ভাষা সৈনিক । যুগ শ্রেষ্ঠ ইসলামী চিন্তাবিদের নাম । সুতরাং প্রেমিক প্রবর হিসেবে ফৌজিয়ার কাছে এক নম্বর না হয়ে তো থাকার কথা নয় ।

ফৌজিয়া নতুন গোলাম আজমকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন । অথচ পড়েন কি না ফাস্ট ইয়ারে । পড়াশোনায় তুখোড় । বেগানা পুরুষ নিয়ে ভাবনার পরও তিনি পড়াশোনায় ইতি ঘটেনি ।

তার উপর পড়েন ইংরেজী সাহিত্যে । সাহিত্যের প্রতিটা লাইনে লাইনে থাকে প্রেম । যেমন : https://en.wikipedia.org/wiki/Phaedra_%28Seneca%29

গ্রীক নাট্যকার সেনেকার বিয়োগাত্মক নাটক ফেইড্রা-য় এতটাই প্রেমময় যে যৌবনবতী সৎ মা তার সমবয়সী সৎ ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খায় ও ছেলের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হয় । এদিকে স্বামীপ্রবর বিষয়টি বুঝতে জানার পর পরলোকে চলে যান । অপর দিকে স্ত্রীও এই প্রেমলীলা করার পরও স্বামীকে ভালবাসতেন । কিন্তু স্বামীর ছিল না তাকে তৃপ্ত করার মতো সেক্স পাওয়ার । দু:ক্ষিত হয়ে তিনিও পরলোক গমণ করেন ।

এই গল্প নাকি সেনেকান ট্রেজিডি । বিয়োগাত্মক সাহিত্যে এটা নাকি আদর্শ !!!





কি সুন্দর রোমান্টিক গল্প !!!! ইংরেজী সাহিত্য পড়া ছাওয়াল-পাওয়ালরা এই কথা লিখে পরীক্ষায় পাশ করে আসেন । তবে তারা পরীক্ষার খাতায় এসব ট্রেজিডি লিখেন এক কালের কুফরী ভাষা যা শিখলে ঈমানহারা হতো সেই ইংরেজদের ইংরেজী ভাষায় । লেখক নিজেও কিছু দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্য পড়েছেন কি না - তাই ইংরেজী সাহিত্য পড়নেওয়ালা ছাওয়াল-পাওয়ালদের খবর সামান্য হলেও জানেন । এসব গল্প পড়ে নিকাবী কি আর হিজাবীই কি , আর দাঁড়িওয়ালা তাবলীগি হুজুর-ই বা কি - সবার মধ্যে প্রেমভাব জাগ্রত হয় আধ - একটু । তবে আল্লাহর হাজার শোকর, আমি অধম কখনোই প্রেম নিয়ে তাড়িত হইনি । ( তার মনোবৈজ্ঞানিক ও আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা পরবর্তীতে দিবো । )



এরপর ২০১২ সালের ২৮ জানুয়ারি তিনি খোমেনীর তৎকালীন কর্মস্থল আমার দেশ অফিসে চলে আসেন এবং খোমেনীকে বিয়ে করার প্রস্তাব করেন। এরপর তারা সার্কিট হাউজ মসজিদের ইমামের হাতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে তারা বিয়ের রেজিস্ট্রি করেননি। ( অদ্ভুত ব্যাপার । বিষয়টা কেন অদ্ভুত তা পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করা হবে । )






https://www.facebook.com/hannan.gazi/videos/vb.100001829552720/770107566393555/?type=2&theater (দয়া করে ফেসবুকের এই ভিডিওটা সবাই দেখুন । আশা করি আপনাদের উপকারই হবে । )

তারা প্রায় একবছর সুখে সংসার করেন। (বাবা-মার অগোচড়ে কোন নিকাবী মেয়ে বিয়ে করতে পারে - তা অবশ্যই বিস্ময়ে হতবাক হওয়ার মতো ঘটনা । উপরন্তু সহীহ ইসলাম অনুযায়ী মেয়ের অভিভাবক ছাড়া বিয়ে বাতিল বলে গণ্য । তার উপর সুখের সংসার করা । একে কি বলা যায় ???? !!!!! )

ওই সময় সাংবাদিক মহল ও ঢাকা শহরে তাদের বিয়েটি বেশ আলোচিত হয়। (হবেই তো । হওয়া মতো ঘটনা না । )

তবে এ বিয়ে প্রথম থেকেই মেনে নেয়নি কোনো পরিবার। (দুই পরিবারই জামায়াতে ইসলামী পরিবার । তফাৎ এক পক্ষ ধনী । আরেক পক্ষ - নাই বা বল্লাম । এখানেই এই অধম নির্বাক । ইসলামের ধনী-গরীবের ব্যবধান নাই । তাকওয়া বা আল্লাহভীরুতা বড় - এই থিউরীর প্রয়োগহীনতা তাহলে কোথায় বেশী প্রবল - বার বার শুধু এই অধমের মনে ঘুর পাক খায় । )

এক পর্যায়ে খোমেনী ইহসানের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে খোমেনী ইহসানের পরিবার বিয়ে মেনে নেন। এরপর ফৌজিয়া খোমেনীর মিরপুরের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। (খোমেনীর মার সাহস আছে বলে মনে হয় । এই মাইয়া রে ঘরে জায়গা দিলে কি হবে তা তিনি ভাল করে যেনেই ছেলের প্রেম দিয়ানা ভাব দেখে মেনে নেন । এই দিকটির মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পরবর্তীতে জানিয়ে দিবো ইনশাআল্লাহ । )

পড়া-শুনা শেষ হয়নি বলে ফৌজিয়া তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। ( খোড়া যুক্তি !!! তার ব্যাখ্যাও পরবর্তীতে দেওয়া হবে । এতে বাংলাদেশি সাধারণ মেয়েদের এবং নিকাব ও বোরকা পরা মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি উঠে আসবে । বাংলাদেশের সাধারণ মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি ও নিকাব ও বোরকা পরা মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা । বলতে গেলে নিকাব ও বোরকা পরা মেয়েরা ভিন্ন গ্রহের প্রাণী । )



বিষয়: বিবিধ

৫৩১৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

342150
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪৬
অয়েজ কুরুনী আল বিরুনী লিখেছেন : জলদি জলদি গরমাগরম দেন। ঘটনা আগেও অল্প সল্প কিছু শুনেছিলাম। বাকিটা শুনতে চাই
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৫৬
283568
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি কি শুনছেন - তা আমি জানি না । আমি যা তথ্য পেয়েছি তার উপর নির্ভর করেই লিখছি ও লিখে যাবে । কারণ আমাকে লেখার জন্য কেহ সাহায্য করবে না - আমি নিশ্চিত । তবে আপনি যদি আমার এই লেখাকে সমৃদ্ধ করতে সহায়তা করতে চান , তাহলে আমার ফেসবুক আইডি : https://www.facebook.com/fakhrul78 বার্তা পাঠাতে পারেন ।


সাথে থাকুন । আর দুয়া করুন । যাতে লিখে যেতে পারি ।

342167
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২১
বেদনা মধুর লিখেছেন : কোরানে বলা হয়েছে মেয়েরা তাদের সৌন্দর্য ঢেকে রাখবে। আর ফখরুল বলছে মুখ ঢাকতে হবে না শুধু দুধ ঢাকলেই হবে। যাতে একটু দেখা যায় আর কি?
তো মেয়েদের সৌন্দর্য কি শুধু দুধে থাকে? নাকি তাদের মুখই বেশি সুন্দর?
হ্যাঁ মুখ বেশি সুন্দর, তাই মুখ ঢাকতে হবে। প্রয়োজনের সময় তা খোলা যেতে পারে।।
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:০৯
283927
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : নেকাবের পক্ষে একটি শক্তিশালী যুক্তি হল "মেয়ের চেহারা দেখে একজন পুরুষের মনে ফেতনা তৈরী হয়"।


আমি তাকে ও আরো যারা নেকাবের সমর্থক তাদের সবিনয়ে প্রশ্ন রাখতে চাই...

আরে ভাইয়েরা চেহারা দেখে যদি আপনার মনে ফেতনা তৈরী হয় সে ফেতনা বন্ধ করার দায়িত্ব মেয়েরা নেবে কেন? আপনার তাকওয়া কোথায় গেল? আপনার মনের র্পদা কোথায় গেল?
আপনার ইসলাম প্র্যাকটিস কোথায় গেল?
আপনি চক্ষু অবনমন করলেই হয়।আপনার দায়িত্ব হল চক্ষু অবনমন করা।

কুরআন হাদীস কিন্তু আপনার পর্দা রক্ষা করার দায়িত্ব , আপনার মনের ফেতনা দুরীকরনের দায়িত্ব মেয়েদেরকে দেয়নি। আপনার আমলের দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।




একটি মেয়ে যদি বলে "পুরুষের চেহারা দেখে ওর সমস্যা হয় । তাহলে পুরুষরা কি নেকাব পড়বে।"?

নেকাব যদি পড়তেই হয় "আমার মনে হয় পুরুষ মহিলা দুই প্রজাতিকেই নেকাব পড়া উচিত। "





আপনি যদি ইসলামের দায়ী হয়ে থাকেন আর দাওয়াতের ময়দানে সফল হওয়ার জন্য আপনার মধ্যে যদি পেরেশানী কাজ করে তাহলে জমীনের চিত্র আপনার কাছে পরিষ্কার। যাদের ইসলাম নিয়ে পেরেশানী সীমাবদ্ধ আছে শুধু ঘর আর ওয়াজ মাহফিলে অথবা মাদরাসার চারদেয়ালের ভিতরে সিলেবাসভূক্ত বই পড়ার মধ্যে তাদের চিন্তা , লেখা, কথাবার্তায় ইসলামের কাজের টেকনিক ফুটে না উঠে আবেগ , পুরানো ফতোয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি , কট্টরতা ফুটে উঠা খুবই স্বাভাবিক। যাদের সাথে সাধারন মানুষের ডিলিংস নেই , বিরোধী মতের ব্লগে বা পাড়ায় আনাগোনা নেই , ইসলাম বিরোধীদের টেকনিক নিয়ে যাদের এনালাইসিস নেই তাদের দাওয়াতী টেকনিক অপরিপক্কতায় ও বালখিল্যতায় ভরপুর হবে এটাও খুব স্বাভাবিক।

একজন মা যেভাবে তার ছোট শিশু সন্তানের কান্নার সময় তার চরিত্র ও অবয়ব পরিবর্তন করে শিশুটির কান্না বন্ধ করার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান ঠিক তেমনি আল্লাহর জমীনে আল্লাহর পথের দায়ীদের দাওয়াতী টেকনিকে ময়দান উপযোগী কথাবার্তা , চিন্তাভাবনা , কৌশল এর ছোয়া পাওয়া যাওয়ার কথা। যদি মা ও শিশুর সম্পর্ক খুব ভাল হয় তবে মা জেনে যায় শিশুর চাহিদা ঠিক তেমনি দাওয়াতের ময়দানের সাথে যদি দায়ীর সম্পর্ক গভীর হয় দায়ী অটোমেটিক জেনে যায় "হোয়াট টু ডু " কি করা উচিত ।

ফসলের জমীর কৃষক যেভাবে তার ফসল ভালবাসে , জমীর ফসলের খোজখবর নিয়মিত নেয় ও সমস্যা সমাধানের জোর তৎপরতা চালায় ঠিক তেমনি আল্লাহর দ্বীনের দায়ীদের চিন্তাভাবনাও ময়দানের সমস্যা সমাধানের নিমিত্ত হওয়ার কথা।

ব্যতিক্রম মানেই তার সাথে দাওয়াতের ময়দানের সম্পর্ক নেই।


এই মূহুর্তে সকল ইসলামপন্থীদের আহবান জানাই একটি সার্ভে কার্যক্রম হাতে নেয়ার জন্য ।

১.তাদের জানা দরকার কেন এদেশের নারীরা এদেশে ইসলামী দল ক্ষমতায় যাক তা চায় না?
২. বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা থেকে ক্যাম্পাসগুলোতে তরুনীরা পালিয়ে বেড়ায় কেন?

আমার মনে হয় কয়েকটি উত্তর পাওয়া যাবে।
১. ওরা সবাইকে বোরকা আর নেকাব পড়তে বলবে।
২. মহিলাদের ঘর থেকে বের হতে দিবেনা।
৩. মহিলাদের চাকরী করতে দিবেনা।
৪. মহিলাদের প্রেম - বিয়েতে বাধা হয়ে দাড়াবে।
৫. মহিলাদের সাজতে দিবেনা।
৬. বেড়ানো বন্ধ করে দিবে।
৭. পর্দার একটু খেলাপ দেখলেই প্রস্তর আঘাতে হত্যা করা হবে।
৯. বাড়ির মধ্যে নাটক সিনেমা দেখা বন্ধ করে দিয়ে বিনোদনের সুযোগ থেকে মহিলাদের বঞ্চিত করা হবে।
১০.অপচয় অপচয় চিৎকার চেচামেচি করতে করতে মহিলাদের গিফট পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
১১. সামগ্রিক ভাবে মহিলাদের আনন্দ কেড়ে নিবে।
১২. মহিলাদের সার্বক্ষনিক বকা ঝকা করা হবে।

এভাবে আরো অনেক কথা বের হয়ে আসবে। যেটি সবার কাছ থেকে আসবে সেটি হল নেকাব।এদেশের আধুনিক সমাজ প্রচন্ড পরিমানে নেকাবের ব্যাপারে ভীত। আধুনিক তরুনীরা নেকাবকে ফাসিঁর মত ভয় করে। স্পেশালী তরুনীরা। এদেশের ইসলামপন্থীরা মেয়েদের ইসলাম মানে বোরকা আর নেকাবে সীমাবদ্ধ এমন একটি মেসেজ জনগনকে দিয়ে রেখেছে বা জনগনের মাঝে এই চিন্তা দুরীকরনে বড় ধরনের কোন উদ্যেগ নেয়নি।

এদেশে ইসলাম আসলে সবচেয়ে সুবিধা নারী সমাজের এই কথাটি কি আমরা নারী সমাজকে বুঝাতে পেরেছি?


ইসলামী সমাজে নারী সমাজের কি অবস্থান লক্ষ্য করুন

১. আলজান্নাতু তাহতা আকদামিল উম্মেহাত। মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেস্ত। সুতরাং বেহেশত পেতে হলে সন্তানকে সার্বক্ষনিক তার মায়ের তোষামোদি আর সেবাতে ব্যস্ত থাকতে হবে।
২. খিয়ারুকুম ফি নিসাইকুম । তোমাদের মধ্য সে ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট ভাল ।সুতরাং স্ত্রীর নিকট ভাল থাকতে হলে স্বামীকে অবশ্যই কামিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর স্ত্রীর সন্তুষ্টির দিকে নজর রাখতে হবে।
৩. তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যার প্রথম সন্তান মেয়ে। আলহাদীস
৪. ভাইদেরকে অবশ্যই তার বোনের পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে দিতে হবে।
৫. পর্দা পালনের স্বার্থে যুবকদেরকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে তরুনীদের মনোরঞ্জন করতে হবে।
৬.রাসুলের অনুকরনে স্ত্রীদেরকে সফর সঙ্গী করতে হবে মানে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে।
৭. রাসুল সা: মেয়েদেরকে সাজুগোজু করতে আর হাতে মেহেদী লাগাতে উৎসাহিত করেছেন।
৮. পানজেগানা নামাজ মসজিদে পড়তে আর ঈদের নামাজে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
৯. মেয়েদের জন্য প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কারন স্কুল কলেজে ইন্টার পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী আলাদা করলে তাদের জন্য প্রচুর মহিলা টিচারের দরকার হবে। এভাবে প্রত্যেক ক্ষেত্রে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরী হবে। এভাবে ব্যবসা বানিজ্য , পুলিশ সেনাবাহিনী সহ অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের ৩০% কোটার চেয়েও বেশী চাকরীর সুযোগ তৈরী হবে।
১০. ইসলামী সমাজে পুরুষদের চক্ষু অবনত করার ব্যাপারে মোটিভেশন থাকার কারনে মেয়েরা সোশ্যাল সিকিউরিটি পাবে।
১১. আত্বরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং পাবে।
১২. আর্থিক নিরাপত্তা পাবে।
১৩. বিধবা ভাতা , বয়স্ক ভাতা , মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবে।
এভাবে বিস্তর সুবিধার কথা বলা যাবে।


যাদের সুবিধা আর কল্যানের জন্য আপনি ইসলাম কায়েম করতে চান সেই নারীরা আপনাকে তাদের জীবনের চরম শত্রু ভাবছে কেন?

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকগুলো কারনের মধ্যে নেকাব ভীতি অন্যতম।

--- আমার এই মন্তব্যের উত্তরটা লেখার জন্য ফেসবুক ব্লগ সাইট হতে প্রাপ্ত লোকমান বিন ইউসুপের কিছু লেখার সাহায্য নিয়েছি । আপনি আরো জানার জন্য এই লেখাটা দেখতে পারেন : http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_2270.html
342223
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০২
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : বিক্ষিপ্ত ঘটনা তো কোনদিন উদাহরণ হতে পারেনা। যদি এই রোগ প্রায় সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সেটা উদাহরণ হত। যেমন পাখির নামের উদাহরণ দিতে বলা হলে, যদি উত্তরের বলা হয় 'কাক'! তাহলে যুতসই উদারহন হল না।

যাক, খারাপ সর্বদা খারাপই। দেখতে হবে, ভালোর জন্য প্রচেষ্টা হচ্ছে কিনা, বলা হচ্ছে কিনা, দাবী করা হচ্ছে কিনা, চেষ্টা করা হচ্ছে কিনা। যদি উত্তর হয়ের পক্ষে থাকে, তাহলে মুষ্টিমেয় বিচ্ছুত ব্যক্তির উদাহরন চলেনা।

খোদ রাসুল (সাঃ) সাথে চলত, মানত, কথা বলত এমন অনেক ব্যক্তিরাও পথ ভ্রষ্ট ছিল। তাই বলে রাসুলের (সাঃ) মিশনকে তো ভুল বলা যায় না। অনেক ধন্যবাদ
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৪১
283925
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এটা কোন বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয় । ছাত্রী সংস্হার মেয়েরা ভীষণ খারাপ যা বর্তমানে প্রকাশ হচ্ছে । উপরন্তু জামায়াত-শিবিরের মধ্যে এমন ঘটনার বিস্তার লাভ করছে । তার সামান্য প্রকাশ হয় ।

এই লেখাটা শেষ হয়নি । গল্পটার চরিত্ররা বাস্তবে উপস্হিত । আমি তাদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেই লিখছি ও লিখে যাবো ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File