খিলাফতের ভুয়া দাবিদারগণ

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৮:৫৮:২৪ রাত



ওহাবীদের খলিফা বাগদাদীর গার্লফ্রেন্ডের সাথে তার আবেগময় মুহুর্ত।

পটভুমি : আমি যৌন জিহাদীদের খলিফা ও ওহাবি-সালাফি মতবাদে বিশ্বাসীদের যৌনতা নিয়ে একটা লেখা লেখার চেষ্টা করছিলাম । পরবর্তীতে লেখাটা ইসলামী খিলাফতের আদৌও প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা রূপ নিচ্ছিলো । পরে চিন্তা করলাম খলিফা হওয়া কি কারো পক্ষে সম্ভব কি ? উত্তর পেলাম না । কারণ খলিফা হতে হলে নবীর বংশের লোক হলেই হবে না তাকে অবশ্যই কুরাইশ গোত্রের হতে হবে । বিষয়টা খুবই জটিল । রাজনৈতিক উৎথান পতের কারণে অনেক আগেই কুরাইশ বংশের লোকরা বিলীন হয়ে গেছে । আমরা ইতিহাসে দেখেছি এক মাত্র জয়নাল আবেদীন ছাড়া ফাতেমা রা. - এর সন্তানরা শহিদ হয়েছিলেন কারবালার মাঠে । ইসলাম গ্রহণকারী একটা বড় অংশ পরবর্তীতে শিয়া মাজহাবের সাথে সম্পৃত্ত হয়ে যায় । সুতরাং এখন যে বা যারা খলিফা হবে বা খলিফা দাবি করবে - সে বা তারা হবে ভুয়া খলিফা ।

উপরন্তু আমি অনেক পড়াশোনা করে দেখলাম চার খলিফার পর (হযরত আবু বকর-ওমর-উসমান-আলী রা বৃন্দ ) ক্ষমতা দখল বা খিলাফত প্রাপ্তি নিয়ে মুসলিমরা ইউরোপে ফ্রান্স দখল করার জন্য টুর্সের যুদ্ধের আগ পর্যন্ত নিজেরাই দেড় হাজার বার মারামারি, খুন-খারাবী করেছে । তাহলে ইসলাম প্রচার ও প্রসার হলো কীভাবে এই কথা আমার মনে উদয় হয় । উত্তর পেলাম সুফী সাধকরা । খলিফাপন্হী বা তথাকথিত খলিফারা ইসলাম প্রচার ও প্রসার করেননি বল্লেই চলে । বরং তারা মুসলিমদের দেওয়া যাকাতের টাকা আত্মসাৎ করেছে অমুসলিমদের সাথে জিহাদের নাম করে ।

সহজ কথায় চার খলিফার পর যত মুসলিম শাসক এসেছে তাদের পদবি খলিফা হোক না কেন তারা কোনক্রমেই খলিফা ছিল না । তারা ছিল রাজা বা বাদশাহ ।

ভুয়া খলিফা সম্পর্কে নেটে অনুসন্ধান করে এই লেখাটা পাওয়ায় আমি আর নতুন করে এই বিষযে লিখলাম না । লেখাটা লিখেছেন বিএনপি সমর্থক ফেসবুক একটিভিস্ট ও সাংবাদিক : doorer-jatri ।



মূল লেখা :


লেখার শিরোনাম : খিলাফতের ভুয়া দাবিদারগণ



লেখক : দুরের যাত্রী


ইরাক ও সিরিয়ার অংশবিশেষ দখল করে নেয়া সশস্ত্র সংগঠন "দাউলাতুল ইসলামিয়া ফিল ইরাক ওয়াল শাম" [Islamic State in Iraq & Sham - সংক্ষেপে ISIS]-এর প্রধান আবু বকর আল কুরায়শি আল বাগদাদি গত শুক্রবার এক ভিডিও ভাষণের মাধ্যমে "খলিফা" হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।



আবু বকর আল কুরায়শি আল বাগদাদি

ISIS-এর দখলকৃত এলাকাগুলোতে আবু বকর নিজস্ব রাষ্ট্র ও সরকার ঘোষণা করেছেন। রাষ্ট্রের নাম দিয়েছেন "খিলাফত"।

যে রাষ্ট্রব্যবস্থা ইসলামী শরীয়ত প্রয়োগ ও ইসলাম প্রচারের জন্য কর্তৃত্বশীল তাই হচ্ছে খিলাফত। অর্থাৎ ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থাকেই খিলাফত নামে অভিহিত করা হয়। ৬২২ সালে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সূচনা করেন। মহানবী (সা.)-এর ওফাতের পর খিলাফতে রাশেদা, দামেস্কের উমাইয়া খিলাফত, বাগদাদের আব্বাসীয় খিলাফত ও তুরস্কের উসমানীয় খিলাফতের খলিফাদের নেতৃত্বে ইসলামী খিলাফত রাষ্ট্র ১৯২৪ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত পৃথিবীর বুকে টিকে ছিল।

১৯২৪ সালের পর থেকেই মুসলিমদের মধ্যে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম বিভিন্ন আঙ্গিকে চলছে। এরই মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে "খলিফা" হিসেবেও দাবি করেছেন। কেউ কেউ এমনকি ১৯২৪ সালের আগেও নিজেকে খলিফা দাবি করেছেন - যদিও একটি বৈধ খিলাফত থাকা অবস্থায় আরেকটি খিলাফত দাবি করাটা শরীয়তের দৃষ্টিতে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ।

বিভিন্ন সময়ে যেসব ব্যক্তি নিজেকে খলিফা দাবি করেছেন, এই নোটটিতে তাদের কয়েকজনের নাম-পরিচয় সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

১. মির্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী [জন্ম - ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৫, মৃত্যু - ২৬ মে ১৯০৮]: ব্রিটিশ ভারতের বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা, "আহ্মদিয়া মুসলিম জামাত"-এর প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহমেদ নিজেকে হিজরি ১৪শ শতাব্দীর মুজাদ্দেদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ, মাহদী ও খলীফা দাবি করতেন।



মির্যা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী

১৮৮৮ সালের ডিসেম্বর থেকে তিনি বাইয়াত [আনুগত্যের শপথ] দাবি করা শুরু করেন।

১৯০৮ সালে গোলাম কাদিয়ানীর মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা আহমাদিয়া খিলাফতের খলিফাদের একের পর এক বাইয়াত দিতে থাকে। ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে জেনারেল জিয়াউল হকের সরকার অধ্যাদেশ জারি করে কাদিয়ানীদের খিলাফতের কার্যক্রমের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করলে আহমাদিয়া খিলাফত তার নিরাপদ কোল লন্ডনে চলে যায়।



মির্যা মাসরুর আহমেদ

কাদিয়ানীদের বর্তমান খলিফার নাম মির্যা মাসরুর আহমেদ। তিনি লন্ডন থেকে "খিলাফত" চালিয়ে যাচ্ছেন।



২. আবদাল্লাহী ইবনে মুহাম্মদ:
ভারতের গোলাম কাদিয়ানীর কাছাকাছি সময়ে ১৮৮১ সালের ২৯ জুন সুদানের ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ আহমাদ নিজেকে "মাহদী" ঘোষণা করেন। সুদানের আবা দ্বীপের দিকে বিভিন্ন গোত্রে এই "মাহদী"ও কিছু অনুসারী পেয়ে যান। আবা দ্বীপে মিশরের সরকারি বাহিনী মুহাম্মদ আহমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসে তার অনুসারীদের হাতে ব্যাপকভাবে পরাজিত হয়। এর পর এই "মাহদী" সুদানের খার্তুমসহ বেশ কিছু এলাকা দখল করে সেখানে নিজস্ব শাসন চালু করেন।



সুদানের ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ আহমাদ

১৮৮৫ সালের ২২ জুনে আহমাদের মৃত্যুর পর তার অনুসারী আবদাল্লাহী ইবনে মুহাম্মদ নিজেকে "খলিফা" ঘোষণা করে আহমাদের রাষ্ট্রের শাসনকর্তৃত্ব হাতে নেন। তিনি রাষ্ট্রকে জিহাদী রাষ্ট্রের কায়দায় চালান। আদালতের মাধ্যমে শরীয়াহ আইন ও "মাহদী" আহমাদের বিধিবিধান প্রয়োগ করেন। প্রায় দশ বছর এই "খলিফা" ব্যাপক প্রতাপের সাথে সুদান ও ইথিউপিয়ার বিশাল এলাকায় শাসন করেন। তার আমলে সুদান সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী হয়ে ওঠে।



আবদাল্লাহী ইবনে মুহাম্মদ

১৮৯৬ সাল থেকে মিশরীয়-ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে "খলিফা" আবদাল্লাহীর বাহিনী পরাজিত হতে শুরু করে। ১৮৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশদের হাতে "খলিফা"-র রাজধানী উম্ম দুরমানের পতন ঘটে, খলিফার ৫২,০০০ সৈন্যের বিশাল সেনাবাহিনী ধ্বংস হয়। অল্প কিছু অনুসারী নিয়ে খলিফা আবদাল্লাহী দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যান, কিন্তু ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়ে ওই বছরের ২৪ নভেম্বরে কুরদুফান শহরে নিহত হন।

৩. উসমান ইবনে ফোদিও ( ১৭৫৪ - ১৮১৭): নাইজেরিয়ার প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা, লেখক, চিন্তাবিদ উসমান ইবনে ফোদিও ১৮০৪ সালে Sokoto খিলাফত ঘোষণা করেন এবং তিনি হন "খলিফা"।



উসমান ইবনে ফোদিও

আফ্রিকার নৃ-গোষ্ঠী ফুলা উপজাতির নেতা উসমান ১৮০৯ সালে "ফুলা জিহাদ"-এর মাধ্যমে Hausa নৃ-গোষ্ঠীর রাজপরিবারের বিরুদ্ধে জিতে Sokoto খিলাফত রাষ্ট্র গঠন করেন।

১৮১৭-তে উসমান মারা যান। পুরো উনবিংশ শতাব্দীজুড়ে এই "খিলাফত" সাব-সাহারান অঞ্চলের অত্যন্ত দাপুটে রাষ্ট্র ছিল।



Sokoto খিলাফতের শেষ খলিফা মুহাম্মাদু আত-তাহিরু

১৯০৩ সালে Sokoto খিলাফতের শেষ খলিফা মুহাম্মাদু আত-তাহিরুর শাসনামলে ব্রিটিশদের হাতে এই "খিলাফত"-এর পতন ঘটে ও এই রাষ্ট্রের অধীনস্ত ভূ-খণ্ড চলে যায় নাইজেরিয়ার মধ্যে।



মক্কার শাসক হুসাইন বিন আলী

৪. মক্কার শাসক হুসাইন বিন আলী (১৮৫৪ - ১৯৩১): হুসাইন বিন আলী ছিলেন ১৯১০-এর দশকে মক্কার শাসক। তিনি তুরস্কের উসমানিয়া খলিফাদের দ্বারা নিযুক্ত ছিলেন।

১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মদদে মক্কার শাসক হুসাইন বিন আলী উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহ তৈরি করে। ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্সের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় বিশ্বাসঘাতক হুসাইন মিডল-ইস্টার্ন ফ্রন্টে উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুরু করলে বহু উসমানিয়া সৈন্য বন্দী হয় ও অবশেষে উসমানিয়ারা ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়। ১৩০০ বছর পর মধ্যপ্রাচ্য ইসলামী খিলাফতের হাতছাড়া হয়ে যায়।

পুরস্কার হিসেবে ব্রিটিশরা ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর হুসাইন বিন আলীর দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল্লাহকে জর্ডানের রাজত্ব ও তৃতীয় ছেলে ফয়সালকে ইরাকের রাজত্ব দেয়। হুসাইনকে রাখা হয় হেজাজ (পবিত্র মক্কা-মদিনা ও তাবুক অঞ্চল)-এর শাসক হিসেবে।

১৯২৪ সালের ৩ মার্চ আরেক ব্রিটিশ দালাল মুস্তাফা কামাল পাশা তুরস্কে অফিসিয়ালি খিলাফত বিলুপ্ত করে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের সাথে মক্কার হুসাইন বিন আলীও মহানবী (সা.)-এর আমল থেকে ১৩০০ বছর পর্যন্ত চলমান মুসলিমদের রাষ্ট্র খিলাফতের পতনে ব্যথিত হন। পৃথিবী থেকে খিলাফত মুছে গেছে, এটা হুসাইনের অন্তরে আঘাত করে। ব্রিটিশদের ক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও খিলাফত ধ্বংসের দু'দিনের মাথায় ৫ মার্চ হুসাইন নিজেকে মুসলিমদের "খলিফা" ঘোষণা করেন।

ব্যস, এ-সুযোগটিই কাজে লাগায় উসমানিয়া খিলাফতের দীর্ঘদিনের শত্রু আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ। ব্রিটিশরা স্বাভাবিকভাবেই হুসাইনের নিজেকে "খলিফা" ঘোষণা করা মেনে নেয়নি এবং হেজাজের শাসক হিসেবে হুসাইনের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।

আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কালবিলম্ব না করে হেজাজ আক্রমণ করে এবং ১৯২৫ সালের শেষ নাগাদ পুরো হেজাজ দখলে নিয়ে নেয়। ফলে হুসাইন মক্কা থেকে পালিয়ে যান এবং আর কখনো রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরে পাননি। তবে তিনি ১৯৩১ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত "খলিফা" পদবি ব্যবহার করতেন!

৫. সেকারমাদজি মারিদজান (১৯০৫ - ১৯৬২): ইন্দোনেশিয়ার ধর্মীয় নেতা Sekarmadji Maridjan Kartosuwirjo ছিলেন Islamic State of Indonesia (নেগারা ইসলাম ইন্দোনেশিয়া)-র প্রতিষ্ঠাতা ও শীর্ষনেতা।



সেকারমাদজি মারিদজান

এই ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তির নেতৃত্বে "Islamic State of Indonesia" নামক সশস্ত্র সংগঠনটি ১৯৪২ সালে গড়ে উঠেছিল। ইন্দোনেশিয়ায় শরীয়াহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল এই দলের লক্ষ্য। সেকারমাদজি প্রথমে তার যোদ্ধাদেরকে 'হিজবুল্লাহ' ও 'সাবিলিল্লাহ' নামে সংগঠিত করেছিলেন। পরে ১৯৪৯ সালের ৭ আগস্ট তিনি পশ্চিম জাভা দ্বীপকে "Islamic State" হিসেবে ঘোষণা করেন।

যদিও সেকারমাদজি নিজেকে খুব কম ক্ষেত্রেই "খলিফা" দাবি করেছেন, কিন্তু তার অনুসারীরা তাকে "খলিফা"-ই বলতেন। অন্যান্য বিদ্রোহী জিহাদিস্টরা, এমনকি দলত্যাগী সেনাকর্মকর্তাও সেকারমাদজির Islamic State-এ যোগ দেন। Aceh প্রদেশের সামরিক গভর্নর সরকারপক্ষ ত্যাগ করে ১৯৫৩ সালে Aceh-কে সেকারমাদজির "Islamic State"-এর অংশ হিসেবে ঘোষণা দেন। ১৯৫৭ সাল নাগাদ ইন্দোনেশিয়ার বহু দ্বীপ "Islamic State"-এর অধীনে চলে আসে। জাভার কিছু শহর-নগর ছাড়া খুব কম জায়গাতেই ইন্দোনেশিয়ার তত্কালীন প্রেসিডেন্ট সোয়েকার্নোর সরকারের কর্তৃত্ব ছিল।

কিন্তু ১৯৫৭ সালে প্রেসিডেন্ট সোয়েকার্নো সামরিক আইন জারি করলে Islamic State-এর উত্থানে ছেদ পড়ে। কেন্দ্রীয় সরকারের সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে Islamic State একের পর এক এলাকা হারাতে থাকে। অবশেষে ১৯৬২ সালে সেকারমাদজি মারিদজান ইন্দোনেশিয়ার সরকারি বাহিনীর হাতে বন্দী হন। সামরিক আদালতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

১৯৬২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ফায়ারিং স্কোয়াডে নিয়ে সেকারমাদজির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়।

উপসংহার (এই অংশ আমার অভিমত ) :

বর্তমান যুগে খলিফা হওয়া এবং খলিফা বানানোর সুযোগ নেই । কারণ ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী উপযুক্ত গুনাবলী সম্পন্ন লোকের অস্তিত্ব অবান্তর । উপরন্তু আধুনিক সুসভ্য জগতে সামন্তবাদী ও শ্রেফ ধর্মাশ্রয়ী শাসক সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর আর্বিভাব মানব সভ্যতাবিরোধী ।

বর্তমানে ইরাক ও ইয়েমেনে যে সব খলিফার আবির্ভাব হয়েছে তাদের কোন বিবেকবান মুসলিম সমর্থন করতে পারে না। তারা মুলত অমুসলিম শক্তির মদদপুস্ট সন্ত্রাসী ও যৌন উম্মাদ ব্যক্তি । তাদের অশুভ তৎপড়তার বিরোদ্ধে রুখে দাড়ানো মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব ।

লেখাটার লিংক হলো ও ১০০ % কপি পেস্ট ফ্রম ফেসবুক : https://www.facebook.com/notes/doorer-jatri/%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%81%E0%A7%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%97%E0%A6%A3/327083260774768

বিষয়: বিবিধ

২০২৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

340952
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২১
ছালসাবিল লিখেছেন : Unlucky
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২২
282383
ছালসাবিল লিখেছেন : আপনি একজন ওহাবি, ব্রেলভি, শিয়া, কাদিয়ানি, ইহুদি, দালাল Rolling on the Floor Smug
341005
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:৪৫
সাদাচোখে লিখেছেন : লিখক যথার্থই বলেছেনঃ

বর্তমানে ইরাক ও ইয়েমেনে যে সব খলিফার আবির্ভাব হয়েছে তাদের কোন বিবেকবান (জানাশোনা) মুসলিম সমর্থন করতে পারে না। তারা মুলত (প্রায় শতভাগ) অমুসলিম শক্তির (ইসলাম ও মুসলমানের শত্রুর দ্বারা সৃষ্ট ও) মদদপুস্ট (ভূয়া) সন্ত্রাসী ও যৌন উম্মাদ ব্যক্তি (মূলতঃ সিআইএ, মোসাদ, এম আই সিক্স ও পশ্চিমা স্পাই এজেন্সির এজেন্ট)। তাদের অশুভ তৎপড়তার বিরোদ্ধে রুখে দাড়ানো মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File