আতংকের অপর নাম নিকাব পার্টি ও বোরকা পার্টি

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:১৩:১৪ দুপুর



ঢাকার ফার্মগেটে কয়েকশ লোক ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোয় অনেক যাত্রী হয়তো ভাববেন এটা মানব বন্ধন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে বাসের জন্য অপেক্ষা। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ওই এলাকার চিহ্নিত একটি নারী চক্র। এরা প্রত্যেকেই বোরকা ও নিকাব পরা। টার্গেট উঠতি বয়সী যুবক ও তরুণ।



অফিসফেরত এক যুবককে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে বোরকা পরা দুই নারী। কিছুদূর এগোনোর পর তাদের সঙ্গে যোগ হলো আরও কজন। সকলে মিলে এবার ওই যুবককে নাস্তানাবুদ করার পাঁয়তারা। পথচারিদের কেউ কেউ এগিয়ে গেলেও নারীদের সঙ্গে কথা না বলে দূরে দাড়িয়ে দৃশ্য দেখছেন। ওই নারীদের অভিযোগ, যুবকটি নাকি তাদের একজনের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছেন। শুধু তাই নয়, এক নারীকে কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন কথিত অভিযুক্ত যুবকটি। এ খবর চিৎকার করেই সকলকে জানাচ্ছে এক নারী। এ সময় চিৎকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে থাকেন অসহায় যুবকটি। কিন্তু কে শোনে কার কথা। কৌশলী আচরণে ঘটনাপ্রবাহকে ততক্ষণে নিজেদের অনুকূলে নিয়ে ফেলেছে ধূর্ত ওই চক্রটি। নারীর সম্মান বলে কথা! আর এ কারণেই কেউ কিছু না বুঝে সেদিনের সৃষ্ট জটলা থেকে ‘ধর-মার-সাইজ কর’ আওয়াজ উঠতে থাকে।

মানুষের জটলা দেখে এগিয়ে যান তেজগাঁও থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর। তিনি ঘটনা শুনে ওই যুবকটিকে রক্ষা করেন মারের হাত থেকে। তবে তার শার্টের কলার ধরাই ছিল এক নারীর। ধূর্ত ওই নারী ভেবেছিল এবার পুলিশ তাদের ফাঁদে পা দেবে। আর বাড়তি কামাইতো হবেই। তবে সে গুড়ে বালি!

ওই দারোগা এক নারীকে দাঁড়াতে বললেন। পাশাপাশি নারী পুলিশের জন্য খবর দেন থানায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই নারী নিজেকে মানবাধিকারকর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে আরেক নারী তাকে বাঁচাতে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। এবার দারোগা পড়েন বিপাকে। কাকে ধরবেন আর কাকে ছাড়বেন। আসলে ঘটনাটি কি ঘটেছে তা জানা যাচ্ছে না। এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে ফোন দেয়ার ভান করেন মানবাধিকারকর্মী পরিচয়দানকারী ওই নারী প্রতারক। আসলে কাউকেই তিনি ফোন করেননি। বিষয়টি টের পেয়ে দারোগা এবার লাঠি হাতে তেড়ে উঠলেই বেরিয়ে আসে প্রকৃত রহস্য। ওই নারীরা সকলেই ভ্রাম্যমাণ যৌনকর্মী। বোরকা পরে উঠতি বয়সী তরুন ও যুবকদের টার্গেট করে বিপদে ফেলে এরা। কখনো রিকশায় লিফট নেয়ার কথা বলে পরে আটকে টাকা পয়সা আদায় করে থাকে। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। ফার্মগেটে এমন অন্তত ২৫ নারীর একটি চক্র রযেছে। পুলিশের সামনে পড়ায় ওই যুবকটি বেঁচে গেছেন। কিন্তু প্রতিদিনই এমন অবস্থার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য যুবক। পুলিশ মাঝে মধ্যে এসব নারীদের ধরপাকড় চালালেও ঘুরেফিরে আবারও জড়ো হয় এরা। প্রতিদিন অফিস ফেরত অসংখ্য নারী-পুরুষ তাদের এ জটলা ও আচরণ দেখে হতবাক হন। বাসায় ফেরার তাগিদে কেউ হয়তো পুলিশে খবর দেন না। তাছাড়া কতিপয় পুলিশ সদস্য এ প্রতারণার খবর জানলেও অজ্ঞাত কারণে ওই নারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। তাছাড়া স্থানীয় পাতি নেতাদের সঙ্গে সখ্য থাকায় প্রতারক নারী চক্রটি প্রতিনিয়তই অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য ঢাকা মহানগরীর অন্তত একশটি স্পটে বোরকা পার্টি ও নিকাব পার্টি সক্রিয় রয়েছে । ব্যস্ততম সড়ক ও ওভার ব্রীজগুলোতে তাদের কার্যক্রম চোখে পরার মতো । কর্মজীবি মহিলারা ও ছাত্রীরা বোরকা পার্টি ও নিকাব পার্টির সদস্যাদের দেখে বিভ্রতবোধ করেন । উপরন্তু তরুণ ও যুবকরাই নন প্রায়ই বৃদ্ধ ও পৌঢ়বৃন্দও তাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হন ।

সূত্র : আমাদের সময়

নিকাব ও বোরকা পরা সেই মেয়েটি -

পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোদ করছি : http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/69002

বিষয়: বিবিধ

৬২৩৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339553
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২১
খন্দকার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ লিখেছেন : ঘটনা সত্য হলেও শিরোনাম ঠিক হয়নি।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১০
280910
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : শিরোনাম সঠিক ও যুক্তিপূর্ণ হয়েছে । আপনি নেটে সার্চ দিন । দেখবেন পত্রিকাগুলো কেমন শিরোনাম দিয়েছে । আর কিছু নিউজ পোর্টাল তো অশালীন গল্পও এই খবরের সাথে জুড়ে দিয়েছে ।

বর্তমানে আইন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , কর্ম ক্ষেত্র ও পাবলিক প্লেসে মুখ ঢাকার আচ্ছাদন বা এমন পোষাক যাতে মুখ অপ্রদর্শিত থাকে তা নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে ।

আমি মনে করি,

"Bangladesh have a law that forbids the use of helmets or any other type of object or piece of cloth covering the face of individuals upon entering a public or private premise.


This law was passed in order to reduce the number of attempts of any crimes.

By removing the helmet or piece of cloth, the individual is more easily recognized by security tapes."

এই ব্যাপারে আইন করতে হবে আমাদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি এবং ধর্মান্ধতা-কুসংস্কার-কুপমন্ডুকতার স্বার্থে ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:০০
281017
আনিসুর রহমান লিখেছেন : এই ব্যাপারে আইন করতে হবে আমাদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি এবং ধর্মান্ধতা-কুসংস্কার-কুপমন্ডুকতার স্বার্থে ।
রাবিশ ও বাস্তবতা বিরোধী বক্তব্য। ফুল স্কেলে হেজাব সমাজের অন্যতম উদাহরণ হল ইরান। এই হেজাব ইরানের উন্নয়নে কোন বাঁধা হয়ে দারায়নি। ইরানের উন্নয়ন ঘটছে লাফিয়ে লাফিয়ে। শুধু তাই নয় এই উন্নয়েনের পিছনে হেজাবী মেয়েদের রয়েছে অনেক আবদান। এটা বুঝার জন্য এই তথ্যটাই যথেষ্ট ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলতে ছাত্রের চাইতে ছাত্রী বেশী।
তুরস্কে ইসলাম বিরোধী শক্তি হেজাবকে নিষিদ্ধ করেছিল। দেশ আগানের চাইতে পিছিয়ে গিয়ে ছিল। কিন্ত ইসলাম পন্থী সরকার আসার পর হেজাবের উপর থেকে বাঁধা নিষেধ তুলে নিলে, তুরস্ক কী পিছিয়ে গিয়েছ, অবশ্যই না, আজকের তুরস্ক উন্নয়নের মডেল।
আপনাকে অনুরোধ করবো জাফর মার্কা প্রচারনা দারা বিভ্রান্ত হবেন না।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:০৪
281018
আনিসুর রহমান লিখেছেন : "Bangladesh have a law that forbids the use of helmets or any other type of object or piece of cloth covering the face of individuals upon entering a public or private premise.


This law was passed in order to reduce the number of attempts of any crimes.

By removing the helmet or piece of cloth, the individual is more easily recognized by security tapes.
ফ্যানাটিক ইসলাম বিরোধীদের মত আপনিও বলছেন হেজাব নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। শুধু তাই নয় নিজে নিজেই আইনের একটা নমুনা উল্লেখ করেছেন!!! মাশাল্লা আপনি দেখছি আইনও তৈরি করতে পারেন।
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম THE GREAT!!!!Crying Crying Crying
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৩০
281025
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @ আনিসুর রহমান :


আপনি বলেছেন : ফ্যানাটিক ইসলাম বিরোধীদের মত আপনিও বলছেন হেজাব নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। শুধু তাই নয় নিজে নিজেই আইনের একটা নমুনা উল্লেখ করেছেন!!! মাশাল্লা আপনি দেখছি আইনও তৈরি করতে পারেন।

উত্তরে বলছি :

আমি মুখ ঢাকার যে কোন ধরনের কাপড় প্রকাশ্য স্হানে পরা বা কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা বলছি । সাধারণত এমন কাপড়কে ধর্মান্ধ ও কুসংস্কারাচ্ছন্নদের একটা বড় অংশ নেকাপ/নিকাপ/নিকাব বলে অভিহিত করে থাকে ।

আমি আইনের ছাত্র । আইন বানানো সম্পর্কে আমার ধারণা আছে ।

আমি হিজাব নিষিদ্ধ করার কথা কখনো বলি না । আমি মূলত নিচের পোষাক পরার ধরণগুলোকেই হিজাব করা বলে মনে করি । কারণ আমার কথা কুরআন ও হাদিস দ্বারা সমর্থিত ।










বিস্তারিত জানার জন্য আমার এই লেখাটি পড়ুন :
নিকাব ও বোরকা পরা সেই মেয়েটি -

http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/69002
339564
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৪
আনিসুর রহমান লিখেছেন : They abuse Hazab/borka, we want appropriate action against this EVIL group of people including police which are involved with this group
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:০৮
280914
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : তারা যা করছে তা বোরকা ও নিকাবের সুযোগ-সুবিধাকে ব্যবহার করেই করছে । কেহ সার্ট প্যান্ট করে ঘুষ-দুর্নীতি-চুুরি করলে আমরা বলি না যে তারা সার্ট-প্যান্টকে এবইউজ করছে । নিকাবের কোন ভাল গুণ নেই । আইন করে নিকাব নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাড়িয়েছে ।
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:০৬
281009
আনিসুর রহমান লিখেছেন : According to moral and ethics obviously they ABUSE(অপব্যাহার) the Hazab/Borka. Do not Become Mr Zafar Iqbal.
কেহ সার্ট প্যান্ট করে ঘুষ-দুর্নীতি-চুুরি করলে আমরা বলি না যে তারা সার্ট-প্যান্টকে এবইউজ করছে ।
Using Hazab/Borka which related to her culture/ believe and common general dress code are never ever same.
নিকাবের কোন ভাল গুণ নেই ।
Who told you, there are lots of good use: for instance, I came from family which member are love the so called modern dress/fashion but onec when I am in Bangladesh I saw one of my Vabee, wearing a BUKRA and go to school to pick her kids. I was very surprize and asked the reason, she told me" I am a very busy and do not have enough time to change the dress for particular occuation and this Burka help me a lot to solve my problem. I just say your are a very smart woman.
I think you (মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম) are very backward minded man

০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
281065
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন :
আপনি লিখেছেন :
Using Hazab/Borka which related to her culture/ believe and common general dress code are never ever same.

উত্তরে বলছি : বোরকা আর নিকাব সাধারণ ড্রেস কোড - এটা কোথায় বলা আছে ? কুরআনে বোরকা আর নিকাব শব্দ আছে কি ? হাদিসে বোরকা শব্দ আছে । খিমার , জিলবাব শব্দ আছে কুরআনে ।
আপনি লেখেছেন :
“নিকাবের কোন ভাল গুণ নেই ।
Who told you, there are lots of good use: for instance, I came from family which member are love the so called modern dress/fashion but onec when I am in Bangladesh I saw one of my Vabee, wearing a BUKRA and go to school to pick her kids. I was very surprize and asked the reason, she told me" I am a very busy and do not have enough time to change the dress for particular occuation and this Burka help me a lot to solve my problem. I just say your are a very smart woman.
I think you (মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম) are very backward minded man

উত্তরে বলছি : নিকাবের কয়েকটা উপকারী দিক বলুন ।

I am a very busy and do not have enough time to change the dress for particular occuation and this Burka help me a lot to solve my problem. - এটা তো বোরকার উপকারী একটা দিক মাত্র ।

আমি নিকাব নিষিদ্ধকরণের কথা বলেছি । বোরকা নিষিদ্ধ করার কথা বলিনি । নিকাব কি তা অবশ্যই জানেন । না জানলে বলছি , নিকাব দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা হয় আর এটার উপকারী দিক নেই ও এটার বিভিন্ন অপরাধের জন্য সহায়ক অস্ত্র হিসেবে কাজ করে । আর এজন্য আমি বলেছি :

"Bangladesh should have a law that forbids the use of helmets or any other type of object or piece of cloth covering the face of individuals upon entering a public or private premise.


This law will passed in order to reduce the number of attempts of any crimes.

By removing the helmet or piece of cloth, the individual is more easily recognized by security tapes.



০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:২৬
281184
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আমি নিকাব নিষিদ্ধকরণের কথা বলেছি । বোরকা নিষিদ্ধ করার কথা বলিনি । নিকাব কি তা অবশ্যই জানেন
Your definition of "NIKAB" is not clear to me. Yes it is true the word NIKAB is not Arabic. I think this is the main reason to understand your explanation. Would you kindly give me the dictonary definition of NAKAK with reference.


০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:২৯
281185
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আমি নিকাব নিষিদ্ধকরণের কথা বলেছি । বোরকা নিষিদ্ধ করার কথা বলিনি । নিকাব কি তা অবশ্যই জানেন
Your definition of "NIKAB" is not clear to me. Yes it is true the word NIKAB is not Arabic. I think this is the main reason to understand your explanation. Would you kindly give me the dictonary definition of NIKAB with reference.


০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৪০
281190
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : Your definition of "NIKAB" is not clear to me. Yes it is true the word NIKAB is not Arabic.

উত্তর :

নিকাব একটি আরবী শব্দ । একে "অবগুণ্ঠন" , "মাস্ক" ও ruband ও বলা হয় ।নিকাব একটি কাপড় যা মুখকে ঢেকে রাখে ।

নিকাব সৌদি আরব, ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রভৃতি দেশে বেশী ব্যবহার হয় বা নেকাব পড়তে মেয়েদের বাধ্য করা হয় । আফগানিস্তান, পাকিস্তান, মিশর, ইজরায়েল কিছু অংশ, ইরানের দক্ষিণের প্রদেশগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যবহার হয় । মুসলিম জনসংখ্যা বহুল অন্যান্য দেশগুলোতে ধর্ম ব্যবসায়ীরা মেয়েদের নিকাব পড়তে বাধ্য করে থাকে ।


নিকাব জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রী সংস্হার মহিলা কর্মী ও ছাত্রীদের অফিসিয়াল ড্রেস কোড ।


নিকাবের কোন উপকারী দিক নেই ।


নিকাব পড়ে যে সব কাজ হয় :

১.এই নেকাব অনেক অপরাধমূলক কাজ করার সহায়ক ।

২.চোরাকারবারীরা নেকাব ব্যবহার করে ।

৩.পতিতারা নিজেদের খারাপ কাজ করার সময় ধরা না পড়ে এজন্য নেকাব পড়ে রাস্তায় আর হোটেলে অবস্হান করে ।

৪.বখাটে ছেলে ও অবৈধ প্রেমিকের সাথে খারাপ কাজ করার জন্য স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসার মেয়েরা নেকাব ব্যবহার করে ।

৫. স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসার এমন সব মেয়ে যা সৌখিন পতিতা তারাও নেকাব পড়ে থাকেন ।এজন্য আমরা প্রায়ই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মৌসুমে কিছু মেয়েকে নেকাব ও বোরকা পড়তে দেখি ।

৬. পরীক্ষার হলে নকল করার জন্য কিছু মেয়ে নেকাব পড়ে থাকে ।

নকল করার জন্য নেকাব পড়া মেয়েরা প্রচন্ড সুযোগ নেয় । যারা শিক্ষকরা এবিষয়টি লক্ষ্য করে থাকেন ।

৬. অনেক মেয়ে জিনা করা জন্য নেকাব ব্যবহার করে থাকে ।

http://www.youtube.com/watch?v=Vh4cLS7Ja24&feature=player_embedded

৭. ভাল পরিবারের অনেক মেয়ে বাড়ির থেকে পালিয়ে সিনেমা দেখার জন্য নেকাব পড়ে



৮. পার্কে ও হোটেলে অবৈধ প্রেম করার জন্য অনেক মেয়ে নেকাব করে ।

দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন ও দেখুন :

http://youtu.be/Vh4cLS7Ja24

http://youtu.be/Y4TQ24SXni4

http://youtu.be/diJb7b_84rs

৯. চুরি করার সুবিধার জন্য অনেক মেয়ে নেকাব পড়ে থাকে ।

১০. অনেক মেয়ে নিজেকে অসুন্দর মনে করে নিজেকে আড়াল করার জন্য নেকাব পড়ে ।

১১. অনেক বড় মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রব্যবসায়ী নেকাব ব্যবহার করে থাকেন ।

১২.সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নেকাব ব্যবহার করে থাকে ।

১৩.অনেক ধার্মিক লোক ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে নেকাব পড়ে থাকেন । যদিও এটা ধর্মের অবিচ্ছেদ্য বিষয় নয় ।

নেকাবকে ধর্মের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে প্রচার করায় কি অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে ? :



১. নেকাবের কারণে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা পড়ুয়া অনেক আপু ইসলামকে কঠিন মনে করে ইসলাম হতে দুরে সরে যাচ্ছেন ।

২.নেকাব জোড় করে পড়ানো পরিবারগুলোতে অনেক মেয়ে ইসলামের উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে ফরজ নামাজও পালন করছেন না।

৩.নেকাব পড়ে বিভিন্ন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক সময় সাভাবিক কাজ-কর্ম বাধাগ্রস্হ হয ।কারণ নেকাবের কারণে মুখের এক্সপ্রেশন বুঝা যায় না । সরাসরি মানবীয় যোগাযোগ রক্ষিত হয় না ।

৪.নেকাব ব্যবহারকারী মেয়েদের বুদ্যাংক কম থাকে বলে তারা মেধাসম্পন্ন সন্তানের জন্ম দিতে পারে না ।

৫.নেকাব ও তার সাথে কালো বোরকা বা আবআয়া বা জিলবাব পড়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ সূর্য হতে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না । (নিকাব প্ররিধানকারীরা সাধারণত কাল বোরকা পড়ে থাকেন বা পড়াকে গুরুত্ব দেন । ) । এর ফলে ভিটামিন ডি-এর অভাবে বিভিন্ন রোগ হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় মেয়েদের এবং ভবিষ্যতে জন্ম নেওয়া সন্তানদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানষিক সমস্যার সম্ভাবনা প্রবলতর হয় । [বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী পর্বগুলোতে দেওয়া হবে । ]

৬. নিকাব মুসলিম দেশগুলোতেই শুধু ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে , বরং ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজকে বাধাগ্রস্হ করছে । ( ইসলাম ২০০০ : মুরাদ উইলফ্রেড হফম্যান )



সুতরাং আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল : ইসলামকে সহজ ভাবে উপস্থাপন করে ফরজ পালন এর দিকে মানুষকে নিয়ে আসা এবং নিকাবের মতো অগুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অগ্রাজ্য করা ।

০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৫৭
281202
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আনিসুর রহমান : আমার লেখা ৪ নং মন্তব্যটা দয়া করে পড়ুন ।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:০০
281465
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Using Hazab/Borka which related to her culture/ believe and common general dress code are never ever same.

উত্তরে বলছি : বোরকা আর নিকাব সাধারণ ড্রেস কোড - এটা কোথায় বলা আছে ? কুরআনে বোরকা আর নিকাব শব্দ আছে কি ? হাদিসে বোরকা শব্দ আছে । খিমার , জিলবাব শব্দ আছে কুরআনে
আমি এখানে নিকাব/নেকাব বা বোরকাকে সাধারন ড্রেস কোড বলেনি বরং বলেছি, সাধারন ড্রেস কোড এবং যে ড্রেস কোড কোন কালচার বা বিশ্বাসের সাথে জড়িত তা কখনোও এক হতে পারে না। দয়া করে আমার মন্তব্য ভাল করে পরুন।
আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি হেজাব/ নিকার বা বোরকা সম্পর্কে যা লিখেছেন তা পরিষ্কার নয় এবং আপনার নিকার সম্পর্কিত ধারনা/জ্ঞান সঠিক নয়।
নিকাব সম্পর্কে আমেরিকান এক মহিলার মন্তব্য উল্লেখ করছি এবং সাথে সাথে আপনাকে অণুরোধ করবো হেজাব/ নিকার বা বোরকা সম্পর্কে আমি একটি লেখা আচিরেই পোস্ট করব, তা আপনি দয়া করে পরবেন।
NIQAB is a very liberating and empowering experience. It allows me to realise my GOALS by having a career and going to school without wearing about the prying eyes of men. If forces people not to judge me based on my appearance, but on my throughs and character.

MS Flavia, 22 USA
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:২৯
281469
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি লিখেছেন : আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি হেজাব/ নিকার বা বোরকা সম্পর্কে যা লিখেছেন তা পরিষ্কার নয় এবং আপনার নিকার সম্পর্কিত ধারনা/জ্ঞান সঠিক নয়।

উত্তরে বলছি :নিকাব সম্পর্কিত সঠিক ধারণাটা সুন্দর করে কয়েক লাইনের মাধ্যমে লিখুন বাংলায় । লোকেরা বিষয়টা বোঝতে পারবে ।

আমেরিকান কোন মহিলা কি বল্লো তা আমাদের দলীল নয় । দলীল প্রমাণ হওয়া উচিত কুরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে । আর সবার আগে মানুষ জাতির কল্যাণকে গুরুত্ব দিতে হবে ও দেশের উন্নায়ন-সমৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিতে হবে ।


সৌদি আরবের অনেক আলেম যারা আগে ওহাবী ছিলেন তারা পর্যন্ত বোরকা ও নিকাব বাদ দেওয়ার পক্ষে কথা বলে ওহাবী মতবাদ বিজর্সন দিচ্ছেন ।


সৌদি আরবের আলেম শেখ আহমেদ আল-গামেদীর স্ত্রী জাওয়াহির বিনতে শেখ আলী
যেমন :
মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করে গায়ের রং ও পোষাকের সাথে মানানসই হাল্কা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন
শেখ আহমেদ আল-গামেদী, সৌদি আরবের প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষের মক্কা অংশের সাবেক প্রধান । তার স্ত্রী জাওয়াহের বিনতে আল-শেখ আলী ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ এমবিসি টিভিতে মুখ খোলা অবস্হায় বা নিকাব দিয়ে মুখ না ঢেকেই উপস্হিত হন । আর শেখ আহমেদ আল-গামেদীও তার সাথে উপস্হিত ছিলেন । শেখ আহমেদ আল-গামেদী বলেন যে মুখ ঢাকা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ সা. – এর স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল । তিনি টিভির সাক্ষাৎকারে জনসাধারণের সামনে মহিলারা তাদের মুখ প্রকাশ করা দোষের কিছু নয় এবং মহিলারা সামান্য মেকআপ পরতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।
ভিডিওটা দেখুন , এই লিংক হতে :
https://www.facebook.com/video.php?v=885018538187908&set=vb.831464740209955&type=2&theater;


সৌদি আরবের আলেম শেখ আহমেদ আল-গামেদী
মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করবে:
মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করতে পারেন । মুখ খোলা রেখে চলাফেরা করতে পারেন । তাদের মুখ ঢাকার জন্য নিকাব পড়ার প্রয়োজন নেই । তবে তাতে পরিমিতিবোধের দিকে লক্ষ্য রাখবেন । প্রয়োজনবোধে হাল্কা মেক আপ করতে পারেন । কারণ কুরআনে এসম্পর্কে ইংগিত করা হয়েছে :
أَمِ اتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنَاتٍ وَأَصْفَاكُم بِالْبَنِينَ
তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?

وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمَنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ
তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে।

أَوَمَن يُنَشَّأُ فِي الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِي الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ
তারা কি এমন ব্যক্তিকে আল্লাহর জন্যে বর্ণনা করে, যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং বিতর্কে কথা বলতে অক্ষম।
( সুরা যুখরফ : ১৬ হতে ১৮ আয়াত )
মেয়েরা অবশ্যেই গায়ের রং ও পোষাকের সাথে মানানসই হাল্কা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন । কারণ এটা তাদের সাজগোজের অংশ । আর কিছু লিপস্টিক ও লিপজেল ঠোটের জন্য উপকারী ।
প্রশাধনী ব্যবহার করে প্রযোজনীয় সেজেগুজে মেয়েরা চলাফেরা করবে । তাতে দোষনীয় কিছু নেই ।
মেয়েদের পোষাক পরার সীমারেখা :
মেয়েদের হাতের কব্জি থেকে আঙ্গুল, পায়ের পাতা থেকে আঙ্গুল এবং মুখ মন্ডল ছাড়া শরীরের যাবতীয় অংশ ঢেকে রাখা ফরজ । পোশাকটা ঢিলে ঢালা হতে হবে যাতে শরীরে কোন অঙ্গ ফুটে না উঠে । এছাড়া এমনভাবে ওড়না পড়তে হবে যাতে মাথা, চুল, গলা, পিঠ, ঘাড় ও সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢাকা সম্ভব হয় । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
” وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ” ( উচ্চারণ : ওয়াল্ ইয়াদ্ রিব্না বিখুমুরি হিন্না আলা জুয়ুবিহিন্না । ) সুরা নুর : ৩১ ।
শাব্দিক অনুবাদ : তারা যেন গলা ও বুক ওড়না দ্বারা আবৃত করে ।
ভাবানুবাদ : মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, গলা, পিঠ ও বুক ইত্যাদি অঙ্গ ভালভাবে ঢেকে রাখে ।
ইসলামে নীতি-নৈতিকতা ও শালীনতার গুরুত্ব :
যে বা যারা তার মা-বোন-স্ত্রী-মেয়ে-কর্মস্হলের মহিলা-এলাকার মহিলাদের ইসলামের শালীনতা ও নৈতিকতাসম্পন্ন পোষাক পড়তে উৎসাহ-অণুপ্রেরণা দেয় না এবং অশ্লীলতা সমাজে বিস্তার হয় তা চায় – তাদের রাসুল (সা.) দাইয়ুস বলে আক্ষায়িত করেছেন ।রাসুল (সা.) বলেছেন, দাইয়ুস কখনোই জান্নাতে যাবে না ।
আর ইসলামের নীতিমালা বিরোধী পোষাক পড়া মেয়েদের “মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ (متغيرة الريح ) “ উপাধি দেওয়া হয়েছে ।মুহাম্মদ (সা.) অসংখ্য হাদিসে জোড় দিয়ে বলেছেন যে দাইয়ুস ধরণের ছেলে ও মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ মেয়েরা কখনোই জান্নাতে যাবে না ।
শুধু মৃত্যুর পর জান্নাতে যাওয়াই নয় পৃথিবীকে সুন্দর-সুস্হ ও নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সমাজ গড়ার স্বার্থেই আমাদের কুরআন ও হাদিসের নীতিমালা মেনে চলতে হবে ।
কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী মেয়েদের পোষাক পড়ার নিয়মগুলো হলো :
১. মাথা, চুল, গলা, পিঠ, ঘাড় ও সম্পূর্ণ বুক ওড়না দিয়ে যথাযথভাবে ঢেকে রাখা এবং মুখ ও হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখা ।
২. এমন ভাবে হাঁটা ও চলাফেরা করা যাতে শরীরের ভাঁজ অপ্রকাশিত থাকে ।
৩. স্বচ্ছ বা পাতলা কাপড়ের পোষাক না পড়া ও ঢিলা ঢালা পোষাক পড়া ।
৪. দৃষ্টি সংযত করে চলাফেরা করা এবং মন ও দেহকে পবিত্র রাখা ।
৫. সাভাবিক কন্ঠস্বর ব্যবহার করে কথা বলা ।
মুসলিম মেয়েদের এই ড্রেস কোড শুধুমাত্র পাবলিক প্লেস এর জন্য প্রযোজ্য । তারা বাড়িতে বাবা-ভাই-স্বামী-সন্তান বা যাদের বিয়ে করা হারাম এমন পুরুষদের সামনে মাথায় ওড়না ব্যবহার না করেও চলাফেরা করতে পারে । শুধু মাত্র বাড়িতে স্বামীর সাথে এক সাথে থাকার সময় ওড়না ব্যবহার না করলেও গুনাহ হবে না ।
ইসলামে ড্রেস কোড বলতে আসলে কি বোঝায় ? ও তার গুরুত্ব :
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তিত এই ড্রেস কোড কোন মুসলিম মেয়ে না মেনে চল্লে তার নিজের কবিরা গুনাহ হবে , তেমনি তার বাবা-ভাই-স্বামী-ছেলেদের ও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা তার কর্মক্ষেত্রের প্রধানেরও কবিরা গুনাহ হবে । এই একই নির্দেশনা প্রায় সব ধর্মে আছে । হিন্দু ধর্মে এই নিয়মকে ঘুনঘাট বলা হয় । ইসলাম ধর্মে বলা হয় হিজাব বা পর্দা । খৃস্টান ও ইহুদী ধর্মে মেয়েদের ওড়না পড়া ও ঢিলা ঢালা পোষাক পড়া বাধ্যতামূলক । আর খৃস্টান ও ইহুদী ধর্মে মেয়েদের পোষাক সম্পর্কিত নির্দেশনাবলীও ইসলাম ধর্মের অনুরূপ ।


https://www.youtube.com/watch?v=4WgPJ_Bxu7o
ওড়না পরার একটা সহজ পদ্ধতির ভিডিও
ওড়না পড়ার সঠিক নিয়ম হলো পিঠ, মাথা , সব চুল, কান , গলা , ঘাঢ়, সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে । আর বুক এমনভাবে ঢাকতে হবে যাতে বুকের গড়ন কোন ক্রমেই বোঝা না যায় ।
অন্যান্য ধর্মে ড্রেস কোড ও ইসলামী নীতিমালা :
শুধু ইসলাম ধর্মই নয় হিন্দু, বৌদ্ধ , খৃষ্টান, ইহুদী, শিন্টো-সহ প্রায় ৫০ টা ধর্মে বলা আছে কোন মেয়ে বুক ও মাথা সঠিকভাবে না ঢেকে চলাফেরা করলে তার পাপ হবে এবং সে স্বর্গে যেতে পারবে না ।
ইসলাম ধর্ম পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয় :
১. মেয়েদের হাতের তালু ও মুখমন্ডল ছাড়া সমগ্র শরীর ঢিলা যে কোন পোষাক দিয়ে রাখতে হবে । (বর্তমানে কিছু মেয়ে প্রচন্ড টাইট পোষাক পড়ে থাকে যা তাদের জন্য আড়ামদায়ক নয় এবং টাইট পোষাক পড়ার জন্য তাদের গুনাহ্‌ও হচ্ছে । )
২. ব্যক্তিগত অঙ্গ (বুক, পিঠ, চুল, গলা, কান, পেট, হাটু, পায়ের গোড়ালী)ভালভাবে ঢেকে রাখতে হবে ।
৩. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে মার্জিতভাব প্রকাশ করতে হবে ।
৪. সাজ সজ্জার ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধের দিকে নজর দিতে হবে ।
৫. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে আল্লাহভীতি প্রকাশ পায় সে দিকে নজর দিতে হবে ।
সবাইকে মনে রাখতে হবে ও অনুধাবন করতে হবে, মেয়েদের ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে ফরজ বা আবশ্যক । যদি কোন মেয়ে ওড়না এভাবে না পড়ে তার তাহলে তার নিজের , তার বাবা-মা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন-কর্মক্ষেত্রের সাথে সম্পৃত্ত সবার কবিরা গুনাহ হবে ।
ওড়না পড়া সম্পর্কে কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বলতে যেয়ে আল্লাহ সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতে বলেছেন :
وَليَضرِبنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلىٰ جُيوبِهِنَّ ۖ
(ওলাল ইয়াদ্রিবনা বিখুমুরিহিন্না আলা জুয়ুবিহিন্না)
অনুবাদ :
১.“আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে ।“
অথবা
২.”তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে । “
অথবা
৩.”তারা যেনো ওড়না বুকে ফেলে রাখে”
ভাবানুবাদ : মুসলিম মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে ।
সুরা নুরের এই আয়াত নাযিল হলে মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়া শুরু করে ।
মেয়েদের পোষাক পড়ার নিয়ম সম্পর্কিত হাদিস :
মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পরা ও পোষাক পরার ব্যাপারে একটা সহিহ হাদিস হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন । হাদিসটা হলো :
আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত,
يرحم الله نساء المهاجرات الأول، لما أنزل الله : وليضربن بخمرهن على جيوبهن شققن مورطهن فاختمرن بها.
আল্লাহ তাআলা প্রাথমিক যুগের মুহাজির মহিলাদের প্রতি দয়া করবেন । যখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত,” তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে (সূরা নূর : ৩১ ) নাযিল করলেন, তখন তারা নিজে চাদর ছিঁড়ে ওড়না ওড়না হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে ।
হাদিসটা কোথায় আছে ? :
১. বোখারি শরীফের ৮ম খন্ডে ৪৩৯৮ নং হাদিস , বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন ।
তবে তা প্রচলিত নিয়মে সন্নিবেশ করলে বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস হয় ।
২. এই হাদিসটাই সামান্য কয়েকটা শব্দের পার্থক্য ছাড়াই আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত হয়েছে আর এই বইয়ে এই হাদিসটার নাম্বার দেওয়া হয়েছে ৪০৯১ ।
জেনে রাখা ভাল :
১. ওড়না মোটা কাপড়ে হতে হবে । পাতলা কাপড়ের ওড়না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে । কারণ :
এসম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা.) বলেন : সরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাযিল হলে মেয়েরা পাতলা কাপড় পড়া বাদ দিয়ে মোটা কাপড় সংগ্রহ করে এর দ্বারা ওড়না বানিয়ে নিয়েছিলো ।
(তাফসীরে ইবনে কাসির, হাদিস গ্রন্হ : আবু দাউদ )
আয়েশা (রা) বর্ণনা করেন , আসমা বিনতে আবী বকর (রা) পাতলা কাপড় পড়ে রাসুল (সা.) -এর বাড়ি বেড়াতে আসলেন । (আয়েশা রা. হলেন আসমা রা.-এর আপন বোন) । রাসুল (সা.) আসমা (রা.) –কে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, হে আসমা ! মেয়েরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তাদের এই অঙ্গ আর ওই অঙ্গ ছাড়া প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন ।
[ আবু দাউদ, হাদিস নং :৪১০৬ ; মিশকাত, হাদিস নং :৪৩৭২ ]
এসব হাদিস এবং সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত হতে আমরা বুঝলাম : “মেয়েদের অবশ্যই মুখমন্ডল ও দুই হাতের কব্জি ছাড়া সম্পূর্ণ শরীর মোটা ঢিলা ও আরামদায়ক কাপড়ের পোষাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মোটা কাপড়ের ওড়না দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা, কান, গলা, পিঠ এবং সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে ।“
২. সম্পূর্ণ মাথা, কান,পিঠ, গলা ও সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখার জন্য ওড়না নিজের শরীরে সাথে মাপ মতো বানিয়ে নিতে হবে । বর্তমান সময়ের গামছার মতো সাইজের ওড়না ব্যবহার করে এসব অঙ্গ পুরোপুরি ঢেকে রাখা যায় না । সুতরাং এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ।

এসম্পর্কিত আরো হাদিস :

১.
عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِىْ بَكْرٍ دَخَلَتْ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهَا ثِيَابٌ رِقَاقٌ فَأَعْرَضَ عَنْهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ يَا أَسْمَاءُ إِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا بَلَغَتِ الْمَحِيْضَ لَمْ تَصْلُحْ أَنْ يُرَى مِنْهَا إِلاَّ هَذَا وَهَذَا. وَأَشَارَ إِلَى وَجْهِهِ وَكَفَّيْهِ-
আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আসমা বিনতে আবী বকর (রাঃ) পাতলা কাপড় পরিহিত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করলেন। রাসূল (ছাঃ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আসমা! নারী যখন যৌবনে পদার্পণ করে তখন তার এটা ওটা ব্যতীত প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। আবু দাঊদ হা/৪১০৬; মিশকাত হা/৪৩৭২ ।
২.
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيْفَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ، فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا، وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ فَجَعَلَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ-
আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, (বিদায় হজ্জের দিন তার ভাই) ফযল রাসূল (ছাঃ)-এর পিছনে সওয়ারীতে বসে ছিল। অতঃপর খাছ‘আম গোত্রের একটা মহিলা আসল। ফযল তার দিকে তাকাতে শুরু করল এবং মহিলাটিও ফযলের দিকে তাকাচ্ছিল। অতঃপর নবী করীম (ছাঃ) ফযলের মুখমন্ডল অন্যদিকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন।
বুখারী হা/১৫১৩; মুসলিম হা/১৩৩৪, আবুদাঊদ হা/১৮১১; নাসাঈ হা/২৬১৩। এ হাদীছ প্রমাণ বহন করে যে, মহিলাটির মুখ খোলা ছিল।
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ يَوْمَ الْعِيْدِ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ ثُمَّ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلاَلٍ فَأَمَرَ بِتَقْوَى اللهِ وَحَثَّ عَلَى طَاعَتِهِ وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ ثُمَّ مَضَى حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ فَقَالَ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّ أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ. فَقَامَتِ امْرَأَةٌ مِنْ سِطَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ-
জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঈদের দিনে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুৎবার পূর্বে আযান, ইক্বামত ব্যতীত ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর লোকদেরকে উপদেশ, নছীহত করলেন। অতঃপর মহিলাদের নিকট এসে ওয়ায-নছীহত করে বললেন, হে মহিলারা! তোমরা ছাদাক্বা কর, ……… দু’গাল লালচে কালো দাগ মিশ্রিত একজন মহিলা নারীদের মধ্যে হ’তে দাঁড়িয়ে বলল, কেন হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)?...।
[মুসলিম হা/৮৮৫।]
এই হাদিস হতে দেখা গেলো মহিলারা ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ঈদগাহ মাঠে যেতো আর ঈদের নামাজ পড়তো । আর প্রকাশ্যে মুখ খোলা রেখেই নামাজ পড়তো ।
সুতরাং আমাদের মেয়েরা এসব হাদিসকে গুরুত্ব দিয়েই মুখ খোলা রাখবে ।
ইসলাম পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয় :
১. মেয়েদের হাতের তালু ও মুখমন্ডল ছাড়া সমগ্র শরীর ঢিলা যে কোন পোষাক দিয়ে রাখতে হবে । (বর্তমানে কিছু মেয়ে প্রচন্ড টাইট পোষাক পড়ে থাকে যা তাদের জন্য আড়ামদায়ক নয় এবং টাইট পোষাক পড়ার জন্য তাদের গুনাহ্‌ও হচ্ছে । )
২. ব্যক্তিগত অঙ্গ (বুক, পিঠ, চুল, গলা, কান, পেট, হাটু, পায়ের গোড়ালী)ভালভাবে ঢেকে রাখতে হবে ।
৩. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে মার্জিতভাব প্রকাশ করতে হবে ।
৪. সাজ সজ্জার ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধের দিকে নজর দিতে হবে ।
৫. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে আল্লাহভীতি প্রকাশ পায় সে দিকে নজর দিতে হবে ।
এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন :
يٰبَنى ءادَمَ قَد أَنزَلنا عَلَيكُم لِباسًا يُوٰرى سَوءٰتِكُم وَريشًا ۖ وَلِباسُ التَّقوىٰ ذٰلِكَ خَيرٌ ۚ
ذٰلِكَ مِن ءايٰتِ اللَّهِ لَعَلَّهُم يَذَّكَّرونَ
হে আদম সন্তান ! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক । যা তোমাদের ব্যক্তিগত অঙ্গগুলোকে ঢেকে রাখে। আর অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার পোশাক । আল্লাহভীতির পোশাক সর্বোত্তম । (সুরা আরাফ : ২৬)


উপসংহার :
ইসলাম হুমকি ধমকি দিয়ে পালন করার বিষয় নয় । ইসলাম যুক্তি-প্রমাণ ও বাস্তবতার ধর্ম ।
যে বা যারা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন ( তা যে কোন মাধ্যমেই হোক ) , তাদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে বাধ্য হবো এবং আইনের দারস্হ হতে বাধ্য হবো ।
পরিশেষে আমরা যারা ছেলে তাদের হাসরের মাঠে যাতে দাইয়ুস উপাধি হতে পেতে না হয় , এজন্য অধিনস্হ মেয়েদের ইসলামী নীতিমালায় জীবন যাপন করার জন্য সচেষ্ট হবো - এটা হোক আমাদের চেষ্টা-সাধনা-সংগ্রাম ।
আর যারা মেয়ে তাদের মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ (متغيرة الريح ) উপাধি হাসরের মাঠে যাতে পেতে না হয় , সেজন্য নিজেরা ইসলামী নীতিমালায় জীবন যাপন করার জন্য সচেষ্ট হবো - এটা হোক তাদের চেষ্টা-সাধনা-সংগ্রাম ।
অন্যথায় যারা দাইয়ুস ও মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ (متغيرة الريح ) হাসরের মাঠে পাবেন তারা জাহান্নামী হবেন এবং দুনিয়ায় অশেষ কষ্ট ও লাঞ্চনা ভোগ করবেন ।
আল্লাহ আমাদের ইসলামী নীতিমালা মেনে পোষাক পড়ার তৌফিক দান করুন ও এই ব্যাপারে সবার দায়িত্ব অনুভুতিকে জাগ্রত করে দিন ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবীন ।
339602
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৮
হতভাগা লিখেছেন : মহিলাদের প্রতি মানুষের যে প্রি-সিমপ্যাথী কাজ করে সেটার কি সফল ব্যবহারই না এটা !

সময় এসেছে নারীদের প্রতি এসব প্রি-সিমপ্যাথী থেকে সরে আসার ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৪
280936
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এই কয়েক দিন আগে দেখলাম বাস-এর মধ্যে নিকাব ও বোরকা পরা এক মেয়ে দাড়িওয়ালা এক লোকের উপর বার বার আছড়ে পড়তে । লোকটা প্রতিবাদ করলো । কিন্তু বেশীর মহিলারা এই নিকাব ও বোরকা পরা মেয়েটার পক্ষ নিয়ে বল্লো , এত ভাল না লাগলে পাবলিক বাসে কেন উঠলেন , প্রাইভেট কার কিনে চলাফেরা করেন । “ কিছু কর্মজীবি মহিলা বলা শুরু করলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । কারণ বাসে আগে মেয়েদের উপর ছেলেরা আছড়ে পড়তো । এখন মেয়েরা ছেলেদের উপর পড়ে । “

আমি সেই বাসে ছিলাম । কিন্তু নিরব থাকতে বাধ্য হলাম । প্রতিবাদ করার মতো অবস্হা আমার কোনভাবেই ছিল না । আমার সামনে ও পিছনের সিটগুলোতে মেয়েরা বা মহিলারা বসেছিলো । উপরন্তু ছেলেদের বেশীর ভাগই অফিস টাইম ও ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে চিন্তিত ছিল । এর আগেও এমন কাজের প্রতিবাদ করে আমি কখনো কারোই সমর্থন পাইনি ।
339883
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৭:৫৬
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন :




দুইটা জমায়াতী প্রতিষ্ঠানের নিকাব পড়া কিছু মেয়ের ছবি দিলাম । জামায়াত-শিবিরের লোকদের মতে নিকাব পড়া বা মুখ ঢাকা ফরজ ।

এব্যাপারে শিবির নেতা লোকমান বিন ইউসুপের ভিন্ন মতও রয়েছে । যেমন : তিনি ফেসবুকে বলেন :




তার নিজস্ব সাইটে নিকাবের বিরোধীতা করে একটা লেখাটা লিখেন । তার লেখাটার শিরোনাম : ”নেকাব একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়... ” এই লিংকে লেখাটা আছে - http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_2270.html

আশা করে দেখবেন ।

এই বিষয়ে লোকমান বিন ইউসুপের আরো কিছু লেখা আছে ।

নিকাব সম্বন্ধে ইসলামিক স্কলারদের অভিমত!!!

http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/collection-for-me-only.html


ফেইসবুকে স্কার্ফ পড়া মুসলিম তরুনীর ছবি বিষয়ে ফ্রেন্ডের কমেন্টের উত্তরে আমি ...
ফেইসবুকে স্কার্ফ পড়া মুসলিম তরুনীর ছবি বিষয়ে ফ্রেন্ডের কমেন্টের উত্তরে আমি ...


http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_3704.html


ছাত্রী সংস্থার অনেক আচরন বিকলাঙ্গ মনমানসিকতার...
http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_1877.html


আশা করি এগুলোও দেখবেন ।
339910
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:২৩
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ফখরুল ভাই, আমার কাছে তো এখনেই ভয় লাগতেছে, জানিনা কখন কার উপর এই আপদ পতিত হয় ! ধন্যবাদ আপনাকে এই রকম একটা বিষয় শেয়ার করার জন্য।
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৭
281408
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : নিকাব পার্টি ও বোরকা পার্টি শুধুমাত্র রাস্তা বা ওভার ব্রীজ বা লঞ্চ স্টেশন বা বাস স্টেশনই নয়, তারা বর্তমানে অফিস আদালত, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাড়া-মহল্লায় আশ্রয় নিয়েছে । এদের নিয়ে আমাদের উচিত সবার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা ।
আমার এই লেখাটা পড়ার জন্য সবাইকে অনুরোদ করছি : http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/69002


আইন করে নিকাব বা মুখ ঢাকার কাপড় পরা নিষিদ্ধ ঘোষনা করা উচিত ।

আজও আমার এমন একটা অভিজ্ঞতা দেখার সুযোগ হয়েছিলো । স্হানটা ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজের গেইট । এই ঘটনার বেশ কিছু ছবি তুলেছি । আমি ভিডিও করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি । কিন্তু পারিনি । এই অভিজ্ঞতা অন্য এক দিন শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File