মেয়েদের সাইকেল চালানো, মার্শাল আর্ট শেখা ও নিয়মিত সাঁতার অনুশীলন করা সোয়াবের কাজ ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:০৬:৪১ রাত
মেয়েদের সাইকেল চালানো, মার্শাল আর্ট শেখা ও নিয়মিত সাঁতার অনুশীলন করা সোয়াবের কাজ । আর এসব কাজে মেয়েদের যারা উৎসাহ অণুপ্রেরণা দিবে তাদেরও সোয়াব হবে । - আমি এই বিষয়ে কুরআন ও হাদিসের আলোকে এক মিলাদ মাহফিলের আগে আলোচনা করলাম । কারণ আমি মিলাদ মাহফিলে আসার আগে ঢাকার মিরপুর ১০ নং গোলচত্তরে বেশ কিছু হিজাবি আপুকে সাইকেল চালাতে দেখলাম ।
হিজাবি আপু বলতে বোঝাচ্ছি, মুখ খোলা কিন্তু শালীনভাবে ঢিলা পোষাক পরিধান করে ওড়না দিয়ে মাথা,পিঠ ও বুক সম্পূর্ণভাবে ঢেকে চলাফেরা করা আপু ।
ট্রাফিক পুলিশরাও তাদের দিকে বিস্ময়ের নজরে তাকাচ্ছিলো । বাংলাদেশে মেয়েদের এভাবে সাইকেল চালাতে দেখা যায় না ।
অদুর ভবিষ্যতে আমি হিজাবী সাইকেল চালকদের নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করবো ইনশাআল্লাহ । কারণ আমাদের সমাজকে স্বাস্হ্য সচেতন ও অগ্রসর করার জন্য এমন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা সময়ের দাবি ।
ভারতে আমি মেয়েদের সাইকেল চালাতে দেখেছি । তাদের বেশীর ভাগই সাইকেল চালানোর সময় ওড়না ব্যবহার করে না । তাদের দিকে ছেলেরা ফিরেও তাকায় না ।
ইরানের মেয়েরা শুধু সাইকেলই নয় তারা সমুদ্রে সার্ফিংও পর্যন্ত করে । তারা সমুদ্র বড় বড় ঢেউকে অগ্রাজ্য করে সমুদ্রের পানিতে সার্ফিং করে ।
মুসলিম বিশ্বে ইরানী মেয়েরা সব ক্ষেত্রে সম্পৃত্ত । আজব হলেও সত্যি, সৌদি আরবে মেয়েরা গাড়ি চালানো তো দুরে থাক, নিজের একান্ত প্রয়োজনেও বাবা-স্বামী-ভাই ছাড়া ঘর হতে বের হতে পারে না । আমাদের বাংলাদেশেও সৌদি আরবের এমন নিয়ম প্রবর্তন করতে চায় আহলে হাদিস সম্প্রদায় ও জামায়াতে ইসলামীর লোকরা । এরা বাংলাদেশের মেয়েদের প্রধান শত্রু ।
https://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales?ref=hl
সাঁতার না জানার কারণে পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবে মেধাবী তিন বোন মারা যায় । অথচ তারা ছিল ধার্মীক । ইসলামে ছেলে-মেয়ে সবার সাঁতার শেখা, তীর-ধনুক চালনা শেখা ও আত্মরক্ষা কৌশল শেখা সুন্নাত । অথচ আমরা ধার্মীকরা এসব গুরুত্ব দেই না । ছেলে-মেয়েদের এসব কাজ শেখা হতে দুরে রাখি ।
সাইকেল চালানো মেয়েদের কাজ :
সাইকেল চালানো মেয়েদের কাজ । কারণ -
১। দিন দিন মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানবাহন। কিন্তু পরিবেশ-বান্ধব যানবাহন খুঁজে পাওয়া দায়। ট্রাকের কালো ধোয়া, মটর বাইকের কালো ধোয়া,বাসের কালো ধোয়ায় রাজধানীর পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। শুধু কালো ধোঁয়া নয় যানজট সমস্যাও অন্যতম প্রধান সমস্যা।
২। মেয়েদের জন্য আলাদা যান-বাহনের ব্যবস্হা নেই ।
৩। একজন অসুস্থ রোগীকে নিয়ে সঠিক সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানো যাবে কিনা এই প্রশ্ন আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। এই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম উপায় সাইক্লিং। সাইকেল চালানোর মাধ্যমেই আমরা তীব্র যানজট এবং পরিবেশ বিপর্যয়কে রক্ষা করতে পারি।
৪। সাইক্লিংয়ের এই পরিবেশ বান্ধব ।
৫ । শরীর ও স্বাস্হ্য ভাল রাখার জন্য সাইকেল চালানো গুরুত্বপূর্ণ ।
সাইকেল চালনায় বিশেষ করে ঢালু জমিতে যদি সাইকেল চালানো হয় তাহলে তা পেশী গঠনে সাহায্য করে। পায়ের বড় ও ছোট দুই রকমের পেশীই সাইকেল চালালে শক্তিশালী হয়। মেরুদণ্ডের হাড় ও পিঠের মাংসপেশী গঠনের ক্ষেত্রেও সাইকেলের ভূমিকা অনসীকার্য।
৬। কম ওজন ধরে রাখার জন্য সাইকেল চালানোর প্রয়োজনীয়তা অসীম ।
অনেকে খুব কম সময়ে বেশি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারে। কিন্তু কয়দিন পরেই দেখা যায় তা আবার বেড়ে আগের জায়গায় চলে আসে বা আগের তুলনায়ও বেড়ে যায় দ্বিগুণ হয়ে। সাধারণত ৩৫০০ক্যালোরিকে ১ পাউন্ড ধরা হয়। আর আপনি যদি ১ পাউন্ড ওজন এক সপ্তাহে কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা সাইকেল চালালে আপনার খরচ হবে ৫০০ ক্যালোরি আর পুরো সপ্তাহ শেষে তা যেয়ে দাঁড়াবে ১ পাউন্ডের হিসাবে। আর শুধু এটা ওজন কমিয়েই আনবে না, এই ওজনটা ধরেও রাখবে আর বাড়তে দেবে না।
সাইকেল চালানোর উপর জনপ্রিয় মুভি :
স্কুলগামী স্বাধীনচেতা, সপ্নবিলাসী এক বালিকা, ওয়াজদা। বন্ধু আব্দুল্লাহকে সাইকেল রেসে হারানোর জন্য সবুজ রঙের সাইকেল পছন্দ করে আসে দোকানে। কিন্তু সেখানে যে মেয়েদের সাইকেল চালানো নিষিদ্ধ! কিন্তু ওয়াজদা থেমে থাকে না, টাকা জমানোর বিভিন্ন বুদ্ধি করে এগিয়ে চলে। ক্যাশ প্রাইজের কথা শুনে নাম দেয় স্কুলের প্রতিযোগিতাতেও।
শেষপর্যন্ত কি হয়? দেখে ফেলুন IMDB রেটিং ৭.৭ পাওয়া ২০১২ সালের 'Wadjda' মুভিটি।
সৌদি আরবের ওয়াজদা আর তার মায়ের জীবন টাকে খুব সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী করে সাজিয়েছেন 'হাইফা-আল-মনসুর' , প্রথম সৌদি-আরবিয়ান নারী পরিচালক।
Torrent link: http://kickass.to/wadjda-2012-1080p-bluray-x264-anoxmous-t8754092.html
IMDB: http://www.imdb.com/title/tt2258858/
Wiki: http://en.wikipedia.org/wiki/Wadjda
( ১৮ সেপেটম্বর বিশ্ব সাইকেল চালানো দিবস । এদিবসটি সামনে রেখে লেখাটা লেখা শুরু করলাম । )
চলবে ....
বিষয়: বিবিধ
৩৫৪৭ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/29817#.Vfb7JX1PjxI
সাঁতার কাটা আর মার্শাল আর্ট বা কুংফু-কারাতে শেখার কথাও তো লিখেছি । এগুলো শেখাও সোয়াবের কাজ । এসব শিখলে ও চর্চা করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে ও দুনিয়ার কল্যান লাভ হবে ।
সন্ত্রাসী কাজ করা আর জান-মালের ক্ষতি করার কথা কুরআন-হাদিসের কোথায় আছে ?
অভদ্র আচরণ করার কথা কুরআন হাদিসের কোথায় আছে ?
বাংলাদেশের সাধারণ মেয়েরা কি এমন অভদ্র আচরণ করে ?
আশা করি উত্তর দিবেন ।
এসব সন্ত্রাসী মহিলারা সমাজ-দেশ ও মুসলিম জাতির জন্য কি করেছে ?
আমার মতে তারা কোনক্রমেই আদর্শ মা হতে পারে না । তারা আদর্শ বোনও হতে পারে না । তারা বড় জোড় সন্ত্রাসী হতে পারে ।
আশা করি উত্তর দিবেন ।
২. আপনার মত ইসলামের নামে অপব্যখা কারীদের কেন ঝাড়ু দেখানো যাবে না তা কোরআন ও হাদীস থেকে দলিল দিন।
৩.নিকাব সন্ত্রাশীদের পোষাক একথা বললে কেন কটু কথা শুনবেন না তার দলিল দিন কোরআন ও হাদীস থেকে.
৪. আপনাকে কেন ঝাড়ু পিটা করা হবে না তা কোরাআন ও হদীস থেকে দলিল দিন। সরাসরি দলিল কোন ব্যাখা নয়।
আশাকরি উত্তর দিবেন তবে শর্ত হচ্ছে ব্যাখা ছাড় সরাসরি কোরআনের আয়াত বা হাদীস দিয়ে।
১. কোরআন ও হাদীস থেকে ব্যাখ্যা ছাড়া দলিল দিন যে সাইকেল চালানো, কুংফু শেখা, এগুলো সওয়াবের কাজ?
উত্তর : সাইকেলিং,সাঁতার, ঘোড়া ব্যবহার ও কুংফু এগুলো আত্মরক্ষা কৌশলের অন্তর্ভুক্ত ।
১।হযরত উমর (রা) বলেছেন :
তোমাদের সন্তানদের সাঁতার কাটা ও তীর নিক্ষেপণ শিক্ষা দাও। ঘোড়ার পীঠে লস্ফ দিয়ে উঠে শক্ত হয়ে বসতেও তাদের অভ্যস্ত কর। (মুসলিম)
২। হযরত ইবনে আব্বাস (রা)হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা) বলেন, মুমিনের শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাঁতার কাটা। (মুসলিম ও মুসনদে আহমদ)
৩।আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে, “নবী করিম (সা) রোকনা পাহ্লোয়ানকে কুস্তিতে ধরাশায়ী করেছিলেন।”
৪। “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভাল কাজ ও পরহেযগারীর মধ্যে সাহায্য কর, পাপ ও শত্রুতার মধ্যে সাহায্য কর না। (এ বিষয়) তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তিদাতা।” (সূরা মায়িদা-
২. আপনার মত ইসলামের নামে অপব্যখা কারীদের কেন ঝাড়ু দেখানো যাবে না তা কোরআন ও হাদীস থেকে দলিল দিন।
উত্তর : আমি ইসলামের অপব্যাখ্যা করছি না । জামায়াত-শিবিরের লোকরা করছে । তারা সাইদীকে চাঁদে দেখার কথা বলে ধ্বংসাত্মক কাজ করেছিলো । তারা সাইদীর জন্য কাবা শরীফে মানব বন্দনের মিথ্যা কথা প্রচার করেছিলো । জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী ও মিথ্যাবাদী । উপরন্তু তারা কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যাকারী ।
৩.নিকাব সন্ত্রাশীদের পোষাক একথা বললে কেন কটু কথা শুনবেন না তার দলিল দিন ।
উত্তর : আমি বলছি না । বাস্তবে দেখছি, সন্ত্রাসীরা নিকাব পরছে । নিকাব ব্যবহার করে সন্ত্রাস করছে ।
৪. আপনাকে কেন ঝাড়ু পিটা করা হবে না তা কোরাআন ও হদীস থেকে দলিল দিন।
উত্তর : আমাকে ঝাড়ু পিটা করার কথা কুরআন হাদিসে বলা নেই । কারণ আমি সন্ত্রাসী না । জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী ও খুনি । তাদের হত্যা করার কথা কুরআন ও হাদিসে আছে ।
এই ছবির মেয়েদের কাজগুলো সোয়াবের কাজ যদি মনে থাকেন, তাহলে কুরআন ও হাদিস হতে প্রমাণ উপস্হাপন করুন ।
আমার কোন শত্রু নেই । আমি কাউকে শত্রু মনে করি না ।
ব্লগ সাইটগুলোতে ও নেটে আমার কিছু শত্রু তেরী হয়েছে । শত্রু তেরী হয়েছে বলতে বাধ্য হয়েছি । আমার লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গি কিছু লোক পছন্দ করে না । তারা আমাকে হত্যা করতে চায় । তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :
১। জামায়াত-শিবির
২। আহলে হাদিস
৩। সৌদি আরব ও তাদের এদেশীয় দালালরা । (আমি বাংলাদেশি । আমাকে সৌদি আরব বাংলাদেশেই হত্যা করতে চায় - এই কথা এদেশের কোন লোক বিশ্বাস করে না । পুলিশ তো নয়ই । কিন্তু এটা সত্য । )
৪ । ইদানিং যোগ হয়েছে হিন্দুদের এক দল । যারা ইসকন নামে পরিচিত ।
আমি যা লিখি তা সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ । আমি নিষ্ঠাবান ও দুরদর্শী-প্রজ্ঞাবান মুসলিম । আমি ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কার-কুপমন্ডুকতা ধারণকারী সব দল ও মত-পথধারী লোকদের বিরোদ্ধে জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে জিহাদ করে যাবো ।
কিছু দিন আগে আমাকে হত্যাকরার একটা গ্রুপ আমার বাড়ি পর্যন্ত আসে । রহস্যজনক কারণে তারা আমার কোন ক্ষতি করেনি । আমার ধারণা, আমার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছে এই ব্লগের ব্লগার আবু সাইফ ।
সন্ত্রাসী কাজ করা আর জান-মালের ক্ষতি করার কথা কুরআন-হাদিসের কোথায় আছে ?
অভদ্র আচরণ করার কথা কুরআন হাদিসের কোথায় আছে ?
বাংলাদেশের সাধারণ মেয়েরা কি এমন অভদ্র আচরণ করে ?
আশা করি উত্তর দিবেন ।
এসব সন্ত্রাসী মহিলারা সমাজ-দেশ ও মুসলিম জাতির জন্য কি করেছে ?
আমার মতে তারা কোনক্রমেই আদর্শ মা হতে পারে না । তারা আদর্শ বোনও হতে পারে না । তারা বড় জোড় সন্ত্রাসী হতে পারে ।
আশা করি উত্তর দিবেন ।
আমি লেখালেখি করি সমাজকে সচেতন করার জন্য । বেতন-ভাতা বা ইসলামী ব্যাংকের মতো জামায়াতী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী বা নিকাবী মেয়ে বিয়ে করার লোভে লেখালেখি করি না ।
এই ব্লগে আবু সাইফ নামক এক লোক অনেক ছেলেকে চাকুরী ও নিকাবী মেয়ের লোভ দেখিয়ে জামায়াত-শিবিরের পাচাটা গোলাম বানান । এরা জামায়াতের হয়ে লেখালেখি করে । আপনিও তো মনে হয় সেই দলের । যদি সেই দলের হয়ে থাকেন । তাহলে বলছি : আপনার উপর আল্লাহর আজাব ও গজব বর্ষিত হোক ।
আমি ইসলামের কোন বিষয়কে কটাক্ষ করি নাই ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন