মোহাম্মদ দি ম্যাসেঞ্জার অব গড - ছায়াছবি হলো সত্যিকার ইসলামের প্রতিচ্ছবি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:৫৯:০৮ বিকাল
আলহামদুলিল্লাহ । মানবতার মহান মুক্তির দুত হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জীবন কাহিনীর ওপর নির্মিত “মোহাম্মদ দি ম্যাসেঞ্জার অব গড” ছায়াছবি ২৬শে আগস্ট ২০১৩ তারিখ মুক্তি পেলো ।
ছায়াছবিটির নির্মাতাবৃন্দ ও অবমুক্তিকরণ :
কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠেয় ৩৯তম বিশ্ব চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হয় ২৭ আগস্ট। ফার্সি ভাষায় নির্মিত ছায়াছবিটি আরবি ও ইংরেজি ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে।
ছবিটির পরিচালক মাজিদ মাজিদি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইসলামের সঠিক ভাবমর্যাদা বিশ্বে তুলে ধরার লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে ছায়াছবি 'মুহাম্মদ (স)'। ইসলাম নিয়ে বিশ্বজুড়ে সচেতনতা সৃষ্টি করাও ছবিটির উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।
মহানবি (স.) কে নিয়ে নির্মিত ট্রিলজি বা তিন খণ্ডের ছায়াছবির এই প্রথম খণ্ডে তাঁর মক্কার জীবনআলেখ্য তুলে ধরা হয়েছে। ১৭১ মিনিটের এ ছায়াছবি নির্মাণে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। ইরানের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এ ছবি নির্মাণে ৫৫ কোটি ডলার (৫০০ কোটি টাকা)ব্যয় হয়েছে। মোহাম্মদ মাহদি হায়দারিয়ান প্রযোজিত এ ছবির চিত্র ধারণ করা হয়েছে ইরান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার শহর বেলা-বেলা’তে। http://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2015/08/21/259156#prettyPhoto
ছায়াছবিটি নিয়ে সমালোচনা :
এটি প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছবি যা ইরানের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোচ্চ ব্যায়বহুল চলচ্চিত্র ।
ছবিটি মুক্তি পাওয়ার অনেক আগে থেকেই অনেকে ছায়াছবিটির সমালোচনা করে আসছিল। কিন্তু সমালোচনার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই ।
এখন পর্যন্ত হযরত ঈসা (আঃ) কে নিয়ে প্রায় ২৫০ টি ফিল্ম, হযরত মুসা (আঃ) কে নিয়ে প্রায় ১২০ টি ফিল্ম, অন্যান্য নবী রাসূলদের নিয়ে প্রায় ৮০ টি ফিল্ম এবং গৌতম বুদ্ধকে নিয়ে প্রায় ৪০ টির মতো ফিল্ম নির্মিত হয়েছে । অথচ সেখানে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মুহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে চলচ্চিত্রের সংখ্যা মাত্র ২ টা !
ছায়াছবিটি দেখার সময় অনুভতি :
বিশ্বনবীর ওপর নির্মিত এ সিনেমাটি এক কথায় অসাধারণ। তিন ঘণ্টার এ ছবিটি দেখলে বাহিরের বাইরের কোনো চিন্তাই যেন আমি মনে আসবে না । এক দৃষ্টিতে ছায়াছবিটি দেখলে এতটাই মুগ্ধ হতে হয় যে মনে হবে দর্শকবৃন্দ তৎকালীন আরব সমাজে তথা রসুল সা-এর যুগেই বসবাস করছেন । সিনেমা দেখা শেষ হওয়ার পর অতৃপ্তই থেকে যেতে হয় । কারণ এ ছায়াছবিটি মোট তিন খণ্ডের এবং এটা ছিল প্রথম খণ্ড। পরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড ছবি নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।
ছায়াছবিটির বিষয়বস্তু :
বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)’র জীবনীর ওপর নির্মিত প্রথম খণ্ডের এ ছবিটির কাহিনী শুরু হয়েছে বিশ্বনবীর জন্মের প্রায় ৫০ দিন আগে সংঘটিত ইয়েমেনের বাদশাহ আবরাহার হাজার হাজার সৈন্যসহ বিশাল হস্তি বাহিনীর মক্কা দখলের অভিযান দিয়ে। আল্লাহর নির্দেশে আবাবিল পাখির হামলায় দাম্ভিক আবরাহার বিশাল সেনাবাহিনী কিভাবে ধ্বংস হল সে চিত্র উঠে এসেছে এই ছায়াছবিতে।
এর পর রসুলের জন্মের আগে আইয়ামে জাহিলিয়াত যুগে সাধারণ মানুষের ওপর তৎকালীন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনসহ সে সময়কার সমাজ ব্যবস্থার অনেক চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রসুলের জন্মের সময় প্রকৃতিতে আশ্চর্যজনকভাবে একটা পরিবর্তন আসে সেটাও ছায়াছবিতে আনা হয়েছে। জন্মের সময়কার কিছু অলৌকিক ঘটনা, মোহাম্মদের বিরুদ্ধে ইহুদিদের চক্রান্ত, শিশুদের বলিদান, দাসপ্রথা, দুধমাতা হালিমার কাছে শিশু মুহাম্মদকে হস্তান্তর ও এ ক্ষেত্রে আল্লাহর নির্দেশে উটের ভূমিকা, আবার মা আমিনার কাছে ফিরে আসা, আমিনার মৃত্যু, আবদুল মোত্তালিবের মৃত্যু এবং রসুলের শৈশবের কিছু মুজিজা তুলে ধরা হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=iSwJ_1TbngU&html5=1
ছায়াছবিটির অফিসিয়াল ট্রেইলর
এ ছাড়া, কিভাবে ও কেন কন্যা শিশুকে জীবন্ত মাটিতে পুতে হত্যা করা হত এবং এ ব্যাপারে রসুলের ভূমিকা কি ছিল তা উঠে এসেছে। সিনেমার শেষাংশে আবারো শোয়াবে আবু তালিবের ঘটনা দেখানো হয়েছে যেখানে দেখা যায়, মক্কার কুরাইশরা বনু হাশিম গোত্রের সঙ্গে যে নির্যাতনমূলক চুক্তি করেছিল সেই চুক্তির দলিল পোকায় খেয়ে ফেলে। ফলে চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং নির্বাসিতন মুসলমানরা মুক্তি পায়।
শিশু ও কিশোর বয়সে তিনি যেখানেই যেতেন সেখানেই রহমত বর্ষিত হত। তার সামান্য ছোঁয়া পাওয়ার জন্য মানুষ ব্যাকুল হয়ে থাকতো, তার দিকে চেয়ে থাকাটাও ছিল মানুষের জন্য এক ধরণের প্রশান্তি-দায়ক। এভাবে বিশ্বনবী (সা.)’র মাত্র ১২ বছর বয়স পর্যন্ত ঘটনাবলীর নানা কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। ছবিটিতে সে সময় মানুষের ব্যবহৃত পোশাক, ঘরবাড়ির ধরণ, রাস্তাঘাট, অলিগলি ও ঘরে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে।
পুরো ছবিতে নায়ক (বিশ্বনবী)’র দুর্দান্ত উপস্থিতি রয়েছে এবং তার ডায়ালগ ছিল। তবে ক্যামেরা ধরা হয়েছে পেছন থেকে। শুধুমাত্র তাঁর হাতে কব্জি, আঙ্গুল ও পায়ের পাতা দেখানো হয়েছে। তাঁর অবয়ব দেখা গেছে কিন্তু তাঁর চেহারা মোবারক দেখানো হয়নি।
এমনকি ছায়াছবির চরিত্রে যারা অভিনয় করেছেন তাদের প্রত্যেকের নাম দেখানো হলেও বিশ্বনবীর চরিত্রে যে ছেলেটি অভিনয় করেছে তার নামও ওই অভিনয়কারীদের তালিকায় রাখা হয়নি। তবে, মুভিতে আবদুল মোত্তালিব, আবু তালিব, রসুলের মা আমিনা, দুধমাতা হালিমা, আবু সুফিয়ান, আবু লাহাবসহ তৎকালীন নেতৃবৃন্দের চরিত্রে অভিনয়কারীদের দেখানো হয়েছে। মুভিটি শেষ হয়েছে একটি নাতে রসুল দিয়ে।
ছায়াছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে বেজে ওঠা মিউজিক ছিল মন পাগল করার মতো। মন পাগল করা মিউজিক ও ছবির দৃশ্য পাগলের মতো উপভোগ করেছে হাজার হাজার দর্শক। মানুষকে নিয়ে গেছে সেই ১৪০০ বছর আগের যুগে। সব মিলিয়ে অসাধারণ লেগেছে এ ছবি।
বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) যে সত্যিই সারা বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ এবং তিনি ছিলেন অনন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তাও ছবিটির প্রতিটি পরতে পরতে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহীভাবে তুলে ধরেছেন চলচ্চিত্রের পরিচালক মাজিদ মাজিদি। মাজিদ মাজিদি বলেছেন, মুহাম্মদ (সা.)’র মুভিটি পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে পাশ্চাত্যের ভ্রান্ত ধারণা দূর করবে বলে আশা করি। পশ্চিমা বিশ্বে ইসলাম সম্পর্কে এমনসব ভুল ব্যাখ্যা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যার সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেছেন, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বহু দেশ এ ছবির বিষয়ে প্রচণ্ড আগ্রহ দেখিয়েছে।
ছবিটির বর্তমান দর্শকপ্রিয়তা :
বিশ্বের দর্শকদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। প্রদর্শনী শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে ছবিটি ১০ এর মধ্যে ৮.৯ রেটিং অর্জন করেছে। চলচ্চিত্র বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো এ হিসাব দিয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট ইরানের রাজধানী তেহরানসহ ১১ শহরের ১৪৩টি প্রেক্ষাগ্রহে এই ছায়াছবির প্রথম পর্বের প্রদর্শন শুরু হয়। একই সময়ে কানাডার মন্ট্রিল চলচ্চিত্র উৎসবের আওতায় সেখানকার দু’টি সিনেমা হলে দেখানো হয়েছে ইরানের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই ছায়াছবি। ইরানে প্রদর্শনীর টিকিট বিক্রি থেকে প্রথম রাতেই উঠে এসেছে ২০০ কোটি রিয়াল।
চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান সংক্রান্ত জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য উৎস ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাটাবেজ বা আইএমডিবি’র হিসাব অনুযায়ী- বিশাল বাজেটের এ চলচ্চিত্রটি দর্শকরা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছেন। আইএমডিবি’র ওয়েবসাইটে এ ছবি নিয়ে নিজেদের আনন্দ অনভূতি তুলে ধরতে দ্বিধা করেন নি পরিতৃপ্ত দর্শকরা।
এক দর্শক লিখেছেন, শেষ ছবি নির্মাণের আট বছর পর আবারও চমক দেখালেন মাজিদ মাজিদি। এবারে তাকে ছবি নির্মাণে সহায়তা করেছেন চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতিমান অনেকেই; ক্যামেরার পেছনে ছিলেন তারা। তাদের নিয়েই মহানবীর শিশুকালের ছবি তৈরি করেছেন মাজিদ মাজিদি।
ছবিটির এ দর্শক আরো লিখেছেন, এ পর্যন্ত যে সব ছবি দেখেছি তার মধ্যে সিনেমাটোগ্রাফির দিক থেকে এটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ। চলচ্চিত্রটিতে কম বয়সী নায়কের সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরা যেন উড়ে বেড়িয়েছে। ছবিটি দেখতে যেয়ে গ্যালারিতে অনবদ্য চিত্রকলা দেখার অনুভূতি হয় বলে মন্তব্য করেন এ দর্শক।
উপসংহার :
বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা-কে নিয়ে নির্মিত এই ছবির যারা বিরোধিতা করেছিলেন ও সমালোচনায় লিপ্ত ছিলেন ছবিটি প্রকাশিত হওয়ার পর তাদের সে সমালোচনা কিংবা বিরোধিতার আর কোনো যৌক্তিকতা থাকল না।
আর এ কারণেই এখন পর্যন্ত পশ্চিমা বিশ্বকে মুহাম্মদ সা-এর বাণী সঠিকভাবে পৌছানো সম্ভব হয়নি। সমস্ত নবী রাসূলগণই আমাদের কাছে সম্মানিত, তাহলে অন্যান্য নবী রাসূলদের উপর নির্মিত চলচ্চিত্রসমূহের ব্যাপারে কোনই আপত্তি ও বিরোধীতা আসছে না, কেবল মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উপর নির্মিত চলচ্চিত্রটির ব্যাপারেই কেন রহস্যজনকভাবে এত আপত্তি ও বিরোধীতা ?? !!
আমাদের মনে রাখতে হবে - ভাল ও গঠণমূলক কাজে অবশ্যই বিরোধীতা থাকবেই । তারপরও আমাদের গঠণমূলক কাজ করে যেতে হবে । এধরনের ভাল ও গঠণমূল কাজ করার জন্য ইরানের সরকার বাহাদুর ও ছায়াছবিটির সাথে যুক্ত সবাই আল্লাহর অশেষ করুণা ও আমাদের হৃদয়ের অন্তস্হল হতে আমাদের ভালবাসা ও প্রীতি পাবেন । তবে এজন্য ইরানের সরকার বাহাদুরকে অহংকারী হওয়া যাবে না , বরং মুসলিম বিশ্ব কীভাবে উন্নায়ন ও অগ্রগতির পথে দাবিত হতে পারে - এই মহৎ বিষয়ের উপর অসংখ্য ছায়াছবি বানানোর ব্যাপারে অগ্রগামী হতে হবে ।
কৃতজ্ঞতা :
কালের কন্ঠ, আমার দেশ, সিএনএন, ফেসবুক
বিষয়: বিবিধ
২৯৫৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাসুল সা. – এর জীবনী নিয়ে বানানো প্রথম ছবি ম্যাসেজ । ম্যাসেজ ছবিটি বানানোর সময়ও অনেক বাধা বিপত্তি আসে। সব বাধা উপেক্ষা করেই শেষ পর্যন্ত মোস্তফা আক্কাদ ছবিটি বানান। এই বাধার মূলেই ছিল সৌদীরা। লেবাননের শিয়া মজলিস ও সুন্নীদের সর্বোচ্চ সংগঠন আল-আজহার থেকে সম্মতি আসলেও সৌদী নিয়ন্ত্রিত মুসলিম ওয়ার্ল্ড লীগ থেকে আপত্তি আসে। আমেরিকায় এরকম একটি চলচ্চিত্র তৈরির অর্থ সংগ্রহ করতে না পেরে আক্কাদ শেষ পর্যন্ত মরক্কান সরকারের কাছে সমর্থন পায়। তবে মরক্কোতে ছবিটি নির্মান চলাকালে সৌদীর প্রচন্ড চাপে মরক্কান সরকার সব বন্ধ করে দেয়। পরে লিবিয়ার মুয়াম্মার আল গাদ্দাফী ছবির খরচ আর তার দেশে ছবিটি শেষ করার অনুমতি দেয়।
লন্ডনে প্রিমিয়ার হওয়ার কিছুদিন আগে ফোনের মাধ্যমে হুমকির পাওয়ায় ছবিটির আসল নাম "মোহাম্মদ, ম্যাসেঞ্জার অফ গড" বদলে "দ্যা ম্যাসেজ" রাখতে হয়। আমেরিকায় ছবিটি মুক্তির আগেই একটি সংগঠন ন চলচ্চিত্রটির পোস্টারে (হামজা রা –এর চরিত্রে অভিনয়কারী) আন্থনি কুইনকে রসূলুল্লাহর চরিত্রে অভিনয়কারী মনে করে ওয়াশিংটনের একটি বিল্ডিং দখল করে এবং ছবিটির মুক্তি বন্ধ না করলে বিল্ডিং ও তার ভেতরে অবস্থানকারীদের উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। কিন্তু সেই সংগঠণ কিছুই করতে পারেনি ।
আজ আমরা ম্যাসেজ ছায়াছবিটি দেখে বলি কতই না সুন্দর ছায়াছবি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন