নিকাব পরা পতিতা ও যৌনতা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:১৩:২৭ সকাল
নিকাব পরা পতিতা বাংলাদেশের শহরে ও নগরে দৃশ্যমাণ হলেও নিকাব পরা পতিতাদের উপস্হিত আজ হতে ৫ হাজার বছর আগেও ছিল । আমি ৪ হাজার বছর আগের নিকাব পরা এক পতিতার গল্প উপস্হাপন করেছি । গল্পটি আছে বাইবেলে ।
নিকাব পরার সাথে পতিতাবৃত্তির একটা নিবির সম্পর্ক আছে তা এই গল্পটি প্রমাণ করে ।
সূচনা :
যাকোবের (Jacob) উপাধি ছিল ইসরাঈল। বাইবেলের আদিপুস্তকে বর্ণিত যাকোবের ১২ পুত্র সন্তান ও কয়েকজন কন্যা সন্তানের উল্লেখ পাওয়া যায়। তার ১২টি পরিবার সবাই বনী-ইসরাঈল নামে খ্যাত। বারপুত্রের মধ্যে দশ জন জ্যেষ্ঠপুত্র যাকোবের এর প্রথমা স্ত্রী "লাইয়্যা বিন্তে লাইয়্যানের" গর্ভে জন্মলাভ করে। যিহূদা (Judah , ইয়াহুদা/ ইহুদা ) ছিলেন যাকোব ও লাইয়্যার চতুর্থ সন্তান। যাকোব ও রাহীলের গর্ভে দু'পুত্র জোসেফ বা ইউসুফ ও বেনিয়ামিন জন্মগ্রহণ করেন। তাই ইউসুফ (আঃ) এর একমাত্র সহোদর ভাই ছিলেন বেনিয়ামিন এবং অবশিষ্ট দশ জন বৈমাত্রেয় ভাই ও কয়েক জন বোন। জোসেফের সঙ্গে তার বৈমাত্রেয় ভাই রা কীরুপ ব্যবহার করেছিল; তা অজ্ঞাত থাকেনি। প্রকৃত পক্ষেই উক্ত দশ জনের কেহ-ই যাবোকের যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন না; তাই যাকোবের পরে একমাত্র যোগ্য হিসেবে নির্বাচিত হন জোসেফ।
বৈমাত্রেয় দশ ভাই এর মধ্য থেকে চতুর্থ জনের বাইবেল বর্ণিত অপকৃতির কথা এখানে তুলে ধরা হলোঃ
আদিপুস্তক ৩৮: যিহূদা ও তামরঃ
1এর পর যিহূদা তার ভাইদের ছেড়ে অদুল্লম গ্রামের একজন লোকের সংগে বাস করতে গেল। লোকটির নাম ছিল হীরা।
2সেখানে থাকবার সময় শূয় নামে একজন কনানীয় লোকের মেয়ে তার নজরে পড়ে গেল। মেয়েটিকে সে বিয়ে করল।
3পরে মেয়েটি গর্ভবতী হল এবং তাঁর একটি ছেলে হল। যিহূদা ছেলেটির নাম রাখল এর।
4পরে সে আবার গর্ভবতী হল এবং তার একটি ছেলে হল। মা ছেলেটির নাম রাখল ওনন।
5তারপর আবার সে গর্ভবতী হল এবং তার আর একটি ছেলে হল। সে তার নাম রাখল শেলা। এই ছেলেটির জন্মের সময় তারা কষীব গ্রামে ছিল।
6পরে যিহূদা তার বড় ছেলে এরের সংগে তামর নামে একটি মেয়ের বিয়ে দিল।
7কিন্তু যিহূদার এই ছেলে এর সদাপ্রভুর চোখে এত খারাপ ছিল যে, তিনি তাকে আর বাঁচতে দিলেন না।
8যিহূদা তখন ওননকে বলল, “তোমার ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীকে তুমি বিয়ে কর। তার দেবর হিসাবে তোমার যা করা উচিত তা কর এবং তোমার ভাইয়ের হয়ে তার বংশ রক্ষা কর।”
9ওনন জানত যে, সেই বংশ তার নিজের হবে না। ভাইয়ের হয়ে বংশ রক্ষা করবার অনিচ্ছার দরুন যতবার সে তার ভাইয়ের স্ত্রীর কাছে গেল ততবারই সে বাইরে মাটিতে বীর্যপাত করল।
10কিন্তু তার এই ব্যবহারে সদাপ্রভু অসন্তুষ্ট হলেন। সেইজন্য তাকেও তিনি আর বাঁচতে দিলেন না।
11তখন যিহূদা তার ছেলের বউ তামরকে বলল, “যতদিন না আমার ছেলে শেলা বড় হয় ততদিন তুমি তোমার বাবার বাড়ীতে গিয়ে বিধবা হিসাবে বাস করতে থাক।” যিহূদার মনে এই ভয় হয়েছিল, হয়তো শেলাও তার অন্য ভাইদের মত মারা যাবে। যিহূদার কথায় তামর তার বাবার বাড়ীতে গিয়ে থাকতে লাগল।
12এর অনেক দিন পরে যিহূদার স্ত্রী, অর্থাৎ শূয়ের মেয়ে মারা গেল। তার জন্য শোক প্রকাশের সময় শেষ হয়ে গেলে পর যিহূদা ও তাঁর অদুল্লমীয় বন্ধু হীরা তিম্না গ্রামে গেল। যে লোকেরা যিহূদার ভেড়ার লোম কাটত তারা সেই গ্রামেই ছিল। 13এর আগে একজন লোক তামরকে গিয়ে বলেছিল, “দেখ, তোমার শ্বশুর তাঁর ভেড়ার লোম ছাঁটাইয়ের জন্য তিম্নায় যাচ্ছেন।”
14তামর লক্ষ্য করেছিল যে, শেলার বয়স হলেও শ্বশুর তাঁর কথামত শেলার সংগে তার বিয়ে দেন নি। সেইজন্য সে বিধবার কাপড়-চোপড় ছেড়ে মুখ ঢেকে গায়ে কাপড় জড়িয়ে ঐনয়িমের ফটকের কাছে গিয়ে বসে রইল। ঐনয়িম ছিল তিম্না যাবার পথে।
15সে মুখ ঢেকে রেখেছিল বলে যিহূদা তাকে দেখে বেশ্যা মনে করল।
16 তাই সে রাস্তার ধারে তামরের কাছে গিয়ে বলল, “এস, তোমার সংগে শুতে (যৌনতা করতে / সেক্স করতে ) যাই। ” নিজের ছেলের বউকে সে চিনতেই পারল না।
তামর বলল, “এইজন্য আপনি আমাকে কি দেবেন?”
17যিহূদা বলল, “আমার পাল থেকে আমি তোমাকে একটা ছাগলের বাচ্চা পাঠিয়ে দেব।”
তামর বলল, “সেটা না পাঠানো পর্যন্ত আপনি আমার কাছে কিছু বন্ধক রেখে যাবেন কি?”
18যিহূদা বলল, “কি বন্ধক রাখব?”
সে বলল, “দড়ি সুদ্ধ আপনার সীলমোহরখানা আর আপনার হাতের লাঠিটা।” তখন যিহূদা সেগুলো তার কাছে জমা রেখে তার সংগে মিলিত হল, আর তার ফলে তামর গর্ভবতী হল।
19এর পর তামর উঠে চলে গেল, আর মাথার কাপড় খুলে ফেলে সে আবার বিধবার কাপড়-চোপড় পরল।
20পরে স্ত্রীলোকটির কাছ থেকে সেই বন্ধক রাখা জিনিসগুলো ফেরৎ আনবার জন্য যিহূদা তার অদুল্লমীয় বন্ধুকে দিয়ে একটা ছাগলের বাচ্চা পাঠিয়ে দিল। কিন্তু সে তাকে খুঁজে পেল না।
21তখন সে সেখানকার লোকদের জিজ্ঞাসা করল, “ঐনয়িমে রাস্তার ধারে যে মন্দির-বেশ্যাটি ছিল সে কোথায়?”
তারা বলল, “এখানে তো কোন মন্দির-বেশ্যা নেই।”
22তখন সে যিহূদার কাছে ফিরে গিয়ে বলল, “আমি তাকে খুঁজে পেলাম না। এছাড়া ওখানকার লোকেরা বলল যে, ওখানে কোন মন্দির-বেশ্যা নেই।”
23যিহূদা বলল, “তাহলে ঐ জিনিসগুলো ওর কাছেই থাক্, না হলে লোকে আমাদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করবে। তা ছাড়া ছাগলের বাচ্চাটা তো আমি পাঠিয়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু তুমি তাকে খুঁজে পাও নি।”
24এর প্রায় তিন মাস পরে যিহূদা শুনতে পেল যে, তার ছেলের বউ তামর ব্যভিচার করেছে, আর তার ফলে সে এখন গর্ভবতী হয়েছে। এই কথা শুনে যিহূদা বলল, “ওকে বের করে এনে পুড়িয়ে ফেলা হোক।”
25তামরকে যখন বের করে আনা হচ্ছিল তখন সে তার শ্বশুরকে বলে পাঠাল, “আমার গর্ভে যাঁর সন্তান আছে এই সব জিনিস তাঁর।” তারপর সে বলল, “দয়া করে একবার পরীক্ষা করে দেখবেন কি, এই দড়ি সুদ্ধ সীলমোহরখানা ও লাঠিটা কার?”
26যিহূদা সেগুলো চিনতে পেরে বলল, “সে তো তাহলে আমার তুলনায় অনেক ভাল, কারণ আমার ছেলে শেলার সংগে আমি তার বিয়ে দিই নি।” এর পর সে আর কখনও তামরের সংগে শোয় নি।
২৭ তামরের প্রসবের সময় উপস্থিত হলে তারা দেখল তার যমজ সন্তান হতে চলেছে।
২৮ প্রসবের সময় একটা বাচ্চা তার হাত বের করলে ধাইমা তার হাতে একটা লাল সুতো বাঁধল আর বলল, “এই বাচ্চাটা আগে জন্মাবে।”
২৯ কিন্তু বাচ্চাটা তার হাত গুটিযে নিলে অন্য বাচ্চাটা প্রথমে জন্মাল। তাই সেই ধাইমা বলল, “তুমি প্রথমে ঠেলে বেরিয়ে আসতে পেরেছ!” তাই তারা তার নাম পেরস রাখল।
৩০ এরপর অন্য শিশুটির জন্ম হল, যার হাতে লাল সুতো বাধা ছিল। তারা এর নাম রাখল সেরহ।
বাইবেল ও কুরআনে নিকাব ও হিজাব :
যিহূদা তার পুত্রবধূ তামরের গর্ভে যে দুই পুত্রের জন্মদেন তাদের নাম ছিল- ‘পেরস’ ও ‘সেরহ’।
15 শ্লোক অনুযায়ী - সে মুখ ঢেকে রেখেছিল বলে যিহূদা তাকে দেখে বেশ্যা মনে করল।’’- তাহলে সেই সময়ে মুখ ঢাকা নারীদেরকে এমনই ভাবা হতো, যিহূদা নিশ্চিতই ছিল যে, সে একজন বেশ্যা; সুতরাং যিহূদা জেনেশুনেই তার সাথে সওদাহ করেছিল।
বাইবেলের ব্যাখ্যাকাররা এমন লম্পট চরিত্রের যিহূদাদেরই ভূয়ষি প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
উল্লেখ্য এই যিহুদা বা ইয়াহুদা হতেই ইহুদী জাতির উৎপত্তি ।
এমন অনেক গল্প বাইবেলে আছে । যেমন : সলোমনের পরমগীত ! সলোমনের লেখা পরমগীতের অধ্যায় ৮ এর ১-৩,১০; ৭ম অধ্যায়ের ৮,৯, ১১-১৩; ৪র্থ অ্যধায়ের ৫,৯,১০,১২; ১ম অ্যধায়ের ২-৪,১৩,১৬; ২য় অধ্যায়ের ৬ এবং ৫ম অধ্যায়ের ২-৪, ৮ ।
কুরআনে নিকাব শব্দ নেই । আমরা যারা হিজাব/বোরকা করে করে জান দিয়ে ফেলছি, আমরা যদি কুরআন পড়ি তাহলে দেখবো যে "হিজাব" শব্দটি কুরআনে সর্বমোট ৭ বার(৫ বার হিজাব ও ২ বার হিজাবান) ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু কোনটাতেই হিজাব শব্দটি সেই পোশাক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি যা অনেক পুরুষ লোক মেয়েদের শরীরে জোর করে পরিয়ে দিতে চায় ও মেয়েদের মুখ ঢেকে রাখাকে ফরজ মনে করে ।
যে সকল আয়াতে শব্দ দুটি ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো হল ৭:৪৬ , ৩৩:৫৩ , ৩৮:৩২, ৪১:৫, ৪২:৫১ , ১৭:৪৫ এবং ১৯:১৭।
প্রাথমিক রোমান ও গ্রীক চিত্রকলায় হিজাব ও নিকাব দেখা যায়। ধর্মীয় খাতিরে গ্রীক-রোমান এর পুরুষ-নারি উভয়ই মাথা ঢাকতো।
মহিলার হিজাব ও পুরুষের মাথা ঢাকার এই ঐতিহ্য পরে ইয়াহুদিগণ তাদের "তালমুদ" এ লিখে রেখেছিলো। তালমুদ হল ইতিহাস বা গুজব গ্রন্থ । ইহুদিদের দেখাদেখি খ্রিষ্টানরাও এ ঐতিহ্য গ্রহন করে।
রাসুল সা-এর ওফাতের পর অনেক পরে নিকাব জনপ্রিয় করার চেষ্টা করা হয় । যদিও কুরআনে এরকম কোন নির্দেশ নেই।
উপসংহার :
খ্রিষ্টান মহিলারা তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাথা ঢাকে । খৃস্টান সন্যাসীরা সবসময় মাথা ঢেকে রাখে । তাদের বুক ঢাকা বাধ্যতামূলক নয় । কিন্তু ইসলামে মেয়েদের মাথা , বুক ও পিঠ ঢেকে রাখা ফরজ ।
আরবের ইহুদি,খ্রিষ্টান,মুসলিম নারী ও পুরুষদের বড় অংশ মাথা ঢাকে তাদের ধর্মের কারণে নয় বরং ঐতিহ্যের কারণে।
যেমন : সৌদি আরবের পুরুষদের জাতীয় পোষাক ।
উত্তর আফ্রিকার মুসলিম জাতী তোয়ারেগ-দের পুরুষরা নিকাব পড়ে থাকে । তোয়ারেগ জাতীর মেয়েদের নিকাব আবশ্যক নয় । এটাই তাদের নিয়ম । এই জাতি মালি, লিবিয়া ও আলজেরিয়ায় বাস করে । এর চরম অনগ্যসর জাতী ।
পৃথিবীর যে কোন স্থানে কোন মহিলাকে বা মেয়েকে ধর্মের নামে বা ড্রেস কোডের নামে নিকাব পরা বা পরতে বাধ্য করা অসভ্যতা ও নোংড়ামী ছাড়া কিছু নয় ।
নিকাব বড় জোর ইসলামে রাসুল সা- এর পত্নি রা - বৃন্দের জন্য নির্ধারিত ও আবশ্যক বিষয় । আমার এই অভিমত সচেতন, প্রজ্ঞাবান ও জ্ঞানী আলেম সমাজেরই প্রতিচ্ছবি । যেমন :
শেখ আহমেদ আল-গামেদী, সৌদি আরবের প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষের মক্কা অংশের সাবেক প্রধান । তার স্ত্রী জাওয়াহের বিনতে আল-শেখ আলী ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ এমবিসি টিভিতে মুখ খোলা অবস্হায় বা নিকাব দিয়ে মুখ না ঢেকেই উপস্হিত হন । আর শেখ আহমেদ আল-গামেদীও তার সাথে উপস্হিত ছিলেন । শেখ আহমেদ আল-গামেদী বলেন যে মুখ ঢাকা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ সা. – এর স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল । তিনি টিভির সাক্ষাৎকারে জনসাধারণের সামনে মহিলারা তাদের মুখ প্রকাশ করা দোষের কিছু নয় এবং মহিলারা সামান্য মেকআপ পরতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।
ভিডিওটা দেখুন , এই লিংক হতে :
https://www.facebook.com/video.php?v=885018538187908&set=vb.831464740209955&type=2&theater;
বিষয়: বিবিধ
৪২৩০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একটি ভাল জিনিষকে ব্যখা করলেন খারাপ জিনিষ দিয়ে! বেয়াদব-বেজন্মার একটি মাত্রা থাকে। আপনি সেই মাত্রাও অতিক্রম করলেন। কল্যান কাজের মাঝে অকল্যান ঢুকতেই পারে, তা্ই বলে কল্যান কাজটি ভুল হয়ে যায়না।
আপনি মন্তব্য করেছেন, তার স্ত্রী জাওয়াহের বিনতে আল-শেখ আলী ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ এমবিসি টিভিতে মুখ খোলা অবস্হায় বা নিকাব দিয়ে মুখ না ঢেকেই উপস্হিত হন। আর শেখ আহমেদ আল-গামেদীও তার সাথে উপস্হিত ছিলেন। শেখ আহমেদ আল-গামেদী বলেন যে মুখ ঢাকা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ সা. – এর স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল।
নেকাব যদি রাসুলের স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলকই হবে, তাহলে সেই নেকাবের ঘটনাকে উলঙ্গ করতে, বেশ্যা, খারাপ রমনী, বাজে রমনীর সাথে মিলিয়ে সেটাকে খারাপ প্রমানের কারন কি? বেয়াদব কি আপনি একা নাকি আপনার গোষ্টির সবাই বুঝলাম না।
দেখুন যৌনাঙ্গ দিয়েছে কাম কাজ করার জন্য। খারাপ মানুষ পতিতালয়ে গিয়ে অবৈধভাবে যৌন কামে খারাপ খারাপ কাজ করে। অবশ্যই সেটা খারাপ কাজ।
প্রশ্ন হল আপনার বাবা, যৌন কাম করতে গিয়ে যে আপনাকে জন্ম দিয়েছে, আপনার দৃষ্টিতে সেটাও খারাপ কিনা? যদি খারাপ না হয়, তাহলে নিকাব পড়ে কেউ খারাপ করলেও, সেটাতে নিকাবের দোষ হবে কেন?
আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করে করে নিকাবের পিছনে যত বাজে কথা আছে সব খোজ করে লেংটা যুদ্ধে নেমে পড়ছেন, এর থেকে বুঝাই যায় আপনি কত হিনমন্য নিম্নস্তরের চিন্তায় আক্রান্ত নিম্ন রূচির মানুষ।
জানি আপনি আমাকে ব্যান করবেন, নয়ত মন্তব্য মুছে দিবেন, তারপরও প্রতবাদ করা জরুবী বলে প্রতিবাদ করলাম। আমি অতীতে কোনদিন আপনার মত বাজে রুচির মানুষের পোষ্টে মন্তব্য করিনি, আজও করতাম না। শুধু প্রতিবাদের জন্য করলাম।
@বিবেক
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
আপনি বলেছেন :
১.নোংরা ও বিশ্রী পোষ্ট!
উত্তর : অন্ধ হলে প্রলয় বন্ধ থাকে না । আমার গল্পটা বাইবেলের প্রথম দিকে আছে । ধর্মগ্রন্হের অংশ হিসেবে অনেক খৃস্টান গুরুত্ব দিয়ে এটা পড়ে ।
২.
একটি ভাল জিনিষকে ব্যখা করলেন খারাপ জিনিষ দিয়ে!
উত্তর : নিকাব/নেকাব/নেকাব কোনক্রমেই ভাল জিনিস নয় । এটা কুসংস্কার-ধর্মান্ধতা-কুপমন্ডুকতা-পশ্চাৎপদতার প্রতীক ।
৩.
বেয়াদব-বেজন্মার একটি মাত্রা থাকে। আপনি সেই মাত্রাও অতিক্রম করলেন। কল্যান কাজের মাঝে অকল্যান ঢুকতেই পারে, তা্ই বলে কল্যান কাজটি ভুল হয়ে যায়না।
উত্তর : আমি যথার্থ কাজ করছি । আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠভাবে তথ্য ও উপাত্ত উপস্হাপন করছি ।
৪.
আপনি মন্তব্য করেছেন, তার স্ত্রী জাওয়াহের বিনতে আল-শেখ আলী ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ এমবিসি টিভিতে মুখ খোলা অবস্হায় বা নিকাব দিয়ে মুখ না ঢেকেই উপস্হিত হন। আর শেখ আহমেদ আল-গামেদীও তার সাথে উপস্হিত ছিলেন। শেখ আহমেদ আল-গামেদী বলেন যে মুখ ঢাকা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ সা. – এর স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল।
নেকাব যদি রাসুলের স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলকই হবে, তাহলে সেই নেকাবের ঘটনাকে উলঙ্গ করতে, বেশ্যা, খারাপ রমনী,
বাজে রমনীর সাথে মিলিয়ে সেটাকে খারাপ প্রমানের কারন কি? বেয়াদব কি আপনি একা নাকি আপনার গোষ্টির সবাই বুঝলাম না।
উত্তর : আমাদের নবী মুহাম্মদ সা. ও তার পরিবারই নয় এবং সাহাবী রা. – এর কোন কাজ (সেটা যে কোন ধরনের হোক না কেন) – এর সাথে আমাদের মতো সাধারণ লোক বা একবিংশ শতাব্দির লোকদের কোন কাজকে বিচার করা যায় না । যেমন : আমাদের নবী মুহাম্মদ সা. –এর স্ত্রী রা. – বৃন্দকে আমাদের নবী মুহাম্মদ সা. – এর ওফাতের পর কেহই বিয়ে করতে পারবে না – এমন নিময় ছিল । অপর দিকে সাধারণ মহিলার স্বামী মারা গেলে সাধারণ মহিলারা আবার বিয়ে করতে পারে ।
লেখালেখি করছি আমি । আমার গোষ্ঠীর লোকরা লিখছে না । সুতরাং আমার লেখায় আমার গোষ্ঠী বা বংশকে টেনে আনা কতটুকু ইসলাম সম্মত কাজ ???? !!!
৫.
দেখুন যৌনাঙ্গ দিয়েছে কাম কাজ করার জন্য। খারাপ মানুষ পতিতালয়ে গিয়ে অবৈধভাবে যৌন কামে খারাপ খারাপ কাজ করে। অবশ্যই সেটা খারাপ কাজ।
উত্তর : এক মত ।
৬.
প্রশ্ন হল আপনার বাবা, যৌন কাম করতে গিয়ে যে আপনাকে জন্ম দিয়েছে, আপনার দৃষ্টিতে সেটাও খারাপ কিনা? যদি খারাপ না হয়, তাহলে নিকাব পড়ে কেউ খারাপ করলেও, সেটাতে নিকাবের দোষ হবে কেন?
উত্তর : আমার বাবা ও মা আমাকে জন্ম দিয়ে গর্ববোধ করেছেন বলেই আমার নাম ফখরুল ইসলাম রেখেছেন । যারা অর্থ ইসলামের গর্ব ।
নিকাব পরে খারাপ কাজ কেন ভাল কাজ করলেও নিকাব পরা বর্জনীয় । কারণ এটার কোন উপকার নেই । এটা কুসংস্কার-ধর্মান্ধতা-কুপমন্ডুকতা-পশ্চাৎপদতার প্রতীক ।
৭.
আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ করে করে নিকাবের পিছনে যত বাজে কথা আছে সব খোজ করে লেংটা যুদ্ধে নেমে পড়ছেন, এর থেকে বুঝাই যায় আপনি কত হিনমন্য নিম্নস্তরের চিন্তায় আক্রান্ত নিম্ন রূচির মানুষ।
উত্তর : আমি আমার লেখার জন্য যে কোন স্হান হতে তথ্য সংগ্রহ করবো – এতে আপনার কোন সমস্যা আছে কি ?
নিকাব যারা পরে ও নিকাবকে যারা সমর্থন করে তারা কুরুচি সম্পন্ন লোকই নয়, তারা কুসংস্কার-ধর্মান্ধতা-কুপমন্ডুকতা-পশ্চাৎপদতাথধারনকারী লোক ।
৮.
জানি আপনি আমাকে ব্যান করবেন, নয়ত মন্তব্য মুছে দিবেন, তারপরও প্রতবাদ করা জরুবী বলে প্রতিবাদ করলাম। আমি অতীতে কোনদিন আপনার মত বাজে রুচির মানুষের পোষ্টে মন্তব্য করিনি, আজও করতাম না। শুধু প্রতিবাদের জন্য করলাম।
উত্তর : আমি আপনাকে ব্যান করবো না । আপনাকে ধন্যবাদ ।
দয়া করে বিস্তারিত তথ্য উপস্হাপন করুন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন