নিকাব ও বোরকা পরা সেই মেয়েটি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৯:৪৩:৫০ রাত
সেদিন বাসায় ফেরার জন্য তাড়াহুড়া করে মিরপুর ১২ নং সেকশন হতে কিকল্প বাসে উঠলাম। বাসে উঠে দেখি টু সিটের একটিতে নিকাব ও বোরকা পরা একটি মহিলা বসে আছে । আরেকটি খালি আছে।
আমি তার পাশে দাড়িয়ে ছিলাম। ভাবছিলাম বসবো কি না। দাড়িয়ে থাকতে আমার কষ্ট হয়।
পরের স্ট্যান্ডে বাস থামতেই কয়েকটা ছেলে বাসে উঠলো।
আমি কোনো কথা না বলে নিকাব ও বোরকা পরা মহিলাটির পাশে বসে পড়লাম।
আমার দিকে মহিলাটি একবার দৃষ্টি ফেরালো।
আমিও তাকালাম তার দিকে।
চোখে চোখে পড়তেই তার দৃষ্টি বাইরের দিকে ফিরিয়ে নিল।
তার চোখ দুটো বেশ মায়াবি মনে হলো। বেশ সুন্দর। সুন্দর মেয়েদের অহংকার অন্য মেয়েদের তুলনায় একটু বেশি থাকে। তার বেলায়ও এর ব্যতিক্রম নয়।
সে খুব অহংকারী ভাব নিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে ছিল।
অপরিচিত কারো সঙ্গে হুট করে আগ বাড়িয়ে কথা বলার ইচ্ছা আমারও হয় না।
বাসটি কিছুক্ষণ পর একটি স্ট্যান্ডে থামলে মেয়েটি তাড়াহুড়া করে নেমে গেল।
আমি দাড়িয়ে তাকে বের হওয়ার জন্য জায়গা করে দিলাম।
সে নেমে গেলে আমি তার সিটে গিয়ে বসলাম।
সে নেমে গিয়ে রাস্তার পাশে দাড়ালো।
আমি তাকিয়ে থাকলাম তার দিকে।
বাস চলা শুরু করলে মেয়েটি আমার দিকে তাকালো।
আমি তখনো এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম।
আমি হাত উঠিয়ে তাকে বিদায় জানালাম।
সে আমাকে অবাক করে হাত নাড়লো। (কাজগুলো অবশ্যই খারাপ হয়েছে । )
এতেই আমার মধ্যে আনন্দের ঢেউ খেলে গেল। ভাবলাম, নিকাব ও বোরকা পরা মেয়েটি ক্ষণিকের সঙ্গী ছিল। তার জন্য আমার বুকের মধ্যে ধুক ধুক করছিল কেন ! ( শয়তানের কার্যক্রম শুরু হলো । )
কিছুক্ষণ পর বাস থেকে নেমে যাবো। হঠাৎ পায়ের নিচে কি যেন বাধলো। নিচের দিকে দৃষ্টি দিতেই দেখলাম একটি ডায়রি পড়ে আছে। ডায়রিটি তুলে নিলাম।
এরই মধ্য বাস শুক্রাবদ স্টপেজে থামলো। আমি নেমে পড়লাম। আমি আমার প্রতিষ্ঠান ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রবেশ করলাম ।
ক্লাসে আরিফা ম্যামের ক্লাস হচ্ছিলো । তিনি আজ ছেলেদের অনুরোদে গান গাইলেন । গানটা হলো : শুনেছি সে দিন তুমি ..।
https://www.youtube.com/watch?v=hj7f4a_lJ-I
আরিফা ম্যাম বোরকা পরেন । কিন্তু মুখ ঢাকার জন্য নিকাব পরেন না । অসাধারণ গান গান । আবার ভীষণ মেধাবী ।গণিতের জটিল জটিল বিষষ সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন ।
আমার তার লেকচার শুনতে ইচ্ছে করছিলো না । বার বার নিকাব ও বোরকা পরা সেই মেয়েটির কথা মনে পড়ছিলো । আমাদের ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনেক মেয়ে বোরকা পড়ে । তারা ছেলেদের সাথে বসে এক সাথে খায় ও চলাফেরা করে । এমন কি তারা পরীক্ষার সময় স্কার্ফ বা হিজাবের ভিতর হতে ও এমনকি বুকের ভিতর হতে নকল বের করে লিখে । আর সেই নকলগুলো তারা বয়ফ্রেন্ডদের দেয়ও । কি বিশ্রী !! আমি এদের নাম দিয়েছি : হিজাবি গার্ল ফ্রেন্ড । হিজাবী মেয়েগুলোকে আমার ভাল লাগে না । এদের দেখতে আমার কাছে বাজে লাগে । সাধারণ ওড়না পরা মেয়েদের আমার ভাল লাগে । তারা বুকে ওড়না দেয় আর মাঝে মধ্যে মাথায় ওড়না টেনে নেয় । কখনো তাদের সাথে অপরিচিত লোক দেখলে তারা ওড়না বুকে টেনে নেয় বা বুক ওড়না দিয়ে ভালভাবে ঢাকার চেষ্টা করে । আমি এদের একটাকে এক দিন বলেছিলাম : এভাবে ওড়না ঠিক করার কোন যুক্তি সংঘত কারণ আছে কি ? । সে বল্লো : লুটেরা আসলেই লোকেরা সতর্ক হয় । আমি এই কথা শুনে কথা বাড়ালাম না ।
https://www.youtube.com/watch?v=Q8IkBXf41Qs
ক্লাস শেষে ছেলেরা বল্লো : ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে একটা প্রোগ্রাম আছে । সেখানে আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে । এই প্রোগ্রামে প্রফেসার ডক্টর সালমা করিম ম্যাম দিক নির্দেশনামূলক বক্তৃতা দিবেন । তার বক্তৃতা শুনলাম । তিনি তার ইউনিভার্সিটির ছেলেরা কীভাবে ভাল রেজাল্ট করবে তার দিক নিদের্শনা দিলেন । তার কথা শুনে মনে হলো পড়াশোনা আর ভাল রেজাল্ট করা ছাড়া আর কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করা যাবে না । শুধু পড়া আর পড়া । বিরক্ত হলাম ।
বাসায় ফেরার জন্য রিকশা নিলাম। সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড়ে আসলাম । সিটি কলেজের মেয়েগুলোও হিজাবী হয়ে গেছে । এদের অনেকের সাথে তাদের বয়ফ্রেন্ডরা রয়েছে । হাতে আমার একটি ডায়রি। ঐ সেই নিকাব ও বোরকা পরা মেয়েটির ডায়েরী । বুকের মধ্যে স্পন্দনের মাত্রা বাড়ছিল। তবুও ডায়রিটি খুলিনি।
বিকল্প পরিবহনের বাসে উঠলাম । আমার পাশে সিটি কলেজের এক হিজাবী ধামড়ী বসলো । চরম বিরক্ত হলাম । সিটি কলেজের সাদা পোষাক পড়া ধামড়ি আর পাঠিগুলোকে দেখলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায় । সারাক্ষণ গাড়িতে বসে দল ভেদে শালিক পাখির মতো কিচির মিচির করে কথা বলে । ভিকারুন্নেসা আর ইডেনের মেয়েগুলো এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম । তবে ইডেনের অনেক মেয়ে ভীষণ বাজে । সেই প্রসঙ্গে গেলাম না ।
বাসায় ফিরে দ্রুত রুমে গিয়ে কাপড় না ছেড়ে ডায়রিটার পাতা উল্টালাম। প্রথম পৃষ্ঠা উল্টিয়ে দেখি একটি নাম লেখা, “রিতা চৌধুরী”। শহরের অভিজাত এলাকার একটি ঠিকানা লেখা। পাশে একটি মোবাইল নাম্বার।
আমি পাতা উল্টাতে থাকলাম। ডায়িরির মাঝামাঝি জায়গায় দেখলাম, এক হাজার টাকার তিনটি নোট রয়েছে। ডায়রির আর কোনো জায়গায় কিছু লেখা নেই। ভাবছিলাম, ফোন দেবো কি না। সিদ্ধান্ত নিলাম, আগামী কাল ফোন দেবো ।
পরদিন উত্তেজনা ও কৌতূহল নিয়ে তাকে ফোন দিলাম। অন্য প্রান্ত থেকে ভেসে এলো মিষ্টি সুরালো মেয়েলি কণ্ঠ, কাকে চাই?
আমি রিতা চৌধুরীকে চাচ্ছি।
জি, বলছি। আপনি কে?
আমি কোনো ভনিতা না করে সব কথা খুলে বললাম।
মেয়েটি টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলো।
বললাম, আপনার আমানত ঠিক আছে। যথাসময়ে পেয়ে যাবেন।
ওই দিন রিতার সঙ্গে আমার অনেক কথা হলো।
রিতা ঢাকা শহরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনার্স পড়ুয়া মেয়ে। সে তার কথায় বললো, জন্ম সূত্রে বাবার বাড়ি সিলেট জেলায়। ঢাকা শহরের কোন এক অভিজাত এলাকায় তাদের বাড়ি আছে। লন্ডনে তার ভাইয়েরা থাকে । ( পরে বোঝেছি এসব কথা মিথ্যা )
এরপর থেকে রিতার সঙ্গে আমার রোজ কথা হতো। মোবাইলে অনেক কথা বলতাম।
সে আমাকে দেখা করতে বললো।
আমি তার কথায় একমত পোষণ করলাম। তবে কথা হলো, সেদিন রিতা নিকাব ও বোরকা পরে আসবে না।
দুজনে এক মত হলাম , আমরা সোহরাওয়াদী উদ্যানে দেখা করবো ।
নিজেকে রিতার সামনে শ্রেষ্ঠ পুরুষ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য তৈরি করলাম। আজিজ সুপার মার্কেট থেকে নতুন পোশাক কিনলাম। হুমায়ুন আজাদের নারী বইটা কিনলাম । উদ্দেশ্য গিফট দেওয়া । ভালো ব্র্যান্ডের সুগন্ধি নিলাম। মামার দেয়া সোনার চেইন পরে নিলাম। গত মাসে মামা দুবাই থেকে পাঠিয়েছেন। চেইনের সঙ্গে ”জুয়েল” লেখা একটি লকেট আছে। মামার ডাক নাম । রিতার ডায়রি আর টাকাগুলো আগের অবস্থায় রেখে দিলাম। আমার পুরো মাসের বেতনের টাকা সঙ্গে নিলাম। যদি কোনো চায়নিজ রেস্টুরেন্টে বসি তাহলে বিল দিতে হবে সেই আশায়।
নির্দিষ্ট পার্কে গিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।
নির্দিষ্ট সময়ে সে এলো না।
আমি বার বার হাত ঘড়িটি দেখছিলাম। অপেক্ষা বড়ই অধৈর্যের আমি তখন বুঝলাম।
কিছুক্ষণ পর নিকাব ও বোরকা পরা একটি মেয়ে আমার সামনে এসে দাড়ালো। বললো, ভালো আছো তুমি?
আমি না সূচক উত্তর দিয়ে বললাম, না ভালো নেই। তোমার অপেক্ষায় বসে থেকে বুকের মধ্যে ব্যথা হচ্ছে। রিতা, তোমার তো নিকাব ও রোরকা পরার কথা ছিল না। এভাবে এলে কেন ? ( উল্লেখ্য বাংলাদেশ কেন অধিকাংশ মুসলিম দেশের ছেলেরা নিকাব ও বোরকা অপছন্দ করে । )
সে সুর পাল্টিয়ে বললো, বোরখা পরলে তোমার সমস্যা কি?
আমি হেসে উত্তর দিলাম, তোমার সঙ্গে কথা বলছি। অথচ তোমার মুখ দেখছি না।
সে আমাকে খারাপ ছেলে বলে সম্বোধন করলো। সে আমার কথার পিঠে কথা বলে আমাকে উত্তেজিত করে তুললো।
এর মধ্যে পাশে দেখলাম তিনটা ছেলে আমাদের দিকে হেঁটে আসছে। আমাদের সামনে এসে বললো, এখানে এতো চিৎকার কিসের ? কি আপা, আপনার সঙ্গে কোনো খারাপ ব্যবহার করেছে?
হ্যা ভাই, এ লোকটি আমার টাকা-পয়সা, সোনা ছিনতাই করেছে।
রিতার কথা শুনে আমি চুপ মেরে গেলাম। কি জবাব দেবো ওই তিন যুবককে ! রিতা চিৎকার করে বললো, এ ছেলেটি আমার ডায়রি ছিনিয়ে নিয়েছে। ডায়রির মধ্যে টাকা আছে।
ছেলেগুলো আমাকে ধরে টেনে হিচঁড়ে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গেল। তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগনাৎ হলে ।
রিতা ও এই তিন ছেলে মিলে ডায়রিটা নিয়ে ভেতরে দেখলো এক হাজার টাকার তিনটি নোট। তারপর আমার কলার চেপে ধরে বললো, আর কোথায় কি আছে তা বের কর ।
আমি সুবোধ বালাকের মতো মানিব্যাগ বের করে দিলাম।
শেষে রিতা বললো, আমার সোনার চেইন কোথায় ?
তখন বললাম, আপনি মিথ্যা বলছেন। চেইনটি আমার।
রিতা বললো, আপনি মিথ্যা বলছেন। চেইনটি আমার। লকেটে আমার নামের প্রথম অক্ষর লেখা আছে।
ওদের দৃষ্টি গেল আমার চেইনের লকেটে জ লেখা আছে। তখন তারা ছো মেরে আমার চেইনটি নিয়ে নিল।
আমি রিতার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম। হায়রে, এও কি সম্ভব!
ওরা আমাকে ধরে মারতে লাগলো। এক সময় জ্ঞান হারালাম।
জ্ঞান ফেরার পর দেখলাম চারদিকে অন্ধকার। আশপাশে কেউ নেই। গাছের ডাল ধরে নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে উঠে দাড়ালাম। মাথা ঘুরছিল। আস্তে আস্তে হেঁটে ছবির হাটের কাছে আসলাম । চারুকলার কিছু ছেলে আসলো । তারা আমার কি হয়েছে তা জানতে চাইলো না । ( মনে হয় এমন ঘটনা দেখতে দেখতে তারা অভ্যস্হ হয়ে গেছে । ) তারা আমাকে একটা সিএনজি-তে তুলে দিলো । আমি ড্রাইভারকে সব কিছু খুলে বললাম।
ড্রাইভার আমাকে ফার্মগেটের আল রাজি হাসপাতালে নিয়ে গেল।
এরপর কয়েক দিন শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলাম। কিন্তু মানষিকভাবে এখনও সুস্হ হইনি ।
আমি এখন বাসে উঠলে ভুলেও কোনো নারীর পাশে বসি না। নিকাব ও বোরকা পরা মেয়েদের দেখলে সেই ঘটনার কথা মনে পড়ে যায় ।
কৃতজ্ঞতা : এসএম ইকবাল, আলফাডাঙ্গা, ফরিদপুর থেকে
দৃষ্টি আকর্ষণ : ভাইদের বলছি । দয়া করে বার বার গল্পটা পড়ুন ।
বিষয়: বিবিধ
৩৮২৬১ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
ছাগুরা যে কোন কিছুর উপর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য তার একটা বিপরীত বস্তু হাতের কাছেই রাখে।
যেমন : পাকিস্তানের উপর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য ভারতকে ব্যাবহার করা।
বুরখা ও নিকাব নিয়ে কথা হলে ব্যবহার করে বিকিনি।
বোরকা ও নিকাবের সপক্ষে সরাসরি বললে পাবলিক ধরে প্যাঁদানি দিতে পারে। তাই মিষ্টি করে বলে, ”আমি নিজেও বোরকা ও নিকাব পছন্দ করিনা। কিন্তু খেয়াল রাখতে পোশাক নারীর অধিকার। আপনার মা বোনেকে যদি বিকিনি পরতে বাধ্য করা হয় সেটা কি আপনার ভালো লাগবে? ...
তারা ধর্ষণকে প্যাঁচায অসামাজিকতা, পশ্চিমা কালচারের কুফল দিয়ে। কারো ধর্ষণের খবর শুনলে বলে, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কিন্তু আমাদের মা বোনদেরও সতর্ক হতে হবে। পশ্চিমা সভ্যতার বদ বায়ু যেন এই বখতিয়ার খলজি, শাহাজালালের পবিত্রভূমিকে নষ্ট না করতে পারে। এজন্য সব মেয়েদের বুরখা ও নিকাব পড়া উচিত বলেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রী সংস্হার সব মহিলা ও ছাত্রী বুরখা ও নিকাব পরে । আর একারণেই বুরখা ও নিকাবকে জামায়াতে ইসলামী ফরজ মনে করে । ”
আপনার ক্ষেত্রেও এমন ঘটেছে । ল্যাঞ্জা ইজ হাইড, বাট ডিফিক্লাট টু কট ।
কওমী মাদ্রাসার মেয়েরা কাল বোরকা ও নিকাব পড়ছে তাদের ড্রেস কোড হওয়ায় । তারা স্বেচ্চায় পড়ে না । বাড়িতে তারা সাধারণ মেয়েদের মতোই পোষাক পরে । বাহিরে গেলেও তাদের বড় অংশ কাল বোরকা ও নিকাব পড়ে । উপরন্তু কওমী মাদ্রাসাতে ১৬ হতে ২৮ বছরের মেয়ে খুব কমেই পড়ে । কারণ কওমী মাদ্রাসার হুজুরদের মতে মেয়েদের ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়াই যথেষ্ঠ । কওমী মাদ্রাসার মেয়েদের অনার্স - মাস্টার্স পড়া লাগে না । আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।
হিজাব ব্যবহার করে যদি কেউ অসৎ কাজ করে সেটা ঐ ব্যক্তির মনমাসকিতার দোষ.।আর হিজাব পড়ে যারা নিজের দেহ কে লুকিয়ে রেখে অসুস্ত সমাজ কে আর অসুস্ত করতে চায় না -- তাদের হিজাব পরা কে কটাক্ষ করার কি কনো যুক্তি আছে --- আমর বুঝে আসে না----
আপনাকে বরাবর হিজাব পড়া ছবি পোষট করে পোষ্ট দেখার কারণে মনে হল এই পোষ্ট টিও সেই আলোকে তুলে ধরছেন ---আর যদি তাই হয় তাহলে ঠিক করছেন না---
দয়া করে হিজাবের নামে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না ।
এই ছবির মেয়েরা কি বেপর্দা ও হিজাবহীন ?
আমার মতে তারাই সঠিকভাবে হিজাব করেছে ।
আমি হিজাব করাকে খারাপ বলি নাই । নিকাব ও বোরকা পরার বিষয়টাকে তুলে ধরেছি । আর কিছু হিজাবী মেয়ের কিছু কর্মকান্ড তুলে ধরেছি মাত্র ।
বোরকা ও নিকাব ব্যবহার করেই ভাল কাজ কমই হয় । কেহ সার্ট প্যান্ট করে ঘুষ-দুর্নীতি-চুুরি করলে আমরা বলি না যে তারা সার্ট-প্যান্টকে এবইউজ করছে । নিকাবের কোন ভাল গুণ নেই । আইন করে নিকাব নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে ।
বর্তমানে আইন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , কর্ম ক্ষেত্র ও পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকার আচ্ছাদন বা এমন পোষাক যাতে মুখ অপ্রদর্শিত থাকে তা নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে ।
আমি মনে করি,
"Bangladesh shoul have a law that forbids the use of helmets or any other type of object or piece of cloth covering the face of individuals upon entering a public or private premise.
This law will passe in order to reduce the number of attempts of any crimes.
By removing the helmet or piece of cloth, the individual is more easily recognized by security tapes."
এই ব্যাপারে আইন করতে হবে আমাদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি, ধর্মান্ধতা-কুসংস্কার-কুপমন্ডুকতা নির্মূল ও নিরাপত্তার স্বার্থে ।
এই কথা বলা মানে --- আপনার সাথে এই নিয়ে আর কিছু বলা ঠিক হবে না -- আপনি এই মুসলিম জগতের ভাল জিনিষ গুলির অনেক কিছু জানে না-- শুধু বলব আপনি যেভাবে এই হিজাবের খারাপ ছবি নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন এতে আপনি যে আস্তে আস্তে ইসলাম বিমূখি হয়ে পড়বেন এটা কিন্ত জোর দিয়ে বললাম--@মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম
আপনি কুরআনবিরোধী কথা বলেছেন । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। .. সুরা নাহল : ১২৫
আপনি লিখেছেন :
আপনি এই মুসলিম জগতের ভাল জিনিষ গুলির অনেক কিছু জানে না-
উত্তরে বলছি : মুসলিম জগতের ভাল জিনিসগুলো আমাকে জানান । অন্যথায় তো আপনি দাওয়াতী কাজ করা হতে বিরত থাকলেন । তাই না ?
আপনি বলেছেন : শুধু বলব আপনি যেভাবে এই হিজাবের খারাপ ছবি নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন এতে আপনি যে আস্তে আস্তে ইসলাম বিমূখি হয়ে পড়বেন এটা কিন্ত জোর দিয়ে বললাম--
উত্তরে বলছি : আমি সঠিক, বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরেছি । আমি হিজাবের বিরোদ্ধে কিছু লিখি না । আমি বোরকা ও নিকাবের খারাপ দিকগুলো তুলে ধরেছি ।
বোরকা ও নিকাব পরা হিজাব নয় ।
ইসলামে হিজাব কাকে বলে তা আগে জানুন ।
বর্তমানে আইন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , কর্ম ক্ষেত্র ও পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকার আচ্ছাদন বা এমন পোষাক যাতে মুখ অপ্রদর্শিত থাকে তা নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে ।
আমি মনে করি,
"Bangladesh shoul have a law that forbids the use of helmets or any other type of object or piece of cloth covering the face of individuals upon entering a public or private premise.
This law will passe in order to reduce the number of attempts of any crimes.
By removing the helmet or piece of cloth, the individual is more easily recognized by security tapes."
এই ব্যাপারে আইন করতে হবে আমাদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি, ধর্মান্ধতা-কুসংস্কার-কুপমন্ডুকতা নির্মূল ও নিরাপত্তার স্বার্থে ।
যতই ভাল নিয়ত করে নিকাব পরা হোক না কেন তা দেশ-জাতি-ইসলাম-মুসলিম বিশ্বের জন্য কল্যাণকর হবে না । কারণ নিকাব পরা মেয়েগুলো চরম গোঁড়া ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয় ।
আমার বাড়ি কুমিল্লায় । কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকাব পরা মেয়েদের নিয়ে জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা সমস্যা সৃষ্টির চেষ্টা করে ।
ঘটনাটি হলো :
বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা নাহিদা বেগম-এর সাথে নিকাব পরা ছাত্রী মাকছুদা মীরা তর্কে জড়িযে পড়ে । তিনি অভিযোগ করেন, নিকাব পরা তাকে কম নম্বর দেওয়া হয়েছে ।
বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষেরে দ্বিতীয় সেমিস্টারের (বাংলা ৫ম ব্যাচ) গ্রুপ প্রেজেন্টেশনের সময় এই শিক্ষার্থী বোরকা ও নিকাব পরেই প্রেজেন্টেশনে অংশগ্রহণ করতে এলে শিক্ষিকা নাহিদা বেগম নিকাব খোলার জন্য চাপ দেন বা মুখ খোলে প্রেজেন্টেশনে অংশ নিতে বলেন ।
কিন্তু কোনোভাবেই নিকাব বা মুখ খুলতে রাজি হয়নি ওই মাকছুদা মীরা । তখন শিক্ষার্থীর উদ্দেশে শিক্ষিকা বলেন, আরো বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বোরকা পড়ে ক্লাসও করতে দেয়া হয় না। ভবিষ্যতে তোমরা অনেক জায়গায় চাকরি করতে যাবে যদি বোরকা না খোলো তোমাদের চাকরি হবে না। বাংলা শিক্ষার্থীদের সংস্কৃতি ভিন্ন হবে এটাই স্বাভাবিক।
তখন ওই শিক্ষার্থী বলেন ‘আমি চাকরি করবো না।’ পরে বোরকা পড়েই ওই শিক্ষার্থী প্রেজেন্টেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং প্রেজেন্টেশনের নম্বর ঘোষণার সময় ওই শিক্ষিকা বলেন ‘তার সব কিছুই ভালো হয়েছে, তবে ভালো পোশাক না পড়ার কারণে এক নম্বর কম পেয়েছে।’
তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থী নিকাব না খুলেই প্রেজেন্টেশন গ্রহণের অনুরোধও করেন ওই শিক্ষিকাকে।
এই বিষয়ে কোর্স শিক্ষক নাহিদা বেগম বলেন, ‘আমি কোর্স শিক্ষক- আমার একটা চাওয়া পাওয়া আছে, তাই আমি শাড়ি পড়েই প্রেজেন্টেশন দিতে বলেছিলাম, এটি তেমন কিছু না।’
আমার অভিমত,
১,চাকুরী না করতে আসলে বা কিছু না করতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার উদ্দেশ্য কি ? তার জন্য তো একটা ছাত্র বা ছাত্রীর আসন নষ্ট হলো ।
২.উপরন্তু সরকার চাকুরী বা কোন কিছু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার প্রতি বছর ২৫ হাজার টাকা খরচ করে । এই টাকা কি তাহলে সরকারের বৃথা খরচ করা হলো না ?
৩.আর কেনই বা নিকাব পরা মাকসুদা মিরা দেশ ও জাতির সেবা করার জন্য পড়াশোনা শেষ করে চাকুরী বা কোন কিছু করবে না ?
৪.শাড়ি পড়া কি ইসলামবিরোধী আর শাড়ি পড়ে কি পর্দা করা যায় না ? শাড়ি ইসলামবিরোধী পোষাক আর শাড়ি পড়া কবিরা গুনাহ – এটা কোন হাদিসে লেখা আছে ?
১। হিজাব দেখতে কেমন ?
২। নিকাপ কি ?
আমার মতে এসব মেয়েরা হিজাব করেছে -
আপনি কি আমার সাথে এক মত ।
আর যদি একমত না হোন তাহলে কারণগুলো বিস্তারিত উল্লেখ করুন ।
১। হিজাব দেখতে কেমন ?
২। নিকাপ কি ?
আশা করি উত্তর দিবেন ।
উত্তর না দিয়ে আপনি আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছেন :
”বোরকা ও নিকাব ব্যবহার করেই ভাল কাজ কমই হয় -------তার মানে আপনি বলতে যাচ্ছে বোরকা ও নিকাব পরে তারা সবাই খারাপ কাজ করে । এটাই যদি মিন করে থাকেন তাহলে আপনার সাথে কোন কোন কথা নেই । “
উত্তরে বলছি : বোরকা ও নিকাব পরে তাদের সবাই খারাপ কাজ করে না , কিছু কিছু বোরকা ও নিকাব পরা লোকরা ভাল কাজ করেন । যেমন : আপনি । আপনি অপরিচিত লোকদের সাথে জ্ঞানের আদান প্রদান করছেন । এটা ভাল কাজ ।
আপনি যদি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর না দেন, তাহলে আপনি ইসলামবিরোধী কাজ করবেন । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
” :
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। .. সুরা নাহল : ১২৫
”
উপরন্তু আপনি যদি আমার লেখা পড়া বাদ দেন বা আমার সাথে কথা বলা বা আমার লেখা পড়ে মন্তব্য করা বাদ দেন, তাহলেও আপনি কুরআনবিরোধী কাজ করবেন । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
”وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللّهَ وَرَسُولَهُ أُوْلَـئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।
”
সুরা তওবা : ৭১ নং আয়াত ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন